মঙ্গলবার ● ২৩ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » এমপি ফজলে করিমের এপিএস পরিচয়ে বিকাশে টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রের ৩ সদস্য আটক
এমপি ফজলে করিমের এপিএস পরিচয়ে বিকাশে টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রের ৩ সদস্য আটক
আমির হামজা, রাউজান (দক্ষিণ) প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর এপিএস পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে এক মহিলাসহ তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এসময় পুলিশ ২’শ পিচ ইয়াবা, অভিযান চালিয়ে দুইটি মোবাইল সেট ও নগদ ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করে। গত ২১জুন সন্ধ্যায় উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের কাগতিয়া এলাকা থেকে একজন ও দিবাগত ভোর রাতে চট্টগ্রাম শহর থেকে দুইজনকে পুলিশ আটক করে।
আটককৃতরা হলেন : পটিয়া উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের আহাম্মদ সোফার বাড়ীর জাফর আহম্মদের পুত্র এহসানুল হক (২৬), চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম এলাহাবাদের সামসুদ্দিনের পুত্র নুরুল আলম (৪০) ও তার স্ত্রী তারানা নাজ শবনব (৪০)।
জানা যায়, রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগকে গত ১২জুন সংসদ সদস্যর এপিএস পরিচয়ে ফোন করে। একই ভাবে রাউজানের আরো দশজনকে এপিএস পরিচয়ে ফোন করে বিকাশে টাকা পাঠাতে বলে। রাউজান থানার ওসি কেপায়ত উল্লাহ পিপিএম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, দক্ষিণ চট্টগ্রাম একটি প্রতারক চক্র দীর্ঘ দিন ধরে দেশের শীর্ষ স্থানীয় সাংসদ ও বিশিষ্টজনের নাম ব্যবহার করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। সর্বশেষ রাউজানের এমপির এপিএস পরিচয়ে প্রতারণা করতে গিয়ে পুলিশের দৃষ্টিগোচর হয়। তাদের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারের সূত্রধরে প্রতারক চক্রের হোতাকে আটক করতে সক্ষম হই। তার দেয়া তথ্য মতে বিকাশ নাম্বার চক্রের দুই সদস্য স্বামী-স্ত্রীকে আটক করি নগরীর ডাবলমুরিং থানা এলাকা থেকে। তাদের সর্বশেষ বিকাশে টাকা আসে ৩০ হাজার। এই টাকা পাঠিয়েছিল বাকলীয়া থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি। এই টাকাও প্রতারণা করে বিকাশে আনার কথা স্বীকার করেছে চক্রটি। ওসি জানান, প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৭টি মামলা রয়েছে। তারা সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল মাসুদ, নিজাম হাজারী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে কাউন্সিলর লিটন, কাউন্সিল এরশাদ, লোহাগাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বাবুলসহ বিবিন্ন জন থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, মাদক ও ডিজিটাল আইনে রাউজান থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।