শুক্রবার ● ৫ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » ভূবন ত্রিপুরাকে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়েছে ইউপিডিএফ
ভূবন ত্রিপুরাকে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়েছে ইউপিডিএফ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সংগঠক অংগ্য মারমা গতকাল বৃহস্পতিবার, ৪ জুন এক বিবৃতিতে জেলার মানিকছড়িতে ইউপিডিএফের রামগড় উপজেলা ইউনিটের সংগঠক ভূবন ত্রিপুরা ওরফে অপুকে (৪৩) গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে তাকে মুক্তির দাবি করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে সাংগঠনিক কাজে গেলে মানিকছড়ি উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের ন’ভাঙা নামক স্থান থেকে ৩টি মোটর সাইকেলযোগে গিয়ে সাদা পোশাকধারী বাটনাতলী ক্যাম্পের একদল সেনাসদস্য তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
বিবৃতিতে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউপিডিএফের ওপর পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে নেতা-কর্মীদের প্রতিনিয়ত অন্যায়ভাবে ধরপাকড় করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে ভূবন ত্রিপুরাকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
জেলখানায় ইউপিডিএফ নেতা পুলক চাকমার মৃত্যু রহস্যজনক
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সংগঠক অংগ্য মারমা গতকাল বৃহস্পতিবার, ৪ জুন ২০২০ এক বিবৃতিতে গতকাল খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারে ইউপিডিএফের অন্যতম সংগঠক পুলক চাকমার আকষ্মিক মৃত্যুর ঘটনাকে রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের জন্য একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে দাবি জানান।
তিনি বলেন, সুঠাম ও বলিষ্ঠ দেহের অধিকারী পুলক চাকমার অকাল মৃত্যু কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলাজনিত কারণে হয়ে থাকলে দায়িদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
পুলক চাকমা ইউপিডিএফের দায়িত্ব পালনকালে তিন বার গ্রেফতার হন। সর্বশেষ গত ২০১৮ সালের ৩০ মে সেনাবাহিনী তাকে খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি থেকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে এবং তার উপর বর্বর শারীরিক ও মানসিক নিযাতন চালায়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করা হয়।
এসব মামলায় মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পরও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়।
পুলক চাকমা ইউপিডিএফে যোগদানের আগে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাথেও যুক্ত ছিলেন। তিনি পিসিপি খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বেদখল ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সাহসী ভূমিকা পালন করেছিলেন।
অংগ্য মারমা অবিলম্বে কারাগারে আটক সকল ইউপিডিএফ নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের মুক্তি দেয়ার দাবি জানান।