বুধবার ● ৩ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » গুইমারায় চার নিরীহ গ্রামবাসীকে মারধরে ইউপিডিএফ এর নিন্দা
গুইমারায় চার নিরীহ গ্রামবাসীকে মারধরে ইউপিডিএফ এর নিন্দা
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সংগঠক অংগ্য মারমা আজ বুধবার ৩ জুন এক বিবৃতিতে গতকাল সন্ধ্যায় গুইমারা উপজেলাধীন হাফছড়ি ইউনিয়নের তবলাপাড়ায় চার নিরীহ গ্রামবাসীকে শারীরিক নিযাতন চালিয়ে জঘম করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে দায়ীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
বিবৃতিতে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাটনাতলি ক্যাম্প থেকে সাদা পোষাক-পরা নিরাপত্তাবাহিনীর একদল সদস্য ও বিশেষ মহলের মদদপুষ্ট ২ জন সন্ত্রাসী ৬টি মোটরবাইক যোগে একসাথে তবলাপাড়ায় রাপ্রু মারমার চা দোকানে হানা দেয় এবং সেখানে থাকা চার গ্রামবাসীকে বিনা কারণে বেধড়ক মারধর করে। এতে হ্লা প্রু মারমার ছেলে আলুঅং মারমা (৩৮) গুরুতর জখম হন।’
নিযাতনে আহত বাকি তিন জন হলেন কংজরী মারমার ছেলে আলুঅং মারমা (৪২), চাইহ্লা অং মারমা (৪০) পিতার নাম অজ্ঞাত ও মংহ্লা মারমার ছেলে কংজ মারমা (৩৫)।
ইউপিডিএফ নেতা পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্তমানে বিচার বহির্ভুত হত্যাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা চরম ও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে মন্তব্য করে বলেন, যারা রক্ষক আজ তারাই ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং সন্ত্রাস নির্মূলের নামে ঠ্যাঙারে বাহিনী দিয়ে সর্বত্র সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে।
২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঠ্যাঙারে বাহিনী গঠনের পর থেকে আজ পযন্ত ৫০ জন (নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ৯ জন ও ঠ্যাঙারে বাহিনীর হাতে ৪১ জন) ইউপিডিএফ সদস্য ও সমর্থক বিচার বহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে তিনি জানান।
অংগ্য মারমা অবিলম্বে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধসহ নিরীহ জনগণের উপর অত্যাচার ও দমনপীড়ন বন্ধ করার দাবি জানান।