সোমবার ● ১ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » মৌলভীবাজার » প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলাসহ আহত-৪
প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলাসহ আহত-৪
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নে হত্যা মামলার আসামী জামিনে এসে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলায় মহিলাসহ ৪ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহমদ আলী বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামী করে ২৬ মে কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। গত ২২ মে শুক্রবার বিকাল ৪ ঘটিকায় শরীফপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ বাদীকে না জানিয়ে ঘটনাস্থল তদন্তে গিয়ে পক্ষপাতমূলক আচরণ করে বাদীপক্ষের জমির বেড়া উপড়ে ফেলে দেয়। এতে প্রতিবাদ করলে বাড়ির মহিলাদের গালিগালাজ প্রদান করে।
কুলাউড়া থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাঘজুড় ও শরীফপুর গ্রামের আব্দুল খালিক মনিয়া, লোকমান মিয়া, কাদির মিয়া, আসাব আলী, কামাল, সোলেমানের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের সংঘবদ্ধ দল লোহার রড়, কাঠের বর্গা, দা, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে এলোপাতারি হামলা চালায়।
এসময়ে তাদের হামলায় শরীফপুর গ্রামের আহমদ আলী (৪২), ইউনুছ আলী (৩৫), আছমা বেগম (২৭) ও সুলতানা বেগম (২৮) আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আহমদ আলী ও ইউনুছ আলীকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আহমদ আলী বলেন, আমার ভাই মো. ইব্রাহিম আলীকে ২০০৯ সনে পার্শ্ববর্তী বাঘজুড় গ্রামের প্রতিপক্ষের লোকজন হত্যা করে। এই হত্যা মামলার আসামী আব্দুল খালিক মনিয়া, কাদির মিয়া গং ব্যক্তিরা জামিনে এসে আমাকে ও আমার পরিবার সদস্যদের ক্ষয়ক্ষতি করার পায়তারা চালিয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন আমার বাড়িতে ডিস লাইনের সংযোগ স্থাপনের জন্য ডিসকর্মীরা আসলে হামলাকারীরা বিদ্যুৎকর্মী ভেবে তাদের গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময়ে এর কারণ জানতে চাইলে প্রতিপক্ষের লোকেরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদেরকে রক্তাক্ত আহত করে ও আমার স্ত্রী আছমা বেগকে শ্লীলতাহানি ঘটায় এবং পকেট থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় আমি ১৩ জনকে আসামী করে গত ২৬ মে কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তবে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে আমাকে না জানিয়ে গত ২৭ মে তদন্তে এসে আমার জমিতে দেয়া বেড়া উপড়ে ফেলেন। এসময় প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশ আমার পরিবার সদস্যদের গালিগালাজ করেন।
পরে আমার দায়েরকৃত মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য একটি প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে প্রতিপক্ষের লোকজনও থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। আমিও আমার সদস্যদের প্রতিপক্ষের লোকজন প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এতে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি।
অভিযোগ বিষয়ে প্রতিপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে তাদের একটি ঘনিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মারামারি ঘটনায় তাদের পক্ষেও থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার এএসআই আক্তার হোসেন বলেন, অভিযোগটি তদন্তাধীন আছে। তাছাড়া প্রতিপক্ষের লোকদের পক্ষেও একটি অভিযোগ দিয়েছে। তদন্তে আমিসহ কুলাউড়া থানার এসআই শাহীন আহমদ একসাথে যাই। তবে বেড়া উত্তোলনের বিষয়টি সত্য নয়।