শনিবার ● ৪ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » মৌলভীবাজার » শমশেরনগর চা বাগানের নির্মানাধীন দুর্গা মন্দিরের ছাদের ঢালাই ধ্বস
শমশেরনগর চা বাগানের নির্মানাধীন দুর্গা মন্দিরের ছাদের ঢালাই ধ্বস
এম এ কাদির চৌধুরী ফারহান, কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর চা বাগানে নির্মাণাধীন দুর্গা মন্দিরের ছাদ ঢালাই দেয়ার পরের দিনই ধ্বসে পড়েছে। নিম্মমানের কংক্রিটের খোয়া, রড দিয়ে ছাদ ঢালাই করার সময় ছাদের মধ্যখানের সার্টারিং ভেঙ্গে ধ্বসে পড়ে।
গত বুধবার (১ জুলাই) রাতে বাগানের বড় লাইন এলাকার দুর্গা মন্দিরের ছাদ ঢালাই শেষে এ ঘটনাটি ঘটে। এলজিইডির আওতাধীন ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে মন্দিরের কাজে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শমশেরনগর চা বাগানের বড় লাইন এলাকার দুর্গা মন্দিরের ধ্বসে পড়া ঢালাইয়ের ১৫ থেকে ২০ ফুট পরিমান অংশে মেরামত কাজ করছেন শ্রমিকরা। পুণরায় ঢালাই দেয়ার জন্য ঢালাই ভাঙ্গা হচ্ছে। ঢালাই কাজে ব্যবহৃত ইটের খোয়া খুবই নিম্মমানের। রডের সাইজ ছোট। নড়বড়ে সাটারিং ও নিম্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় ছাদের ঢালাই ভেঙ্গে পড়েছে বলে শ্রমিকরা অভিযোগ করেন।
সাইটে কাজ করা এক শ্রমিক জানান, গত বুধবার সন্ধ্যায় ছাদ ঢালাই শেষ করার পর রাতে শুনতে পাই ছাদ ধসে পড়েছে।
শমশেরনগর চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি নিপেন্দ্র বাউরীসহ স্থানীয় কয়েকজন শ্রমিক জানান, স্থানীয় এমপির প্রতিশ্রুতি মোতাবেক দুর্গা মন্দির নির্মাণ কাজ হচ্ছে। তবে কাজের শুরু থেকেই ঠিকাদারী প্রতিষ্টান মন্দিরের কাজে অনিয়ম করছে। যার কারনে বুধবার রাতে মন্দিরের ছাদের ঢালাই শেষে হঠাৎ করে মধ্যখানে সাটারিং ভেঙ্গে ছাদ ধ্বসে পড়ে। তারা আরও বলেন, সিডিউল অনুযায়ী রড, সিমেটের সাথে বালু ও মজবুত সার্টারিং কিছুই দেয়া হচ্ছে না।
এলজিইডি সূত্র জানা যায়, সার্বজনীন সামাজিক অবকাঠামো প্রকল্পের আওতাধিন মৌলভীবাজার জেলা এলজিইডি বিভাগ স্থানীয় এমপির বরাদ্ধকৃত ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে শমশেরনগর দুর্গা মন্দির নির্মাণ কাজের জন্য টেন্ডার আহবান করে। উপজেলা এলজিইডি বিভাগের তত্বাবধানে মন্দিরের কাজ শুরু হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে ঠিকাদারের সখ্যতা ও গাফলতিতে এমন কাজ হয়েছে বলে বাগানের চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ মনে করছেন।
কাজের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার আহমদ হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি। তবে কমলগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি’র সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম জানান, কাজে কোন অনিয়ম হয়নি। সার্টারিং দুবর্লতায় ছাদের কিছু অংশ দেবে যায়।
এলজিইডি, মৌলভীবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী আজিম উদ্দীন সরদার বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। দ্রুত উপজেলা প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেব কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য।