শনিবার ● ২৭ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » বিয়ের প্রলোভনে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ : ধর্ষক আটক
বিয়ের প্রলোভনে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ : ধর্ষক আটক
আব্দুল্লাহ আল মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ির রামগড়ে বিয়ের প্রলোভনে এক স্কুল ছাত্রীকে এক বখাটে কর্তৃক মাসের পর মাস ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে মেয়েটি ৮ মাসের গর্ভবতী বলে জানা গেছে। অভিযোগ পেয়ে গতকাল ২৬ জুন (শুক্রবার) রাতেই পুলিশ ধর্ষক দীপ্ত ত্রিপুরাকে গ্রেফতার করেছে। সে রামগড় পৌরসভার ডেবারপাড় এলাকার ভূবন মোহন ত্রিপুরার ছোট ছেলে।
জানা যায়, ধর্ষনের শিকার মেয়েটি রামগড় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের বেলছড়ি গ্রামের দরিদ্র পিতা হাসিরাম ত্রিপুরা মেয়েকে স্কুল হোস্টেলে রেখে পড়ালেখা করাতেন। এক পর্যায়ে পূর্ব পরিচিত হিসেবে ধর্ষকের মা তার মেয়েকে সাংসারিক কাজে সহযোগীতার কথা বলে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। সে সুযোগে দীপ্ত ত্রিপুরা মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। এক পর্যায়ে মেয়ে অন্তঃসত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে মেয়ের পরিবার ত্রিপুরা কল্যান সংসদের বিচারপ্রার্থী হয়। দুই দফা বিচারে বসেও কোন সুরাহা না হওয়ায় মেয়ের পিতা রামগড় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। ধর্ষিতার বাবা হাসিরাম জানান, তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে ফুঁসলিয়ে এ অপকর্ম করে। সামাজিক ভাবে একাধীকবার বিচার প্রার্থী হয়েও আসামী পক্ষ প্রভাব দেখিয়ে বিচার না মানায় তিনি থানায় মামলা করেন। অন্ত:সত্বা স্কুলছাত্রীটি জানান, বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন সময় তাকে একাধীকবার ধর্ষণ করে। পরে বিয়ের কথা বললে ধর্ষক অস্বিকৃতি জানায়। রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, অভিযোগ পেয়ে গতকাল শুক্রবার রাত ২টায় আসামি দীপ্ত ত্রিপুরাকে গ্রেফতার করা হয়। আসামীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ, রাস্তার বেহাল দশা
খাগড়াছড়ি :: খাগড়াছড়ি জেলা সদরের বটতলী কালাডেবা এলাকায় চেঙ্গী নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। একটি মহল জেলার ইজারা যোগ্য জায়গার বাইরে গোপনে বালু উত্তোলন করায় নদী সংলগ্ন ফসলী জমি, বসত-বাড়ীসহ এলাকার একমাত্র চলাচল রাস্তাটি মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এমন অভিযোগ তুলে ধরে গত ২৩ জুন, খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। সরেজমিনে দেখা যায়, একটি শ্যালো যন্ত্র বসিয়ে পাইপ লাগিয়ে ওই এলাকার চেঙ্গী নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। গোপনে বালু উত্তোলন করায় পরিবেশের ভারসাম্যকে তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। ফলে, নদী সংলগ্ন ফসলী জমি, বসত-বাড়ী, ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। তাছাড়া ট্রাক্টর দিয়ে বালু পরিবহন করায় গ্রামের একমাত্র যাতায়াতের রাস্তাটি কাঁদা-পানিতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ইজারাযোগ্য বালু মহালে সেতু, সড়ক, মহাসড়ক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা সন্নিকটবর্তী স্থান এবং পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট করে এমন কোন স্থান হতে এবং কোন অবস্থাতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা যাবে না মর্মে শর্তাবলী রয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে ইজারাকৃত নয় এমন জায়গায় কালাডেবা মহা-শ্মশানের পাশে উপরোক্ত শর্তাবলী অমান্য করেই বালু উত্তোলন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে একটি মহল। এলাকাবাসী জানান, অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনে ট্রাক্টর দিয়ে বালু পরিবহন করায় কালাডেবা এলাকার রাস্তাটি মানুষ ও যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট বালু উত্তোলনকারীদের বহুবার রাস্তাটি মেরামতের অনুরোধ জানালেও তারা কর্ণপাত করেনি। আমরা বাধ্য হয়ে বিষয়টি প্রতিকার চেয়ে পৌর মেয়র বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছি। এ ব্যাপারে খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র মো: রফিকুল আলম বলেন, সদরের বটতলী কালাডেবা এলাকায় চেঙ্গী নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে ফসলী জমি ও রাস্তা-ঘাট হুমকির মুখে উল্লেখে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগমূলে দেখা যায়, জেলায় ইজারা যোগ্য বালু মহালের তালিকার বাইরে উক্ত এলাকায় অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে যা মোটেও কাম্য নয়। অচিরেই এ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে ব্যাবস্থা নেয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস’র মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।