সোমবার ● ২২ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » জোরপূর্বক ঋণের কিস্তি আদায়ের অভিযোগে এনজিও’র ম্যানেজারকে জরিমানা
জোরপূর্বক ঋণের কিস্তি আদায়ের অভিযোগে এনজিও’র ম্যানেজারকে জরিমানা
মো. জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহে জোরপূর্বক ঋণের কিস্তি আদায়ের অভিযোগে সিএসএস (খ্রিস্টান সার্ভিস সোসাইটি) নামের একটি এনজিও’র ম্যানেজার মৃনাল বিশ্বাসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রবিবার বিকেল ৩টার দিকে জেলা শহরের পাগলাকানাই মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান ও এসএম রকিবুল হাসান যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করেন। ঋণের কিস্তি জোর করে আদায় করার অভিযোগে অত্র অঞ্চলে এই প্রথম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার ঘটনা ঘটলো। সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্র জানায়, কোভিড-১৯ মাহামারির মধ্যে এনজিওদের ঋণের কিস্তি আদায় করার বিষয়ে সরকার থেকে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সরকারের সর্বশেষ নির্দেশ মোতাবেক এনজিওদের কাছ থেকে নেয়া ঋণ জোর করে কারো কাছ থেকে আদায় করা যাবে না। অথচ বিভিন্ন এনজিও প্রকাশ্যে ঋণের কিস্তি আদায়ের কাজটি করে আসছে। এতে করে নিন্মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষেরা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। অনেকে বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। একই সূত্র জানায়, সিএসএস নামের এনজিও’র লোকজন জেলা শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা এবং গ্রামাঞ্চলে ঋণ গ্রহীতাদের কাছ থেকে হুমকি ধামকিসহ নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে সাপ্তাহিক ও মাসিক কিন্তি আদায় করে আসছে। এমন খবরের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ওই এনজিও’র স্থানীয় অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় অভিযোগের সত্যতা হাতেনাতে প্রমাণিত হয় এবং অভিযুক্ত সিএসএস এনজিও’র ঝিনাইদহ ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মৃনাল বিশ্বাসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুজ্জামান ও এসএম রকিবুল হাসান। অপর অভিযুক্ত একই এনজিও’র আঞ্চলিক ম্যানেজার মো. হাবিবুর রহমান ক্ষমা প্রার্থনা করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকগণ শেষবাবের মতো তাকে সতর্ক করেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেছেন, জোর করে হুমকি-ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এনজিও ঋণের কিস্তি আদায় কিংবা কাওকে হয়রানী করা সম্পূর্ণ বেআইনি। কেউ এমন করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আগুনে পুড়ে অসহায় কৃষকের ৭টি ছাগলের মৃত্যু
ঝিনাইদহ :: আগুনে পুড়ে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হলো ৭টা ছাগল সহ আরো অন্যান্য গৃহপালিত পশু-পাখির। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৈডাঙ্গা ব্রিজ পারার মৃতঃ আনছার মিয়ার ছেলে তোফাজ্জেল মিয়ার পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাত ৯টা নাগাদ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা ব্রিজ পাড়া গ্রামে। ক্ষতিগ্রস্তের পরিমাণ প্রায় দুই লক্ষাধিক। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে কুপির আগুন থেকে বসত বাড়িতে আগুন লাগে। সেসময় বাড়িতে তোফাজ্জেল মিয়া ও তার পরিবারে সদস্য বাড়ি ছিল না, পাশের গ্রামের ভাইয়ের বাড়ি যায়, ব্রিজ পাড়ার বাসিন্দা শুকুর আলী জানান বসত ঘর থেকে আগুন ছড়িয়ে নিমিষেই ওই আগুন গ্রাস করে ফেলে গোটা ঘরে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় বসত ঘর। তিনি বলেন প্রতিবেশীরা আগুন দেখে চিৎকার শুরু করলে পাড়াপ্রতিবেশীর চিৎকারে বাইরে বেরিয়ে আসেন স্থানীয়রা। প্রথমে স্থানীয় মানুষ পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরবর্তীকালে ঝিনাইদহ দমকল বাহিনী ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয় ততক্ষণে আগুন নিভে যায়। ততক্ষনে পুড়ে যায় সব কিছু গরু-ছাগল সব পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত তোফাজ্জেল মিয়ার ছেলে মোমিন জানান তাদের একমাত্র শোবার ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বাড়িতে থাকা ৩০ হাজার টাকা হাস মুরগী, আসবাপত্র চাল, ডাল,ধান সব পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। এ বিষয়ে কাতলামারি ক্যাম্পের আইসি ইনামুল মিয়া জানান সংবাদ শুনে আমরা ঘটনা স্থলে গিয়েছিলাম ৭টা ছাগল হাস-মুরগি ঘরের আসবাবপত্র সহ আগুনে পুড়ে ব্যাপক ভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তোফাজ্জেল মিয়ার।
গোল্ডেন জিপিএ পাওয়া মেধাবী জমজ বোনের হলো না স্বপ্ন পূরণ
ঝিনাইদহ :: বড় হয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন মহেশপুরে মেধাবী ২ জমজ বোন রুকাইয়া ও রাবেয়ার। তারা ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশ নিয়ে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তার পিতা মিজানুর রহমান খাঁন একজন গরিব ভূমি জরিপকারী (আমিন)। মেধাবী চার মেয়ের খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি, এখন ভাল ফল নিয়ে ছোট জমজ ২ মেয়ে কলেজে ভর্তি হবে কীভাবে, খরচ কোথায় পাবেন ? মেয়ে ভাল ফল করায় চিন্তা বেড়েছে এই দরিদ্র পিতা মাতার। তাদের লেখাপড়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। রুকাইয়া ও রাবেয়া ঝিনাইদহের মহেশপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছে। তারা মহেশপুর পৌরসভাধীন জলিলপুর খান পাড়া মিজানুর রহমান খাঁন ও সাহিদা খাঁনের জমজ ২ মেয়ে। বাবা মিজানুর রহমান খাঁন বে-সরকারিভাবে ভূমি জরিপের কাজ করে। তার চার মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়েই সংসার। সীমিত আয় দিয়ে মেধাবী চার মেয়ের পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছেন খুব কষ্ট করে। বড় মেয়ে সাইদাতুনেচ্ছা যশোর সরকারি এমএম কলেজে পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্সের শেষ বর্ষের ছাত্রী এবং মেজো মেয়ে জান্নাতুনেচ্ছা যশোর সরকারি এমএম কলেজে অনার্সে ইংরেজী বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী। ছোট ২ মেয়ে রুকাইয়া ও রাবেয়া এবার এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে উর্ত্তীণ হয়েছে। ২ বোনের মোট প্রাপ্ত নম্বর ২০১৭। জমজ ২ বোন বলেন, আমাদের এ সাফল্যের পেছনে আমাদের পিতা-মাতা, পরিবার ও শিক্ষদের অবদান সবচাইতে বেশি। তারা লেখাপড়া করে ডাক্তার হয়ে দেশের মানুষের সেবা করতে চাই। তারা আরো বলেন, তারা ডাক্তার হয়ে দেশের মানুষের সেবা করতে চাই কিন্তু প্রধান অন্তরায় পরিবারের দারিদ্রতা। ৪ শতক ভিটে জমি ছাড়া তাদের আর কিছুই নেই। পিতা সামান্য ভূমি জরিপের কাজ করে, মা একজন গৃহিনী। চার বোনের লেখাপড়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পিতা মাতা। তারা কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হতে চাই কিন্তু পিতার দারিদ্রতার কারণে দুশ্চিন্তায় ভোগছে ২ বোনের পিতা মাতা খচর চালাতে পারবে কিনা। মা সাহিদা খাতুন বলেন, ‘আমার চার মেয়েকেই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাই। তারা মানুষের মতো মানুষ হবে, এটাই আমার কাম্য।’ কিন্তু আমার সে স্বপ্ন কি বাস্তবায়ন হবে ? পিতা মিজানুর রহমান খাঁন বলেন, ‘আমি চাই তাদের ভালো কলেজে ভর্তি করাতে। তবে লেখাপড়া করাতে অনেক খরচ। এমনিতেই বড় দুই মেয়েকে খরচ দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় আমাকে। এবার ছোট ২ মেয়েও ভালো রেজাল্ট করেছে। চিন্তা বেড়ে গেলো। এদিকে তাদের ইচ্ছা ডাক্তার হওয়ার।’তিনি বলেন, ‘কিভাবে ভালো কলেজে ভর্তি করবো, অর্থের অভাবে রয়েছি। একলা কাজ করে আর পেরে দিচ্ছি না। তারপরেও কঠোর পরিশ্রমের মধ্যে সাধ্য মতো চেষ্টা করে দেখি, ভালো কোথাও মেয়েকে ভর্তি করাতে পারি কিনা।’ কিন্তু অভাবের কারণে তাদের হয়তো বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি করা আমার জন্য কষ্টকর হবে। দরিদ্র এই পরিবারের জমজ সন্তানের লেখা পড়ার প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে পারিবারের আর্থিক সংকট। মহেশপুর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রঞ্জন কুমার জানান, ‘জমজ ২ বোনের সফলতা আমাদের স্কুলের গর্ব। তারা ২ বোনই অসম্ভব মেধাবী। তাদের পরিবার দরিদ্র হলেও আমি তাদের সফলতা কামনা করি।
সড়ক উন্নয়নকাজের মেয়াদ দেড় বছর পার, ৫ ইউপির মানুষের চরম ভোগান্তি
ঝিনাইদহ :: ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে একনেক সভায় ঝিনাইদহের মহেশপুরে ৪৮.৫ কিলোমিটার রাস্তা উন্নয়নে বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছিল ৭৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে কাজটি শুরু করে ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা, কিন্তু আজো সেই কাজটি শেষ হয়নি। ৪৮.৫ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ১৯.৭ কিলোমিটার বাকি রেখেই ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। সড়ক বিভাগ পূর্বের ঠিকাদারকে দিয়ে কাজ করাতে ব্যর্থ হয়ে ফেলে রাখা স্থানের জন্য আবারো দরপত্র আহ্বান করিয়েছেন। তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী গত জানুয়ারিতে দরপত্র গ্রহন শেষ হয়েছে, কিন্তু এখনও কিছূ পক্রিয়া বাকি আছে। যে কারনে কাজটি শুরু করা যায়নি, তবে অল্প দিনেই কাজটি শুরু করার আশা করছেন তারা। এদিকে খালশপুর-যাদবপুর ভায়া জিন্নানগর সড়কের ফেলে রাখা ওই ২০ কিলোমিটারের কারনে গোটা এলাকার ৫ টি ইউনিয়নের মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। সড়কটির অবস্থা এতোটাই খারাপ যে মানুষ পাঁয়ে হেটেও চলতে পারছেন না। ওই সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালকরা ভয়ে আর ওই সড়কে যাচ্ছেন না। সামান্য বৃষ্ঠি হলেই সড়কটিতে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগে খোজ নিয়ে জানাগেছে, মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর বাজার থেকে মহেশপুর-দত্তনগর-জিন্নানগর হয়ে যাদবপুর সড়কটি ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে সংষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই বছরই প্রাক্কলন তৈরী করে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ওই সড়কটি মেরামতের জন্য একনেকে ৭৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। এরপর তিনটি প্যাকেজে বিভক্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করা হয়। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে তিনটি প্যাকেজের কাজ পান যশোরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টার প্রাইজ। যার মধ্যে রয়েছে খালিশপুর থেকে সেজিয়া, সেজিয়া থেকে ভোলাডাঙ্গা ও ভোলাডাঙ্গা থেকে যাদবপর পর্যন্ত। ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ কাজটি শুরু হয়ে একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর শেষ করার কথা। ঠিকাদার সেভাবেই কাজ শুরু করেন, কিন্তু শেষ করতে পারেন নি। প্রথম দফায় কিছুটা কাজ করে বন্ধ রাখা হয়। এরপর আবারো শুরু করলেও দত্তনগর থেকে জিন্নানগর আনুমানিক ১২ কিলোমিটার ও সামন্তা থেকে মমিনতলা ৫ কিলোমিটার কাজ না করে ফেলে রাখেন। ওই কাজের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা আমির হোসেন সেই সময়ে জানিয়েছিলেন, যে দুইটি স্থান তারা কাজ বন্ধ রেখেছেন সেখানে শুধুমাত্র ভেঙ্গেচুরে যাওয়া জায়গা মেরামত করে কার্পেটিং করার কথা। কিন্তু সড়কটির বর্তমান যে অবস্থা তাতে ওই স্থানে কোনো ভাবেই গর্ত ভরাট করে কার্পেটিং করলে থাকবে না। স্থানটি সম্পূর্ণ খুড়ে নতুন করে করতে হবে। যে কারনে তারা ওই দুইটি স্থানে কাজ করবেন না বলে সওজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি সওজ কর্মকর্তারা সরেজমিনে দেখে তারাও নতুন করে করার পক্ষে মত দিয়েছেন। এদিকে সরেজমিনে দেখা যায় দত্তনগর থেকে জিন্নানগর ও সামন্তা থেকে মমিনতলা পর্যন্ত সড়কে বর্তমানে চলাচলের কোনো উপায় নেই। সড়কে বড় বড় গর্ত তৈরী হয়েছে। কোনো ভারি যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। অত্যান্ত ঝুঁকি নিয়ে ২/১ টি যানবাহন গেলেও প্রায়ই গর্তে আটকে থাকছে। স্থানিয় সামন্তা বাজারের বাসিন্দা বাদশা মিয়া জানান, একটু বর্ষা হলেই তারা এলাকা থেকে বের হতে পারছেন না। বিশেষ করে সামন্তা থেকে মমিনতলা পর্যন্ত এতোটাই খারাপ যে ওই ৫ কিলোমিটার কোনো ভাবেই চলাচল করা যাচ্ছে না। জিন্নানগর এলাকার বাসিন্দা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল আযীয জানান, মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর, বাশবাড়িয়া, নেপা, শ্যামকুড় ও স্বরুপপুর নামের ৫ টি ইউনিয়নের প্রায়৩ লাখ মানুষ এই সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। দুইপাশে উন্নয়ন কাজ শেষ হলেও মাঝের ফেলে রাখা স্থানের কারনে সকলকেই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। তারাও ঢাকা থেকে বাড়িতে আসতে ভয় পাচ্ছেন। তাদের এলাকার কৃষকরা মাঠে উৎপাদিত কৃষিপন্যও বাজারে নিতে পারছেন না। ফলে অর্থ বরাদ্ধ থাকার পরও সঠিক ভাবে কাজ না করায় সকলেই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। সওজ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার জানান, সড়কটির সার্ভে সময় যে অবস্থা ছিল পরবর্তীতে কাজ করার সময় আরো খারাপ হয়ে যায়। যে কারনে তারা নকশার পরিবর্তন করে আবারো টেন্ডার করিয়েছেন। কুষ্টিয়া সার্কেল অফিস জানুয়ারি মাসের দিকে দরপত্র আহবান করেন। আবিদ মনছুর নামের এক ঠিকাদার কাজটি পেয়েছেন। তবে ঠিকাদারের সঙ্গে এখনও কাগজপত্রের কিছু কাজ বাকি থাকায় কাজটি শুরু করা যায়নি, তবে অল্পদিনের মধ্যে শুরু করা যাবে বলে আশা করছেন ওই কর্মকর্তা।