মঙ্গলবার ● ১৬ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহে বেড়েই চলেছে করোনা : জেলায় মোট আক্রান্ত ১০৪,সুস্থ ৪৩ জন
ঝিনাইদহে বেড়েই চলেছে করোনা : জেলায় মোট আক্রান্ত ১০৪,সুস্থ ৪৩ জন
মো. জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ জেলায় বাড়ি এ পর্যন্ত এমন চার জন ব্যক্তি করোনায় মৃত্যু বরণ করেছেন। এর মধ্যে আপন দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয় ঢাকায়। তাদের বাড়ি হরিণাকুন্ডু উপজেলার হরিশপুর গ্রামে। এই গ্রামের মহিউদ্দীন মোল্লার ছেলে বাংলাদেশ বিমানের জুনিয়র টেকনিশিয়ার জয়নুল আবেদীন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করার পর গত ৬ জুন হরিশপুর গ্রামে তার দাফন করা হয়। ১০ দিন পর তার আরেক ভাই ঢাকা মহানগরীর গুলশান উদয়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির ঢাকা মহানগরের সভাপতি খয়বর আলী করোনা আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার ভোরে ইন্তেকাল করেন। গত ৭ জুন মারা যান শৈলকুপার কবিরপুর গ্রামের গোপাল কৃষ্ণ সাহা। মৃত্যুর ৫ দিন পর তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সর্বশেষ মৃত্যুর ৩ দিন পর ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণকারী ব্যাংকার ফয়েজ উদ্দিনের করোনা পজেটিভ এসেছে। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ সুলতান আহমেদ জানান, গত ১৩ জুন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান ফয়েজ উদ্দীন। মৃত্যুর একদিন আগে তার নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এরপর তার বাড়িটি লকডাউন ঘোষনা করে উপজেলা প্রশাসন। এছাড়া তার পরিবার ও দাফন কাজে অংশ নেয়া সদস্যদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ওই ব্যাংক কর্মকর্তা কালীগঞ্জ উপজেলার কুল্যাপাড়া গ্রামের হেদায়েত মোল্লার ছেলে। মারা যাওয়ার তিন দিন আগে ঢাকা থেকে সর্দি, কাশি ও শ^াসকষ্ট নিয়ে বাড়িতে আসেন। এরপর গত শুক্রবার গভীর রাতে তিনি মারা যান। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারী ব্যাংকে চাকরি করতেন। এদিকে ঝিনাইদহে নতুন করে আরও ৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম। তিনি জানান, ঝিনাইদহে মঙ্গলবার নতুন ৪৭টি নমুনার রিপোর্ট এসেছে। যার মধ্যে ৫টি নমুনার রিপোর্ট পজেটিভ। আক্রান্তদের মধ্যে কালীগঞ্জের ৪ ও মহেশপুরের ১ জন রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট ১৩৬৭ টি নমুনার রিপোর্টে ১০৪ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। যার মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪৩ জন। এই জেলার বাসিন্দ হিসেব ৪ জনের মধ্যে দুইজন ঢাকায় ও দুইজন ঝিনাইদহে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলো।
কালীগঞ্জে থামছেই না চুরি
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জের বৃহত কম্পিউটার প্রতিষ্ঠান শিপন কম্পিউটারে চুরির ৬ দিনের মাথায় আবারো উপজেলার দুলালমুন্দিয়া বাজারের তিনটি দোকানে দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে। সোমবার দিনগত রাতে দোকান তিনটির পিছনের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে চোরেরা নগদ ৫ লাখ ৩১ হাজার টাকাসহ অন্যান্য মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, দুলালামুন্দিয়া স্কুলের গেটের সামনে সোহেল হোসেনের ভেটেনারী ওষুধ ও বিকাশের দোকান, সুমন হোসেনের কসমেটিকের দোকান ও সাবেক মেম্বর শহিদুল ইসলামের মুদির দোকানে চুরি সংঘটিত হয়। সাবেক মেম্বর শহিদুল ইসলাম জানান, তিনটি দোকানেরই পিছনের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে চোরেরা ভিতরে প্রবেশ করে। সে সময় সোহেলের ভেটেনারী ও বিকাশের দোকান থেকে নগদ ৫ লাখ টাকা, সুমনের দোকান থেকে ২৭ হাজার টাকা ও তার দোকান থেকে ৪ হাজার টাকাসহ বেশ কিছু মালামাল নিয়ে গেছে। ভেটেনারী ও বিকাশের দোকানের মালিক সোহেল হোসেন জানান, তিনি ভেটেনারী ওষুধের পাশাপাশি বিকাশ, শিউর ক্যাশ, ফ্লেক্সিলোড ও বিদ্যুৎ বিল প্রদানের ব্যবসা করেন। দোকানের পিছনের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে তার ৫ লাখ টাকা নিয়ে গেছে। তিনি মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। অপর কসমেটিকের দোকান থেকে নগদ ২৭ হাজার টাকা চোরেরা নিয়ে যায়। কালীগঞ্জ থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মুহাঃ মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, চুরির কোন ঘটনা তিনি জানেন না। কেউ অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। গত ৯ জুন শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ডের লস্কার টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত কালীগঞ্জের বৃহৎ কম্পিউটার প্রতিষ্টানে “শিপন কম্পিউটারে” এক দুঃসাহসিক চুরি হয়। চোরেরা ওই প্রতিষ্ঠানের ৯ টি তালা ভেঙ্গে সেখান থেকে নগদ ১ লাখ ৯২ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন ধরনের ১৪ টি মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়। চুরির ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের মালিক মাজহারুল ইসলাম শিপন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।
করোনা : ঝিনাইদহ ২ টার পর দোকানপাট বন্ধ ঘোষনার পরেও বৈডাঙ্গা পশুহাটে শত শত লোক সমাগম
ঝিনাইদহ :: স্তব্ধ নিরব পুরো পৃথিবী এখন মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়ে, বাংলাদেশেও একই অবস্থা, ৬৪ জেলার মধ্যে গ্রিন জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। গ্রিন জোন চিহ্নিত হওয়ার পরপরই ঝিনাইদহে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেপরোয়া ভাবে বেড়েই চলেছে। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জেলা “কভিট ১৯” কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ি জেলায় ২টার পর সকল দোকান পাট বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। কিন্তুু দোকান পাট বন্ধ হলেও বন্ধ হয়নি এক অদৃশ্য শক্তির পশু হাট। মহামারি করোনার মধ্যেও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা সহ অন্যান্য পশুহাটে শত শত মানুষ সমাগমে চলছে রমরমা বেঁচা-কেনা। সারা পৃথিবী যখন স্তব্ধ নিরব করোনার ভয়ে মানুষ নির্বাক। বার বার বলা হচ্ছে আপনারা অযথা অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে যাবেন না। কিন্ত মানুষ সব সচেতনতা বার্তা উপেক্ষা করে ঠিকই অযথা অপ্রয়োজনে ঘরের বাইওে বেরিয়ে আসছে। আর এসব বাধা উপেক্ষা করে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে শত শত লোক সমাগমে পশুর হাট বসিয়েছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা বাজারে। সে মোতাবেক ১৬ জুন মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে এলাকার কিছু প্রভাবশালির সহযোগিতায় এই পশুহাট বসানো হয়। এলাকার সচেতন মহল মনে করে এই ক্রান্তিলগ্নে পশুহাট না বসালেও চলত। কারন বর্তমান সরকারের নির্দেশ মোতাবেক দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরলসভাবে মাঠে কাজ করে যাচ্ছে মানুষকে সচেতন করতে কিন্ত আমরা সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে আমাদের বিপদ ডেকে নিয়ে আসছি। সরেজমিনে পশু হাটে গিয়ে দেখা যায় সামাজিক দুরুত্ব না মেনেই মুখে মাক্স ব্যবহার না করে জনসমাগম করে ছাগল-গরু ক্রয়-বিক্রয় করা হচ্ছে। এলাকার সচেতন মহল মনে করেন ঝিনাইদহ এই লোক ডাউন দেওয়ার কতটুকু সুফল পাবে ঝিনাইদহ বাসি সেটি আমাদের জানা নাই কারন ২ টার পর দোকান দোকান পাট বন্ধ রেখে পশু হাট চলতে দিলে আমাদের ভালোর চেয়ে মন্দই বেশি হবে, কারন পশু হাটে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ব্যাক্তিদের করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকে সেটা কেউ জানতে পারবে না, এইরকম ভিন্ন লক ডাউন ঝিনাইদহ বাসি চায় না। বৈডাঙ্গা এলাকাবাসি এসব হাট অতিদ্রুত বন্ধে জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ বদরুদ্দোজা শুভ বলেন হাটবারে একটু সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে জন-সমাগম এড়িয়ে কেনা-বেঁচা সীমিত আকারে করতে পারে তবে কেউ সামাজিক দুরুত্ব বা মাক্স ব্যবহার না করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় ৪ জনকে কুপিয়ে জখম, গ্রেফতার ১
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কোরাপাড়ায় মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় ৪ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। আহত ব্যক্তিরা হলেন ঝিনাইদহে কোরাপাড়া বটতলার সিদ্দিক মোলার ছেলে গোলাম মোস্তফা, তার পিতা সিদ্দিক মোল্লা ও তার দুই ভাগ্নে খায়রুল ও সজল।আহত ব্যক্তিরা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার পরে এখন বাড়ি আছেন। আহত গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা করেছেন যার মামলা নং ১৭ তাং ১৪/০৬/২০২০ ইং। মামলা হয়েছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কোরাপাড়ার মৃত কিফাজ উদ্দীনের ছেলে মোহ সাহাবুদ্দিন শেখ,মোঃ সাগর শেখ,আঃ রহিম, উভয় পিতা সাহাবুদ্দিন শেখ,আঃ রহিমের ছেলে মোঃ শাওন শেখ ও কিফাজ উদ্দীনের ছেলে মোঃ রহিম শেখের নামে। ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশ মোঃ রহিম শেখকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেছেন । হামলার শিকার গোলাম মোস্তফা জানান আমি একজন ট্রাক ড্রাইভার গত শনিবার আনুমানিক রাত ৮.৩০ মিনিটের সময় বাড়ি এসে দেখি বাড়ির পাশে রহিম,সাহাবুদ্দিন,সাগর, আকাশ, আঃ রহিম ও শাওন আমার বাড়ির পাশে মাদক কেনাবেচা করছে। আমি তাদের এসব সমাজবিরোধী কাজ বন্ধ করতে বললে তারা ডাসা- দা, চাইনিজ কুড়াল,ভুজালী,লোহার রড,লাঠি ও দেশীয় মারাত্মক অস্ত্র -শস্ত্র সহ আমার বোন শরিফা বেগমের বাড়িতে ঢুকে মাদক ব্যবসায়ীরা খুন করার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় আমার দুই ভাগ্নের মাথায় ও কানে এবং পিতার লাঠি দিয়ে আঘাত করে। ভুক্তভোগী গোলাম মোস্তফা আরো জানান সাহাবুদ্দিন, রহিম,সাগর,আঃ রহিম,আকাশ ও শাওন এই ধরনের মাদক ব্যবসায়ীরা ও সন্ত্রাসীরা যেন যুবসমাজ নষ্ট করে না ফেলে সে জন্য তাদের যেন আইনের আওতায় এনে কঠিন বিচার করা হয়। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই মোঃ এমদাদুল হক জানান থানায় একটি মামলা হয়েছে একজন আসামীও গ্রেফতার হয়েছে অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কালীগঞ্জে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যাংকারের করোনা পজেটিভ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যাংকার ফয়েজ উদ্দিনের করোনা পজেটিভ এসেছে। মঙ্গলবার দুপুরে যশোর ল্যাব থেকে আসা রিপোর্টে তার করোনা পজেটিভ আসে। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ সুলতান আহমেদ জানান, গত ১৩ জুন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান ফয়েজ উদ্দীন। মৃত্যুর একদিন আগে তার নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এরপর তার বাড়িটি লকডাউন ঘোষনা করে উপজেলা প্রশাসন। এছাড়া তার পরিবার ও দাফন কাজে অংশ নেয়া সদস্যদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ওই ব্যাংক কর্মকর্তা কালীগঞ্জ উপজেলার কুল্যাপাড়া গ্রামের হেদায়েত মোল্লার ছেলে। মারা যাওয়ার তিন দিন আগে ঢাকা থেকে সর্দি, কাশি ও শ^াসকষ্ট নিয়ে বাড়িতে আসেন। এরপর শুক্রবার গভীর রাতে তিনি মারা যান। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারী ব্যাংকে চাকরি করতেন। ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম জানান, মঙ্গলবার ঝিনাইদহ জেলায় নতুন করে আরও ৩ জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ব্যাংক কর্মকর্তা ফয়েজ আগেই মারা যান। বাকি দুই জনের বাড়ী কালীগঞ্জ উপজেলায়। এ নিয়ে জেলায় মোট ১০৪ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। এরমধ্যে মারা গেলন দুইজন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪৩ জন।
প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি নিয়ে তোলপাড়, সন্দেহের তীর পূত্রবধূর দিকে
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি নিয়ে তোলপাড়ের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাতে শৈলকুপার সাতগাছি গ্রামের পুরাতন পাড়া মৃত আবুল হোসেন মোল্লার বাড়িতে এই চুরির ঘটনা ঘটে চোর চক্র ঘরের দরজার দুইটি তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে।এর পর সববাক্সের তালা খুলে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়। এসব এর মধ্যে এক ভরীরও বেশি সোনার চেইন,চুরি ও কানের দুল ছিল। এছাড়া ১০-১৫ হাজার নগদ টাকা ছিল। চোর চক্র রাতের কোন এক সময়ে এই চুরির জন্য হানা দেয় তবে আবুল হোসের স্রী আখিরন নেছা এ রাতে বাড়িতে ছিলেন না তিনি তার প্ত্রূ বধূদের কাছে পাশের বাড়িতে ছিলেন। আছিরন নেছার পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ে। তার তিন ছেলে প্রবাসী।এর মধ্যে এক পুত্র বধূ সিথী খাতুন শাশুড়ি আখিরন নেছার পাশের রুমেই থাকেন। তবে তিনি সাংবাদিকদের কাছে কিছুই জানেন না উল্লেখ করলেও তার এক ভাসুরের ছেলে আশরাফুল কে সকালে বাড়িতে দেখেছেন বলে পুলিশ কে বলছে তবে তার এ কথা মিথ্যা বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।আবার সাংবাদিকদের কাছে বলছেন তিনি কাওকে দেখেননি এবং রাতে কখন চুরি হয়েছে জানেন না।শাশুড়ির গহনা গাটিও তিনি দিয়ে ছিলেন বলে কৃতিত্ব নেন। এলাকার অনেকে বলছে পূত্র বধূ সিথীর কথা বার্তা সন্দেহজনক।শাশুড়ির ঘরের চাবি ঘরের আশপাশে ঝুলানো থাকতো, এই বিষয়টি অন্য কারো জানার কথা নয় স্থানীয়রা বলছে আশরাফুল বেশ কয়েক দিন ধরেই বাড়িতে নেই। বৃদ্ধা আখিরন নেছা জানান তার নাতী ছেলে কয়েক দিন বাড়িতে না থাকলেও এলাকার একটি চক্র মিথ্যা ভাবে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। সেই এই চুরির সাথে জরিত নয়। এদিকে সকালেই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে তবে এখনো জিডি দায়ের হয়নি বলে জানান এসআই সাখাওয়াত হোসেন। প্রসঙ্গত এলাকায় সামাজিক কোনদোল নিয়ে সাতগাছির পুরাতনপাড়ার একটি লুটেরা দূর্বিত চত্র সুযোগ খুজছে, সামাজিক প্রতিপক্ষ কে ফাঁসানো সহ এলাকায় লুটপাট ও নিরীহ মানুষকে মারপিটের হুমকি দিয়ে চলেছে।
করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ১২ জনকে দাফন
ঝিনাইদহ :: করোনা সনাক্ত হওয়ার পর ঝিনাইদহ জেলায় উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কারোরই করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসেনি। দুইজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলার বাইরে নিজাম উদ্দীন ও জয়নুল আবেদীন নামে দুইজন মৃত্যুবরণ করলে তাদের মৃত দেহ ঝিনাইদহে দাফন করা হয়। এদিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর পর এ সব লাশ নিয়ে স্বজনদের মধ্যে আতংক দেখা দিলে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন লাশ দাফন করে। ইসলামী ফাউন্ডেশন ঝিনাইদহ সুত্রে জানা গেছে, তারা এপর্যন্ত ১২ জনকে দাফন করেছেন। তাদের মধ্যে দুইজন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। বাকী ১০ জনের করোনা নেগেটিভ ছিল। ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ খান জানান, গত ৪ এপ্রিল কোটচাঁদপুরে প্রথম তাদের লাশ দাফনকারী টিম বছির উদ্দীনকে দাফন করেন। এরপর ঝিনাইদহ সদরের সামাদ আলী, নাছিমা খাতুন, জসিম উদ্দীন, কালীগঞ্জে ইসরাইল লস্কার, শুকুর আলী, শৈলকুপায় শিপন, জাহিদুল ইসলাম, পারভিন বেগম, ইকরামুল জোয়ারদার, কাজী নিজাম উদ্দীন ও হরিণাকুন্ডুতে জয়নুল আবেদনীকে দাফন করে। জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় এসব লাশ দাফন করে ইসলামী ফাউন্ডেশনের লাশ দাফন কমিটি। ইফার সুত্রগলো জানায়, লাশ দাফনে অনেক সময় ঠেলাঠেলির শিকার হন তারা। অনেক সময় সমন্বয়ের অভাবে অসহযোগিতা পেয়ে থাকেন তারা।
ইজিবাইক-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে স্কুল ছাত্র নিহত
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ইজিবাইক-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে রনি (১৪) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুন) বিকালে উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের কামিনাথপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থী গোবিন্দপুর গ্রামের মহসিন হোসেনের ছেলে ও লাঙ্গলবাধ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থী রনি তার বন্ধুর সাথে মোটরসাইকেল ভাড়া করে লাঙ্গলবাধ বাজারের উদ্দেশ্য করে যাচ্ছিল। ঘটনাস্থল কাশিনাথপুর এলাকায় পৌছালে অপরদিক থেকে ইজিবাইকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে শিক্ষার্থী রনি আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে শৈলকুপা হাসপাতাল ও পরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বজলুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শিক্ষার্থী রনি নিহত হওয়ার ঘটনায় ইজিবাইক চালকে আটক করা হয়েছে। এব্যাপারে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।