বৃহস্পতিবার ● ২ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » করোনার থাবায় বিপর্যস্ত ঝিনাইদহ : ৫ জনের মৃত্যু আক্রান্ত ২৩৬
করোনার থাবায় বিপর্যস্ত ঝিনাইদহ : ৫ জনের মৃত্যু আক্রান্ত ২৩৬
মো. জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: স্বাস্থ্য বিধি না মানায় ঝিনাইদহ জেলায় দ্রুত করোনার ভয়াল থাবা বিস্তার ঘটছে। হাটে বাজারে, শহরের মার্কেটে, অফিস আদালতে, গ্রামে গঞ্জে, পাড়া মহল্লায় মানুষের ভীড় ও বেপরোয়া আনাগোনায় দিনকে দিন করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে ঝিনাইদহের স্বাস্থ্যকর্মীদের কপালে দুঃশ্চিন্তার ভাজ পড়েছে। এদিকে উপসর্গ নিয়ে মৃত আরও ২ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ালো ৫ জন। এর মধ্যে কালীগঞ্জে ৩ জন ও শৈলকুপায় ২ জন রয়েছে। সিভিল সার্জন ডা: সেলিনা বেগম জানান, ২৮ জুন করোনার উপসর্গে মারা যান কালীগঞ্জ উপজেলার হেলাই গ্রামের মোস্তাক হোসেন ও ৩০ জুন মারা যান আব্দুর রশিদ। আজ বৃহষ্পতিবার তাদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হলো। বৃহস্পতিবার নতুন করে ২৭ জনের দেহে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। সকালে কুষ্টিয়া ল্যাব থেকে আসা ৯৩ জনের মধ্যে ২৭ জনের রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ২৩৬ জন। সুস্থ হয়েছে ৯৪ জন। নতুন আক্রানত ২৭ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ৯জন, কালিগঞ্জে ১৪ জন, শৈলকূপায় ২জন, হরিনাকুন্ডু ১ জন ও মহেশপুর ১ জন রয়েছে। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের করোনা সেলের মুখপাত্র ডাঃ প্রসেনজিত বিশ^াস পার্থ জানান, আক্রান্ত এলাকা হচ্ছে শহরের গিতাঞ্জলী সড়ক, আদর্শপাড়া, পুলিশ লাইনস, রাজধনপুর, দক্ষিনচানপুর, ছোটকামারকুন্ডু, চরমুরারীদহ নলডাঙ্গা এলাকার , কালিগঞ্জের- ফয়লা, কলেজরোড, আলীগঞ্জ, আড়পাড়া, রঘুনাথপুর, বাখেরগাছি, দৌলতপুর এলাকার, হরিনাকুন্ডুর ফায়ারষ্টেশন এলাকার, মহেশপুরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকার এবং শৈলকূপার খুদারগ্রাম, হুদাকুশবাড়িয়া ও ধলহরাচন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা।
ঝিনাইদহে নতুন করে আরও ২৭ জন করোনায় আক্রান্ত
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে নতুন করে আরও ২৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ২৩৬ জন। সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়া ল্যাব থেকে ঝিনাইদহে ৯৩ টি রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে ২৭ টি পজেটিভ। আক্রান্তদের মধ্যে, সদর উপজেলায় ৯ জন, কালীগঞ্জ উপজেলায় ১৪ জন, শৈলকুপা উপজেলায় ২ জন, হরিনাকুন্ডু উপজেলায় ১ জন ও মহেশপুর উপজেলায় ১ জন। আক্রান্ত ২৩৬ জনের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৯৪ জন। জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩ জন।
কালীগঞ্জে উপসর্গ নিয়ে মৃত সেই ২ জনের করোনা পজেটিভ
ঝিনাইদহ ::কালীগঞ্জে করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত আরও ২ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। এ নিয়ে কালীগঞ্জ উপজেলায় আর ও ২ জনের করোনায় মৃত্যু হল। সিভিল সার্জন ডা: সেলিনা বেগম জানান, ২৮ জুন করোনার উপসর্গে মারা যান কালীগঞ্জ উপজেলার হেলাই গ্রামের মোস্তাক হোসেন ও ৩০ জুন মারা যান আব্দুর রশিদ। বৃহষ্পতিবার তাদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। এছাড়া কালীগঞ্জ উপজেলায় বৃহস্পতিবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১৪ জন। তাদের মধ্যে নলডাঙ্গা, ফয়লা, কলেজ রোড, নলডাঙ্গা, নলডাঙ্গা, নলডাঙ্গা:, আলীগঞ্জ ,রঘুনাথপুর, বাঘেরগাছি, বারইপাড়া, আড়পাড়া, ফয়লা, দৌলতপুর, হেলাই (মৃত)। ঝিনাইদহ জেলার ৬ উপজেলার মধ্যে কালীগঞ্জেই এই সর্বপ্রথম ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত হল।
ঝিনাইদহ ডাকবাংলা আব্দুর রউফ ডিগ্রী কলেজে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা আব্দুর রউফ ডিগ্রী কলেজে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বৃক্ষ রোপন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আব্দুর রউফ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, ১নং সাধুহাটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, মোঃ রেজাউল মন্ডল সভাপতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, মুন্সি শাহীন রেজা সাঈদ সাধারণ সম্পাদক ৩নং সাগান্না ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ,শফি আহমেদ মিন্টু ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক।
সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে পায়ে মাড়িয়ে ঝিনাইদহে চলছে রমরমা কোচিং ও প্রাইভেট বানিজ্য
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে শিক্ষার্থীদের করোনা সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে সরকার যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখছেন ঠিক সেই মুহুর্তে ঝিনাইদহ জেলা সদর উপজেলা সহ পার্ষবর্তী সকল উপজেলার এক শ্রেণীর শিক্ষক ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররা তাদের কোচিং বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছেন। সামাজিক দূরত্ব,স্বাস্থ্য বিধির কোন তোয়াক্কা না করেই এসব শিক্ষক ও কলেজ পডুয়া ছাত্ররা দলবদ্ধভাবে নিজ বাসায় অথবা কোচিং সেন্টারে সকাল-সন্ধ্যা তাদের কোচিং বাণিজ্য চালাচ্ছেন। করোনার জন্য স্কুল কলেজ বন্ধ থাকার সুযোগে খোদ এমপিও ভুক্ত শিক্ষকরাও কোচিংয়ে জড়িয়ে পড়ায় উপজেলা জুড়েই চলছে অবৈধ কোচিং বাণিজ্য। হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্তেও এ উপজেলায় বন্ধ হয়নি কোচিংবাণিজ্য ! অর্থের লোভে খোদ ‘মানুষগড়া কারিগর নামের অনেক শিক্ষকই শিক্ষার নীতিমালা ও নৈতিকতা ভুলে গিয়ে আদর্শ বিচ্যুত হচ্ছেন। ফলে কোচিং বাণিজ্য এখন তুঙ্গে। কাঙ্খিত শিক্ষার পিছনে বছরে লাখ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করতে হচ্ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বহুগুণে বাড়িয়ে তুলেছে কোচিং সেন্টারগুলো। অভিযোগ রয়েছে, সরকার ঘোষিত নিয়ম-নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে খোদ এমপিও সুবিধাভোগি শিক্ষকরা একদিকে কোচিং সেন্টারের মালিক হয়ে যেন শিক্ষার প্রসারের নামে শিক্ষা বাণিজ্যের আদলে ‘কোচিং সেন্টার’ নামক দোকান খুলে বসেছেন। জানা যায়, উপজেলার খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বনামধন্য শিক্ষকরাও নিজেদের তত্ত্বাবধানে বাসাবাড়িতে সাইনবোর্ডবিহীন কোচিং ব্যবসা জাঁকিয়ে বসেছেন। ব্যাচে ব্যাচে শিক্ষার্থীরা সেখানে পড়ছে। একশ্রেণির কোচিংবাজ শিক্ষকদের চাপে সিংহভাগ ছাত্রছাত্রী কোনো না কোনোভাবে মূল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে অর্থের বিনিময়ে কোচিংয়ে পড়ছে। এ হিসাবে প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীই এক পর্যায়ে কোচিংয়ের ওপর নির্ভরশীল হতে বাধ্য। ফলে কোচিং সেন্টারগুলোর মালিক শিক্ষকরা শিক্ষার নাম ভাঙিয়ে বছরজুড়েই লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। শিক্ষকরা শিক্ষা নামের নগ্ন বাণিজ্যে বেপরোয়াভাবে জড়িয়ে পড়ায় নিজ স্কুলের শিক্ষকদের কাছেই গণিত, ইংরেজি, রসায়ন, পদার্থসহ পাঠ্যসূচির বিষয়গুলো শিক্ষার্থীরা কোচিং করতে বাধ্য হচ্ছে। কোচিং করার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে শিক্ষার্থীদের অকপট উত্তর ‘ক্লাসে যা পড়ায়, তাতে হয় না। সেখানে ভালোমতো বোঝানো হয় না। তাই কোচিং তো করতেই হয়। শত শত শিক্ষার্থীর একই মনোভাব ক্লাসে বুঝি না। বোঝানো হয় না। অভিভাবকের মুখেও একই কথা শুনা যায়। অভিভাবদের অভিযোগ, সরকার কোচিং নিষিদ্ধ করেছে। সন্তানের ভালো রেজাল্টের আশায় কোচিং সেন্টারে পড়াতে বাধ্য হতে হয়। এ বিষয়ে উপজেলার নগরবাথান গ্রামের একজন অভিভাবক জানান, শুধু করোনা বা সংক্রমণ এড়াতে প্রাইভেট পড়াতে পারছি না ছেলেকে। নগর বাথান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক জানান, একমাত্র অজ্ঞ শিক্ষক এবং অভিভাবকরাই কেবল দেশের এ ক্রান্তিকালে ছেলে-মেয়েদের প্রাইভেট মাষ্টারদের কাছে পাঠাচ্ছে। এ ছাড়া নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অবসর সময়টি কাজে লাগানো যাচ্ছে। কোচিং ও প্রাইভেট শিক্ষকদের নামের তালিকায় নগর বাথান বাজার এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একটি কোচিং এর পরিচালনা করেন এম এ খালেক কলেজের প্রভাষক মোঃ নজরুল ইসলাম। সেখানে নজরুল ইসলাম সহ ৬জন কলেজ পড়ুয়া ছাত্র দিয়ে কোচিং চালানো হচ্ছে। এরা হল দেলয়ার, হাবিব, সোহাগ, সোহেল, ও সাগর।একই এলাকার সেন্টু নামে তার নিজ বাড়িতে ১০/১৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে একটি ছোট খুপড়ির মধ্যে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে বসিয়ে পড়াচ্ছেন।সে পেশাই একজন প্রাইভেট শিক্ষক নামেই পরিচিত। এছাড়াও নগর বাথান বাজারের পশ্চিম পার্শে নজরুল ইসলাম নামে আরেক শিক্ষক। সে রাম নগর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক। কোন স্বাস্থ্য সেবা না মেনেই তার নিজ বাড়িতে ২০/৩০ জন করে ২/৩ ব্যাচে শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছেন। এছাড়াও উপজেলার কালিচরন পুর ইউনিয়নের ‘মোসলেম উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়য়ে’র শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকে একি ইউনিয়নের ভগবান নগর স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসায় বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে প্রাইভেট পড়াতে দেখা গেছে। এছাড়াও উপজেলার কুমড়াবাড়ীয়া ইউনিয়নের ঝপঝপিয়া গ্রামের সাগর ,ও জাহাঙ্গীর নামের ২জন প্রাইভেট শিক্ষক, তাদের নিজ বাড়িতে ও বাড়িতে বাড়িতে যেয়ে প্রাইভেট পড়ায় বলে জানা গেছে। কোটচাঁদপুর উপজেলারা গ্রামে ও শহরে প্রকাশে সাস্থবিধি না মনে প্রাভেট পড়ানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন অনেকে। স্কুল কলেজ মাদ্রাসাগুলো যেন করোনাই বন্ধ থাকার সুযোগে কোচিং ও প্রাইভেট সেন্টার হয়ে গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা অফিসার সুশান্ত কুমার দেব বলেন, এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ কেউ করেনি।বিষয়টি তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
কার কথা ঠিক?
গ্রামবাসি বলছে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ইউপি সদস্য ধরা, গনধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ, প্রবাসির স্ত্রীর দাবী ষড়যন্ত্র
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে কথিত অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে কবির হোসেন নামে এক ইউপি সদস্যকে গণধোলায় দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। তাকে বেদম মারপিট করা হয়েছে। বুধবার রাতে সদর উপজেলার শালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে প্রবাসির স্ত্রী রেক্সোনার দাবী তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। কবির মেম্বরকে বাইরে তেকে ধরে এনে তার ঘরে ঢুকিয়ে আসামাজিক কাজের দুর্নমা রটানো হচ্ছে। প্রতিবেশি আশির উদ্দীন জানান, সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের শালিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য কবির হোসেন দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের ওমান প্রবাসী নজরুল ইসলামের স্ত্রীর সাথে পরকীয়া প্রেম চালিয়ে আসছিল। এর আগের বেশ এ নিয়ে বেশ কয়েকবার শালিস করেছে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মিয়া। রেক্সোনার শ্বাশুড়ি ছারা খাতুন অভিযোগ করেন, বুধবার রাত ১২ টার দিকে কবির মেম্বর তার পুত্রবধুর ঘরে ঢুকে ধরা পড়ে। এ সময় জামাই আব্দুর রাজ্জাক ঘরে আটকিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। ইউপি সদস্য কবির হোসেন অভিযাগ খন্ডন করে বলেন, রাতে আমি ওই পথ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলোম। এ সময় আমার নির্বাচনী প্রতিপক্ষ লোকজন নিয়ে আমাকে মারধর করে ওই মহিলার ঘরে ঢুকিয়ে দুর্নাম রটিয়ে দেয়। প্রবাসির স্ত্রী রেক্সোনা খাতুন জানান, কিছু উঠতি বয়সী যুবক সন্ধ্যা থেকেই আমার ঘরের পেছনে অবস্থান করে। এরা হচ্ছে খোকন, আশিক, কাজল ও রাজ্জাক। তারাই কবির মেম্বরকে কোথা থেকে ধরে এনে আমার ঘরে ঢুকিয়ে দেয়। আমি ঘর খুলতে রাজি না হলে তারা আমার ঘরের দজরা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় তারা আমার ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর ও আমার সোনার হার নিয়ে যায়। কবিরের সাথে আমার মিথ্যা দোষারোপ করে কিছু মানুষ ভিলেজ পলিটিক্স করছে বলেও রেক্সোনা অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (তদন্ত) এমদাদুল হক বলেন, কবির মেম্বর এখন পুলিশ হেফাজতে। কেও মামলা না করলে এ বিষয়ে টু-টয়েন্টি ধারায় একটি মামলা হবে। তিনি বলেন ভিকটিম রেক্সোনা মামলা দিলেও আমরা মামলা গ্রহন করবো।
মহেশপুরে পুলিশের অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের শীর্ষ দুই ডাকাত আটক
ঝিনাইদহ :: চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের দুই শীর্ষ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার গোয়ালহুদা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে। আটকরা হলেন মাদারীপুর জেলার খবির সরদার (৫৫) এবং মহেশপুর উপজেলার পুরন্দপুর গ্রামের জনি শেখ (৩০)। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ বিষয়ে জীবননগর থানায় একটি প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। ব্রিফিংয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেল বলেন, জীবননগর উপজেলায় বিভিন্ন সময়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটে আসছিল। সেসব ঘটনার সূত্র ধরে কাজ করছিলেন পুলিশ সদস্যরা। গত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহেশপুরের গোয়ালহুদা গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ডাকাতদলের দুই সদস্যকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ডাকাতি করা ভাগের তিন হাজার নগদ টাকা জব্দ করা হয়।
কালীগঞ্জে ডিসের তার ভেবে বিদ্যুতের তার সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা গেলো কিশোর
ঝিনাইদহ :: ডিসের তার ভেবে বিদ্যুতের তার সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা গেলো সাগর হোসেন (১৫) নামের এক কিশোর। সে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ভাতঘরা গ্রামের বিলায়েত হোসেনের ছেলে। বৃহষ্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার বুুজিডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সে এবা এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফেল করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাগর ট্রাক্টরে বালি মাটি বহন করা একটি ট্রাক্টরে শ্রমিকের কাজ করছিল। বৃহস্পতিবার সকালে সাগর বালির ট্রাক্টরের ওপরে বসে বুজিডাঙ্গা মুন্দিয়া গ্রামের বোরাক আলীর বাড়িতে যাচ্ছিল। গ্রামের মধ্যে ঢুকে সড়কের ওপরের বিদ্যুতের তার ট্রাক্টরের সামনের দিক আটকে যায়। এ সময় সাগর ডিসের তার ভেবে হাত দিয়ে বিদ্যুতের তার সরাতে গেলেই স্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়। কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহাঃ মাহাফুজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।