রবিবার ● ২৮ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি : ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী
গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি : ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা :: উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র বিপদসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ৷ এতে সদর, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার প্রায় ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে এবং নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়ছে মানুষ।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, রোববার (২৭ জুন) দুপুর ১২টায় পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৬৩ সে.মি. ও ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৩৮ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
জেলায় ৪টি উপজেলার সুন্দরগঞ্জের ৭টি ইউনিয়ন, গাইবান্ধা সদরের ৩টি, ফুলছড়ির ৬টি ও সাঘাটার ৪টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়ায় ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় এ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার লোক এখন পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। কোথাও কোথাও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে।
এদিকে গাইবান্ধা-বালাসীঘাট পাকা সড়কটির প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় সড়কের উপর দিয়ে এখন নৌকা চলাচল করছে।
জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জের তারাপুর, বেলকা, কঞ্চিপাড়া, হরিপুর, কাপাসিয়া, শ্রীপুর ও চন্ডিপুর, সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর ও গিদারী, ফুলছড়ির এরেন্ডবাড়ি, ফজলুপুর, ফুলছড়ি, গজারিয়া, উড়িয়া ও উদাখালী এবং সাঘাটার ভরতখালী, ঘুড়িদহ ও হলদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। বাড়িঘরে পানি ওঠায় ওইসব বন্যা কবলিত মানুষ গবাদিপশু নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ অথবা উঁচু স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, গাইবান্ধায় ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং ঘাঘট নদীর পানি শহর পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যহত আছে৷