শিরোনাম:
●   পার্বতীপুর রেলওয়ে ইর্য়াডের আম গাছে যুবকের আত্মহত্যা ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা ●   পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত ●   বৈরী আবহাওয়ায় ও শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা ●   কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা ●   তরফভাইখাঁ সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   মিরসরাইয়ে শীতার্তের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ●   লংগদু এস এস সি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরন ●   ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৫ এর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্ভব ●   হালদা থেকে বিপন্ন গাঙ্গেয় প্রজাতির মৃত ডলফিন উদ্ধার ●   খাগড়াছড়ির আলুটিলায় পর্যটকবাহী বাস উল্টে আহত-২০ ●   পানছড়িতে লোগাং জোন এর অনুদান সামগ্রী প্রদান ●   আত্রাইয়ে কুলি-বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ ●   চুয়েটে স্থাপত্য বিভাগের ১ম জাতীয় কনফারেন্স শুরু ●   বিজিবির অভিযানে খাগড়াছড়িতে ১২ অনুপ্রবেশকারী আটক ●   ঈশ্বরগঞ্জে জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত ●   কুষ্টিয়ায় বালুঘাট দখল নিতে তাণ্ডব চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ●   রাউজানে বিকাশ প্রতারকের ফাঁদে নারী উদ্যোক্তা তানিয়া ●   যোবায়ের-সাদপন্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ইজতেমা মাঠ : নিহত ৩ ●   মিরসরাইয়ে মধ্য তালবাড়ীয়া স্পোর্টিং ক্লাবের কমিটি গঠন ●   জিয়া কিংবা শেখ মুজিব নয়; জনগণই মুক্তিযুদ্ধের মূল নায়ক : টিপু ●   নবীগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় কলেজ ছাত্রের প্রাণহানি ●   জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এর নেতৃত্বে থাকবেন ড. ইউনূস ও আলী রীয়াজ ●   রেডব্রিজ কমিউনিটি ট্রাস্ট ইউকে বিজয় দিবস উদযাপন ●   ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি আউয়াল, সম্পাদক আতাউর ●   কাউখালীতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন ●   দীপংকর তালুকদার এর অবৈধ সম্পদের তদন্তে নেমেছে দুদক ●   ঈশ্বরগঞ্জে বিজয় দিবস পালিত
রাঙামাটি, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
সোমবার ● ১ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » গাজিপুর » করোনাকালে মফস্বল সাংবাদিকদের খোঁজ রাখেনি কেউ এমন কি ধন্যবাদ দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি
প্রথম পাতা » গাজিপুর » করোনাকালে মফস্বল সাংবাদিকদের খোঁজ রাখেনি কেউ এমন কি ধন্যবাদ দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি
সোমবার ● ১ জুন ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

করোনাকালে মফস্বল সাংবাদিকদের খোঁজ রাখেনি কেউ এমন কি ধন্যবাদ দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি

---এম এস হাবিবুর রহমমান :: করোনার ঝুঁকিতে সারা বিশ্ব বিপর্যস্ত। বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। এই অতিক্ষুদ্র জীবাণুর বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়ছে গোটা বিশ্ব। এ লড়াই নিজেকে বাঁচানোর এবং অন্যকে বাঁচানোর। যার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। যা কোভিড-১৯, নামে পরিচিত। এ ভাইরাসটির আরেক নাম ২০১৯- এনসিওভি বা নভেল করোনাভাইরাস। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) রোগটির কোভিড-১৯ নামে নামকরণ করে, যা ‘করোনাভাইরাস ডিজিজ ২০১৯’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এছাড়া এটিকে বিশ্ব মহামারী বলেও ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

করোনা ঝুঁকি থেকে রক্ষার জন্য সরকার থেকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। ওই নির্দেশনা মানছেন অনেকেই। কিন্তু সবাই যদি ওই নির্দেশনা মেনে ঘরে থাকে তাহলে কি করোনা মোকাবেলা সম্ভব হবে? হবে না। সবার নিরাপত্তায় কাউকে না কাউকে ঝুঁকি নিতেই হবে। তাই কঠিন স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকার পরও এক শ্রেণির মানুষ মাঠে থেকে করোনা মেকাবেলায় কাজ করছেন।আপনি যখন ঘরে বসে নিরাপদে টিভি,পত্রিকা কিংবা অনলাইন নিউজ পোর্টালে খবর দেখছেন বা পড়ছেন, সেই খবর সংগ্রহের জন্য নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খবর সংগ্রহ করছেন সাংবাদিকরা। এই খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে এ পর্যন্ত সারা বাংলাদেশে বহু সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত। মহামারী করোনায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন প্রশাসনের পাশাপাশি ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও সাংবাদিকরা। প্রচণ্ড স্বাস্থ্যঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার মধ্যে কাজ করে যাচ্ছে কিন্তু দুঃখের বিষয় সাংবাদিকদের খোঁজ-খবর কেউ রাখে না।

এমন কি যাদের কলমের লেখায় আজ অনেকেই বড় বড় নেতা হয়েছেন তারাও এই কলম সৈনিকদের খোঁজ-খবর রাখে না।সুসময় অনেকেই বন্ধুবটে হয়, অসময় হায় হায় কেউ কারো নয়’। সুসময় তো অনেককেই পাশে পাবেন। দুঃসময়, দুর্যোগে কজন পাশে থাকে। সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে করোনা। সেটা বোঝার সময় এখন। যখন অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের নেতারা ঘরবন্দী হয়ে আছেন। করোনা ঝুঁকির কারণে তারা মানুষের পাশে থাকতে পারছেন না। সেই মুহূর্তে সাংবাদিকরা তাঁদের জীবনের ঝুঁকি জেনেও দিন-রাত কাজ করে চলেছেন, তুলে ধরছেন নানা অনিয়ম, দুর্নীতিসহ পুরো জাতির সুখ দুঃখ, করছেন সাবধানতা, দিয়ে যাচ্ছেন সতর্কবার্তা। কিন্তু একবার কি কেউ খোঁজ নিয়ে জেনেছে এই মানুষগুলো কেমন আছে, কিভাবে চলছে তাদের সংসার।

প্রায় সব পেশার লোকজনই সরকারিভাবে সহযোগিতা পাচ্ছে কিন্তু সাংবাদিকদের খোজ কেউ রাখেনি। পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাব ডাক্তারদের থেকে ও করোনা মোকাবেলায় কিন্তু পিছিয়ে নেই সাংবাদিকরা তারা ও নিরলস ভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। মানবিকতায় আর মানবতায় এগিয়ে আসছেন প্রতিদিনই। প্রতিদিনই মানুষের পাশে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে দাঁড়াচ্ছে মানুষ। রাজধানীসহ দেশের সর্বত্রই অসহায়, দরিদ্র কর্মহীন মানুষদের ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন খাদ্য সহায়তা। ব্যক্তি বা সংগঠনের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসছেন মানুষ। কিন্তু সাংবাদিকদের খোজ কেউ রাখছেন?

শহর হোক বা মফস্বল হোক এখন সাংবাদিকতা পেশা সবখানেই চ্যালেঞ্জের। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয় সাংবাদিকতায়। বিভিন্ন ধরনের হুমকি, মামলা-হামলার শিকার হতে হয় যে পেশায় সেটাই হলো সাংবাদিকতা। তবে ঝুঁকি থাকলেও অত্যন্ত সম্মানজনক পেশা এটা। সাংবাদিকদের সমাজের দর্পণ বা আয়না বলা হয়। এমনিতেই তো মফস্বল সাংবাদিকতা একটা চ্যালেঞ্জিং পেশা। এটা দেশের সব শ্রেণির জনগণই জানে। এক ধরনের যুদ্ধ করেই টিকে থাকতে হয় মফস্বল সাংবাদিকদের। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়। একটা সংবাদ তৈরি করতে হলে ছুটতে হয় একেবারে তৃণমূলে। অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয় মফস্বল সাংবাদিকদের। দুর্নীতি, অনিয়মের সংবাদ তৈরি করতে হুমকি বা হামলার শিকার হয় অহরহ। জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন বা ক্ষমতাশীনদের বিরুদ্ধে সংবাদ হলেই অবস্থা কিছুটা অন্যরকম হয়। মফস্বল এলাকায় সাংবাদিকদের তেমন নিরাপত্তা দেওয়ারও কেউ থাকে না। অনেক সময় মামলা হয়। কিছু কিছু ব্যতিক্রম ঘটনাও ঘটে, যেমন পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আগে কোনো মতবিরোধ থাকলে তুচ্ছ কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাতকড়াও পরানো হয় সাংবাদিকের হাতে। সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া যশোরে ফটোসাংবাদিক কাজল হাতে হাতকড়া পরানোয় সাংবাদিক মহলে তিব্র সমলচনার ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখাগিয়েছে সাংবাদিক মহলে। সাংবাদিকদের জন্য চরম লজ্জাজনক বিষয় এটা। সারাদিন ছুটতে হয় সংবাদের জন্য। উপজেলা পরিষদ, পৌর পরিষদ, থানা, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন পরিষদ, প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছুটতে হয় মফস্বল সাংবাদিকদের। এভাবেই চলছে মফস্বল সাংবাদিকতা।

নিম্ম-বিত্তদের ত্রাণ বিতরণ করে যাচ্ছেন জনপ্রতিনিধি রাজনীতিবিদ ও সমাজের বিত্তশালীরা, সেখানেও নিরলস ভাবে কাজ করছেন সাংবাদিকরা, ঘরে খাবার নেই, বউ-বাচ্চা না খেয়ে থাকে, তবুও তারা আপনাদের জন্য, হাঁ আপনাদের জন্য, আপনাদের নেতা বানানোর জন্য, পেঠে পাথর চেপে আপনাদেরকে জাতির সামনে তুলে ধরে জনপ্রতিনিধি, নেতা, সমাজসেবক বানাচ্ছে সাংবাদিকরা। বহু নেতা আছেন যাদের আজকের অবস্থানের জন্য প্রথম দাবিদার সাংবাদিকরা। সেই আপনারাই আজ নেতা, জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবক হয়ে ত্রাণ বিতরণের সময় সাংবাদিকদের কথা বেমালুম ভুলে গেছেন। ইতিমধ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বিভিন্ন ভাষণে চিকিৎসক-নার্স পুলিশ সেনাবাহিনীসহ যারা এই দুর্যোগময় মুহূর্তে দেশ ও জনগণের সেবা করে যাচ্ছেন তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা ও নানা সুবিধাদি ঘোষণা করেছেন। এই করোনার ঝুঁকিতে কাজ করতে গিয়ে কেউ মারা গেলে তাদের শহীদের মর্যাদা এবং ৫০ লাখ টাকা মৃত্যু সুবিধা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে, গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য তেমন সুনির্দিষ্ট কোন দিক্-নির্দেশনা এখন পর্যন্ত পরিস্কার হয়নি। কেউ যে দায়িত্ব নিয়ে তা করবেন, সেটাও বোঝা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে, সত্যিকার অর্থেই কোনো অভিভাবক নেই গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য।

বহু স্বপ্ন নিয়ে আসা তরুণরা কেন সাংবাদিকতা পেশায় স্থায়ী হতে পারছে না? হতাশা মাথায় নিয়ে কেন চলে যাচ্ছেন অন্য পেশায়? দুঃখের বিষয় হলো সেইসব জেলা-উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মী, যাদের পদ এবং পদবী আছে, নেই শুধু বেতন-ভাতা, তাদের জীবন কিভাবে চলে তার খবর কেউ রাখে না (হাতে গোনা কয়েকটি গণমাধ্যম জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের সম্মানী দিলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগন্য)। আর বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় মফস্বলে সাংবাদিকদের টার্গেট করে হত্যা এবং নির্যাতন প্রায়ই ঘটে। মফস্বলের প্রত্যেকটা সাংবাদিক পরিচিত। সবাই সবাইকে চেনে। ওখানে কোন সংবাদ হলে তাকে টার্গেট করা সহজ। ঢাকায় সেটা সম্ভব না। চোরাকারবারি, মাদক ব্যবসায়ী, সরকারি প্রশাসন এবং ক্ষমতাসীন রাজনীতিবিদরা বিভিন্ন সময় মফস্বল সাংবাদিকদের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠে। পাশাপাশি মফস্বলে একজন সাংবাদিক তার পেশাগত কারণে যখন কোন প্রতিকূলতার মাঝে পড়ে তখন তার নিয়োগকারী সংবাদমাধ্যম তাকে সহায়তার জন্য কতটা এগিয়ে আসে সেটি নিয়েও প্রশ্ন আছে। কিছু বড় পত্রিকা আছে যারা সাংবাদিকরা সমস্যায় পড়লে পত্রিকা কর্তৃপক্ষ দেখে। মামলায় পড়লে কর্তৃপক্ষ সেটা দেখে এবং সহযোগিতা করে। কিন্তু আমরা দেখেছি অধিকাংশ পত্রিকা কোন সহযোগিতা করেনা। জেলা পর্যায়ে যেসব সাংবাদিকরা কাজ করছেন, তাদের অনেকেরই প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে কোন নিয়োগপত্র নেই । অভিযোগ রয়েছে, অধিকাংশ সংবাদমাধ্যম জেলা প্রতিনিধিদের কোনও মাসিক বেতন দেয় না। গত এক দশকে বাংলাদেশে টেলিভিশন, পত্রিকা এবং অনলাইনের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়লেও মফস্বল সাংবাদিকদের স্বার্থ উপেক্ষিতই রয়ে গেছে।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা গণমাধ্যমের প্রতিটি সেক্টরের কর্মীদের জন্য জীবনের নিরাপত্তা, পারিবারিক সুরক্ষা ও কর্মজীবনে নিরাপত্তায় নেই কোন সুস্পষ্ট নির্দেশনা।চাকুরী আছে, পদ আছে, পদবীও আছে, কিন্তু বেতন নেই। এমন একটি মহান, গুরুত্বপুর্ণ ও সম্মানজনক পেশা সাংবাদিকতা। যারা মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করে মানুষের পাশে আছেন, আপনাদের জন্য, জাতির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তারাই তো প্রকৃত মানুষ। তাদের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দেন, মনে রাখবেন তাদের দাবি আছে আপনাদের কাছে, তারা লজ্জায় চাইতে পারে না, তাদের বাঁচিয়ে রাখলে জাতির ৪র্থ স্তম্ভ বাঁচবে, ঠিকমত কাজ করবে রাষ্টের বাকি তিনটি স্তম্ভ, অপরাধ মুক্ত হবে সোনার বাংলাদেশ।

সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য আইন পাস করা উচিত এবং আইনের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আইনের পাশাপাশি সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কেননা একতাই বল। একত্রে থাকলে শক্তি পাওয়া যায় এবং প্রতিপক্ষ ভীতচিত্ত অবস্থায় থাকে। দেশে দিন দিন সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতন বেড়েই চলেছে। সাগর-রুনি হত্যার কোনো আসামি এখন পর্যন্ত শনাক্ত বা গ্রেপ্তার হয়নি। এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সাংবাদিকের ওপর হামলা হচ্ছে। বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। কিন্তু এর কোনো বিচার লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় সাংবাদিকরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। সরকারের উচিত সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ নজর দেওয়া এবং সাংবাদিক নেতাদের উচিত সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন করা।

জাতির এ ক্লান্তিলগ্নে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সকল সংবাদ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করে জাতীয়ভাবে তুলে ধরতে চেষ্টা করে যাচ্ছে৷ দুঃখের করোনা আতংঙ্কের মাঝে কেউ তাঁদের খৌঁজ খবর নেয়নি ৷ এমন কি ধন্যবাদ দিয়ে আরো বেশী করে সংবাদ প্রকাশে উৎসাহিত করার কাজটি করতেও দেখা যায়নি ৷ তাতে কি হয়েছে, সাংবাদিকতা পেশায় যখন এসেছে কারো কিছু বলার অপেক্ষায় না থেকে কাজ করার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে মফস্বল সাংবাদিকরা৷ মফস্বল সাংবাদিকদের পাশাপাশি অনেক সময় প্রশাসন অনলাইন সাংবাদিকদের অপমান করেন, এদের অনেক সময় সাংবাদিকই মনে করেন না, অপমানের এই ধারা থামানো না গেলে, তা একজন সাংবাদিকের মানসিক স্বাস্থ্য ও সুনাম – দুটোর জন্যই হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। এই সংস্কৃতিটা পাল্টানো সময়ের দাবি।

সাংবাদিকরা মারহাবা পাওয়ার জন্য কাজ করে না। নিজের খেয়ে পরে, সমাজ-রাষ্ট্রের পাতার তলে থাকা খবরগুলি সংগ্রহ করে এবং তা প্রকাশের ব্যবস্থা করে। এটা করতে গিয়ে কতক মার খায়, কতক হেনস্থ হয়। মামলা-হামলা তো আছেই। এক সময় সাংবাদিকের পুরো পরিবারই সমাজের আলাদা মানুষ হয়ে যায়।তাই বলে কি এই ডরে কেউ সাংবাদিকতা ছেড়ে দিয়েছে? সাংবাদিকরা জানেন, তাদের পেশাটাই এমন। তাদের দ্বারা অনেকেই উপকৃত হয়। মাগার,বিপদ-আপদগুলি কেবল একাই হজম করতে হয়। সাথে পরিবার-পরিজনও। তবু থেমে নেই সাংবাদিকতা। কারণ জাতি ভ্রষ্ট হতে পারে, সেই জাতিকে পথ দেখানোর মতো মহান কাজটি তো করে জাতির বিবেক, আলোকিত এই মানুষগুলো। যারা নিজেরাই অন্যদের পথপ্রদর্শক, পাঞ্জেরীর মতো আলো ছড়ায়; তাদের আবার কিসের দুঃখ-দুর্দশা? সবাই ভাবে, সাংবাদিকরা ভিন গ্রহের প্রাণী যেন তাদের প্রতি কারো কোন দায়-দায়িত্ব নেই। এটা যে কত বড় অন্যায়, তা বুঝবার মতো মন পয়দা না হওয়া পর্যন্ত ঘোর অন্ধকার কাটবে কেমনে? মনে রাখবেন,If conscience is destroyed, the nation will not survive. লেখাটি কাউকে হেয় করার জন্য নয়,বাস্তবতাকে তুলে ধরা হয়েছে ৷

লেখক: এম এস হাবিবুর রহমান, সম্পাদক ও প্রকাশক, নিউজ সমাহার । সিইও, জোনাকি মিডিয়া গ্রুপ।





গাজিপুর এর আরও খবর

যোবায়ের-সাদপন্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ইজতেমা মাঠ : নিহত ৩ যোবায়ের-সাদপন্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ইজতেমা মাঠ : নিহত ৩
দেশ স্বাধীন হলেও এখনও মানুষের অধিকার ও মুক্তি নিশ্চিত হয়নি দেশ স্বাধীন হলেও এখনও মানুষের অধিকার ও মুক্তি নিশ্চিত হয়নি
দেশের মানুষকে কোনরুপ উসকানিতে পা না দেবার আহবান দেশের মানুষকে কোনরুপ উসকানিতে পা না দেবার আহবান
সাদপন্থীদের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্বারকলিপি প্রদান সাদপন্থীদের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্বারকলিপি প্রদান
গাজীপুরে শহীদ শিক্ষা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত গাজীপুরে শহীদ শিক্ষা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
গাজীপুরে ঝুঁকিপূর্ণ রেলক্রসিংয়ে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন গাজীপুরে ঝুঁকিপূর্ণ রেলক্রসিংয়ে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন
শ্রমিকরা স্বস্তিতে না থাকলে সরকারেও স্বস্তি আসবেনা শ্রমিকরা স্বস্তিতে না থাকলে সরকারেও স্বস্তি আসবেনা
শিক্ষক লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে গাজীপুরে মানববন্ধন শিক্ষক লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে গাজীপুরে মানববন্ধন
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে মাষ্টাররোল কর্মকর্তা কর্মচারীদের চাকুরি স্থায়ী করার দাবি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে মাষ্টাররোল কর্মকর্তা কর্মচারীদের চাকুরি স্থায়ী করার দাবি
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সকল উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিজিএস এডুকেশন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সকল উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিজিএস এডুকেশন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)