শনিবার ● ৪ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » গুইমারাতে নতুন সেনা ক্যাম্প স্থাপনের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
গুইমারাতে নতুন সেনা ক্যাম্প স্থাপনের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার পক্ষীমুড়ো এলাকার নাক্রাই হাতিমুড়া নামক বৌদ্ধ বিহার নির্মাণের নির্ধারিত স্থানে নতুন সেনা ক্যাম্প স্থাপনের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।
আজ শনিবার ৪ জুলাই গুইমারা এলাকাবাসীর ব্যানারে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বড়ইতলী কার্বারী থুইঅং প্রু মারমার সভাপতিত্বে ও হাফছড়ি ইউনিয়নের মেম্বার কালা মারমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন এলাকার মুরুব্বী অসীম ত্রিপুরা ও বাবুধন মারমা। এছাড়া এতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রেখেছেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক অমিত চাকমা।
বক্তারা বলেন, এলাকাবাসী আগে থেকে বৌদ্ধ বিহার নির্মাণের জন্য যে স্থানটি নির্ধারণ করেছিল সে স্থানটি জবরদখল করে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মহালছড়ি জোনের একদল সেনা এসে জায়গাটি দখল করে ঘেরা দিয়ে রেখেছে। সেখানে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না বলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। অথচ কয়েকদিন আগেও সেখানে এক বৌদ্ধ ভিক্ষু অবস্থান করেছিলেন।
তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে সকল অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহারের কথা উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও তা না করে উল্টো নতুন সেনা ক্যাম্প স্থাপন চুক্তি আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
বক্তারা আরো বলেন, এই জায়গায় নতুন করে সেনা ক্যাম্প স্থাপন করা হলে এলাকার জনগণ নানা জুলুম-নির্যাতনের শিকার হবে, আশে-পাশের লোকজন উচ্ছেদের শিকার হবে। তাই আমরা এখানে সেনা ক্যাম্প চাই না। যদি জোরপর্বকভাবে ক্যাম্প স্থাপন করা হয় তাহলে এলাকার জনগণ তা কখনো মেনে নেবে না।
অমিত চাকমা এলাকাবাসীর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, শান্তি-সম্প্রীতির মিথ্যা বুলি শুনিয়ে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাক্যাম্প বাড়িয়ে তার ফৌজি শাসনকে আরো বাড়িয়ে তুলছে। এর মাধ্যমে পাহাড়ি জনগণের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন, ভূমি থেকে উচ্ছেদ সবকিছু করা হচ্ছে। বৌদ্ধ বিহার স্থাপনের জায়গা পর্যন্ত তারা এখন দখলে নিয়ে ক্যাম্প তৈরি করা শুরু করেছে। তাই জনগণকেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নতুন ক্যাম্প স্থাপনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে নাক্রাই হাতিমাড়াতে বৌদ্ধ বিহার নির্মাণের নির্ধারিত স্থানে সেনাক্যাম্প স্থাপনের কার্যক্রম বন্ধ করার দাবি জানান। একই সাথে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান সেনা শাসন তুলে নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন।