মঙ্গলবার ● ৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাজীপুরে স্কুলছাত্রী ফারিয়া হত্যার দায়ে দুইজনের ফাঁসি
গাজীপুরে স্কুলছাত্রী ফারিয়া হত্যার দায়ে দুইজনের ফাঁসি
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ : বাংলাদেশ : সময় : রাত ৭.২০মিঃ) গাজীপুরের কোনাবাড়িতে বাড়ির মালিকের স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে হত্যার দায়ে বাড়ির কেয়ারটেকার ও দারোয়ানের ফাঁসি এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত৷
এছাড়া হত্যাকাণ্ডের তথ্য গোপন করার দায়ে একজনের ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়৷
৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক জনাকীর্ন আদালতে দীর্ঘ স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও উভয়পক্ষের শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করেন৷
এসময় মামলার বাদীসহ দুই আসামি আব্দুল আলিম ও তার স্ত্রী আদালতে উপস্থিত ছিলেন৷ অপর আসামি জামিন লাভের পর থেকে পলাতক রয়েছেন৷
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, বাড়ির কেয়ারটেকার মো. সুমন শেখ ও দারোয়ান আ. আলীম৷ অপর দণ্ডিত হলেন, আ. আলীমের স্ত্রী শেফালী বেগম৷ সুমন ফরিদপুর জেলার মাইজা মিয়ার ডাঙ্গী গ্রামের আক্কাছ আলীর ছেলে ও আলীম সিরাজগঞ্জ জেলার ধুকুরিয়া বেড়া গ্রামের মৃত গোলাম মুর্তজার ছেলে৷
মামলার সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার মো. আক্তারুজ্জামানের মেয়ে ফারিয়া স্থানীয় শাহিন ক্যাডেট স্কুলের ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ত ৷ ২০১৪ সালের ১৪ জুলাই সকালে ফারিয়া আক্তার স্কুলের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়৷ বিকেলে তাকে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নেয়া হয় ৷ পরে বাড়ির কেয়ারটেকার সুমন শেখ ও দারোয়ানকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানে না বলে জানায়৷ পরে মারিয়ার আত্মীয় স্বজনরা বাড়ির গ্যারেজের ভেতর খোঁজ করতে চাইলে দারোয়ান আব্দুল আলিম ও তার স্ত্রী মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের বিভ্রান্ত করে ৷ রাতে স্থানীয় লোকজন অভিযুক্তদের হেফাজত থেকে গ্যারেজের চাবি নিয়ে তালা খুলে সুমনের চৌকির নিচে মারিয়ার লাশ দেখতে পান ৷ পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তদের আটক করে ৷
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আক্তারুজ্জামান ১৫ জুলাই জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন ৷ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলম চাঁদ তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন ৷ দীর্ঘ শুনানির পর আদালত সুমন শেখ ও আব্দুল আলিমকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেন ৷ একই সাথে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ৷
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি পিপি এডভোকেট হারিছ উদ্দিন আহমদ ও আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট স্টেট ডিফেন্স জিয়ারত হোসেন জিয়ারত হোসেন৷ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও নিহতের স্বজনরা সন্তোষ প্রকাশ করেন৷
পিপি অ্যাডভোকেট হারিছ উদ্দিন আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে বলেন, দুইজনের ফাঁসি ও প্রত্যেককে ১০হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে৷ একই সঙ্গে তথ্য গোপন করার দায়ে একজনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়৷