রবিবার ● ২৮ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » গৃহবধূর হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার দাবিতে বিক্ষোভ : পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ
গৃহবধূর হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার দাবিতে বিক্ষোভ : পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ
গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন,ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠির রাজাপুরে পিটিয়ে ও আয়রণের স্যাঁকা দিয়ে নির্যাতনের পর রুনা লায়লা (২৮) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় স্বামী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না বলে নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেছেন। ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুসকে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে আজ ২৮ জুন রবিবার দুপুরে ঝালকাঠি শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়েছে। স্থানীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহর ঘুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধন। এতে নিহতের বাবা আমির হোসেন গাজী, মা কুলসুম বেগম, ভাই গাজী রেজাউল করিম, মামা আবদুস ছত্তার ও চাচা মো. মিঠুনসহ পরিবার ও এলাকাবাসী অংশ নেয়। ডিসি অফিসের সামনের বিক্ষভে শেষ দিকে পুলিশ গিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে বিক্ষুব্দরা প্রেস ক্লাবের সামনে এসে বিক্ষোভ করে।
গত ২১ মে বিকালে রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের বাড়ি থেকে তাঁর স্ত্রী রুনা লায়লার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রুনা লায়লা উপজেলার ডহরশংকর গ্রামের আমির হোসেন গাজীর মেয়ে। এ ঘটনায় পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করছে না বলেও অভিযোগ কজরেন স্বজনরা। তাঁরা মামলাটি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তদন্তেদের দাবি জানান। তবে পুলিশ বলছে, আসামি পলাতক থাকায় তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযুক্ত ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদ হোসেন। নিহত গৃহবধূর বাবা আমির হোসেন গাজী অভিযোগ করেন, তাঁর ছোট মেয়ে রুনা লায়লার দশ বছর আগে বিয়ে হয় একই উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের মজিবর হাওলাদারের ছেলে আব্দুল কুদ্দুসের সাথে। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। তার মেয়ে জামাই কুদ্দুস মেম্বর নির্বাচন করার সময় শ্যালকের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। সেই টাকা পরিশোধ না করে সম্প্রতি আবারো দুইলাখ টাকা দাবি করে সে। টাকা না দেওয়ায় রুনা লায়লাকে নির্যাতনের পরে হত্যা করে কুদ্দুস। রুনা লায়লার শরীরে লাঠি দিয়ে পেটানো ও আয়রণ দিয়ে স্যাঁকা দেওয়ার চিহ্ন রয়েছে। পরে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালায় ইউপি সদস্য কৃদ্দুস। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে রাজাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহতের চাচা মো. মিঠুন বলেন, পুলিশ আসামি গ্রেপ্তারে কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। আসামি আব্দুল কুদ্দুস তাঁর আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে আছে। পুলিশ এ খবর জানলেও তাকে গ্রেফতার করছে না। মামলাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার পায়তারা করা হচ্ছে। তাই আমরা এই মামলাটি গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইডি) মাধ্যমে তদন্তের দাবি জানাই।
ঝালকাঠিতে সোমবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে অনলাইনে তিন দিনব্যাপী ডিজিটাল মেলা
ঝালকাঠি :: ঝালকাঠিতে সোমবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে অনলাইনে তিন দিনব্যাপী ডিজিটাল মেলা। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এই প্রথমবারের মতো অনলাইনে মেলাটি অনুষ্ঠিত হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে জেলার ডিজিটাল কার্যক্রমকে জাতীয় তথ্য বাতায়নের মাধ্যমে নাগরিকদের কাছে উপস্থাপনের লক্ষ্যেই এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। মেলায় প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য থাকবে। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের তথ্য উপস্থাপন করা হবে ডিজিটাল মেলায়। এ উপলক্ষে রবিবার বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় প্রস্তুতি সভা। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আরিফুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ও এনডিসি আহমেদ হাছান। এতে সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা অংশ নেয়। মেলায় অনলাইনে সেমিনার, কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১২টায় অনলাইনে ‘কোভিট ১৯ পরিস্থিতিতে প্রযুক্তিই হাতিয়ার’ শীর্ষক সেমিনারের সভাপতিত্ব করবেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী।
সিকিউরিটি গার্ডকে হত্যার হুমকি
ঝালকাঠি :: ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় আপন ভাইকে হত্যার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ উঠেছে এক ভাইয়ের বিরুদ্ধে। ভাইকে দমন করতে ভাড়াটে লোকজনকেও ব্যবহার করা হচ্ছে। কেটে ফেলা হয়েছে বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছের বাগান। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করতে গেলেও, পুলিশ মামলা নেয়নি। রবিবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন কাঁঠালিয়া উপজেলার লেবুবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা সিকিউরিটি গার্ড আলমগীর হোসেন (৫৫)। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর বড় ভাই শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। ভাই ও তাঁর ছেলে রাজু হাওলাদারের সঙ্গে যোগদিয়ে অপর প্রতিপক্ষ মিজানুর রহমান, ইউনুচ সিকদার ও খোকন আকন গত ২০ জুন তাঁর রোপন করা গাছপালা কেটে ফেলে। এতে বধা দিতে গেলে তাকে মারধর করার জন্য আসলে তিনি ঘরের ভেতরে অবস্থান নিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়। এসময় প্রতিপক্ষরা তাকে ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আলমগীর হোসেন বলেন, প্রতিপক্ষরা আমার বড় ভাইয়ের সঙ্গে যোগদিয়ে আমাকে মেরে ফেলে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমি এখন নিরাপত্তহীনতায় আছি। এ অবস্থায় থানায় মামলা করতে গেলেও কাঠালিয়া থানা পুলিশ মামলা নেয়নি।