শিরোনাম:
●   মানিকছড়িতে ট্রাকের নীচে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু ●   আল ফালাহ ইসলামি একাডেমীর সবক প্রদান অনুষ্ঠান ●   ১১ দফা অবহিতকরণে আত্রাইয়ে আলোচনা সভা ●   পার্বতীপুর রেলওয়ে ইর্য়াডের আম গাছে যুবকের আত্মহত্যা ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা ●   পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত ●   বৈরী আবহাওয়ায় ও শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা ●   কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা ●   তরফভাইখাঁ সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   মিরসরাইয়ে শীতার্তের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ●   লংগদু এস এস সি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরন ●   ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৫ এর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্ভব ●   হালদা থেকে বিপন্ন গাঙ্গেয় প্রজাতির মৃত ডলফিন উদ্ধার ●   খাগড়াছড়ির আলুটিলায় পর্যটকবাহী বাস উল্টে আহত-২০ ●   পানছড়িতে লোগাং জোন এর অনুদান সামগ্রী প্রদান ●   আত্রাইয়ে কুলি-বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ ●   চুয়েটে স্থাপত্য বিভাগের ১ম জাতীয় কনফারেন্স শুরু ●   বিজিবির অভিযানে খাগড়াছড়িতে ১২ অনুপ্রবেশকারী আটক ●   ঈশ্বরগঞ্জে জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত ●   কুষ্টিয়ায় বালুঘাট দখল নিতে তাণ্ডব চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ●   রাউজানে বিকাশ প্রতারকের ফাঁদে নারী উদ্যোক্তা তানিয়া ●   যোবায়ের-সাদপন্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ইজতেমা মাঠ : নিহত ৩ ●   মিরসরাইয়ে মধ্য তালবাড়ীয়া স্পোর্টিং ক্লাবের কমিটি গঠন ●   জিয়া কিংবা শেখ মুজিব নয়; জনগণই মুক্তিযুদ্ধের মূল নায়ক : টিপু ●   নবীগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় কলেজ ছাত্রের প্রাণহানি ●   জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এর নেতৃত্বে থাকবেন ড. ইউনূস ও আলী রীয়াজ ●   রেডব্রিজ কমিউনিটি ট্রাস্ট ইউকে বিজয় দিবস উদযাপন ●   ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি আউয়াল, সম্পাদক আতাউর
রাঙামাটি, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
মঙ্গলবার ● ২ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ডিমের ভিতর সাপের বাচ্চা
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ডিমের ভিতর সাপের বাচ্চা
মঙ্গলবার ● ২ জুন ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ডিমের ভিতর সাপের বাচ্চা

---জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি  :: ঝিনাইদহের মহেশপুরে পোল্ট্রির ডিমের ভিতর সাপের বাচ্চা পাওয়া গিয়েছে। আজ মঙ্গলবার ২ জুন উপজেলার ৫নং শ্যামকুড় ইউনিয়নের গুড়দহ গ্রামে ভনু মন্ডলের বাড়িতে এঘটনা ঘটে। ঘটনা সুত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে ভনু মন্ডলের মেজো ছেলে রমজান মন্ডল বাজার থেকে পোল্ট্রির ডিম কিনে আনে। তারপর সেই ডিম রমজান মন্ডলের স্ত্রী ভাজি করতে গিয়ে ডিমটি ভাঙতেই দেখতে পাই মরা সাপের বাচ্চা। এ ঘটনা এলাকায় চাউর হওয়ার পরপরই পাশের বাড়ি থেকে শুরু করে অন্যান্য লোকজন এক নজর দেখতে ঘটনাস্থলে ভিড় করতর থাকে।

কৃষক হত্যার আসামি ধরল ডিবি পুলিশ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলায় কৃষক নুর ইসলাম ওরফে বুড়োকে কুপিয়ে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পাশের জমির পানবরজে পড়ে থাকা হত্যাকারীদের একজনের ব্যবহার করা মাথার টুপি’র (ক্যাপ) সূত্র ধরে ক্লুলেস এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। গ্রেফতাররা হলেন-বরিশখালী গ্রামের মৃত মুছা মোল্লার ছেলে মতিচুর রহমান, একই গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে জিনারুল ইসলাম, সাবার মোল্লার ছেলে শামীম হোসেন। এদের মধ্যে মতিচুর জামিনে মুক্ত হয়ে পলাতক রয়েছেন। জানা যায়, গত বছরের ৫ মে বিকেলে হরিণাকুন্ডু উপজেলার দখলপুর গ্রামের বেলেমাঠ থেকে কৃষক নুর ইসলাম ওরফে বুড়ো’র ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিনই নিহতের ভাই আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে হরিণাকুন্ডু থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও মূল ঘটনা জানতে তদন্তে নামে থানা পুলিশ। একজনকে গ্রেফতার করা হলেও মূল ঘটনা আড়ালেই থেকে যায়। পরবর্তীতে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর আদালত মামলা ডিবিতে হস্তান্তর করে। ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশের ওসি আনোয়ার হোসেন’র নেতৃত্বে মামলার তদন্ত শুরু করে পুলিশ পরিদর্শক নজরুল ইসলাম। ঘটনার বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানান, হত্যার ২-৩ দিন আগে কৃষক নুর ইসলাম ওরফে বুড়ো তার পান বরজের জমির আইল কাটছিল। পাশের জমির মালিক একই গ্রামের মতিচুর রহমান জমির আইল কাটতে বাঁধা দেয়। এ নিয়ে বুড়ো ও মতিচুরের বাক-বিত-া হয়। হত্যার দু’দিন আগে সন্ধ্যায় মতিচুর বরিশখালী বাজারের একটি চায়ের দোকানে আসামিদের নিয়ে বুড়োকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক ঘটনার দিন ৫ মে বুড়ো নিজ পান বরজে কাজ করার সময় হত্যাকারীরা ঘটনাস্থলে যায়। কিলিং মিশনে অংশ নেয় ছয়জন। প্রথমে বুড়োকে চড়-থাপ্পড় মারলে সে পড়ে যায়। সেখান থেকে দৌড়ে পাশের পানবরজে গেলে সেখানে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। এরপর আসামিরা যার যার মত চলে যায়। হত্যার পর জিনারুল ইসলাম পাশেই তার নিজের পানবরজে যায়। সেখানে জিনারুল তার মাথায় থাকা রক্তমাখা ক্যাপ (টুপি) ভুল করে ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে ক্যাপটি উদ্ধার করে। মামলার দায়িত্ব পাওয়ার পর ডিবি পুলিশের ওসি আনোয়ার হোসেন’র নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক নজরুল ইসলাম ক্যাপ’র মালিককে খোঁজা শুরু করে। স্থানীয় ও গ্রামবাসী ক্যাপটি জিনারুলের বলে শনাক্ত করলে জিনারুলকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। এদিকে হত্যার পর থেকে জিনারুল ঢাকার সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় আত্মগোপনে থাকে। মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে তার অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে ঢাকা থেকে জিনারুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় ডিবি। ঝিনাইদহে আনার পর, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, ডিবি ওসি আনোয়ার হোসেন ও পুলিশ পরিদর্শক নজরুল ইসলাম’র দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে গত ৩১ মে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দেন। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক শামীম হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। শামীমও সোমবার আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দিয়েছেন। পুলিশ সুপার বলেন, এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। দ্রুতই তাদের গ্রেফতার করা হবে। এদিকে ক্লু-লেস এই হত্যার রহস্য উদঘাটন করায় ডিবি পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নিহতের পরিবার ও স্বজনরা।

ঝিনাইদহে ৫ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭ জনের মৃত্যু
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় গত পাঁচ মাসে মারা গেছে ৩৭ জন। নিহতদের মধ্যে মেডিকেলের ছাত্র, শিশু ও অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে। বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চালানো, অসতর্কতা ও অদক্ষতাই এ সব দুর্ঘটনার মুল কারণ বলে ঝিনাইদহ ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ মনে করে। পুলিশের রেকর্ড ও পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে ২০২০ সালের জানুয়ারী থেকে মে মাস পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন সড়ক মহাসড়ে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সবচে বেশি প্রাণ হারিয়েছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ১২ জন। এছাড়া মহেশপুর উপজেলায় ১০ জন, শৈলকুপায় ৮ জন, হরিণাকুন্ডুতে ২ জন, কোটচাঁদপুরে ৩ জন ও কালীগঞ্জে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সড়কে প্রতি মাসে মৃত্যুর গড় হার ৭.৪। সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে ঝিনাইদহ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক সালাহউদ্দীন জানান, পুলিশ সব সময় দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে যাচ্ছে। ড্রাইভারদের আমরা সচেতন করতে মোটিভেশন সভা করছি। তারপরও সড়কে দুর্ঘটনা থামছে না। তিনি মনে করেন যানবাহনের গতি বৃদ্ধি ও বেপরোয়া চলাচলই দুর্ঘটনার মুল কারণ। তিনি বলেন আইন প্রয়োগ, জেল জরিমানা ও সচেতনতা বৃদ্ধির পরও মহাসড়কগুলো সুরক্ষিত করা যায় নি। থ্রি হুইলার, নছিমান, করিমনসহ নানা ধরণের যানবাহন সড়ক মহাসড়কে চলাচল করছে। তাছাড়া ভাল সড়কে গতি বৃদ্ধি করে ড্রাইভাররা গাড়ি চালান। এতে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে প্রাই দুর্ঘটনা ঘটে। সব সময় ষাটের নিচে গতি রাখতে না পারলে দুর্ঘটনা কমোনা সম্ভব নয় বলেও ট্রাফিক পুলিশের এই কর্মকর্তা অভিমত ব্যাক্ত করেন।

ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল, বিপাকে গ্রাহকরা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে করোনাকালে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার গ্রাহক। লকডাউনে মিটার রিডিং না করেই বিদ্যুৎ বিল করার অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সঠিক বিল দেয়ার দাবি গ্রাহকদের। এ ব্যাপারে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি ওজোপাডিকো কর্মকর্তারা। ঝিনাইদহ সদরের ঝিনুকমালা আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা ঝালমুড়ি বিক্রেতা আজিজুর রহমান। গতকাল পর্যন্ত মিটারের রিডিং ৭ হাজার ৩৪১ ইউনিট থাকলেও ক’দিন আগের দেয়া বিদ্যুৎ বিলে রিডিং দেখানো হয়েছে ৭ হাজার ৪’শ ইউনিট। করোনায় কর্মহীন তার উপর বাড়তি এই বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিপাকে তিনি। আজিজুর রহমান বলেন, ৬০ ইউনিট বেশি এসেছে। আমি দিন আনি দিন খাই। আমার উপার্জন বন্ধ। এখন বাড়তি বিল কীভাবে দেবো। শহরের কাঞ্চননগর এলাকার একটি বাসভবনের বিদ্যুৎ বিলে বর্তমান মিটার রিডিং দেখানো হয়েছে ১,৯৪০ ইউনিট। পূর্ববর্তী ইউনিট দেখানো হয়েছে ১,৮৬০ ইউনিট। কিন্তু মিটারের দেখা যাচ্ছে বর্তমান রিডিং ১,৮৪৭ ইউনিট। এমনই ভুতুড়ে বিলের খপ্পরে পড়েছেন ঝিনাইদহ ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড’র হাজার হাজার গ্রাহক। গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। প্রতিদিন বিদ্যুৎ অফিসের অভিযোগ কেন্দ্রে লাইন দিচ্ছে ভুক্তভোগীরা। সেখানেও হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। এক ভুক্তভোগী বলেন, প্রতি মাসে যেখানে ১৫০ টাকা বিল আসে। সেখানে তিন মাসে করেছে ১৫শ’ টাকা। তিন থেকে চার গুন বেশি বিল হয়েছে যা আমার পক্ষে পরিশোধ করা অসম্ভব। এ ব্যাপারে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি ঝিনাইদহ ওজোপাডিকোলি’র নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র সরকার। বিদ্যুৎ বিভাগের দেয়া তথ্যমতে জেলা শহর, শৈলকুপা, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর শহরে ওজোপাডিকো’র গ্রাহক সংখ্যা ১ লাখ ২৫ হাজার।

করোনা : সরকারি প্রনোদনা না পেলে পথে বসবে তারা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে করোনার প্রভাবে বিপাকে পড়েছেন গো খামারীরা। অন্যদিকে গো খাদ্যের দাম বাড়ায় ক্ষতির মুখে তারা। এই অবস্থা দীর্ঘমেয়াদী হলে পথে বসার আশঙ্কা তাদের। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ধনঞ্জয়পুর গ্রামে ২০১৪ সালে ৪ একর জমির উপর এম আর এইচ এগ্রো প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি গো খামার তৈরী করেন রোকনুজ্জামান রিপন। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ৭টি গাভী নিয়ে কর্মকান্ড শুরু করেন তিনি। বর্তমানে ছোট বড় ৪২ টি গরু রয়েছে তার ফার্মে। এর মধ্যে ২২ টি গাভী আছে। যা থেকে প্রতিদিন দুধ হচ্ছে ১২০ লিটার। ব্রাক ডেইরি ফার্ম ও হোটেলে দুধ বিক্রি করলেও এখন তা বন্ধ রয়েছে। এতে পানির দামে স্থানীয় ভাবে দুধ বিক্রি করতে হচ্ছে তাকে। রোকনুজ্জামান রিপনের মতো ঝিনাইদহের বিভিন্ন অঞ্চলের খামারীদের একই অবস্থা। কোম্পানির বাইরের অতিরিক্ত দুধ এতোদিন মিষ্টিসহ বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে দেয়া হতো। করোনার কারণে সেসব বন্ধ ও হাট-বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় ধস নেমেছে দুধের বাজারের। শুধু তাই নয় যানবাহনের কারনে গোঁ খাদ্য আনানেওয়ার সমস্যার পাশাপাশি বেড়েছে দাম। ফলে সঠিকভাবে খাদ্য দিতে না পারায় দুধের উৎপাদনও কমেছে। বর্তমানে ২২ টি গাভী থেকে ৬০ লিটার দুধ উৎপাদন হচ্ছে। খামারী রিপন জানান, তার খামারে ৫/৬জন শ্রমিক কাজ করে। তাদের পারিশ্রমিক দেওয়া এবং গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় প্রতিদিন ৫ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। ব্যাংক থেকে ১ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে সুদ দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তার। খামারী শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারি প্রণোদনাসহ ঋণের সুদ মওকুফের দাবি তার। এই খাতটি দেশের মানুষের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মিটিয়ে থাকে। সরকার আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন এমনটাই দাবি দুগ্ধ খামারীদের। এ ব্যাপারে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আনন্দ কুমার অধিকারি বলেন, করোনায় খামারীরা লোকসানের বিষয়টি সরকারকে অবহিত করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনাসহ খামারীরা সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা পাবে বলে আশা করছি। ঝিনাইদহ প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে জেলায় ছোট বড় প্রায় ৫০ হাজার দুগ্ধ খামার রয়েছে। প্রতিদিন দুধ উৎপাদন হয় ২৮৪ মেট্রিক টন।

দিশেহারা গৃহবধু, কোথায় যাবে গৃহবধু সাবিনা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পদ্মপুকুর গ্রামে সাবিনা খাতনু নামে এক গৃহবধু স্বামী শাশুড়ীর অত্যাচারে এক কন্যা সন্তান নিয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। স্বামী সোহাগ সন্তান ও স্ত্রী ফেলে মাগুরায় নতুন বিয়ে করেছেন। স্বামীর বাড়িতে শ্বশুড়ির নির্মম অত্যাচার নিয়ে খেয়ে না খেয়ে জীবন যাপন করছেন সাবিনা। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ৪ বছর আগে ভারতের হাসখালি থানার ছোট চোবড়িয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের কন্যা সাবিনা খাতুনকে আত্মীয়তা সুত্রে বিয়ে কেরন মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউপির পদ্মপুকুর গ্রামের আলমের ছেলে সোহাগ (২৭)। বিয়ের দুই বছরের মাথায় এই দম্পত্তির কোল জুড়ে আসে এক মেয়ে সন্তান। মেয়ে হওয়ার পর স্বামী সোহাগ পাড়ি জমায় বিদেশে। বিদেশ যাওয়ার পর থেকে সে স্ত্রীর সাথে আর কোন যোগাযোগ রাখেনি। সাবিনার উপর চলতে থাকে স্বামী শাশুড়ীর অমানুষিক অত্যাচার। গত ৩ মাস আগে স্বামী সোহাগ বিদেশ থেকে দেশে ফিরেই দ্বিতীয় বিয়ে করে মাগুরায় থিতু হয়। অপরদিকে তার প্রথম স্ত্রী ও কন্যার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে স্বামী সোহাগ ও শাশুড়ী সুফিয়া মিলে মিথ্যা কথ রটিয়ে বাড়ি ছাড়া করার চেষ্টা চালায়। গৃহবধু সাবিনার এ দেশে তার কোন আপনজন না থাকায় সে আইনের আশ্রয় নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। মেয়েটি বর্তমান তার স্বামীর বাড়িতে নির্যাতিত হয়ে অসহায় ভাবে জীবন যাপন করছে। তাকে সহায়তা করার মতো এলাকায় কেও কি নেই ? এ ব্যাপারে শ্যামকুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমানুল্লাহ হক জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তো আমাকে কেও জানায় নি। অভিযোগ করলে আমি গ্রাম আদালতে সুষ্ঠ বিচারের ব্যবস্থা করবো।

মহেশপুরে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
ঝিনাইদহ :: অন্ধকার রাতে আলো কাটায় মাছ ধরতে যাওয়ার পথে ঝিনাইদহের মহেশপুরে বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে অমিত সরদার (৪০) নামের এক যুবকের করুন মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৩১ মে) রাতে মহেশপুর পৌর এলাকার পাতিবিলা কৈলাশপুর গ্রামের মাঠে এই দূর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত অমিত সরদার অদিবাসী পাড়ার সাধন বিশ্বাসের ছেলে। পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, অমিতসহ বেশ কয়েক জন রবিবার রাতে আলো কাটায় মাছ ধরতে যাওয়ার পথে মাঠে মধ্যে ঝড়ে ছিড়ে মাটিতে পড়ে থাকা পানির মটরের তারে পা পড়লে অমিত বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়। সাথে থাকা লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নেওয়ার পখে তার মৃত্যু হয়। মহেশপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ হোসেন খান জানান,যেহেতু বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে সে কারনে থানায় কোন অপমৃত্যু মামলা হয়নি।

ঝিনাইদহে গণপরিবহণে ৬০ ভাগ ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন
ঝিনাইদহ :: পরিবহণ খাতে ৬০ ভাগ ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঝিনাইদহে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে শহরের এইচএসএস সড়কের উজির আলী স্কুল এন্ড কলেজের সামনে এ কর্মসূচী পালন করেন জেলা বাম গনতান্ত্রিক জোট। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এ কর্মসূচীতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। এসময় বাসদ জেলা শাখার সমন্বয়ক এ্যাড আসাদুল ইসলাম আসাদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি মার্কসবাদী জেলা শাখার সভাপতি কমরেড মোফাজ্জেল হোসেন মঞ্জু, জেলা সদস্য সাহেদুল এনাম পল্লব, বাসদ ঝিনাইদহ জেলা বর্ধিত ফোরাম সদস্য ও জেলা মহিলা ফোরাম প্রতিনিধি রুবিনা খাতুন, জেলা বাসদ সংগঠক আছাদুর রহমান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জেলা শাখার সভাপতি শারমিন সুলতানাসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এসময় বক্তারা বলেন, করোনাকালে ৬০ ভাগ ভাড়া বৃদ্ধি জনগণের মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাড়িয়েছে। তাই ভাড়া বৃদ্ধি না করে ভর্তুকি দিয়ে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৭ম শ্রেণীর স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আড়ুয়াকান্দি গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে জ্যোতি খাতুন (১৩) নামের ৭ম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। জ্যোতি ওই গ্রামের জাহাঙ্গীর হাসানের মেয়ে ও শহরের ফজর আলী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, জ্যোতি দুপুরে বাড়ির পাশে বৈদ্যুতিক পানির পাম্পে গোসল করতে যায়। এসময় বিদ্যুতায়িত হয়ে সে গুরুতর আহত হয়। স্বজনরা টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। এ ঘটনায় সদর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

ঝিনাইদহে ৪০টি গ্রাম রয়েছে অন্ধকারে, ক্ষতিগ্রস্থরা এখন দিশেহারা
ঝিনাইদহ :: ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার হাজারো মানুষ এখনও খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে। লাখো মানুষের ঘরে নেই কেই খাবার। অনেকে সব হারিয়ে এক বেলা খেয়ে দিনও কাটাচ্ছে। সরকার দলীয় নেতা ও সরকারী কর্মকর্তারা এখনো ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া পরিবার গুলোকে ১০ দিন পার হলেও কোন সাহায্যে এগিয়ে আসেনি বলে জানান অসহায় পরিবার গুলো। গত বুধবার রাতের ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবের হাত থেকে অনেকে নিজেদের বসত ঘর গুলোও রক্ষা করতে পারেনি। উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার প্রায় ৩০ হাজার কাচা ও আধাপাকা ঘর-বাড়ী ভেঙ্গে পড়েছে। সেই সাথে ক্ষেতের ধান কিছুটা রক্ষা করতে পারলেও রক্ষা করতে পারেনি কলা বাগান,পেপে বাগান,পানের বরজ,আম-কাঠালের বাগান,মরিজ ক্ষেত,তিল ও মুগ ক্ষেত গুলো। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে মহেশপুর উপজেলায় প্রায় ১০০ কোটি টাকারও বেশী সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া বিদ্যুতের তার গুলো এখনও রাস্তায় আর গাছে গাছে ঝুলছে। আম্পানের তান্ডবের ১০ দিন পার হলেও এখনও উপজেলার ৪০টি গ্রাম রয়েছে অন্ধকারে। পরিবার গুলোর অভিযোগ আমরা আম্পানের তান্ডবে সবকিছু হারিয়ে আজ খোলা আকাশের নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। এলাকার ইউপি সদস্যরা তালিকা তৈরী করছে কিন্তু আমাদের ঘরের খাবার দেবে কে? জলুলী গ্রামের আম্বিয়া খাতুন জানান, ঝড়ের ১০দিন পার হলেও কোন নেতা বা সরকারী কর্তকর্তার দেখা পাওয়া যায়নি। এখন এলাকার মানুষ গুলো থাকবে কোথায় আর খাবে কি কে দেখবে আমাদের। পৌর এলাকার দোলন কুন্ডু, টোটন কুন্ডু জানান, এলাকার প্রায় ৬৫টি পানের বরজ ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কবলে পড়ে একেবারে মাটির সাথে মিসে গেছে। এখন পানের বজর গুলো ঠিক করতে যে টাকার প্রয়োজন তা আমাদের কাছে নেই। যাবদপুর ইউপি সদস্য হাজেরা খাতুন জানান, আমরা ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরী করে পরিষদে জমা দিয়েছি। তবে আমরা তো ক্ষতি গ্রস্ত পরিবার গুলোকে সেই ভাবে কোন খাবার দিতে পারেনি। পান্তাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে আমার ইউনিয়নে ৫২৯টি পরিবার সব থেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা সকলেরই তালিকা তৈরী করেছি। অসহায় পরিবার গুলোকে পরিষদ থেকে খাবারও দিচ্ছি। বাঁশবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক জানান, আম্পানের তান্ডবে আমার ইউনিয়নে ১০১১টি পরিবারের বাড়ী ঘর ভেঙ্গে পড়েছে। তবে আমি কিছু কিছু অসহায় পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে যাচ্ছি। যাতে তাদের কোন অসুবিধা না হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষি বিদ হাসান আলী জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে কলা বাগান,পেপে বাগান,পানের বরজ,আম-কাঠালের বাগান,মরিজ ক্ষেত,তিল ও মুগ ক্ষেত গুলো সব থেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে এ আবাদ গুলো ছিলো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাশ্বতী শীল জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে ক্ষতি গ্রক্ষিগ্রস্ত পরিবার গুলোকে খুব তাড়াতারী তাদের ঘর-বাড়ী গুলো আমরা মেরামতের ব্যবস্থা করে দেবো। আর ফসলের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ময়জদ্দীন হামিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা এখনও পরিষদে আসেনি। আসলে পরে প্রতিটা পরিবারকে আমরা সাহায্য করবো। ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান চঞ্চল জানন,মহেশপুরের মানুষ জন্মের পর থেকে এতো বড় ঝড়েরর তান্ডব দেখেনি। যে ঝড়ে বাড়ীর ঘর পর্যন্ত উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে। আমি সব খানেই যোগাযোগ করেছি প্রতিটা পরিবারকে তাদের ঘর তৈরীর জন্য। আর যাদের ফসলের ক্ষতি হয়েছে তাদের দিকটাও ভাবা হচ্ছে।

অভাব রুখতে পারেনি কালীগঞ্জের আসমানীকে
ঝিনাইদহ ::প্রাইভেট পড়া তো দুরের কথা অভাবের সংসারে ঠিকমত দ’ুবেলা দ’ুমুঠো খাবারই জোটেনি মেধাবী আসমানীর। জোটেনি ভালো পোশাকও। সহপাঠিরা সকলে ইঞ্জিনচালিত গাড়িতে স্কুলে আসা যাওয়া করলেও দিনমজুর বাবার পক্ষে টাকা দেয়া সম্ভব ছিল না। তাই সারাবছর বাড়ি থেকে প্রায় ৪ কিলো রাস্তা পায়ে হেঁটে স্কুলে ক্লাস করতে হয়েছে তাকে। এ সকল অভাবকে মাড়িয়ে সে এ বছরে এস.এসসিতে মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে সকলকে চমকে দিয়েছে। আসমানী খাতুন ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের ডাউটি গ্রামের ওলিয়ার মোল্যার মেয়ে ও কোলাবাজার ইউনাইটেড হাইস্কুলের ছাত্রী। মেয়ের এমন ভালো ফলাফলে হতদরিদ্র বাবা মা খুশি হলেও অপরদিকে কিভাবে তার কলেজে পড়ানোর খরচ যোগাবেন তা নিয়ে পড়েছেন মহাচিন্তায়। রবিবার ফলাফল প্রকাশের পর সরেজমিনে হতদরিদ্র মেধাবী আসমানীর বাড়িতে গেলে দেখা যায়, একটু খানি জমির ওপর ভাঙাচেরা মাটির দেয়াল ও বেড়ার একটি ঘর। এর পাশেই রয়েছে ছনের ছাউনি ও পাঠকাঠি দিয়ে ঘেরা আরেকটি ঝুপড়ি ঘর। সেখানে আসমানীদের বাস। মেধাবী আসমানী জানায়, আমার বাবা মা লেখাপড়া জানেন না। তারপরও তারা আমার লেখাপড়া শেখাতে যে কষ্ট করেন তা দেখে আমার নিজেরই খারাপ লাগে। বাবা মায়ের এমন চেষ্টায় আমার নিজের ভিতরেও সব সময় ভালো ফলাফলের জন্য জিদ কাজ করতো। তাই বেশি করে পড়াশুনা করতাম। এখন কলেজে ভর্তি হয়ে কিভাবে লেখাপড়ার খরচ আসবে সে চিন্তায় পড়েছি পরিবারে সবাই মিলে। আসমানীর বাবা ওলিয়ার রহমান মোল্যা জানান, প্লাস কি আমি বুঝিনা তবে মানুষে বলছে আমার মেয়ে ভালো ফলাফল করেছে। তিনি বলেন, ২ মেয়ে ১ ছেলে মধ্যে বড় মেয়ে রিক্তা খাতুনকে বিয়ে দিয়েছি। আর ছেলে সাব্বির হোসেন ৩য় শ্রেণীতে পড়ে। তিনি আরও বলেন,বসতবাড়ির ৫ শতক ছাড়া মাঠে কোন চাষযোগ্য জমি নেই। সারাবছর পরের ক্ষেতে কামলার কাজ করে সংসার চালাতে হয়। তারপরও সব সময় কাজ থাকে না। অভাবের সংসারে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ ঠিকমত যোগাতে পারিনি। টাকার অভাবে তার ভালো পোশাক ও স্কুলে যাওয়া আসার খরচ দিতে পারেনি। এখন শুনছি মেয়ে পরীক্ষায় ভালো করেছে। কিন্ত কিভাবে কলেজের খরচ আসবে এখন বসে বসে সে চিন্তাই করছি। বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোজাফ্ফর হোসেন জানান, আমার পাশের গ্রামে আসমানীদের গ্রাম। মেয়েটির বাবাও অত্যন্ত নিরীহ প্রকৃতির সাদামাটা খেটে খাওয়া একজন মানুষ। কোলাবাজার ইউনাইটেড হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওহাব জোয়ার্দার জানান, হতদরিদ্র বাবার মেয়ে আসমানী অত্যন্ত ভদ্র। বিদ্যালয়ে এসে সে সব সময় চুপচাপ থাকতো। ক্লাসে সব সময় থাকতো মনোযোগী। আসমানী প্লাস পাওয়ায় বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক কর্মচারী বেজায় খুশি।





খুলনা বিভাগ এর আরও খবর

কুষ্টিয়ায় বালুঘাট দখল নিতে তাণ্ডব চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা কুষ্টিয়ায় বালুঘাট দখল নিতে তাণ্ডব চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা
কুষ্টিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী শুভ অস্ত্রসহ গ্রেফতার কুষ্টিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী শুভ অস্ত্রসহ গ্রেফতার
কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার আসামী ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কারাগারে কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার আসামী ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কারাগারে
কুষ্টিয়া ট্রাফিক পুলিশকে মারধর ঘটনায় দুই মহিলা আটক কুষ্টিয়া ট্রাফিক পুলিশকে মারধর ঘটনায় দুই মহিলা আটক
কুষ্টিয়ায় বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক কুষ্টিয়ায় বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক
বর্ণিল আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম দিবস পালিত বর্ণিল আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম দিবস পালিত
খেঁজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত কুষ্টিয়ার গাছিরা খেঁজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত কুষ্টিয়ার গাছিরা
কুষ্টিয়ায় ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকায় ধরা খেল শিক্ষক হেলাল ১১ লাখে দফারফা কুষ্টিয়ায় ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকায় ধরা খেল শিক্ষক হেলাল ১১ লাখে দফারফা
চাল সিন্ডিকেটের মূলহোতা আব্দুর রশিদ কুষ্টিয়া পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার চাল সিন্ডিকেটের মূলহোতা আব্দুর রশিদ কুষ্টিয়া পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার
কথাসাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৭তম জন্মদিনের উদ্বোধন কথাসাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৭তম জন্মদিনের উদ্বোধন

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)