শনিবার ● ৬ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » ঝালকাঠিতে ডেইলি স্টার প্রতিনিধির ওপর হামলা
ঝালকাঠিতে ডেইলি স্টার প্রতিনিধির ওপর হামলা
গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ডেইলি স্টার পত্রিকার ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম জুয়েলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে জেলার রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলার এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত জুয়েল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা যায়, আজ দুপুরে রাজাপুর উপজেলা সদরে ইসলামিয়া ফার্মেসী ও এর সামনে আফজাল ফার্মেসীর লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে আফজাল ফার্মেসীর মালিকের ছেলে অপু আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যায়। এ ঘটনার খোঁজ নিতে হাসপাতালে গেলে জুয়েলের ওপর হামলা করে ইসলামিয়া ফার্মেসীর মালিক আহসান হাবিব সোহাগের লোকজন।
আহত জুয়েল অভিযোগ করে বলেন, রাজাপুর সোহাগ ক্লিনিকের অনিয়মের বিষয়ে গত বছর ডেইলি স্টারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল। এতে ক্লিনিক ব্যবসায়ী সোহাগ আমার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। এ ছাড়া আজ সোহাগের মালিকানাধীন ইসলামিয়া ফার্মেসিতে যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে তাতে আহত অপু আমার আত্মীয় হওয়ায় আমি তাকে দেখতে হাসপাতালে যাই। এ সময় সোহাগের নির্দেশে তার ক্লিনিকের কর্মচারী রুহুল আমিনসহ কয়েক যুবক আমার ওপর হামলা করে। এতে আমার ডান হাত ভেঙে যায়। এ ছাড়া ক্লিনিক মালিক সোহাগ আমাকে চাঁদাবাজ সাজাতে মান্নান নামে একজন এ্যাম্বুলেন্স চালককে চাকুরির প্রলভোন দেখিয়ে আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করিয়েছিলেন। মান্নানের সেই শিকারোক্তির ভিডিও চিত্র আমার কাছে রয়েছে’ । এ বিষয় জানতে চাইলে ক্লিনিক ব্যবসায়ী আহসান হাবিব সোহাগ বলেন, ‘আমার নির্দেশে জুয়েলের ওপর হামলা করা হয়েছে এটা সঠিক নয়। বরং আমার কর্মচারি রুহুল আমিনকে মারধর করা হয়েছে। আহত রুহুল আমিন ও হামিম নামে আমার দুইজন কর্মচারী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে জুয়েল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।’
এ বিষয় রাজাপুর থানা ওসি মো. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ফার্মেসির ঘটনা ও সাংবাদিক জুয়েলের ওপর হামলার ঘটনায় উভয় পক্ষই পাল্টাপাল্টি মৌখিক অভিযোগ করেছেন। তারা চাইলে মামলা করতে পারেন। মামলা হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিষখালি নদীতে পড়ে কলেজছাত্র নিখোঁজের ৩ দিন পর মরদেহ উদ্ধার
ঝালকাঠি :: ঝালকাঠির রাজাপুরের বিষখালি নদীতে পড়ে নিখোঁজের ৩ দিন পর রাকিব হাওলাদার নামে এক কলেজ ছাত্রে লাশ উদ্ধার করেছে স্বজনরা।
আজ শনিবার সকালে উপজেলার চল্লিশ কাহনিয়া লঞ্চঘাট সংলগ্ন দক্ষিন পাশে বিষখালি নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ৩ জুন রাত সোয়া ৮ টার দিকে উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের বাদুরতলা বাজার এলাকার লঞ্চঘাটের পল্টুন এলাকা থেকে বিষখালি নদীতে পড়ে নিখোজ হন রাকিব। উপজেলার পুখরিজানা গ্রামের রাজমিস্ত্রি আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে রাকিব বরিশাল হাতেম আলী কলেজে অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র। প্রত্যক্ষদর্শী মতিউর রহমান মতি জানান, ঘটনার সময় নদীতে নোঙর করা একটি বলগেটে উঠে গরমের কারণে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দেয় তারা। এ সময় হঠাৎ প্রচন্ড ঢেউ এসে বালু ভর্তি বলগেটটি তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম দেখা দিলে তাড়াহুড়ো করে বলগেট থেকে লাফিয়ে পল্টুনে উঠার সময় অন্যরা উঠতে পারলেও নদীতে পড়ে যায় রাকিব। এ সময় পল্টুনের সাথে আঘাত লাগে রাকিবের শরিলে। লাশ উদ্ধারের পর তার শরীরে আঘাতের দাগ রয়েছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে পচন ধরেছে বলে জানায় স্বজনরা। রাজাপুর থানার ওসি জাহিদ হোসেন জানান, তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবার আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঝালকাঠিতে এাণের দাবিতে মানববন্ধন
ঝালকাঠি :: ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার আওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের জাঙ্গালীয়া গ্রামে ত্রাণের দাবিতে মাবববন্ধন করেছে ত্রাণ বঞ্চিতরা। আজ শনিবার সকালে জাঙ্গালীয়া গ্রামের সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় শতাধিক লোক অংশ নেয়। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় আব্দুল জলিল হাওলাদার, আনোয়ারা বেগম, আবুল মীরসহ অরো অনেকে।
বক্তাদের অভিযোগ, করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হলেও তারা সরকারি কোন ত্রাণ আজও পায়নি। এমনকি ঘুর্ণিঝড় আম্ফানেও তাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে কিন্তুু তাতেও তাদের ভাগ্যে জোটেনি কোন সরকারি ত্রাণ সহায়তা। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লিটন নকীব তাদের কোন ত্রাণ সহায়তা দেয়নি। বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে তারা খুব অসহায় অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় সরকারি ত্রাণে দাবি জানিয়ে ত্রণ বঞ্চিতরা। এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লিটন নকীব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সরকারি সহায়তার পাশাপাশি আমি ব্যক্তিগত ভাবেও এলাকায় অনেকে ত্রাণ দিয়েছি। এটা আমার প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ মানসম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য কিছু লোক নিয়ে এই মানববন্ধন করেছে।
ঝালকাঠির নলছিটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু
ঝালকাঠি :: ঝালকাঠির নলছিটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেলোয়ার হোসেন (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিউতে তাঁর মৃত্যু হয়। দেলোয়ার হোসেন নলছিটি উপজেলার তিমিরকাঠি গ্রামের নুরুল হকের ছেলে।
শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, দেলোয়ার হোসেন করোনা পজেটিভ ছিলেন। শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যাথা নিয়ে তাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হলে শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
নলছিটির দপদপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ছোহরাব হোসেন বাবুল মৃধা জানান, লাশ গ্রামের বাড়িতে এনে জানাজা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে।