বুধবার ● ১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাজীপুরে ভূয়া ওয়ারেন্ট দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে দুই প্রতারক গ্রেফতার
গাজীপুরে ভূয়া ওয়ারেন্ট দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে দুই প্রতারক গ্রেফতার
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: গাজীপুরে ভূয়া ওয়ারেন্ট দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে দুই প্রতারক আটক হয়েছে৷ আটক শাহ আলম (২৬) গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ছোট দেওড়া এলাকার আয়নাল হকের ছেলে এবং কোনাবাড়ি জয়েরটেক এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে আসাদুজ্জামান আসাদ (৩৭)৷
প্রতারণার শিকার কোনাবাড়ির দেওয়ালিয়া বাড়ি এলাকার মৃতঃ মুনসুর আলী মাতবরের ছেলে মোস্তফা কামাল জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে জয়দেবপুর থানা পুলিশ চেক জালিয়াতির মামলায় তাকে এবং তার বড় ভাই মন্টু মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়৷
৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে তার মা মরিয়ম আক্তার ও ছোট ভাই মোজাম্মেল হক থানায় যান৷ সেখানে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ইস্যূ করা গ্রেফতারি পরোয়ানার নম্বর নিয়ে গাজীপুর আদালতে মামলার নথী ও পরোয়ানা বের করতে তল্লাশী দেন৷ সেখানে তাদের নামে কোন পরোয়ানার তথ্য না পেয়ে তারা বিষয়টি জয়দেবপুর থানার এএসআই মোঃ কবির হোসেনকে অবগত করেন৷ পরে এএসআই কবির হোসেন বিষয়টি তদন্ত করে মঙ্গলবার দুপুরে কৌশলে শাহ আলম ও আসাদকে থানায় ডেকে নিয়ে আটক করেন৷
গাজীপুর সদর থানার ডিউটি অফিসার এস আই সিরাজউদৌলা জানান, শাহ আলম, জেলা ও দায়রা আদালতে পেশকারের ওমেদার হিসেবে মাস্টাররুলে কর্মরত এবং আসাদ গাজীপুর সদরের সাবরেজিস্ট্রি অফিসের একজন দলিল লেখক৷ তদন্তে গ্রেফতারি পরোয়ানাটি ভূয়া প্রমানিত হলে তাদেরকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতকে বিষয়টি অবহিত করেন৷ পরে জেলা ও দায়রা জজের নির্দেশে সাব জজ মোঃ আলী আহসান তার খাস কামরায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন৷ এসময় অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে ভূয়া ওয়ারেন্ট তৈরির কথা স্বীকার করেন৷ পরে সাব জজ দুই ভাইকে ছেড়ে দিয়ে আসাদ ও শাহ আলমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন৷
আটককৃতরা পুলিশকে জানান, মোস্তফাদের সাথে জমিজমা নিয়ে আসাদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে৷ মোস্তফাদের ফাঁসাতে আসাদ ১০হাজার টাকার বিনিময়ে ওমেদার শাহ আলমকে দিয়ে ওই গ্রেফতারি পরোয়ানা তৈরি করেন৷
ডিউটি অফিসার সিরাজউদৌলা আরও জানান, এ ব্যাপারে মঙ্গলবার গভীর রাতে মোস্তফা বাদি হয়ে জয়দেবপুর থানায় একটি প্রতারণা মামলা (মামলা নং-৪৫) দায়ের করেছেন৷ প্রতারক দুই আসামী জয়দেবপুর থানা পুলিশের হেফাজতে আছে, তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে৷