শনিবার ● ৬ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » মৌলভীবাজার » জীবন ঝুঁকিকে তুচ্ছ করে করোনার নমুনা সংগ্রহে ব্যস্ত কমলগঞ্জের করোনা যুদ্ধারা
জীবন ঝুঁকিকে তুচ্ছ করে করোনার নমুনা সংগ্রহে ব্যস্ত কমলগঞ্জের করোনা যুদ্ধারা
এম এ কাদির চৌধুরী ফারহান, কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: করোনায় বিরামহীন স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন সারাদেশের সংশ্লিষ্ট ডাক্তার, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। সারাদেশের ন্যায় কমলগঞ্জেও থেমে নেই স্বাস্থ্যকর্মীদের কর্মযজ্ঞ। দিন-রাত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনার নমুনা সংগ্রহ ও আক্রান্তদের নিয়মিত স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছেন তারা।
গত বৃহস্পতিবার ৫ জুন ৪টি সহ কমলগঞ্জ উপজেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট-৩৬১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
করোনার সন্দেহজনক উপসর্গ দেখা দিলেই কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিম নমুনা সংগ্রহ করতে ছুটে যান। ঈদসহ অনেক আনন্দকে পাশ কাটিয়ে দিনের পর দিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। পরিবার পরিজনের মায়া ত্যাগ করে এই ক্রাইসিস মুহূর্তে তাঁরা মানবতার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা মনে রাখবে চিরকাল কমলগঞ্জবাসী। তাদের ত্যাগ ও অবদান নিঃসন্দেহে অভিবাদন পাওয়ার যোগ্য। করোনা কালে করোনাযুদ্ধের অগ্রসৈনিক এই স্বাস্থ্যকর্মীরা।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতার ডাঃ মাহবুবুল আলম ভূইয়ার নির্দেশনায় নমুনাগুলো সংগ্রহ করা হয়।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নমুনা কালেকশন টিমের সদস্যরা হলেন- ডাঃ সৌমিত্র সিনহা (মেডিকেল অফিসার), সুর্নিমল কুমার সিংহ (মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট), নরুল হক(ড্রাইভার), আশরাফুল আলম (ই.পি.আই)।
আলাপকালে করোনা যুদ্ধারা জানান, আমরা করোনা রুগি শনাক্তকরণে নমুনা সংগ্রহ করতে প্রথমেই নিজের ও রুগির উভয়েরই সেইটি নিশ্চিত করি। এর পরও জিবনের ঝুঁকি থেকেই যায়। সেই ঝুঁকি তুচ্ছ মনে হয় মানুষের কষ্ট দেখে। আবার অনেক সময় অপরাধবোধও হয় মানুষের আড়চোখে তাকানো দেখে।
তারা আরো জানান, সমাজের অনেকেই করোনা রুগীদের পাশাপাশি আমাদেরকেও খারাপ চোখে দেখে, খারাপ মন্তব্য করে। তবুও পরিবারের সবাইকে নিরাপদ রেখে সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং নিজের কর্মক্ষেত্রকে সম্মান করে কাজ করে যাচ্ছি।
তারা সবাইকে অনুরোধ করেন বলেন, করোনায় সংক্রমিত হওয়া কোন অপরাধ নয়। করোনা পজেটিভ মানেই মৃত্যু নয়। করোনা রুগীর প্রতি সদয় মনোভাব দেখান, সামাজিক সচেতনতাই পারে করোনা ভয়কে জয় করতে।
কমলগঞ্জে বজ্রপাতে এক ছাত্রের মৃত্যু
কমলগঞ্জ :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুরে গরু চড়াতে গিয়ে মাদ্রাসা পড়ুয়া এক ছাত্রের মূত্যু হয়।
জানাযায়, মখাবিল গ্রামের অনু মিয়ার ছেলে মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র লতিফুর রহমান (১৭) আজ শনিবার ৬ জুন বিকাল ৪টায় বাড়ীর অদুরে মখাবিল বিওপি ক্যাম্পের পার্শ্বে মাঠে গরু চড়ানোর সময় বজ্রপাতে গুরুত্বর আহত হয়। আহতবস্থায় স্থাণীয়রা তাকে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ সদর হাসাপাতালে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কমলগঞ্জ থানার এএসআই আনিসুর রহমান বজ্রপাতে মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
চা-বাগানে চোলাই মদের রমরমা ব্যবসা : স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে মাদক সেবীরা
কমলগঞ্জ :: মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার চা বাগান সমুহে আইনশৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ম্যানেজ করে চলছে নিন্মমানের চোলাই মদের রমরমা ব্যবসা। নিন্মমানের মাদক সেবনের কারনে স্বাস্থ্য ঝুঁকির পাশাপাশি তরুন সমাজ হচ্ছে বিপথগামী।
জানাযায়, কমলগঞ্জ উপজেলার ১৪টি চা বাগান রয়েছে। এসব বাগান সমুহের প্রতিটিতেই রয়েছে বৈধ মাদকের পাট্রা। মাদক সহজ লভ্য হওয়ার কারনে বাগানের শ্রমিক সহ উঠতি বয়সের যুবকরা মাদকের দিকে ধাবিত হচ্ছে। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে এক শ্রেণীর অসাধু সুযোগ সন্ধানী ব্যবসায়ীরা নিন্ম মানের চোলাই মদ, হাঁড়িয়া মদ তৈরী করছে। সব ছেয়ে বেশী লক্ষ্য করা যাচ্ছে পাত্রখোলা, মাধবপুর, আলীনগর, মদনমোহনপুর, চাতলাপুর, শমসেরনগর, কানিহাটি, দেওড়াচড়া চা-বাগান সমুহে।
এদের মধ্যে পাত্রখোলা চা বাগানের বাজার লাইনের লামিয়া অলমিক, লেলামা অলমিক, ববই মান্দ্রাজি, সোনা অলমিক, পটক লাল এর বাড়ীতে উঠেছে এসব চোলাই মদ ও হাড়িয়া তৈরীর কারখানা।
এসব মাদক সেবন করে অনেক সময় সেবীরা মাতাল অবস্থায় বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। এছাড়া রাস্তার যেখানে-সেখানে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই সব সেবনকারীদের মধ্যে চা শ্রমিক ছাড়া ও বস্তি এলাকার উঠতি যুবকরা ও এতে ঝুঁকে পড়ছে। ফলে চা বাগানের শ্রমিক পরিবার সহ সেবীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে ।
এ ব্যাপারে বাগানের চা শ্রমিক ও সচেতন নাগগরিকরা স্থানীয় প্রশাসন ও বাগান কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন।