শনিবার ● ২০ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » কাপ্তাইয়ে করোনা রোগী বেড়ে যাওয়ায় আইসোলেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার জোড় দাবি উঠছে
কাপ্তাইয়ে করোনা রোগী বেড়ে যাওয়ায় আইসোলেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার জোড় দাবি উঠছে
অর্ণব মল্লিক, কাপ্তাই প্রতিনিধি :: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ লীলাভূমি রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলা। যেখানে রয়েছে সমৃদ্ধে ভরপুর সবকিছুই। শুধু তাই নয় কাপ্তাইয়ের কৃষিজশিল্প, পর্যটনশিল্প থেকে বছরে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয় সরকারের। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই কাপ্তাই উপজেলায় নেই কোন করোনা আইসোলেশন সেন্টার। ফলে কাপ্তাইয়ের বেশির ভাগ করোনা আক্রান্ত রোগীরা হোম আইসোলেশন সেন্টার ব্যবহার করছে এবং সামরিক বাহিনীর যারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছে তাদের নিজস্ব হাসপাতালে নিচ্ছে চিকিৎসা সেবা। এছাড়াও সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে কাপ্তাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই কোন আইসিউ সেবা। ফলে ইমারজেন্সী রোগী আসলে তাদের রেফার করা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল সহ বাইরের হাসপাতালে।
এদিকে সাধারন করোনা রোগীরা হোম আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে তাদের বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, এতে পরিবারের বাকীদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও পাড়া প্রতিবেশীদের বিভিন্ন রকম হেয় প্রতিপন্ন স্বীকারও হতে হয়। যা একজন করোনা রোগীকে মানসিক ভাবে দূর্বল করে ফেলে।
কাপ্তাই উপজেলায় দিন দিন করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এই মুহুর্তে কাপ্তাইয়ের বিশিষ্ট জনদের একটাই দাবী কাপ্তাইয়ে অতিদ্রুত একটি করোনা আইসোলেশন সেন্টার বা ফ্লিড হাসপাতাল তৈরি করা যেন কাপ্তাইয়ের মানুষ উক্ত সেন্টারে থেকে করোনা চিকিৎসা সেবা নিতে পারে।
কাপ্তাই ফোরামের এডমিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এ আর লিমন জানান, তিনি প্রথম থেকে কাপ্তাইয়ে আইসোলেশন সেন্টার এবং একটি ফিল্ড হাসপাতাল গড়া তোলার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন মহলে সোচ্চার হয়েছেন, তবে কয়েকজন ব্যতীত কারো সাড়া পাচ্ছি না। তিনি জানান,এটা কারোও ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য নয়। ইতিমধ্যে আপনারা জানেন, কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত সীট বুক হয়ে গেছে, যার ফলে নতুন রোগীরা জায়গা পাচ্ছেনা, দিন দিন রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে, এই মূহুর্তে ব্যক্তিগত ভাবে সকলের প্রচেষ্টায় ফিল্ড হসপিটাল এবং উপজেলা সদর হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাসে আইসোলেসন সেন্টার গড়ে তোলা ছাড়া কোন পথ নেই।
কাপ্তাই উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাসুদ আহমেদ চৌধুরী জানান, উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের ৫০ শয্যা হাসপাতাল এর ৩য় তলায় মাত্র ৪ টি বেডে করোনা আক্রান্ত রোগীদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এর বাহিরে রোগী আসলে এই মূহুর্তে ভর্তি করা সম্ভব না।
এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল জানান, যদি কাপ্তাইয়ে করোনা রোগীর দিন দিন বৃদ্ধি পাই তাহলে উপজেলা সদর বড়ইছড়ি কর্নফুলি নুরুল হুদা কাদেরী উচ্চ বিদ্যালয় এবং কাপ্তাই আল আমিন নুরিয়া মাদ্রাসায় আইসোলেশন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। তিনি জানান, যদি রাইখালী ইউনিয়নে করোনা রোগী শনাক্ত হয় তাহলে নারানগিরি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়েও আইসোলেশন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।
কাপ্তাইয়ের সচেতন জনগন মনে করছেন এই মূহুর্তে করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে সকলকে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে হবে এবং সেই সাথে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিরা যাতে সুস্হ না হওয়া পর্যন্ত জন সম্মুখে না আসতে পারে সেই বিষয়ে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।