বুধবার ● ১৭ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় করোনা আইসোলেশনে থাকা রোগীদের দুর্ভোগ
গাইবান্ধায় করোনা আইসোলেশনে থাকা রোগীদের দুর্ভোগ
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা :: সংক্রমণ ঠেকাতে করোনা রোগিদের আলাদা রেখে চিকিৎসা প্রদান করতে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আইসোলেশন সেন্টারটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। ফলে ওই সেন্টারে বর্তমানে চিকিৎসাধীন ১১ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা সুষ্ঠু চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছে এবং নানা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বলে অভিযোগে জানা গেছে।
জানা গেছে, গাইবান্ধা আইসোলেশন সেন্টারে সকাল ১০টার আগে সকালের নাস্তা পৌঁছায় না। দুপুরের খাবার দেয়া হয় বিকাল ৩টা থেকে ৪টায়। খাবারে তরকারির পরিমাণ থাকে খুবই কম এবং নিম্নমানের। এমনকি বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থাও সেখানে নেই বলে অভিযোগে জানা যায়।
আইসোলেনশন সেন্টারে নিয়মিত পরিচ্ছন্নকর্মী না থাকায় ময়লা আবর্জনার সাথেই বাস করতে হচ্ছে রোগীদের। সেখানে চিকিৎসার জন্য কোন ডাক্তার যান না। ওখানে একজন কর্মরত নার্সের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে হাসপাতালের ডাক্তার রোগীদের সাথে কথা বলে তাদের সমস্যা সম্পর্কে অবগত হন এবং সে মোতাবেক তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল থেকে ওষুধ প্রেরণ করা হয়।
আবার কোন কোন ক্ষেত্রে বাইরে থেকে ওষুধ কিনে নেয়ার জন্য ওই সেবিকার মাধ্যমে রোগীদের পরামর্শ দেয়া হয়। যাতে রোগীরা আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে ওষুধপত্র সংগ্রহ করতে পারে।
এবিষয়ে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাহফুজার রহমান অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে সীমাবদ্ধতার নানা অজুহাত তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, হাসপাতালে রোগীদের খাবার রান্না করে সেখান থেকে আইসোলেশন সেন্টারে অটোবাইকে করে খাবার নিয়ে যাওয়া হয়। এজন্য অনেক সময় খাবার পাঠাতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গাইবান্ধার বেসরকারি সংগঠন এসকেএস ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আনসার ভিডিপি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গত মার্চে অস্থায়ীভাবে এই আইসোলশন সেন্টারটি চালু করা হয়।
গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশু নিহত
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো- ৪ জন।
জানাযায়, আজ বুধববার সকালে ফেনী থেকে আগত ৭ জন যাত্রী গাইবান্ধা থেকে সিএনজি অটোরিকশা যোগে তাদের নিজ বাড়ি সাঘাটার ভরতখালী ইউনিয়নের ভাঙ্গামোড়ে আসার পথে সিএনজিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাদিয়াখালীর রিফাইতপুর বটতলা মসজিদের দানবাস্কের সাথে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশু খালেকুল (১০) মারা যায়।
এছাড়াও মারাত্বক আহত হয়েছেন মা খুকি বেগম, বড়বোন আফরিন ( ১৪) ছোট বোন বিবি আয়সা( ৭) চাচি লাজু বেগম । আহত দের উদ্ধার করে প্রথমে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।