বুধবার ● ১০ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » কৃষি » আত্রাইয়ে মাঠে মাঠে জলাবদ্ধতা
আত্রাইয়ে মাঠে মাঠে জলাবদ্ধতা
নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) :: নওগাঁর আত্রাইয়ে মাঠে মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ফলে কৃষকদের মাঝে দেখা দিয়েছে উদ্বিগনতা। উপজেলার প্রতিটি এলাকার কৃষকদের আমন ধানের বীজতলা পানির নিচে ডুবে যাওয়ায় তারা আমনের চারা উৎপাদন করতে পারছে না।
জানা যায়, উপজেলার শাহাগোলা, কাশিমপুর, ভোঁপাড়া, জামগ্রাম, মনিয়ারী, নওদুলী, পালশা, চৌথলসহ পূর্ব এলাকার মাঠগুলো আমন চাষের জন্য বিখ্যাত। এসব এলাকার কৃষকরা বোরো ধান ঘরে তোলার পর পরই আমনের বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এলাকা জুড়ে চিনি আতপ, জিরাসাইল, পাইজামসহ বিভিন্ন জাতের আমন ধানের আবাদ করে থাকে। কিন্তু এবারে বোরো ধান কাটা শেষ হতে না হতেই অতি বর্ষণ এবং নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিটি মাঠে বন্যার পানি ঢুকে মাঠে জলাদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে আমন ধানের চাষ নিয়ে কৃষকরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানা যায়, উপজেলার ৮ ইউনিয়নে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়। এর মধ্যে মনিয়ারী, ভোঁপাড়া ও শাহাগোলা ইউনিয়নে সর্বাধিক পরিমাণ জমিতে আমন চাষ করা হয়। গত বছর আমন চাষের মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে চিনি আতপ ধানের চাষ হয়েছিল। এতে করে কৃষকরা ব্যাপক লাভবানও হয়েছিল। এবারে আগাম বন্যার পানি মাঠে চলে আসায় আমনচাষ ব্যহত হতে পারে।
উপজেলার উঁচলকাশিমপুর গ্রামের বেলাল হোসেন বলেন, আমাদের বোরো ধান কেটে শেষ না করতেই মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মাঠ পানিতে ভরে গেছে, আমন ধানের আবাদ এবারে করা সম্ভব হবে না।
চৌথল গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেন বলেন, আমাদের এলাকার জমিগুলোতে যেমন বোরো চাষ হয়। তেমনি আমন ধানে চাষও ব্যাপক হয়ে থাকে। গতবার আমরা প্রচুর পরিমানে চিনি আতপ ধানের চাষ করেছিলাম। তাতে ফলনও হয়েছিল ভাল। কিন্তু এবারে বীজতলা তৈরি করতেই পারলাম না। কিভাবে আমন চাষ করবো তা নিয়ে হতাশায় রয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কেএম কাউছার হোসেন বলেন, হঠাৎ করে অতি বর্ষণের ফলে মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নদীর পানি কিছুটা কমলে মাঠের পানিও কমে যাবে। আমরা আশা করছি মাঠে পানি নেমে গেলে কৃষকরা পুরোদমে আমনচাষ করতে পারবে। যেহেতু আমন চাষের মৌসুম এখনো শুরু হয়নি।
আত্রাইয়ে প্রথম করোনায় আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিকে দাফন
আত্রাই :: নওগাঁর আত্রাই উপজেলার দ্বীপচাঁদপুর গ্রামের পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল জলিল (৫৫) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তাঁর নিজ গ্রামে এই প্রথম করোনায় আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিকে দাফন করা হলো। এদিকে এ ঘটনায় ওই গ্রামে অনেকটা আতঙ্কও বিরাজ করছে।
আত্রাই থানার ওসি মোসলেম উদ্দিন জানান, উপজেলার দ্বীপচাঁদপুর গ্রামের পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল জলিল কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে পুলিশের ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি সম্প্রতি ছুটিতে বগুড়ায় তার বাসায় এলে কয়েকদিন আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার বেলা ৩ টার দিকে তিনি মারা যান। পরে তার লাশ গ্রামের বাড়ি আত্রাইয়ে নিয়ে আসা হয়। সংবাদ পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে লাশকে গার্ড অব অনার প্রদর্শন করে স্বল্পসংখ্যক লোকের উপস্থিতিতে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে জানাজার নামজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।