বৃহস্পতিবার ● ৪ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় করোনা ভাইরাসে নতুন করে ৬ জন আক্রান্ত
গাইবান্ধায় করোনা ভাইরাসে নতুন করে ৬ জন আক্রান্ত
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা :: গাইবান্ধায় গত ২৪ ঘন্টায় আজ বৃহস্পতিবার করোনা ভাইরাসে নতুন করে আরও ৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। করোনা ভাইরাস সন্দেহে নানা উপসর্গে নতুন করে ৬৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এ নিয়ে জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮০ জন। এদিকে জেলায় সর্বমোট করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৮ জন। এরমধ্যে তিনজন মারা গেছে। গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন আইসোলেসনে রয়েছে ৪৩ জন। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত ২২ জন রোগী সুস্থ হওয়ায় তাদেরকে এবং ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইন শেষে ৪১ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ৪৮০ জন চিকিৎসাধীন রোগী হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। এরমধ্যে সুন্দরগঞ্জে ১৩, গোব্দিন্দগঞ্জে ১২৮, সদরে ৬৭, ফুলছড়িতে ৭৮, সাঘাটায় ৮১, পলাশবাড়িতে ২১ ও সাদুল্যাপুর উপজেলায় ৯২ জন।
ধান ক্রয়ের দাবিতে গাইবান্ধায় কৃষক দলের স্মারকলিপি প্রদান
গাইবান্ধা :: কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয়ের দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গাইবান্ধা জেলা কৃষক দলের উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিনের বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন্নবী টিটুল, সহ-সভাপতি মো. শহিদুজ্জামান শহীদ, জেলা কৃষক দলের সভাপতি ও কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. ইলিয়াস হোসেন, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তাক আহমেদ, সহ-সভাপতি মো. আব্দুল হাই মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
গাইবান্ধায় সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষকফ্রন্টের মানববন্ধন
গাইবান্ধা :: কৃষি ও কৃষক রক্ষায় উন্নয়ন বাজেটের ৪০% কৃষিখাতে বরাদ্দসহ বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৮ দফা দাবিতে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষকফ্রন্ট গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার শহরের ডিবি রোডে এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে কৃষিমন্ত্রী বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক মাহবুবর রহমান খোকা, সদস্য কাজী আবু রাহেন শফিউল্যাহ খোকন, নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কৃষি দেশের উৎপাদনমূলক সবচেয়ে বড় খাত। অথচ সেই কৃষক সমাজ এবং তার সাথে প্রত্যক্ষভাবে সম্পর্কিত মানুষরাই সবচেয়ে বেশি অভাব-অনটনে, অশিমায় রোগ শোকে দেনার দায়ে সর্বস্ব হারিয়ে দিনে দিনে নিঃস্ব হচ্ছে। এর অন্যতম কারণ কৃষি উপকরণ ক্রয় ক্ষমতার বাইরে, চড়া দামে কিনতে কৃষি উপকরণ কিনতে বাধ্য হচ্ছে। ধানসহ কৃষি ফসল উৎপাদনকারী কৃষক বেশিরভাগ সময়েই উৎপাদন খরচ তুলতে পারে না।
বর্তমানে ভয়াবহ করোনা ভাইরাস বিস্তারের ফলে কৃষক ক্ষেতমজুর দিনমজুরসহ গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনে নেমে এসেছে ভয়াবহ দু’র্দিন। সরকার সময়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ভয়ানক রূপে করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। তাই অনতিবিলম্বে পুনরায় লকডাউন দিয়ে এবং তা অব্যাহত রেখে গ্রামীণ দরিদ্র মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য ও নগদ অর্থ পৌছে দেয়ার দাবি জানান। সেইসাথে দেশীয় বিজ্ঞানীদের করোনা পরীক্ষার কিট গ্রহণ করে প্রতিদিন ন্যূনতম ৩০ থেকে ৫০ হাজার নমুনা পরীক্ষার ফল প্রকাশ এবং বিনামূল্যে পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করারও দাবি জানান।