সোমবার ● ১ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগী
গাইবান্ধায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগী
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা :: গাইবান্ধায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগী’র সংখ্যা। শুধু গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে জেলায় করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ২৯ জন।
গাইবান্ধায় গত ২২ মার্চ প্রথম ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হওয়ার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় সংক্রমণ। সেই থেকে ২১ মে পর্যন্ত ৫৫ দিনে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ২৬ জন। আর শুধুমাত্র ২২ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ৮ দিনে এই করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছেন ২৯ জন!
গত শুক্রবার ( ২২মে) একদিনেই নতুন করে ৩ জনের দেহে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও গোবিন্দগঞ্জে ২ জন মৃত ব্যক্তির দেহ থেকে সংগৃহিত নমুনা পরীক্ষার পর করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়। বাকী ১ জন গোবিন্দগঞ্জের বাসিন্দা।
ঠিক এর একদিন পর শনিবার (২৩ মে) একদিনে ৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২ জন, গোবিন্দগঞ্জে ১ জন এবং বাকী ১ জন সাদুল্লাপুরের বাসিন্দা।
মাঝে তিনদিন কেউ করোনায় ( কেভিড-১৯) আক্রান্ত হননি। কিন্তু পরের ৩ দিনেই আক্রান্ত হন ২২ জন। গত বুধবার (২৭ মে) জেলায় আরও ৪ জন করোনা শনাক্ত হন। তাদের মধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ১ জন এবং বাকী ৩ জন সাদুল্লাপুরের বাসিন্দা।
শুক্রবার (২৯মে) জেলায় একদিনে ৭ জন করোনা সনাক্তে নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে পজিটিভ হন। তাদের মধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ১ জন এবং বাকী ৬ জন গোবিন্দগঞ্জের বাসিন্দা। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৪ জন।
গত শনিবার (৩০ মে) জেলায় নতুন করে আরও ১১ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে দিয়ে নতুন সর্বোচ্চের রেকর্ড হয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত ১১ জন এর মধ্যে গাইবান্ধা সদরে ২ জন, পলাশবাড়ীতে ১ জন এবং গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় শনাক্ত হয়েছেন ৮ জন। শনিবার (৩০ মে) পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৫ জনে। ৩০ মে শনিবার এই তথ্য নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ।
গাইবান্ধা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের করোনায় সংক্রান্ত কন্ট্রোল রুম থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, নতুন আক্রান্ত ১১ জনের মধ্যে ২জন গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাসিন্দা, ১জন পলাশবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা এবং ৮ জন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।
এ নিয়ে গাইবান্ধা জেলায় সদরে মোট আক্রান্ত সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০জন, ফুলছড়িতে ০১জন, সাঘাটায় ০৩জন, পলাশবাড়ীতে ০৫জন, সুন্দরগঞ্জে ০৩জন, সাদুল্যাপুরে ০৭জন এবং সবচেয়ে বেশি গোবিন্দগঞ্জে ২৮জন।
এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ৫৫ জনের মধ্যে ০৩ জন মারা গেছেন, ২২ জন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে গেছেন ও চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩০ জন ।
জামাইয়ের লাঠির আঘাতে দাদা শ্বশুর নিহত
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার ফুলছড়িতে পারিবারিক কলহের জের ধরে নাতি জামাইয়ের লাঠির আঘাতে দাদা শ্বশুর খোরশেদ আলম ওরফে খোকা মিয়া (৬৫) নিহত হয়েছেন। নিহতের বাড়ি উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের উত্তর বুড়াইল গ্রামে। এ ঘটনায় তিন জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
জানা গেছে, উপজেলার উত্তর বুড়াইল গ্রামের খোরশেদ আলম খোকা মিয়ার পরিবারের সাথে দীর্ঘ থেকে নজরুল ইসলামের পরিবারের দ্বন্দ চলে আসছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত শনিবার খোকা মিয়ার পরিবারের ব্যবহৃত টিউবওয়েলের পাইপ লাইন কেটে দেয় নজরুল ইসলাম ও তার লোকজন।
এ নিয়ে বিরোধে গতকাল রবিবার (৩১মে) সন্ধ্যায় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নজরুল ইসলাম ও তার লোকজন খোকা মিয়ার পরিবারের উপর হামলা করে।
এসময় নাতি জামাই অহিদুল ইসলামের লাঠির আঘাতে খোকা মিয়া গুরুতর আহত হয়। ঘটনার পর রবিবার রাতেই স্থানীয়রা খোকা মিয়াকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এঘটনায় রেবা বেগম (৩৫), মলো বেগম (২৬) সহ অন্তত ৫জন আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ফুলছড়ি থানায় মামলা দায়ের করা হলে তিনজনকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন জয়নাল আবেদীন, অহিদুল ইসলাম ও আকালু শেখ।
ফুলছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাওছার আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সোমবার সকালে থানায় মামলা দায়েরের পর তিনজন আসামীকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।