শুক্রবার ● ২৬ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পেরে দস্যুরা খুশি : জীবন যাপনে নানা প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ
স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পেরে দস্যুরা খুশি : জীবন যাপনে নানা প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: ঐতিহ্য সুন্দরবন এখন জলদস্যু-বনদস্যুমুক্ত। দীর্ঘ সময় সুন্দরবনে দস্যুতার সাথে জড়িতরা সরকারের আহবানে সাড়া দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন। দস্যুতা ছেড়ে অস্ত্র-গুলি সরকারের কাছে জমা দিয়ে আলোর পথে এসেছেন তারা।
২০১৬সাল থেকে বর্তমান সরকারের উদ্যোগে ও র্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র্যাব)’র প্রত্যক্ষ প্রচেষ্টায় ২০১৮সালের ১লা নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২০১৯ সালের ১লা নভেম্বর বাগেরহাটের শেখ হেলালউদ্দিন স্টেডিয়ামে দস্যুমুক্ত সুন্দরবনের বর্ষপুর্তি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে বলেছিলেন, আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা এসকল মানুষ গুলোকে অহেতুক যাতে কেউ হয়রানী না করে সে বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি রাখতে হবে। একই সাথে স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি, র্যাব প্রধান (বর্তমানে পুলিশের আইজিপি) বেনজীর আহমেদ একই কথা বলেছিলেন। তবে আলোর পথে ফিরে আসা এসকল মানুষ গুলো বাস্তব জীবনে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মূখিন হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২০১৬ সালের ৩১মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র্যাব)’র তৎকালীন প্রধান বেনজীর আহমেদ’র হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরেন ‘মাষ্টার বাহিনী’। ওই বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন সোহাগ আকঁন। সাবেক এ বনদস্যু স্বাভাবিক জীবন যাবনে অনেক সমস্যার মধ্য দিয়ে পার করছেন। সৎ উপায়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে গিয়ে তাকে হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিপক্ষরা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তার সাবেক পরিচয় সামনে এনে সুবিধা নেয়ার চেষ্টাও করে থাকেন।
সুত্রমতে, ২০১৮ সালের ১লা নভেম্বর সর্বশেষ ছয়টি জলদস্যু বাহিনীর প্রধানসহ ৫৪জন সক্রিয় সদস্য ৫৮টি অস্ত্র ও ৩ হাজার ৩৫১টি গোলাবারুদ জমা দিয়ে সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এরআগে মোট ২৬টি বাহিনীর সর্বমোট ২৭৪ জন জলদস্যু, বনদস্যু আত্মসমর্পণ করেছেন। এসময় তারা ৪০৪টি অস্ত্র এবং ১৯ হাজার ১৫৩ রাউন্ড গুলি জমা দেয়।
এবিষয়ে হতাশা প্রকাশ করে আত্মসমর্পণ করা মাষ্টার বাহিনীর সাবেক সেকেন্ড ইন কমান্ড বাগেরহাটের রামপালের বাসিন্দা সোহাগ আকঁন বলেন, কিছু মানুষ ষড়যন্ত্র করে আমাদের স্বাভাবিক জীবনে থাকতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। নানাভাবে হয়রানী ও মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। পুর্বের ইতিহাস টেনে সমাজে ডাকাত বলে সম্মোধন করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এসকল বিষয় গুলো তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে নজর দিতে অনুরোধ জানান।
আত্মসমর্পণ করা ‘আনারুল বাহিনীর’ প্রধান খুলনার কয়রার বাসিন্দা আনোয়ারুল বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বরদের কাছ থেকে কোন প্রকার সহযোগিতা পাইনা। এলাকার কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তির চাহিদা মতো চাঁদা দিতে না পারায় মারপিটের শিকার হয়েছি। থানায় গিয়ে অভিযোগ করেও কোন বিচার পাইনি। পরিবার পরিজন নিয়ে সব সময় একটা অজানা আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে।
একই বাহিনীর মোস্তফা বলেন, একশ্রেণীর মানুষ সামাজিকভাবে আমাদের ঘৃনার চোখে দেখেন। তারা আমাদের নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা ও হয়রানীর জন্য চেষ্টায় থাকেন। আত্মসমর্পণের পর সৎ উপায়ে মাছ ও কাকঁড়ার ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত হওয়ায় ওই চক্রের হোতারা নিয়মিত চাঁদা দাবি করেন। তাদের কথা না শুনলে নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়।
আত্মসমর্পণ করা ‘দাদা ভাই বাহিনীর’ সদস্য মংলা উপজেলার বাসিন্দা মো. পলাশ, রামপালের বাসিন্দা মো. রেজা, ‘বড়ভাই বাহিনীর’ রফিক শেখ, রিপন শেখ, অলিয়ার রহমান, মাওলা ফকির, ‘শান্ত বাহিনীর’ খোরশেদ শেখ, ‘মাষ্টার বাহিনীর’সুলতান হোসেন একই ধরনের অভিযোগ করেন।
এবিষয়ে র্যাব-৬’র অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল রওশনুল ফিরোজ বলেন, আত্মসমর্পণকৃত সাবেক বনদস্যুদের ও তাদের পরিবারের খোজ খবর র্যাব-৬’র পক্ষ থেকে নিয়মিত রাখা হয়। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও তাদেরকে র্যাবের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রীসহ ত্রান বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া সামাজিকভাবে তারা যাতে হয়রানীর শিকার না হয়, এবিষয়ে নজরদারি রয়েছে। এসকল অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাস দেন তিনি।
সুন্দরবনে ২টি বানর ,অজাগর বিষাক্ত ৪টি সাপ কে ফিরিয়ে দেয়া হলো
বাগেরহাট :: :সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে চলে আসা তিন অজাগর সহ অন্য প্রজাতির একটি বিষাক্ত সাপ এবং দুটি বানরকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে প্রাণীকুলের নিজস্ব আবাস গহীন বনে। বনবিভাগের ধারনা ঘুর্নিঝড় আম্পানের তোড়ে পানিতে ভেসে লোকালয় গিয়েছিল এ সকল বন্যপ্রাণী। খুলনা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগের কর্মীরা বন সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা থেকে ৯ থেকে ১০ ঘুট দৈঘের ৩ টি অজাগর, চিতা প্রজাতির অপর ১টি বিষাক্ত সাপ এবং দুটি প্রাপ্ত বয়স্ক বানর উদ্ধার করে।
এ সকল বন্যপ্রানী বৃহস্পতিবার বিকালে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের অদূরে গহীন বনে অবমুক্ত করা হয়। প্রজনন কেন্দ্রের কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, বনে অবমুক্ত করার আগে এ সকল বন্যপ্রাণীকে তাদের সুস্থ্যতা পর্যবেক্ষন করা হয়। তবে কিভাবে এসকল প্রাণী লোকালয় পৌছায় তা নিশ্চিত করতে না পারলেও ধারনা করা হচ্ছে সদ্য আঘাত হানা ঘুর্নিঝড়ের জ্বলোচ্ছ্বাসের তোড়ে পথভ্রষ্ট হয়েছিল। বনবিভাগের উদ্ধার তৎপরতায় এ সকল বন্যপ্রাণীরা আবারও নিজস্ব আবাস ফিরে পেয়েছে বলে জানান তিনি।
মোংলা বন্দরের সিবিএ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
বাগেরহাট :: মোংলা বন্দরে শ্রমিকদের সাবেক সিবিএ’র এক নেতাকে হামলা ও মারধর শেষে উল্টো তাকে পুলিশে সোপর্দ করার ঘটনায় শ্রমিকদের একাংশের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বন্দরের ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের মধ্যে ত্রাণ বন্টন ইস্যুকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে শহরের সিঙ্গাপুর মার্কেট থেকে এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। এ ঘটনায় ওই শ্রমিক নেতা মারাত্মক জখম হয়েছেন। পুলিশ হেফাজতে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আহত শ্রমিক নেতার পরিবারের অভিযোগ, প্রতিপক্ষ শ্রমিক নেতাদের স্বার্থ ব্যাঘাত ঘটায় আক্রোশ মুলক পরিকল্পিতভাবে তার উপর নির্মমভাবে কয়েক দফায় এ হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়। এ ছাড়া এ ঘটনার নেপথ্যে মালিকদের একাংশের ইন্ধন রয়েছে বলেও আহতের পরিবারের অভিযোগ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বিলুপ্ত মোংলা বন্দর শ্রমিক সংঘের (শ্রমিকদের সাবেক সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক একেএম সাহাব উদ্দিন (৫৫) শুক্রবার সকাল পৌনে ১১ টার দিকে শহরের সিঙ্গাপুর মার্কেট দিয়ে যাওয়ার সময় একদল দুর্বৃত্ত তার পথরোধ করে হঠাৎ করে হাতুড়ি ও লাঠি নিয়ে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এরপর আহত অবস্থায় তাকে রিক্সায় করে ৬ তলা ভবনের ভিতরে নিয়ে পুনরায় হামলা ও বেদম মারপিট করে। এক পর্যায়ে আশংকাজনক অবস্থায় হামলাকারীরা তাকে থানায় সোপর্দ করে। পরে পুলিশ তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে। বিকেল ৫ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শ্রমিক নেতা সাহাব উদ্দিন থানায় পুলিশ হেফাজতে ছিলেন।
এ ব্যাপারে মোংলা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধূরী জানান, শ্রমিকদের বিবদমান দু’গ্রপের পাল্টাপাল্টি হামলায় সাহাব উদ্দিনকে আহত অবস্থায় থানায় সোপর্দ করা হলে পুলিশ তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে কিছুটা সুস্থ্য করে। তবে আসলে কি ঘটনা ঘটেছে পুলিশ তা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে। তদন্তের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শ্রমিকদের একটি সূত্র জানায়, করোনা কালীন সময়ে দুর্গত শ্রমিকদের মধ্যে ত্রাণ বন্টন নিয়ে শ্রমিকদের বিবদমান দু’গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও অসন্তোষ চলে আসছিল। এ ইস্যুকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শ্রমিকদের একাংশের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
করোনায় আক্রান্তের বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী প্রদান
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ স্বপন দাশ করোনা ভাইরাস রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তির বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে তিনি মূলঘর ইউনিয়নে করোনা ভাইরাস রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তির বাড়িতে গিয়ে উপরোক্ত খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন। এসময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ হিটলার গোলদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোঃ আবু বকর ও ইউপি সদস্য সরদার আব্দুল কুদ্দুস সহ বিভিন্ন ব্যাক্তিবর্গ।
ডেঙ্গুমশার প্রজনন ও কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণরোধে প্রচারাভিযান
বাগেরহাট :: বাগেরহাটে ডেঙ্গু মশার প্রজনন ও কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানে নেমেছে ১৫টি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সম্মিলিত উদ্যোগ “কোভিড রেসপন্স ইউনিটি”।
বৃহষ্পতিবার (২৫ জুন) বিকেলে বাগেরহাট শহরের স্বাধীনতা উদ্যানে শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে এই প্রচারাভিযান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ।
২৫ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত তারা বাগেরহাট পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মাইকিং, জীবানুনাশক ওষুধ স্প্রে, জনসচেতনতা মূলক লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ করবে।বাগেরহাট ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও কোভিড রেসপন্স ইউনিটির মূখ্য সমন্বয়কারি আহাদ উদ্দিন হায়দারের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন এবং সেচ্ছাসেবী সংগঠন ইচ্ছার সভাপতি ও কোভিড রেসপন্স ইউনিটি’র সমন্বয়কারি এ্যাডভোকেট শাহীন সিদ্দিকী ।
উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান খান রেজাউল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন, রেড ক্রিসেন্ট বাগেরহাট ইউনিটের সেক্রেটারী তালুকদার নাজমুল কবির ঝিলাম, জেলা মহিলা পরিষদ সেক্রেটারি পারভীন আহমেদ, রোটারি ক্লাব সম্পাদক শহীদুল ইসলামসহ কোভিড রেসপন্স ইউনিটির সদস্য সংগঠনের প্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবক ও সাংবাদিকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া সকল ফ্রন্টলাইনার ও সাধারণ মানুষদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।
করোনায় চিতলমারীতে আরও ৬ জন করোনা আক্রান্ত, ৩ বাড়ি লকডাউন
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের চিতলমারীতে নতুন করে আরও ৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু, নারী, ও বৃদ্ধ রয়েছেন। এ ঘটনায় আক্রান্তদের ৩টি বাড়ি উপজেলা প্রশাসন লকডাউন ঘোষণা করেছে। সেই সাথে আক্রান্তদের হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মারুফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মামুন হাসান জানান, করোনা উপসর্গ দেখা দেয়ায় গত ২৩ জুন (মঙ্গলবার) ১৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠান হয়। সেখান থেকে নমুনা পরীক্ষা শেষে ২৬ জুন (শুক্রবার) উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের বৃদ্ধ মনি মোহন মন্ডল (৬৫), তার স্ত্রী মিনতী মন্ডল (৪৫), ছেলে প্রভাষ মন্ডল (২২), চরবানিয়ারী ইউনিয়নের চরবানিয়ারী দক্ষিণপাড়া গ্রামের অর্পিতা রায় (৩৫), তার শিশু পুত্র অর্থ রায় (২) ও চিতলমারীর সীমান্তবর্তী মোল্লাহাটের কোদালিয়া গ্রামের মোঃ গোলাম মাওলা (৩৫) সহ ৬ জনের রিপোর্ট করোনা পজেটিভ আসে। এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে আক্রান্তদের ৩টি বাড়ি উপজেলা প্রশাসন লকডাউন ঘোষণা করেছে। সেই সাথে আক্রান্তদের হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রসংগত, এ নিয়ে চিতলমারীতে মোট করনা আক্রান্তের সংখ্যা এ পর্যন্ত ২১ জন। এদেরমধ্যে ১৭ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী। এই তৃতীয় বার এখানে বসবাসকারীদের মধ্যে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেল। আক্রান্তদের মধ্যে ৬ জন সুস্থ্য হয়েছেন।