বৃহস্পতিবার ● ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » কৃষি » রাঙামাটিতে সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
রাঙামাটিতে সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ : বাংলাদেশ : সময় : বিকাল ৪.১০মিঃ) ২০১২ সালে ১১’ই ফেব্রুয়ারী নিজগৃহে সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনি নৃঃসংশভাবে খুন হয়েছেন। খুনীরা এখনো পর্দার আড়ালে। নতুন নতুন খবরের ভীড়ে হারিয়ে গেছে সাংবাদিক সাগর-রুনি। মেঘের কথা এখন তার পরিবারের কয়েকজন ছাড়া আসলে কতজন মনে করে ?
আমরা মনে মনে জানি, এই দুটো প্রাণ আর আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু কিছুই করতে পারি না। পারি না, কারন, আমাদের হাত বাঁধা আইনের কাছে, বিচার ব্যবস্থার কাছে আর তথাকথিত তদন্তের নামে প্রহসণের কাছে।
১১ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের চার বছর হয়ে গেল “ ন্যায় বিচার কবে পাবো আমরা”?
রাঙামাটিতে সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে রাঙামাটিতে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা মানববন্ধন করেছে।
সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে বক্তব্য রাখেন প্রবীন সাংবাদিক রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সুনীল কান্তি দে,একেএম মকছুদ আহমেদ,রাঙামাটি পৌরসভা মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী,রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল ও রাঙামাটি রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা প্রমুখ।
এসময় সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নেয় রাঙামাটি প্রেস ক্লাব,রাঙামাটি রিপোর্টাস ইউনিটি,রাঙামাটি সাংবাদিক ইউনিয়ন,রাঙামাটি সাংবাদিক ফোরম ও রাঙামাটি জেলা অনলাইন প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক বৃন্দ।
সাগর-রুনী হত্যাকান্ডে পর, আমরা দেখেছি, কিভাবে বদলে গেছে চেনা মানুষ গুলো মুখ। দেখেছি, কত মানুষ মুখোশের আড়ালে আসলে ভীষন স্বার্থান্বেষী হিংস্র মানুষ। তারা প্রশাসনের মিষ্টি মুখ আর প্রলোভনে সব, সব ভুলে যায়।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম আজ ১৪৬০ দিন মানে ৪ বছর গড়িয়ে গেল। তদন্তের কোন আশাজনক খবর এখন পর্যন্ত পাইনি আমরা।
আমরা বিশ্বাস করি, সরকারের সঠিক সহযোগিতা থাকলে খুনীদের সনাক্ত করা সম্ভব ছিলো এবং এখনো তা করা যায়। সরকারের কোন এক বিশেষ দূর্বলতাই সাংবাদিক সাগর-রুনির হত্যাকারীদের গায়েব হতে সাহায্য করেছে।
আমরা মানুষরা এত নিষ্ঠুর কেন ? নতুন খবরের সঙ্গে কেন সব ভুলে যাই, এই মানুষ গুলো আমাদের সঙ্গী ছিলো, তাদেরও ছিলো বাঁচার অধিকার।
“ ন্যায় বিচার কবে পাবো আমরা”?