রবিবার ● ১৪ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আজ পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা ৯৩
ঝিনাইদহে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আজ পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা ৯৩
মো. জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহো চিকিৎসক আলতাফ হেসেনসহ রবিবার নতুন আরো ১১ করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে হরিনাকুন্ডু ২ জন, কালিগঞ্জে ৩ জন, কোটচাঁদপুরে ৫ জন ও মহেশপুরে ১ জন রয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত দাড়াল ৯৩ জন। শনিবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০জন। দিনদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় প্রশাসন আক্রান্ত চিকিৎসক মোকাররম হোসেন ও গোলাম রহমানের চেম্বার সমতা ডায়গস্টিক সেন্টার,সাহিদা ও নূরজাহান ডায়গস্টিক সেন্টার লকডাউন ঘোষনা করেছে। অন্যদিকে জেলার শহর ও গ্রাম পর্যায়ের সব দোকান-পাট বেলা ২টা পর্যন্ত চলবে এবং এরপর দোকান-পাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করেছে জেলা করোনা কমিটি। এনির্দেশ অমান্য কারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের ঘেষনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম জানান, খুলনা মেডিকেল কলেজ ল্যাব থেকে আজ রবিবার ৮৫ জনের রিপোর্ট এসেছে। রিপোর্টে ১১ জন পজেটিভ, এবং ৭৪ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ। জেলায় মোট আক্রান্ত ৯৩ জন। আক্রন্তদের মধ্যে চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ ৪৩ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে শৈলকুপায় ১ জন মারা গেছেন। সদর হাসপাতালসহ ৬ উপজেলার কোনো হাসপাতালেই কোন আইসিইউ ইউনিট ও ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা নেই। তবে জেলায় অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুদ রয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাগন।
বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা, হাট-বাজারগুলোতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দুরত্ব
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে প্রতিদিন বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ১১ জন আক্রান্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৯৩ জন। এদিকে প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়লেও হাট-বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে মানা হচ্ছে না সামাজিক দুরত্ব। ক্রেতা বিক্রেতারা স্বাভাবিক সময়ের মতই কেনা-বেঁচা করছেন। করোনা সংক্রমন ঠেকাতে মাইকে প্রচারনা চালানো হলেও তা গুরুত্ব দিচ্ছে না কেউ। এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যে অবরুদ্ধ অবস্থায় ঝিনাইদহে মানুষকে ঘরে রাখা যাচ্ছে না বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রশাসনের কর্তারা। এখানে সামাজিক দূরত্ব মানছে না মানুষ। হাট-বাজারে ভিড় করছে। গায়ে গা ঘেঁষে চলছে কেনা-বেঁচা। সরেজমিনে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলা শহরে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও উপজেলা শহর ও গ্রামীণ হাট-বাজারগুলোতে মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। কিছু কিছু দোকান সীমিত আকারে খুলে কেনাবেঁচা করছে। আইনকে তোয়াক্কআ না করেই গণপরিবহন, ভ্যান, ইজিবাইক, নসিমন ও অটোরিকশায় নিয়মের অতিরিক্ত মানুষজন চলাচল করছে। মানুষ গাদাগাদির করে যাতায়াত করছে তাতে। প্রশাসন এখনও ঝিনাইদহ জেলা অবরুদ্ধ করেনি। শৈলকুপার ভ্যান চালক মশিউর রহমান বলেন, “পেটের তাগিদে ভ্যান চালাচ্ছেন। অগে দিনে ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা আয় হতো। এখন দেড়-দুশো টাকা আয় হচ্ছে। গ্রামীণ রাস্তায় চলাচলে বাধা নেই। উপজেলা সদরে মাঝে মাঝে পুলিশ বাধা দিচ্ছে।” সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক আব্দুল হান্নান বলেন, জেলা শহরে যেতে দিচ্ছে না। সড়ক মহাসড়কে চালাচ্ছেন। পুলিশ মাঝে মাঝে বাধা দিচ্ছে। জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাখ বলেন, “মানুষকে ঘর থেকে বেরুনো ঠেকানো যাচ্ছে না। তারা প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানাও করা হচ্ছে। মানুষ সচেতন হচ্ছে না। হাট-বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে না।” ঝিনাইদহ জেলায় এ পর্যন্ত ২১ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে বলে জানান তিনি। পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। পুলিশ মানবিক আচরণ করছে। নিষ্ঠুর হতে পুলিশ সদস্যদের নিষেধ করা হয়েছে।
অস্ত্র-স্বর্ণ-মাদক সিনডিকেটের গডফাদার ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুরের সেই রেজাউল দালাল অবশেষে যশোরে গ্রেফতার
ঝিনাইদহ :: দক্ষিণ-পশ্চিমা অঞ্চলের অস্ত্র, স্বর্ণ, মাদক সিন্ডিকেটের গডফাদার কুখ্যাত সন্ত্রাসী রেজাউল পাঠান ওরফে রেজাউল দালালকে অবশেষে যশোহরের শার্শা থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে ওই রাতেই কোটচাঁদপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলে শনিবার দুপুরের পর রেজাউল দালালকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে পুলিশ। অদৃশ্য কারণে থানা পুলিশ অনেকটা গোপনে একাজ গুলি সারেন। রেজাউল দালালের বিরুদ্ধে কোটচাঁদপুর থানাসহ বিভিন্ন থানায় ৭/৮টি মামলা রয়েছে তার মধ্যে অস্ত্র, ডাকাতি, দস্যুতা, মাদক ও চাঁদাবাজী। এর আগে রেজাউল দালালকে ধরতে পুলিশ, র্যাব, ডিবি দফায় দফায় বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়। সে দীর্ঘদিন পলাতক জীবন যাপন করে আসছিল। যশোহর শার্শা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) বদরুল আলম খান এ প্রতিবেদককে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার বাগআচড়া এলাকা থেকে সন্ত্রাসী রেজাউল দালালকে আটক করা হয় শুক্রবার রাতে। ওই রাতেই তাকে কোটচাঁদপুর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছি। তিনি বলেন সে ২/৩ ধরে এ এলাকায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করে আসছিল। কোটচাঁদপুর থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুবুল আলম বলেন, সন্ত্রাসী রেজাউলকে র্শাশা থানা থেকে আনার পর তাকে আদালতে সোপার্দ করা হয়েছে। তবে দিনব্যাপি বৃষ্টি ও ব্যস্ততার কারণে আপনাদেরকে জানাতে পারিনি। পার্শ্ববর্তী মহেশপুর থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোরশেদ খান বলেন, রেজাউলের বিরুদ্ধে আমার থানায় ১টি ডাকাতি ও ২টি দস্যুতার মামলা রয়েছে।
কে এই রেজাউল দালাল ?
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর শহরের আদর্শ পাড়ার মৃত মমিন পাঠানের ছেলে রেজাউল পাঠান। তিনি ছিলেন ভবঘুরে। অভাব অনটনের সংসার। টাকা রোজগারের জন্য তার মাকে চলে যেতে হয় দেশের বাইরে। সেখান থেকে মা যৎসামান্য যা পাঠাতেন, তাই নিয়ে কষ্টের মধ্যে চলতো তার দিন। এলাকার মানুষের ভাষ্য মতে, মাঝে-মধ্যেই দেখা যেত গ্রামাঞ্চলে থানার কোনো কর্মকর্তা মামলার তদন্ত সংক্রান্ত কাজে গেলে রেজাউল পাঠান তার ৭০সিসির মোটরসাইকেলে তাদের বহন করতেন। বিনিময়ে কিছু টাকা পেতেন। এ ভাবে পুলিশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠার একপর্যায়ে তিনি সোর্স হিসেবে কাজ করা শুরু করেন। চোরাচালানিদের আনা ভারতীয় মাদক, চিনি, লবণ, শাড়ি-কাপড় থেকে শুরু করে আসামি ধরিয়ে দেওয়ার কাজে নেমে পড়েন তিনি। বছর দুয়েকের মধ্যে তিনি পুলিশের আস্থাভাজন সোর্স হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। এলাকায় রেজাউল পাঠান থেকে পরিচিতি পান রেজাউল দালাল হিসাবে। পুলিশের আস্তাভাজন হওয়ার সুযোগে সুচতুর রেজাউল সোর্সের কাজের পাশাপাশি নিজেই মাদক ব্যবসার সি-িকেট গড়ে তোলেন। পাশাপাশি পুলিশের অন্য সোর্সদের মাদক দিয়ে পুলিশে হাতে ধরিয়ে দেয়াসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করতে থাকেন। পরে নিজেই আবার ওই সোর্সদের জামিনে ছাড়িয়ে এনে নিজের পক্ষে ভেড়াতেন। ফলে অন্য সোর্সরা ঝামেলা এড়াতে রেজাউলের পক্ষে ছাড়া পুলিশের পক্ষে কাজ করতে না চাওয়ায় এলাকায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সোর্স হিসাবে রেজাউলের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে তার প্রকাশ্য উপস্থিতি রেজাউলের ক্ষমতার জানান দেয়। হয়ে ওঠেন বেপরোয়া। মাদক সি-িকেটের পাশা পাশি যোগ করেন স্বর্ণ ও অস্ত্র চোরাচালান ব্যবসা। অভিযোগ রয়েছে, রাতের বেলায় অপরিচিত লোককে পুলিশের পোষাক পরিয়ে কোটচাঁদপুর-জীবননগর মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কের নির্জন স্থানে গাড়ি থামিয়ে রেজাউল তল্লাশি করতো। এধরণের গুরুতর অপরাধ প্রচার হয়ে পড়ায় র্যাব-পুলিশ তাকে গ্রেফতারের জন্য বেশ কয়েক বার অভিযান চালায়। কিন্তু রেজাউল দালালকে ধরা সম্ভব হয়নি। পরে বিশেষ কায়দায় কিছু মাদক ও স্বর্ণের চালান ধরিয়ে দিয়ে আবারো প্রশাসনিক কর্তাদের আস্তাভাজন হয়ে ওঠে সে। সে সময় কয়েকটি স্বর্ণের বড় ধরণের চালান ধরিয়ে দিয়ে রেজাউল দালালেরও রাতারাতি আর্থিক অবস্থা পাল্টিয়ে যায়। একাধিক সূত্র জানায় স্বর্ণ চোরাচালানীদের চালান বার বার ধরা পড়ায় তারা হতাশ হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে তারাও সে সময় রেজাউল দালালের স্বরণাপন্ন হয়। পরে রেজাউল দালাল তাদেরকে নিয়ে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের স্বর্ণ ও অস্ত্র চোরাচালানের শক্ত সি-িকেট গড়ে তোলেন। তার পর থেকে সে ধরণের আর কোন স্বর্ণের চালান ধরা পড়েনি। রেজাউল দালাল চোরাচালানসহ নানাবিধ অপরাধ মূলক কাজে সফল হওয়ায় কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান খুবই অল্প সময়ে। সে সময়ে তিনি দুই তলা বাড়ী তৈরী করনে তাতে করেন শীতাতাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। করেন বাড়িতে আধুনিক বিলাস-ব্যসনের সকল ব্যবস্থাও।বাড়ীর আসপাশসহ ৪শ গজ দূর পর্যন্ত ১ ডর্জন সিসি টিভি ক্যামেরা বসান। নিজ এলাকাসহ শ্বশুর বাড়িতে কেনেন কয়েক বিঘা জমি। এর বাইরেও নামে-বেনামে অনেক টাকাও সম্পদের মালিক তিনি। এরপর কপর্দকশূন্য রেজাউল দালাল স্বপ্ন দেখেন কোটচাঁদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর হবার। গত পৌর নির্বাচনে পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে দাড়ান তিনি। নিজ এলাকা ও বাইরের সন্ত্রাসী এনে এলাকার সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে নির্বাচিত হয়ে যান। সেই ভোটে ৪০-৫০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। কাউন্সিলর হওয়ার পর তার দৌরাত্ব্য আরো বেড়ে যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার মানুষ বলছেন, বিচারের নামে বাড়িতে আটকে রেখে বহু লোকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন রেজাউল। এ ছাড়া তার পোষ্য বাহিনী দিয়ে সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে এলাকায় রেজাউল দালাল আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এলাকার সাধারণ মানুষ। রেজাউল দালাল ওরফে রেজাউল পাঠান কোটচাঁদপুর সাধারণ মানুষের কাছে একটি ভীতিকর নাম হয়ে ওঠে। এদিকে আগের মতই চালিয়ে যান তিনি স্বর্ণ ও অস্ত্র ব্যবসা। রেজাউল দালালের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে গ্রেফতারের দাবীতে কোটচাঁদপুর শহরে মানববন্ধন, মিছিলও করে এলাকাবাসী। পরে এলাকাবাসীর পক্ষে রেজাউল দালালের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন কোটচাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহ্বায়ক শহিদুজ্জামান সেলিম। অবশেষে ২০১৫ সালের ২৬ জুন রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রেজাউল দালালের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ১টি বিদেশী পিস্তল, ৪০ রাউ- গুলি, প্রচুর পরিমানে ফেনসিডিল, ইয়াবা, চাইনিজ কুড়াল, হাসুয়া, ইয়ারগানের বাট, লক্ষাধীক নগদ টাকা, পুলিশের পোষাক ও হ্যা-কাপ এবং বিভিন্ন অধৈক জিনিসসহ রেজাউল দালাল ও তার ২ সহযোগীকে আটক করে। বছর না ঘুরতেই জামিনে আসলে ব্যার আবারো রেজাউল দালালকে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে পুনরায় জেলে পাঠায়। পরবর্তীতে জেল থেকে বের হয়ে এসে ১৮ সালের প্রথম দিকে মহেশপুরের পুরন্দপুর নামক স্থানে তার বাহিনী নিয়ে ডাকাতি করে। তারপর থেকে পুলিশ র্যাব ডিবি আরো তৎপর হলে সেই থেকে সে পলাতক জীবন যাপন করে আসছে। অথচ দীর্ঘ ২ বছর পৌর সভায় অনুপস্থিত থেকেও তার কাউন্সিলর পদটি আছে বহাল তবিয়তে।
ভাইয়ের রক্তাক্ত শরীর দেখে ছোট ভাই হার্ট এ্যটাকে মৃত্যু
ঝিনাইদহ :: মধ্য রাতে হামলায় বড় ভাইয়ের রক্তাক্ত শরীর দেখে ছোট ভাই হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের রিশখালী গ্রামে। মৃত ব্যক্তির নাম আব্দুস সাত্তার (৫৫)। তিনি ওই গ্রামের আব্দুস সামাদ মোল্লার ছেলে। গ্রামবাসি জানায় সাবেক চেয়ারম্যান ছাব্দার রহমানের ভাতিজা হাফিজুর রহমানের নারি ঘটিত একটি বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য শনিবার মধ্যরাতে প্রতিবেশি আবুল কালাম ও লিটন ওরফে লাল্টুসহ ৮/১০ ব্যক্তি ছাব্দার রহমানের বাড়িতে প্রবেশ করে। এ নিয়ে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে আবুল কালাম ও লিটন ছাব্দারের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে তিনি রক্তাক্ত জখম হন। পাশে দাড়িয়ে থাকা ছোট ভাই আব্দুস সাত্তার বড় ভাইয়ের রক্তাক্ত শরীর ও লোকজনের চিৎকার চেচামিতে হার্ট এ্যাটাক করে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরণ করেন। এ ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান ছাব্দার রহমান জানান, আমরা রাতে বাড়ীতে ছিলাম হঠাৎ কালাম, লিটন ওরফে লাল্টুসহ আট-দশজন লোক আমাদের ডাক দিলে আমরা সরল বিশ্বাসে প্রতিবেশী ভেবে ডাকে সাড়া দিয়ে বের হলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তারা আমার মাথায় আঘাত করে। এসময় আমি রক্তাক্ত হলে আমার ভাই স্ট্রোক করে মারা যান। তিনি বলেন গভীর রাতে হামলা ও রক্তাক্ত হওয়া দেখেই আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে হরিণাকু-ু থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন মৃত ব্যাক্তির শরীরের রিং পরানো ছিল। তিনি হার্টের রোগী। হয়তো গোলযোগ আর চিৎকার চেচামেচিতে তার হার্ট এ্যাটাক হতে পারে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠিয়েছি।
বাল্য বিবাহের দায়ে ভ্রাম্যমান আদালতে উভয় পক্ষকে জরিমানা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলাতে বাল্য বিবাহ দেওয়ার দায়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ডাকবাংলা নিবাসি বরের অভিভাবকে ১০ হাজার ও উপজেলার পার্বতীপূর গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ুয়া কনের পিতা হোটেল মালিক মোঃ ইসাহককে ৫ হাজার টাকা, মোট নগদ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সৈয়দা নাফিস সুলতানা, শনিবার দুপুরে তিনি এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি কনের পিতার নিকট থেকে ১৮ বৎসর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ বা সংসার না করতে দেওয়ার শর্তে মুচলেকা আদায় করেন। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালোনা কালীন সময় থানা সেকেন্ড কর্মকর্তা এস আই বিশ্বজিৎ পাল ও ইউএনও এর সার্টিফিকেট সহকারী উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের হানায় ভূয়া ডেন্টাল ডাক্তারসহ ছেলে আটক, দোকান সিলগালা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজারে আজ রবিবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর অভিযানে দুই ভুয়া ডেন্টাল ডাক্তারকে আটকের পর দোকান সিলগালা করে দেয়া হয়। জানা গেছে, সম্প্রতি ভয়াবহ করোনা ভাইরাসে মানুষ যখন এক গন্ডির মধ্যে ঠিক তখনই ডাকবাংলা মিনি শহর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাবা-ছেলে ভুয়া ডেন্টাল ডাক্তার লোকজনকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ডাবলু বলেন, আমি ৮ম শ্রেণী পাস, আমার অনেক দিনের অভিজ্ঞতা, আমার আরও একটা চেম্বার আছে হরিনাকুন্ডতে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হেদায়েতুল্লাহ ডাকবাংলা মিনি শহর এর “ফাতেমা ডেন্টাল কেয়ার” এর মালিক ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়নের রাঙ্গের পোতা গ্রামের মাহতাব উদ্দিন এর ছেলে ভূয়া ডেন্টাল ডাক্তার ডাবলু রহমানকে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ মেডিকেল এর ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২২ ধারায় ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ডাবলুর ছেলে রাব্বুল ছাত্র হওয়ায় ১৮৬০ এর ১৮৭ ধারায় ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিতসহ “ফাতেমা ডেন্টাল কেয়ার” মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে সিল গালা করে দেন। ডাকবাংলা ক্যাম্প ইনচার্জ মোকলেছুর রহমানের সহযোগিতায় এই সিলগালা করেন। এবিষয়ে ঝিনাইদহের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেদায়েতুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, ফাতেমা ডেন্টাল কেয়ার এর মালিক ডাবলু তিনি ডাক্তার হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন যেটা বাংলাদেশ মেডিকেল ডেন্টাল কাউন্সিলে দন্ডনীয় অপরাধ এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাথে খারাপ আচরণ ও আক্রমনাত্তক আচরণ করাই ডাবলু রহমানকে মেডিকেল এর ডেন্টাল কাউন্সিল আইনে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারান্ড ও ডাবলুর ছেলে রাব্বুল ছাত্র হওয়ায় ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দন্ডিতসহ “ফাতেমা ডেন্টাল কেয়ার” মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে সিল গালা করা হয়।
ঝিনাইদহে আরো ১১ জনের করোনা শনাক্ত
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ জেলায় নতুন করে আরও ১১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আজ রবিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম। তিনি জানান, কুষ্টিয়া ও খুলনা ল্যাব থেকে ৮৫টি নমুনার রিপোর্টে ১১ জন করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে কোটচাঁদপুরে ৫ জন, কালীগঞ্জে ৩ জন ও হরিণাকুন্ডুতে ২ জন ও মহেশপুর উপজেলায় ১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট জেলায় ১২৮৮ টি নমুনার রিপোর্টে ৯৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪৩ জন।