বৃহস্পতিবার ● ১৮ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় করোনায় আক্রান্ত ইউএনও
গাইবান্ধায় করোনায় আক্রান্ত ইউএনও
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী অফিসার ( ইউএনও) করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। চলতি বছরের ২৫ ফেব্রয়ারী এই উপজেলায় যোগদান করেন ইউএনও কাজী লুতফুল হাসান। যোগদানের পর থেকে নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন তিনি।
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং অসহায়দের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য দিন রাত পরিশ্রম করে দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালনের এক পর্যায়ে শারীরিক অবস্থা অস্বাভাবিক দেখা দেয়। গত সোমবার তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠান। বুধবার সন্ধ্যার পর নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ হয়।
এ ঘটনায় উপজেলার বেশ কয়েকটি সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারি হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। পাশাপাশি তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আশরাফুজ্জামান সরকার উপজেলা নিবার্হী অফিসারের করোনা পজেটিভ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান বর্তমানে তিনি স্বাভাবিক রয়েছেন। উপজেলা নিবার্হী অফিসার আবাসিক কোয়াটারে অবস্থান করছে।
কৃষি ঋণ মওকুফ ও প্রণোদনার দাবিতে গাইবান্ধায় কৃষক সমিতির বিক্ষোভ
গাইবান্ধা :: সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত রেটে ধান ক্রয়, সকল কৃষি ফসলের লাভজনক দাম নিশ্চিত, ২০,০০০/-টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋণ মওকুফ, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনামূল্যে সার-বীজ প্রদানসহ বিভিন্ন দাবিতে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি, গাইবান্ধা জেলা কমিটি বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় শহরের আসাদুজ্জামান স্কুল মার্কেটের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছাদেকুল ইসলাম, কৃষক নেতা ওয়াজিউর রহমান রাফেল, সদর উপজেলা কৃষক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মন্ডল, সিপিবি গাইবান্ধা জেলা কমিটির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন করোনা দুর্যোগে কৃষকরা অনেক কষ্টে আছে। তাদের উৎপাদিত ফসল ঠিকমত বাজারজাত করতে পারছে না। এমতাবস্থায় কৃষকদের উপযুক্ত প্রণোদনা প্রদান না করলে তারা মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারবে না। তারা বলেন, বারবার দাবি করা সত্বেও সরকার কৃষদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় করছেনা। বরং জেলা খাদ্য অফিস সিন্ডিকেট চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে আছে। সেই সাথে তারা ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋণ মওকুফ ও করোনা মহামারি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এনজিও ঋণসহ সকল ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ রাখারও দাবি জানান।