বৃহস্পতিবার ● ৪ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » প্রেমে ব্যার্থ হয়ে গণধর্ষণের পর হত্যা করে নববধু কেয়ার লাশ গুম
প্রেমে ব্যার্থ হয়ে গণধর্ষণের পর হত্যা করে নববধু কেয়ার লাশ গুম
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের দাদপুর গ্রামে ৩ বন্ধু মিলে ধর্ষণ করে নববধু কেয়ার লাশ মাটিচাপা দেয় ব্যার্থ প্রেমিক মিলন ও তার সহযোগিরা। লাশ উদ্ধারের ৩ মাস পর হত্যার মুল রহস্য উদঘাটন করলো ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় হত্যাকারী ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্ধী দিয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো-কালীগঞ্জের ত্রীলোচনপুর গ্রামের সলেমান হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন (২৬), একই গ্রামের আসাদুল ইসলামের ছেলে ইসরাফিল (২৫) ও আজগর আলীর ছেলে আজিম (২৬)। জানা যায়, চলতি বছরের ১৩ মার্চ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দাদপুর গ্রামের একটি রাস্তার পাশ থেকে চুলের ক্লীপ, মাথার চুল ও একটি স্যান্ডেল পাওয়া যায়। যার সুত্র ধরে ওই গ্রামের মাঠের মধ্যে থেকে কলাগাছ ও গাছের পাতার নিচে মাটিতে পুঁতে রাখা গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে লাশটি কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রীলোচনপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের মেয়ে কেয়া খাতুনের বলে পরিচয় শনাক্ত করে নিহতের স্বজনরা। যিনি ১৭ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান বলেন, লাশ উদ্ধারের পর হত্যার মোটিভ উদ্ধার ও হত্যাকারীদের গ্রেফতারে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকারীদের কোনপ্রকার আলামত না পেয়ে ক্লু-লেস এ মামলার তদন্তে কিছুটা বেগ পেতে হয়। পরে কেয়ার বিয়ের আগে ও পরে নানা বিষয়ে পর্যালোচনা শুরু করা হয়। এতে জানা যায়, নিহত কেয়ার সাথে ৩ বছর আগে থেকে একই গ্রামের সলেমানের ছেলে মিলন হোসেনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবার থেকে একই উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মাইক্রো চালক সাবজাল হোসেনের সাথে কেয়াকে বিয়ে দেয়। কেয়ার বিয়ে দেওয়ার পর মিলন হোসেন প্রেমে ব্যার্থ হয়ে এ ঘটনা ঘটাতে পারে এমন সন্দেহে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর এলাকায় ছদ্দবেশে অভিযান শুরু করে পুলিশ। কয়েকদিনের অভিযানের এক পর্যায়ে ১৬ মার্চ জীবননগরের হাসাদাহ এলাকা থেকে মিলনকে আটক করা হয়। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রশ্নবানের এক পর্যায়ে মিলন হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে সে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্ধী প্রদাণ করে এবং তার সাথে ইসরাফিল ও আজিম জড়িত এমন তথ্য প্রদাণ করে। মিলন গ্রেফতার হওয়ার পর আসামী ইসরাফিল ও আজিম গা ঢাকা দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করতে থাকে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইসরাফিলকে ২৭ মার্চ গ্রেফতার করলে সেও হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। আলাদা জিজ্ঞাসাবাদে ২ জনের বক্তব্য একই রকম হওয়ায় ইসরাফিল হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি পুলিশ নিশ্চিত হয়। সেই সাথে আজিমও জড়িত সেই বিষয়টিও নিশ্চিত হওয়া যায়। ২ জনকে গ্রেফতার করা হলেও ৩য় আসামী আজিমকে গ্রেফতার করা যাচ্ছিল না। দীর্ঘ প্রায় ৩ মাসের চেষ্টায় গত মঙ্গলবার (০২ জুন) কালীগঞ্জের বালিয়াডাঙ্গা এলাকা থেকে আজিমকে গ্রেফতার করা হয়। সেও হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্ধী দিয়েছে। হত্যার দিনের ঘটনার বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, আসামীদের আলাদা আলাদা জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৮ টার দিকে কেয়া খাতুনকে ব্যার্থ প্রেমিক মিলন তার বাবার বাড়ী থেকে ফুসলিয়ে ডেকে নিয়ে যায়। বাড়ী থেকে ২ কিলোমিটার দুরের মাঠের মধ্যে নিয়ে গিয়ে প্রথমে মিলন তাকে ধর্ষণ করে। পরে একে একে আজিম ও ইসরাফিল তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর মিলন বাশের লাঠি দিয়ে কেয়ার মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। সেখানে পাশের বাড়ি থেকে একটি কোদাল এনে রাস্তার পাশে মাটি চাপা দিয়ে কলাগাছ ও কলাগাছের পাতা দিয়ে ঢেকে রেখে পালিয়ে যায়। প্রেমে ব্যার্থ হয়েই মিলন অন্যসহযোগিদের নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। দ্রুততম সময়ে লোমহর্ষক কেয়া হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতার হওয়ায় পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান ও জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।
করোনা যুদ্ধে জয়ী হয়ে চিকিৎসকসহ ঘরে ফিরলেন ৬ জন
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ১ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ আরো ৬ জনকে করোনা মুক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। তারা সকলে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে কর্মরত এবং উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের হাতে রোগমুক্তির সনদ, উপহার সামগ্রী ও ফুলের তোড়া তুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএম এর সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদ আল মামুন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার রাকিব উদ্দিন রনি, মেডিকেল অফিসার, ডা. শাহনেওয়াজ ইবনে কাশেম, ডা. কনক হোসেন, ডা. আজিজুর রহমান, আব্দুল্লাহ আস সাজ্জাদ রহিমীসহ অন্যান্যরা। পরে করোনা মুক্তিতে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। ঝিনাইদহ জেলায় এ পর্যন্ত ৫৩ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৮ জনকে করোনা মুক্ত ঘোষনা করা হয়েছে।
দীর্ঘ নয় বছরেও হত্যার বিচার হয়নি সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজের
ঝিনাইদহ :: নয় টি বছর পেরিয়ে গেলেও সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মম ভাবে খুন হওয়া সাগান্না ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান এলাকার প্রিয় মানুষ শাহাজাহান সিরাজের হত্যার কোন বিচার হয়নি। ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় সাগান্না ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাজাহান সিরাজ কে ২০১১ সালের এই দিন রাতের আধারে বৈডাঙ্গা গ্রাম থেকে তার নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয় , নয় টি বছর পেরিয়ে গেলেও এলাকার একজন সহজ সরল প্রাক্তন চেয়ারম্যান হত্যার খুনিদের বিচার আজও হলো না, মৃতঃ শাহাজাহান সিরাজ ছিলেন একজন সৎ, আদর্শবান, এলাকার সকলের প্রিয় একজন মানুষ, পরিবারের বড় ছেলে বাবুল রহমান জানান নয় টি বছর অতিবাহিত হলেও দলের কোন নেতৃবৃন্দ কোন খোজ রাখে নাই আমাদের পরিবারের এমন কি আমার বাবার মৃত্যু বার্ষিকীতে তারা মনে করেন না, কিন্ত আমার বাবা ছিলেন দলের একজন নির্ভীক আদর্শবান কর্মী, অথচ দল আমার বাবাকে মনে রাখলো না। তার মৃত্যুতে আজ বুধবার বৈডাঙ্গা জামে মসজিদে মাগরিব বাদ এক দোয়ার অনুষ্ঠান করা হয়। দোয়া অনুষ্ঠানে মৃত শাহাজাহান সিরাজুল ইসলামের জন্য তার বিদায়ী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। এ বিষয়ে মৃতঃ শাহাজাহান সিরাজের বড় ছেলে প্রবাসী বাবুল রহমান সরকারের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছে যাতে তার বাবার হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে হত্যার সঠিক বিচার করা হয়।
ঝিনাইদহে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। জেলায় মৃদু তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নি¤œ আয়ের মানুষগুলো। কয়েক দিন বৃষ্টি না হওয়া আর প্রচন্ড রোদে কষ্ট পাচ্ছেন করোনাকে উপেক্ষা করে শহর, গ্রামে কাজের সন্ধানে বের হওয়া মানুষগুলো। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান বেশি হওয়ায় গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। সামান্য স্বস্তি ও একটু শীতল পরিবেশের জন্য ছুটছে গাছের ছায়াতলে। এছাড়াও শরবতের দোকানে রয়েছে ভীড়। বেলা ১২ টায় ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তবে বিকেলে তাপমাত্রা আরো বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
সাংবাদিক পরিচয়দানকারী সহ ২মাদকসেবী আটক
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সাংবাদিক পরিচয়দানকারী সহ ২ মাদকসেবী কে আটক করেছে পুলিশ। তাদের গাঁজা সহ হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমান আদালতে দুজনকে ১হাজার টাকার স্ট্যাম্প জরিমানা করা হয় এবং পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয় ।বুধবার দিবাগত রাতে শৈলকুপার কুশবাড়িয়াবাজারের পাশে বটগাছের পাশ থেকে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী বুরহান উদ্দিন ও আরেক যুবক অপূর্ব বিশ্বাস কে থানা পুলিশ আটক করে। শৈলকুপা থানা পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে কুশবাড়িয়া বাজারের পাশে মাদকের আড্ডা বসে। প্রতিদিন কিছু যুবক মাদকসেবন সহ অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়। এমন সংবাদের ভিত্তিতে শৈলকুপা থানার এসআই অমিত কুমার দাস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বুধবার গভীর রাতে অভিযানে নামে। অভিযানে ডাউটিয়া কুশবাড়িয়া বাজারের পাশে বটগাছের নীচ থেকে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় বুরহান উদ্দিন ও অপূর্ব বিশ্বাস কে আটক করতে সক্ষম হয়। তাদের রাতেই থানা হাজতে রাখা হয়। থানার এসআই অমিত কুমার জানান, বৃহস্পতিবার সকালে শৈলকুপার এসিল্যান্ড পার্থপ্রতীম শীলের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জরিমানা ও মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। বুরহান উদ্দিন নামের এ যুবক বিভিন্ন অনলাইনের সাংবাদিক পরিচয়ে স্থানীয়দের ভীতি প্রদর্শন করে মাদকের আড্ডা দিয়ে আসছিল বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। সে ডাউটিয়া গ্রামের নুরুদ্দিন মৃধার পুত্র, তার পিতা মাগুরার শ্রীপুরের বরিষাট পূর্বপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার বলে জানা গেছে। এছাড়া যুবক অপূর্ব বিশ্বাস ডাউটিয়া গ্রামের অতুল বিশ্বাসের ছেলে। প্রসঙ্গত শৈলকুপার ডাউটিয়া, কুশবাড়িয়া সহ আশপাশের কিছু গ্রামের উঠতি বয়সী অনেক যুবক মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। তারা চুরি-ছিনতায়, চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কাজের সাথে লিপ্ত রয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
জমজমাট রসালো তালের শ্বাঁস
ঝিনাইদহ :: গরমে ভারি আরামদায়ক, রসালো ও সুমিষ্ট এই ফল তালের শ্বাঁস। বলদায়ক ও পুষ্টিকারক এ তালের শাস এখন ঝিনাইদহের হাট বাজারে উঠতে শুরু করেছে। জানা যায়, বাংলাদেশে তালের চাষ হলেও ফলটির আদি নিবাস আফ্রিকা। কেউ কেউ বলেন এর জন্মস্থান আমাদের উপমহাদেশেই। তবে এর জন্ম যেখানেই হোক, ফলটি আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে গেছে এটাই সত্য। এই সময়টিতেই বাজারে পাওয়া যায়। কেউ বলে তালের শাস, কেউ বলে তালের আশাড়ি, কেউ বলে তালের আঁটি। গরমের মধ্যে তৈলাক্ত খাবারের চেয়ে তালের শাস অনেক উপকারী। এর রয়েছে অনেক গুনাগুন। তাই জৈষ্ঠের এ মধু মাসে বাজারে নানা ফল উঠলেও জনপ্রিয় তালের শাস। গ্রীস্মের এই দিনে তালের শ্বাঁস খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। তাই সবার হাতে কম বেশি পৌছে যায় কঁচি তালের শাস। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রচুর গরমে তালের কচি শাঁস এবং এর ভেতরের মিষ্টি পানি তৃষ্ণা মিটিয়ে শরীরে এনে দেয় আরামদায়ক অনুভূতি। তালের শাসে প্রতি ১০০ গ্রামে ০.৮ গ্রাম খাদ্যপযোগী খনিজ পদার্থ ২০.৭ গ্রাম, শর্করা ০.৮ গ্রাম, আমিষ ০.৫ গ্রাম আঁশ রয়েছে। গরমে শরীরের পানির অভাব পূরণ করতে এর মধ্যে ৭৭.৫ ভাগ জলীয় অংশ রয়েছে। এছাড়া ০.৫ গ্রাম খাদ্য আঁশ থাকায় এটি হজমে সহায়ক। অবাক করার মতো খাদ্যশক্তি রয়েছে তালের শাঁসে। প্রায় ৮৭ কিলো ক্যালোরি। ৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকায় তালের শাঁস হাড় গঠনেও দারুন ভূমিকা রাখে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় তালগাছ রয়েছে। এখন উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও বাসস্ট্যান্ডগুলোতে এবং অলিতে গলিতে তালের শাস বিক্রি করে অনেক হত দরিদ্র মানুষ জীবিকা নির্বাহ করছেন। সদর উপজেলার ডাকবাংলায় তালশ্বাঁস বিক্রিতা আরশেদ আলি জানান, প্রতিবছরই তিনি তালের শ্বাঁস বিক্রি করে সংসার চালান। গ্রামাঞ্চলে ঘুরে ঘুরে তাল কিনে এনে শাস বিক্রি করেন। প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ শাস বিক্রি করেন। একটি শ্বাঁস আকার ভেদে ৪ থেকে ৫টাকা দরে বিক্রি করছেন। এতে তার বেশ টাকা লাভ হয়। বিক্রি করে সংসার ভালই চলে যায়। তালের শাসের পুষ্টি গুনাগুণ সম্পর্কে ডা. মেহেদী হাসান বলেন, তালের শাস শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। গরমের দিনে তালের শাসে থাকা জলীয় অংশ পানি শূন্যতা দুর করে। এছাড়া ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, এ, বিকমপে¬ক্সসহ নানা ধরনের ভিটামিন রয়েছে। তালে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। কচি তালের শাস রক্তশূন্যতা দুর করে। চোখের দৃষ্টি শক্তি ও মুখের রুচি বাড়ায়।