রবিবার ● ৭ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর করোনায় আক্রান্ত
পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর করোনায় আক্রান্ত
মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, বান্দরবান প্রতিনিধি :: বান্দরবানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি’র করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। গতকাল শনিবার (৬ জুন) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়ার বরাত দিয়ে বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডাঃ অংসুই প্রু মারমা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৬ জুন) পুরো জেলায় ৯ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এতে সদর উপজেলায় ৫ জনের মধ্যে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর ও ১জন জেলা পরিষদের কর্মচারী নাম রয়েছে। আর বাকিরা রুমা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার। এ পর্যন্ত বান্দরবান জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৪৬ জন। এরইমধ্যে ১৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। মৃত্যু হয়েছে এ পর্যন্ত দুইজনের।
এদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর ছড়িয়ে পড়লে বান্দরবান শহর সহ জেলার ৭ উপজেলায় হাজার হাজার নেতাকর্মীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে মন্ত্রী বীর বাহাদুর নেতাকর্মীদের আতঙ্কিত না হয়ে তার জন্য দোয়া আশীর্বাদ করার জন্য অনুরোধ জানান।
অন্যদিকে, বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা আমিরুল আজীজ শনিবার (৬ জুন) সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে মারা গেছে বলেও নিশ্চিত করেছেন বান্দরবানের সিভিল সার্জন।
এ ব্যাপারে বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডাঃ অং সুই প্রু মারমা পার্বত্য মন্ত্রীর বাসভবন থেকে মুঠোফোনে বলেন, পার্বত্য মন্ত্রীর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তবে তিনি বর্তমানে শারীরিক ভাবে সুস্থ রয়েছেন। রবিবার সকালে হেলিকপ্টারযোগে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপিকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা সিএমএইচে নেওয়া হবে ও আলীকদমের কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে মারা গেছে বলেও তিনি জানান।
বান্দরবান শহরে করোনার লক্ষণ নিয়ে ১ জনের মৃত্যু
বান্দরবান :: বান্দরবান শহরের বনরুপায় করোনা লক্ষণ নিয়ে শাহাজাহান নামে অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারী কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার (০৬ জুন) বিকালে শহরের বনরুপা পাড়ায় জ্বর, সর্দি-কাশি, গলাব্যাথা’সহ করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান তিনি। তিনি বিটিসিএল অফিসের অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারী ছিলেন।
নিহতের আত্মীয় মোহাম্মদ ইকবাল জানান, আমার আঙ্কেল সপ্তাহখানেক ধরেই জ্বর সর্দি-কাশি, বুকে ব্যাথা’সহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে অসুস্থ ছিলেন। হিলভিউ বেসরকারকারী হাসপাতালের মাধ্যমেই চিকিৎসা নিয়েছেন। কিন্তু শনিবার সকালে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল, দায়িত্বরত চিকিৎসকরা বেশকয়েকটি পরীক্ষার কথা বলেছিলেন। তবে সারাদিন বিদ্যুৎ না থাকায় পরীক্ষা করতে না পারায় পরেরদিন পুনরায় হাসপাতালে নেয়ার কথা বলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরে বিকালেই তিনি মারা যান। আমার জানা মতে করোনা পরীক্ষার জন্য সমুনা নেয়া হয়নি।
বান্দরবান সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা: জসিম উদ্দিন বলেন, বনরুপা পাড়ায় একজন রোগী মারা গেছে খবর পেয়েছি। অসুস্থ অবস্থায় সকালে রোগী’কে বান্দরবান হাসপাতালে আনা হয়েছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় রোগীর বিভিন্ন পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। পরেরদিন হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য আসতে বলা হয়েছিল। তবে করোনা উপসর্গ নিয়ে আলাদা কোনো রোগী করোনা ইউনিটে এসেছিলেন কিনা, সেটি আমার জানা নেই।