মঙ্গলবার ● ৩০ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ » প্রেমিক পালালেন পুলিশ দেখে প্রেমিকা হলেন ধর্ষিতা
প্রেমিক পালালেন পুলিশ দেখে প্রেমিকা হলেন ধর্ষিতা
হাফিজুল ইসলাম লস্কর, সিলেট প্রতিনিধি :: ফেঞ্চুগঞ্জে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাচ্ছিলে ১৭ বছরের এক তরুণী। পথিমাধ্যে পুলিশ দেখে প্রেমিকাকে রেখেই পালালেন প্রেমিক রাবিনের। মেয়েটিকে একা পেয়ে ফুসলিয়ে মাইজগাঁও নিয়ে যায় সুমন। সেখানে সুমন ও ফাতু মিয়া কিশোরীকে ধর্ষন করে। খবর পেয়ে পুলিশ কিশোরীটিকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো : উপজেলার মাইজগাঁওয়ের মিঠু মিয়ার কলোনির ভাড়াটিয়া সেলিম মিয়ার ছেলে সুমন (২৪) ও হাঁটুভাঙ্গা গ্রামের মৃত মজির আলীর ছেলে ফাতু মিয়া (৪৫)।
ফেঞ্চুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান জানান, কিশোরীর মা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আজ মঙ্গলবার আসামীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজহার থেকে জানা যায়, ফেঞ্চুগঞ্জের ছত্তিশ গ্রামের সাগর মিয়ার ছেলে রাবিনের সাথে এলাকার এক কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই সম্পর্কের জের ধরে সোমবার রাবিনের সাথে কিশোরীটি পালিয়ে যায়। পথে পুলিশ দেখে কিশোরীকে রেখে পালিয়ে যায় রাবিন। কিশোরীকে একা পেয়ে তাকে ফুসলিয়ে মাইজগাঁও নিয়ে যায় সুমন। সেখানে ফাতু মিয়াসহ সে কিশোরীকে ধর্ষন করে।
সিলেটে নাতনিকে ধর্ষন করে পালালেন নানা
সিলেট :: সিলেটের কদমতলীর একটি বাসায় নাতনিকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে গেছেন শিশুটির মায়ের চাচা। ঘটনাটি ঘটেছে কতমতলীর স্বর্ণশিখা আবাসিক এলাকার ৪৬/এ নম্বর বাসায়। ধর্ষণের শিকার হওয়া ১০ বছরের শিশুকন্যা বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি আছে।
জানা গেছে, বিশ্বনাথের লামাকাজি ইউনিয়নের সৎপুর গ্রামের আবু বকর (৫০) কদমতলীতে তার ভাতিজির বাসায় বেড়াতে আসেন। রবিবার দুপুরে বাসা খালি পেয়ে তিনি ভাতিজির ১০ বছর বয়সী শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। পরে শিশুটির মা-বাবা বাসায় এসে ধর্ষণের আলামত পেয়ে পুলিশে খবর দেন এবং শিশুকন্যাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে নিয়ে যান।
এ ঘটনায় শিশুকন্যার মা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কমদতলী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নুরে আলম বলেন, ভিকটিম শিশু হাসপাতালে ভর্তি আছে। শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পুলিশ ধর্ষককে আটকে চেষ্টা চালাচ্ছে।
কোরআন খতম, দোয়া মাহফিল ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলো বিপদে আমরা সবার তরে গ্রুপ
সিলেট :: রাখালগঞ্জ কে সি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০১০-২০১৫ ব্যাচের কিছু বন্ধুদের উদ্যোগে গঠিত বিপদে আমরা সবার তরে গ্রুপটির উদ্যোগে খতমে কোরআন,দোয়া মাহফিল ও অসহায় মানুষের “৫৮টি” পরিবারে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
মহামারী “করোনা ভাইরাসে” এর কারনে গৃহবন্দি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে ঘোষিত ধারাবাহিক কর্মসূচির আওতায় আজ মঙ্গলবার (৩০ জুন ২০২০) “৫৮টি” পরিবারে মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
প্রত্যেক পরিবারকে ৫ কেজি চাউল, ২ কেজি পেঁয়াজ, ২ কেজি আলু, ২ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি লবন, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি ময়দা, ১ পিছ লাইফবয় সাবান করে দেওয়া হয়েছে।
যে সকল মহৎ বন্ধু ও সমাজ সেবক এর আর্থিক, শারীরিক সহায়তা ও সহযোগিতায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
আপনাদের সকলকে বিপদে আমরা সবার তরে গ্রুপটির পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
গেদু চাচা খ্যাত সাংবাদিক মোজাম্মেল হক’র মৃত্যুতে ইউনানী পরিবারের শোক
সিলেট :: আশি-নব্বই দশকের ‘গেদু চাচা’ খ্যাত সিনিয়র সাংবাদিক, জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য ও ‘আজকের সূর্যোদয়’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা খোন্দকার মোজাম্মেল হক আর নেই। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর এএমজেড হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (২৯ জুন) বিকাল ৪টার দিকে তিনি মারা যান (ইন্নালিল্লাহি…..রাজিউন)।
মুক্তিযোদ্ধা খোন্দকার মোজাম্মেল হক এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন সাপ্তাহিক ইউনানী কন্ঠ’র সম্পাদক মন্ডলী ও সাংবাদিকবৃন্দ।
এক শোকবার্তায় ইউনানী কন্ঠ বলেন, খোন্দকার মোজাম্মেল হক-এর অকাল মৃত্যুতে সাংবাদিক সমাজের অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হল। একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি আমৃত্যু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে অগ্রগামী সৈনিক হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন। আমরা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
শোক বার্তা ইউনানী কন্ঠ মরহুমের কর্মময় জীবন সম্পর্কে আলোচনা করে বলেন, খোন্দকার মোজাম্মেল হক কয়েক দশক ধরে গেদু চাচা নামে কলাম লিখতেন। আশির দশকে সাপ্তাহিক সুগন্ধা ও পরে নব্বইয়ের দশকে আজকের সূর্যোদয়ের সম্পাদক ছিলেন। ষাটের দশকে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছাত্রদের নিয়ে গণআন্দোলন গড়ে তোলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ঢাকাস্থ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, খোন্দকার মোজাম্মেল হক শনিবার রাতে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এবং সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাসার কাছে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে ছাগলনাইয়ায় গ্রামের বাড়িতে। সেখানে বিকাল পাঁচটায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী, ভক্ত ও সহকর্মী রেখে গেছেন। ১৯৫২ সালের ২৬ নভেম্বর ফেনী জেলার ছাগলনাইয়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।