শিরোনাম:
●   দেহ ব্যবসায়ীদের আস্তানা পুড়িয়ে দিলেন এলাকাবাসী ●   রাঙামাটিতে নারী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন : ঘাতক গ্রেফতার ●   গাজার প্রতি বৈশ্বিক সংহতির অংশ হোন - ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল কর্মসূচি সফল করুন : জুঁই চাকমা ●   বাঙ্গালহালিয়া শিব মন্দিরে ৫ দিনব্যাপী বাসন্তী মায়ের পূজা ●   রাঙামাটি এটিআই শিক্ষার্থীরা ৮ দফা কর্মসূচির ঘোষণা ●   ছেলের দায়ের কোপে আহত মায়ের মৃত্যু ●   সু-প্রদীপ চাকমা রাঙামাটিতে আগমনের প্রতিবাদে কালো পতাকা হাতে বিক্ষোভ ●   রাঙামাটি বিজিবি সেক্টর সদর দপ্তর পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ●   এতিম শিশুদের সাথে ঈদ-উল-ফিতর এর আনন্দ ভাগ করে নিলেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক ●   রাঙামাটিতে ঈদের উপহার পেলেন সাড়ে তিন’শ ইমাম মুয়াজ্জিন ●   সিয়াম সাধনার পুরস্কার : ঈদুল ফিতরের মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য ●   সাইফুল হক দেশবাসীকে ঈদ উল ফিতর এর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ●   সু-প্রদীপ চাকমাকে পার্বত্য চট্টগ্রামে অবাঞ্চিত ঘোষণার হুশিয়ারী দিয়েছে পিসিসিপি ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের নজিরবিহীন বৈষম্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে পিসিসিপি ●   জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে মতামত জমা দেয়া হয়েছে ●   রাঙামাটিতে স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশনের ঈদ বস্ত্র বিতরণ ●   রাঙামাটিতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে দুই ভারতীয় আটক ●   রাঙামাটিতে রক্তেভেজা গণঅভ্যুত্থান : পাহাড়ের বৈষম্য বইয়ের মোড়ক উম্মোচন ●   রাউজানে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু ●   মিরসরাইয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘাত এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি ●   কাউখালীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন ●   রাবিপ্রবি’তে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত ●   কাউখালীতে ইসরাঈল বিরোধী বিক্ষোভ ●   গাজীপুরে ড্যাবের ইফতার মাহফিল ●   নেপালের প্রধানমন্ত্রী গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ী বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ●   ঈশ্বরগঞ্জে ৪৪ সিএইচসিপি পরিবারে নেই ঈদের আনন্দ ●   সিগারেটে মূল্যস্তর তিনটি হলে রাজস্ব বাড়বে, ব্যবহার কমবে ●   সুদেল ব্যবসায়ীর খপ্পরে পড়ে হারুন এখন ঘরছাড়া ●   সুন্দরবনে আগুন ২৩ বছরে ৩৪ বার ●   চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হায়দারের সাথে ঝালকাঠি জেলা বিএনপির মতবিনিময়
রাঙামাটি, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
শনিবার ● ৩০ মে ২০২০
প্রথম পাতা » গুনীজন » চির নিদ্রায় শায়িত কারাতে রেফারী বিগম্যান হুমায়ন কবির জুয়েল
প্রথম পাতা » গুনীজন » চির নিদ্রায় শায়িত কারাতে রেফারী বিগম্যান হুমায়ন কবির জুয়েল
শনিবার ● ৩০ মে ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

চির নিদ্রায় শায়িত কারাতে রেফারী বিগম্যান হুমায়ন কবির জুয়েল

ছবি : হুমায়ন কবির জুয়েল।মো. আব্দুল হান্নান কাজল :: দিনটি ছিল ঈদর দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার ২৬ মে ২০২০। হটাৎ ঢাকা থেকে প্রিয় বন্ধু বাবুলের কল এলো, একটি দুঃখের সংবাদ আজ সকালে জুয়েল ভাই মারা গেছেন। বন্ধু বাবুল ছিল হুমায়ন কবির জুয়েলের প্রিয় পাত্র। বন্ধুর ফোন কেটে যাওয়ার পর কিছুতেই এ কথা বিশ্বাষ হচ্ছিল না শিহান জুয়েল মারা গেছেন। তারপর সবার সাথে ফোনে কথা বলে নিশ্চিত হলাম মহান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের কারাতে রেফারী অংগনের উজ্জ্বল নক্ষত্র হুমায়ন কবির জুয়েল সত্যিই চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে।

বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের কারাতের যে পরিচিত করেছিলেন এই জুয়েলকে বিদেশীরা”বিগম্যান” হিসেবে চিনতো।কারন,তিনি ছিলেন বাংলাদেশের কারাতে জগতের সব চেয়ে মোটা মানুষ। মানুষটির মধ্যে ছিল অসাাধারণ কারাতে রেফারী করার বাচন ভংগি ও কলাকৌশল। তিনি ছিলেন দেশের সকল কারাতে রেফারী তৈরীর কারিগর। বাংলাদেশে যে কয়জন আন্তর্জাতিক কারাতে রেফারী আছে তারা সবাই তারই তৈরী। জুয়েল এর ভিতর কারাতে রেফারী করার একটা গুন ছিল তার মধ্যে অন্যতম, কারাতে রেফারী করার সময় যে শব্দ উচ্চারন করতে হত ঐ শব্দ উচ্চারনে তিনি ছিলেন পারদর্শী। বড় ভাল মানুষ ছিলেন তিনি।
সারা দেশে ও বিদেশে কারাতে লোকদের কাছে প্রিয় মুখ ছিল এই লোকটি। ঢাকা’তে কেউ যদি তার কাছে রেফারী’র ব্যাপারে যেত তাকে যথেষ্ঠ সহযোগিতা করত এবং নিজের বাসায় থাকার ব্যবস্থা করত। ২০১৯ এ বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশন এর নির্বাচনে নতুন কমিটি নির্বাচিত হওয়ার পিছনে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রেখেছিলেন এই প্রিয় মানুষটি। কারাতে প্রচুর ভালবাসতেন। এই কারাতের জন্য যোগ্য থাকা সত্বেও কোন চাকরী করেন নি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কারাতে নিয়েই পরে ছিলেন।

বাংলাদেশ কারাতে রেফারী এসোসিয়েশন করে সারা দেশে কারাতে রেফারী ছাত্র-ছাত্রী তৈরী করেছেন। তাদের মর্যাদার জন্য জাতীয় কারাতে রেফারীতে ভূষিত করেছিলেন। এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে “ জুয়েল কারাতে একাডেমী” কারাতে প্রতিষ্ঠান খুলে অনেক ছাত্র-ছাত্রী তৈরী করেছেন যা পুরো রাজধানীতে ব্যাপক পরিচিত লাভ করেন।বর্তমানে তার ছাত্র-ছাত্রীরা দেশে -বিদেশে নিজ ও আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির সুনাম করেছেন। কেউ কেউ তার সুপারিশে বড় বড় কোম্পানী,সরকারী,আধা- সরকারী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্ম করার সুযোগ পেয়েছেন। সারা দেশে যত কারাতে রেফারী ছাত্র-ছাত্রী আছে সবাই তারই তৈরী।
বাংলাদেশের কারাতে আন্তর্জাতিক দরবারে পৌঁছানোর লক্ষে সোতোকান কারাতে দো ফেডারেশন গড়ে তুলেন। নিজের নাম ও দেশের নাম উজ্জ্বল করে ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ থেকে আজ পর্যন্ত কেউ এত বিদেশের মাটিতে তার মত কারাতে রেফারী করার সুযোগ পায়নি। প্রায় সারা বিশ্বে বড় বড় আন্তর্জাতিক কারাতে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের পক্ষে হয়ে তিনি কারাতে রেফারী করেছেন।

জাপানী কারাতে প্রশিক্ষক শিহান তেতসুরো কিতামুরা, ঢাকা’র শিহান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন সেন্টু,সেন্সি মোঃ জসিম উদ্দিন,মোঃ মতিউর রহমান নাঈম,নারায়ণগন্জ’র শিহান মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান,কুমিল্লার শিহান মোঃ মোখলেসুর রহমান আবু,সেন্সি নুরে আলম,চট্টগ্রামের শিহান শাহজাদা আলম,কাজী রাশেদ আলী,রতন তালুকদার,সেন্সি এস এম আরিফ চৌধুরী, তুলু-উশ-শামস,অজয় দে, কাওসার আহমেদ এবং আমি (আব্দুল হান্নান কাজল) তার প্রিয় পাত্র ছিলাম।
চট্টগ্রামে যখনই তিনি রেফারী প্রশিক্ষণ,প্রতিযেগিতায় আসতেন চট্রগ্রামের উল্লেখিত লোকদের নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে যেতেন। তার প্রিয় খাবার ছিল শিক কাবাব। দেশে-বিদেশে এই কারাতে জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র মাত্র ৫৫ বছর বয়সে অকালে চলে যাওয়াতে শোকের ছায়া নেমে আসে। অনেক ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশের ও বিদেশের কারাতে অংগনের।

তিনি মারা যাওয়ার পূর্বে অর্থাৎ করোনা ভাইরাসে সারা দেশের অসহায় কারাতে ,রেফারী ছাত্র-ছাত্রীদের পণ্য সামগ্রী দিয়ে ও আর্থিক সহযোগিতা করে গেছেন। তার মৃত্যূর কথা অনেকেই বিশ্বাষ করতে পারছেন না।অকালে ঝরে গেল একটি তারকা। আমরা হারিয়েছি কারাতে রেফারী তৈরী করার কারিগড় পিতা’কে। আমরা তার কছে হেরে গেছি,তার ভালবাসার মূল্য দিতে পারিনি। তার মৃত্যূর সংবাদ পেয়েও করোনা ভাইরাসের কারনে গনপরিবহণ চলাচল না থাকার দরুন জানাযায় অংশ গ্রহন করতে পারিনি।
হয়ত পারবোনা তাঁর ঋন শোধ করতে। আমরা তার মত এমন হিরা হয়ত আর কখনো পাবোনা। তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় যে যার ধর্ম মতে তার জন্য দোয়া করতে পারি। মহান দয়ালু আল্লাহর কাছে তার জন্য প্রতিদিন যে যেখানে থাকি সেখান থেকে জেয়ারত করতে পারি।

প্রতি বছর তার মৃত্যূবার্ষিকীতে কোরআন খতম ও “জুয়েল স্মৃতি জাতীয় কারাতে প্রতিযোগিতা ও জুয়েল স্মৃতি আন্তর্জাতিক কারাতে প্রতিযোগিতা”র আয়োজন করে বাংলাদেশের কারাতে জগতে তার যে অবদান ছিল তা চালু রেখে তাকে স্মরণ করতে পারি।তাহলে তিনি আমাদের মাঝে চিরকাল বেচেঁ থাকবেন। আমরা এই উজ্জ্বল নক্ষত্র কে কিছুতেই যেন না ভুলি।
বাংলাদেশ কারাতে রেফারী এসোসিয়েশন এর সকল সদস্যদের অনুরোধে বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশন এর নিকট এই আকুল আবেদন জানাই। এমনি করে সবাই যাবে যেতে হবে, যেখানেই যান ভাল থাকেন,শান্তিতে থাকেন, আপনি চিরকাল আমাদের মণিকোঠায় থাকবেন,দেবনা আপনাকে ভুলিতে। প্রিয় কারাতে রেফারী প্রশিক্ষক হুমায়ন কবির জুয়েল”ওস” আপনাকে।

লেখক : সাংবাদিক ও সদস্য, বাংলাদেশ কারাতে রেফারী এসোসিয়েশন, ঢাকা।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)