শিরোনাম:
●   পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করার লক্ষ্যে শ্রীমঙ্গলে হারমোনি ফেস্টিভ্যাল শুরু ●   সুনামগঞ্জে সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশন ইতালী শাখার উদ্যোগে কম্বল বিতরণ ●   পানছড়িতে রেড ক্রিসেন্ট এর পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে শহীদ পরিবার ও আহতদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান ●   কাউখালী আল ইসলামিয়া মাদরাসার বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত ●   নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবীতে আশুলিয়াতে সমাবেশ করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ●   রাঙামাটির লংগদুতে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান ●   মিরসরাইয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণে সচেতনতামূলক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত ●   রাউজানে ভূমিদস্যুরা অবৈধভাবে জায়গা দখলের অভিযোগ ●   রাঙামাটিতে উদ্যম যুব ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   অস্বাভাবিকভাবে ভ্যাট ও কর আরোপের গণবিরোধী ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন ●   রাঙামাটির কাউখালিতে তিনটি অবৈধ ইটভাটা বন্ধের অভিযান ●   নবীগঞ্জে সেনাবাহিনীর অভিযানে ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক ●   ঈশ্বরগঞ্জে মাদক সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেফতার-৪ ●   কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়ের রুবি জয়ন্তীতে ২ দিনব্যাপী বর্নাঢ়্য আয়োজন ●   ২০২৪ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার পরিস্থিতির উপর ইউপিডিএফের রিপোর্ট ●   রাবিপ্রবি’র ভিসি হিসেবে ড. আতিয়ার রহমান এর যোগদান ●   ভারতের তীর্থ মেলায় বাংলাদেশের জনসাধারনকে নিষেধাজ্ঞা ●   পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু ●   জাতীয় নির্বাচনের মূল কর্তব্য থেকে বিচ্যুত হওয়ার কোন সুযোগ নেই ●   এআই ভিত্তিক বিশ্বের জন্য তরুনদের প্রস্তুত করতে হবে : চুয়েট ভিসি ●   কবি এ কে সরকার শাওনের প্রথম উপন্যাস “অতল জলে জলাঞ্জলি” প্রকাশিত ●   নবীগঞ্জে পাহাড় কাটার দায়ে এক্সেভেটর ও ট্রাকসহ আটক-৪ ●   মিরসরাইয়ে চুরি করা ডিজেলসহ চোর গ্রেফতার ●   ভরাট হওয়া রাউজান খাল এখন কৃষকের গলার কাঁটা ●   ঈশ্বরগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার-১১ ●   কুষ্টিয়ায় উৎসাহ সংগঠনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   রাবিপ্রবির নতুন ভিসি ড. আতিয়ার রহমান ●   নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের ১১টি নির্বাচন সংস্কার প্রস্তাবনা ●   রাঙামাটির ডিসি ও এডিসির বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের পরামর্শে কাজ করার অভিযোগ
রাঙামাটি, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
সোমবার ● ১ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » ফিচার » রাজশাহী থিয়েটার এবং কচিপাতা থিয়েটারের একজন কর্ণধার তাজুল ইসলাম
প্রথম পাতা » ফিচার » রাজশাহী থিয়েটার এবং কচিপাতা থিয়েটারের একজন কর্ণধার তাজুল ইসলাম
সোমবার ● ১ জুন ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

রাজশাহী থিয়েটার এবং কচিপাতা থিয়েটারের একজন কর্ণধার তাজুল ইসলাম

---নজরুল ইসলাম তোফা :: গণ মানুষের মনে জেগে উঠার স্বপ্নমালার মতো এক রহস্যের বহু দিনের ‘নাট্যানুভূতির অনামা কুসুম’। বাস্তবের চেয়েও স্বপ্নের দিকেই এশিল্পের ঝোঁক- ‘কিছু মানুষের হৃদয়ে অধিকতর’। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপায়িত করবার জন্যেই নাট্য জগতের আলো-আঁধারি মাখা সিঁড়ির দিকে চেয়ে থাকে, এই শিল্প তাঁদের কখনো ডাকে আবার কখনো ডাকেই না। কারো কপালেই ডাক আসে অহরহ, ডেকে ডেকে কখনো ক্লান্ত হয় আর কেউ একবারও ডাক পায় না। কি যে, অধীর আগ্রহে থাকেন অবিরাম একটিবার ডাক শোনার জন্য। এমন স্বপ্নটা কি কখনো পুরন হবেনা তাঁদের। সে যেন তাঁর নিজের মতো করে সদা সর্বদাই স্বপ্নটাকে উপজীব্য করে নাট্য শিল্পের স্বরূপ অন্বেষণের চেষ্টার পাশাপাশি নানা ভাবে বিশ্লেষণ প্রেক্ষাপট বিবেচনা সহ নাট্যমঞ্চের কাজকর্মে গুরুত্বপূর্ণ সময় দিয়ে যাচ্ছেন। সে ব্যক্তিটার কালপরিক্রমায় বয়স হলেও যেন মনে বয়স হয়নি। তিনি বলেন,- এই পৃথিবীর সব আলো এক দিন নিভে গেলে পরে, পৃথিবীর সব গল্প একদিন ফুরাবে যখন, মানুষ রবে না আর, রবে শুধু এই মানুষের স্বপ্ন তখন। তিনি সৃজনে-উপলব্ধিতেই কতখানি সার্থক তাও হতে পারে এ লেখাটির উপজীব্য বিষয়।

রাজশাহীর নাট্যচর্চা নিয়ে এখানকার সংস্কৃতিমনা মানুষ অবশ্যই গর্ব করতেই পারে। আর বর্তমানের নাট্যাঙ্গনের কথা বলতে গেলে অতীতের স্মৃতি একবার আলোচনায় আনতেই হয়। অতীত সবসময়ের জন্য বর্তমানকে শক্তি জোগায় এবং ভবিষ্যতের স্বপ্নও দেখায়। তাই অভিজ্ঞতা অভিব্যক্তির সম্মিলিত উপস্থাপনের সাথেই যে প্রতিভাত হয়ে নানানমুখী শিল্পে পরিগণিত হয়েছে যাপিতজীবনে।তিনিই একজন নাট্যঅভিজ্ঞ এবং নাট্যজন মোঃ তাজুল ইসলাম। চীরসবুজ কিংবা তারুণ্যের প্রতীক রাজশাহীর সকল মানুষের পরিচিত মুখ তাজুল ইসলাম,- ‘রাজশাহী থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা পাশাপাশি ‘কচিপাতা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠা’। এই চীরশিশু মানুষটি যেন সদা সর্বদাই থাকেন খুব হাস্যোজ্জ্বল চেহারায়। তাঁর কথাবার্তাতে আছে যেন বিনয়ের ছোঁয়া। এ মানুষটি ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’ এর নাট্যকলায় সেরা সম্মাননা, রাজশাহী জেলার ‘শিল্পকলা একাডেমী’ থেকেও সম্মাননা পেয়েছেন। তাছাড়া বিভিন্ন জেলার নাট্যাঙ্গন থেকেও তাঁকে অনেক সম্মাননা প্রদান করে থাকেন। পাওয়া, আর না পাওয়ার মধ্যেই আক্ষেপ নেই তাঁর। তিনি নাটক ভালোবাসেন, নাটক নিয়েই সারা জীবন থাকতে চান। আনন্দঘন মূহুর্ত তাঁর এজীবদ্দশায় অনেক এসেছে। তিনি নিজে পথেই চলেন। ইউরিপিডিস একজন গ্রীক নাট্যকার বলেছিলেন যে, ‘জ্ঞানী মানুষেরা নিজের পথেই চলেন’। তাঁর কথার সাথেই- “মোঃ তাজুল ইসলাম” এর মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

খুব অল্প বয়স থেকেই নাট্যজগতের কর্মের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। ‘অভিনয় এবং থিয়েটার’ নিয়েই যেন মাতামাতি করার পারিপার্শ্বিকতা তাঁর পরিবার তথা সমাজের নানা অভিভাবকদের অনেক প্রশ্রয় ছিল। ছোট, বড় নাটক বা গম্ভীরা, কবিতা, গানসহ নৃত্যকলার বিষয়ে লেখালেখির হাতও তাঁর অনেক ভালো। ‘নাটক’ নির্মাণের প্রয়োজনটা বোধ করতে শুরু করেছিল যেন ‘উত্তর কৈশোরে’। তখন মঞ্চাবতরণের ঝোঁকটা যেন শুধুমাত্রই বিনোদনিত হবার আকাঙ্ক্ষার মধ্যে তরঙ্গতুলে, তাতো তাঁর কখনোই যেন সমাপ্ত হতো না, মঞ্চায়ন বা অভিনয় তখন মনের মধ্যেই অত্যাগহন এক বেদনার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলতে ছিল। তখন তাঁর মনে হতে শুধু করেছে নিজস্ব এক ‘থিয়েটার’ করতে না পারলে এই জীবন যাপিত হবে কোন উপায়ে? তাই তো তিনি শুধু করেছিলেন রাজশাহী থিয়েটার। এর পরে তাঁর মনে হয়েছিল শিশুকিশোররাও তো নাট্যচর্চার জায়গা খোঁজে, তাই তিনি প্রতিষ্ঠা করে ছিল’ “কচিপাতা থিয়েটার”।

শ্রদ্ধেয় মোঃ তাজুল ইসলাম, নাট্যচর্চার অবক্ষয়ের চরম সীমায় মশাল ধরেছিলেন। চীর প্রাচীন রাজশাহী বিভাগ এর সাংস্কৃতিক সংঘের একটি ‘পদ্মা মঞ্চ’, সেখানে তিনি অনেক নাটকে অভিনয় সহ নির্দেশনার পাশা পাশি নাট্য পরিবেশ সৃষ্টি করেছিলেন। মঞ্চ হব- মঞ্চায়ন করব- এই রকম ভাসাভাসা কিন্তু অতি তীব্র এক স্রোতের টানে সে সময় ভাসতে শুধু করেছিলেন। তবুও তিনি তলিয়ে যায় নি, আজ অবধি হাল ধরেই আছেন। শিকড় ছাড়া যেমন গাছ বাঁচে না। তেমনি তিনি হচ্ছেন শিকড়ের এক তেজি পুরুষ। রাজশাহীর সংস্কৃতিমনা মানুষদের অবশ্য গর্বের পুরুষ। রাজশাহী শহরভিত্তিক নাট্যচর্চার প্লাটফর্ম বলতে ‘রাজশাহী থিয়েটার’ একটি উল্লেখযোগ্য নাম। থিয়েটার ১৯৯৮ সালেই জন্ম হয়। এখন পর্যন্ত বহু মঞ্চনাটক এবং পথনাটক প্রযোজনা করে যাচ্ছেন মোঃ তাজুল ইসলাম আর অভিনয় করেছেন অনেক নাটকে। তাঁর হাত ধরেই অনেক তরুণ প্রজন্ম অভিনয়, নির্দেশনা দেওয়ার শিক্ষা নিয়ে নাট্যাঙ্গনের খুব বড় পরিসরেই কাজ করছেন। তা ছাড়াও তিনি শিশু-কিশোরদের হাতে খড়ি দিয়ে যাচ্ছেন সেই কচিপাতা থিয়েটারে।

রাজশাহী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। সেখানে তিনি প্রতিনিয়ত নাট্যকর্মীদের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখার সহিত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। তিনি না থাকলে যে
আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়না। এই নাট্যজন রাজশাহীর গর্বিত পুরুষ বা উজ্জ্বল নক্ষত্র। ভারতবর্ষের নাট্যচর্চা ও তৎপরবর্তী পাকিস্তান পর্বের নাট্য চর্চার পরে এই স্বাধীন বাংলাদেশের নাট্যচর্চার ক্ষেত্রেই “রাজশাহীর সাংস্কৃতিক অঙ্গন” যেন অন্য এক রূপ ধারণ করে। যাঁরা এই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিল তাঁদের মধ্যে অনেকেই আজ বেঁচে নেই। কিন্তু বেঁচে আছে তাঁদের সৃষ্টি। তমধে ‘মোঃ তাজুল ইসলাম এর নাম উঠে আসে। “বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন” এর সাথে জড়িত আছেন। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের দুইবার তিনি নির্বাচিত কেন্দ্রীয় পরিষদ সদস্য এবং বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সাবেক সমন্বয়কারী নাট্যজন তাজুল ইসলাম। তিনি নানাভাবেই যেন সকল অপশক্তি রুখে দিতে, শোষণ মুক্ত সমাজ বা অসাম্প্রদায়িক স্বদেশ গড়ে তুলতেই নাট্য চর্চাকে আরও গতিশীল করার প্রত্যয় সবসময়ে ব্যক্ত করেছেন খুব দৃঢ় চিত্তে।

বঙ্গবন্ধু চত্বর আলুপট্টিতে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা, এরপর মুনস্ গার্ড পার্ক বড়কুঠি মুক্তমঞ্চ, লালন মঞ্চ ও রাজশাহী শহরের ঐতিহ্যবাহী “পদ্মা মঞ্চ” সহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটরিয়ামে তাঁর পদচারণা নাহলে যেন নাটক পরিবেশন হয় না। তা ছাড়াও তো- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন সহ রাকসু ভবনে যেসব আলোচনা, নাচ-গান কিংবা আড্ডা চলে সেসব জায়গায় উপস্থিত থেকে নাট্য অতিথি হয়েই শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান ও বিনোদনের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি হয়ে থাকেন। রাজশাহীর নাট্য কর্মী-সাংস্কৃতিক কর্মীদের ”বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কিংবা বাংলাদেশ শিশু একাডেমি”র মঞ্চে তাঁর উপস্থিতি না হলে অনুষ্ঠান চলেই না। সত্যি বলতে কি রাজশাহী সিটি করপোরেশনে নানা সময় চলে সিটি মেয়র নাট্য উৎসব। সেই নাট্য মঞ্চটাকে সঠিকভাবে নির্মাণ সহ নাটক মঞ্চায়নের উপযোগী করা থেকে ‘শুরু কিংবা শেষ’ করা পর্যন্ত তাঁর অবদান থাকে।না হলেই রাজশাহীর সাংস্কৃতিকচর্চার মান সত্যিই অনন্য রূপ নেয় না বলেই সবার বিশ্বাস।

এই জীবদ্দশায় এতো কিছু করার পরেও এমন মানুষটি কখনো সখনো হয়ে যান অসুস্থ। তবুও প্রানের জায়গাটি হলো নাট্যাঙ্গন। জানা যায় যে, অসুস্থতা যখন খুব বাড়ে তখন লান্সে ইনফেকসান ধরা পড়ে। উচ্চতর চিকিৎসার জন্য তাকে খুব তাড়াতাড়ি ভারতে নিতে হয়েছে। শ্রদ্ধেয় তাজুল ইসলাম ভাইয়ের সামনেই যেন ৭৪তম আবির্ভাব দিবস হবে। অনেক সময়ে কেক কেটে ও ফানুস উড়িয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়ে অভিন্দন জানায়ে থাকে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সংগ্রামী জননেতা সভাপতি ও সিটি মেয়র জনাব এ.এইচ.এম. খাইরুজ্জামান লিটন সহ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেণী ভাবি উপস্থিত থাকার চেষ্টাও করেছেন। “রাজশাহী থিয়েটার”- এর প্রতিষ্ঠাতা হওয়ার জন্য, উনিই সেখানে বিখ্যাত হন। রাজশাহী থিয়েটার এর নাট্যকর্মীদেরসহ তাঁর কচিপাতা থিয়েটার এর কর্মীরাও ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সকল শিশু, কিশোর, যুবকরা তাঁকে নিয়ে শুভ জন্মদিন পালন করেন। সেখানে রাজশাহী শহরের কিংবা রা.বি কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটভুক্ত সংগঠনের নেতা কর্মী’রা উপস্থিত থেকে সারা দিন নাটক-গান-নৃত্য- গম্ভীরা গানের বিভিন্ন আয়োজন করেন। আমন্ত্রণে উপস্থিত সবাই তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করে থাকেন। সংগঠনের নিবেদিতপ্রাণ নাট্যজন মো: তাজুল ইসলামের ফুসফুসে আক্রান্ত হয়ে থাকলেও যেন প্রাণচ্ছল মানুষটি আরও সতেজ হয়ে উঠেন, যখন একপাল থিয়েটার বন্ধুরা এসেই খোঁজ খবর নেয়। যাঁরা সাহস জোগালেন বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জনাব কাজী সাইদ হোসেন দুলাল, ইলা মিত্র অঞ্চলের সমন্বয়কারী মশগুল হোসেন ইতি, পুঠিয়া থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক: সাগর কুমার, রাজশাহী থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক নুর আলম প্রমুখ।

পরিশেষে বলতে চাই যে এমন তারুণ্যের প্রতীক, শিকড় সংস্কৃতির প্রাণপুরুষ ব্যক্তিটিকেই ঢাকা থেকে কারগাড়ি নিয়ে শুধুমাত্র তাঁকে দেখার জন্যেই- এ তরুণ প্রজন্মের ‘নাট্যকার ও পরিচালক শিমুল সরকার’ যখন এসে ছিল ঠিক তখনই শ্রদ্ধেয় শিমুল সরকার ভাই আমাকে ডেকে ছিলেন। আমি সেখানেই উপস্থিত হয়েছিলাম। নাট্যকার ও পরিচালক শিমুল সরকার তাঁকে বলেছিলেন তাজুল ভাই প্রস্তুতি নেন, আমি আপনাকে আমার নিজের লেখা ও পরিচালনা একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করার সুযোগ দিবো। তখন শ্রদ্ধেয় তাজুল ভাই যে কি খুশি, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আবার আমিও কোনো এক সময়েই নাট্যকার ও পরিচালক শিমুল সরকার এর কথার ফাঁকেই বলা যায় কানে কানে বলেছিলাম তাজুল ভাই আপনাকে নিয়ে একটা খুববড় লেখা প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে। উনি বললেন যে, তথ্য চাও তো ঠিক আছে আমার ফেসবুকেই পাবে। অনেকদিন পরে হলেও উনার কথা ও স্মৃতিকথা আলোচনায় নিয়ে আসার যতসামান্য প্রচেষ্টা মাত্র।

লেখক : নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)