শনিবার ● ৬ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » প্রতিপক্ষের আঘাতে এক নারী মারাত্মক আহত
প্রতিপক্ষের আঘাতে এক নারী মারাত্মক আহত
আব্দুল্লাহ আল মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় মোবাইলে প্রেম ঘটিত কথোপকথনে উত্ত্যক্তকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মাকসুদা(৩২) নামের এক নারী আহত হয়েছেন।
জানা যায়, গত ২ জুন (মঙ্গলবার) বেলা ২ টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। দীঘিনালার চৌংরাছড়ির রসুলপুর গ্রামের বিল্লাল মিয়ার স্ত্রী তার মেয়েকে একই এলাকার ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালক মো: মজনু মিয়া (৩৮) এর মেয়ের দেবর মোবাইলে প্রায় সময় উত্ত্যক্ত করতো। এরই জের ধরে ঘটনার দিন মকসুদা ও মজনু মিয়ার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মজনু মিয়া উত্তেজিত হয়ে মাকসুদাকে ঘরে একা পেয়ে চুলের মুঠি ধরে টেনে বাইরে নিয়ে তলপেটে উপর্যুপরি লাথি এবং চোখ ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কিল-ঘুসিসহ মারাত্মকভাবে জখম করে। এতে করে মাকসুদার তলপেটে রক্তক্ষরণ হয়ে গুরুত্বর আহত হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে অবস্থার অবনতি হলে আহতকে গতকাল শুক্রবার রাত ১০ টায় খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ঘটনার বিষয়ে মজনু মিয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কথা কাটাকাটিতে উত্তেজিত হয়ে আমি মাকসুদাকে কয়েকটি চড় থাপ্পড় দিয়েছিলাম।
এলাকাবাসীরা জানান, মজনু মিয়া প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ইতিপূর্বে প্রায় ৬ মাস আগে হালিমের স্ত্রীর সাথে বাজে আচরণ করায় গ্রাম্য সালিশে সে তার ভূলের ক্ষমা চায়। তাছাড়াও সে এলাকায় নারীঘটিত অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ ঘটনায় আহত মাকসুদার স্বামী বিল্লাল মিয়া বলেন, আমি ইলেকট্রিশিয়ানের কাজে চট্টগ্রামে অবস্থান করি। আমার অনুপস্থিতিতে আমার স্ত্রীকে ঘর থেকে টেনে বের করে অন্য একটি পুরুষ লোক মারধর করে আহত করায় আমি এলাকার গণ্যমান্যদের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার কামনা করি। অন্যথায় থানায় নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করতে বাধ্য হব বলে তিনি জানান।
পানছড়িতে পানিতে ডুবে দু`শিশুর মৃত্যু
খাগড়াছড়ি :: খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় উল্টাছড়ি গ্রামে পানিতে ডুবে দু” শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ শনিবার ৬ জুন বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শনিবার বিকেলে পানছড়ি যুবলীগের সভাপতি আল আমিনের মেয়ে আফরোজা(৬) ও তার ভাগ্নি সেলিমের মেয়ে তৃষা (৮) বাড়ির পাশে পুকুরে ডুবে মারা যায়।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পানছড়ি হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তারা স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় ও ২য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। পানছড়ি থানার ওসি তদন্ত কামরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদশর্ন করেছেন।