শিরোনাম:
●   আত্রাইয়ে হলুদ বর্ণে সেজেছে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ ●   অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে কৃষি জমি ও ঘরবাড়ি ●   সচিবালয়ে আগুন ●   মহালছড়িতে আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেফতার ●   প্রফেসর কামাল উদ্দিন চৌধুরী কলেজের রজতজয়ন্তী উৎসব ●   শাহরাস্তিতে আন্তর্জাতিক ক্বেরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত ●   পানছড়ি ৩ বিজিবি’র পক্ষ থেকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সাথে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় ●   ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তরুণের আত্মহত্যা ●   দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণের ডাক দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ ●   ভোটকেন্দ্রে শূন্যভোটের মাধ্যমে পার্বত্যবাসী ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে ●   ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা নানা সুরতে আবির্ভুত হওয়ার পাঁয়তারা করছে ●   কাউখালীতে উইভ এনজিওর অবহিতকরণ সভা ●   খাগড়াছড়িতে ইত্তেফাকের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   বেগম রোকেয়া এ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক সাব্বির ●   বারইয়ারহাট ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফারুক,সম্পাদক ইউসুফ ●   দীঘিনালায় গলায় ফাঁস দেয়া যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ●   ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মা নিহত, ছেলে আহত ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা বোর্ড ২য় সভা অনুষ্ঠিত ●   রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ●   মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন ●   মানিকছড়িতে ট্রাকের নীচে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু ●   আল ফালাহ ইসলামি একাডেমীর সবক প্রদান অনুষ্ঠান ●   ১১ দফা অবহিতকরণে আত্রাইয়ে আলোচনা সভা ●   পার্বতীপুর রেলওয়ে ইর্য়াডের আম গাছে যুবকের আত্মহত্যা ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা ●   পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত ●   বৈরী আবহাওয়ায় ও শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা ●   কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা ●   তরফভাইখাঁ সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ
রাঙামাটি, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
শনিবার ● ৪ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » সুন্দরবন থেকে ১৫ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » সুন্দরবন থেকে ১৫ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার
শনিবার ● ৪ জুলাই ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সুন্দরবন থেকে ১৫ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার

---শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন থেকে আজ ৪ জুলাই শনিবার ১৫ কেজি হরিণের মাংস, ৪টি হরিণের পা ও একপি মাথা উদ্ধার করা হয়েছে।বাগেরহাটের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্র টহল ফাঁড়ী ও চিলা মোবইল টহল ফাঁড়ির যৌথ টিম পশুর নদীর চিলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করেছে। এসময় তিন চোরা শিকারী নৌকা ও ধারালো অস্ত্র রেখে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্র টহল ফাঁড়ী ও চিলা মোবইল টহল ফাঁড়ীর যৌথ দল পশুর নদীর চিলা এলাকায় একটি নৌকা দেখতে পেয়ে তাদের সন্দেহ হলে বনরক্ষীরা দ্রুত সেখানে পৌঁছায়। এসময়ে চোরা শিকারীরা নৌকা ফেলে লোকালয়ে পালিয়ে যায়। নৌকায় তল্লাশী চালিয়ে ১৫ কেজি হরিণের মাংশ, ৪টি হরিণের পা, একপি মাথা ও দুটি ধারালো আস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় চোরা শিকারীদের ব্যবহৃত নৌকা। এঘটনায় তিন চোরাশিকারীর নামে মামলা করেছে সুন্দরবন বিভাগ।

চার বছরেও নির্মাণ হয়নি জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রীজের এ্যাপোচ সড়ক অদৃশ্য

বাগেরহাট : : বাগেরহাটের চিতলমারীতে জনগুরুত্বপূর্ণ একটি ব্রীজের এ্যাপোচ না থাকায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের। মরা চিত্রা নদীর উপর নির্মিত উপজেলার সদর ইউনিয়নের শুরসাইল ও চরবানিয়ারী ইউনিয়নের দুর্গাপুর শিবমন্দির সংলগ্ন মেইন রাস্তায় সংযোগ স্থাপনকারী এ ব্রীজটি দীর্ঘ চার-পাঁচ বছর আগে নির্মান করা হলেও ব্রীজের দুই পাশের এ্যাপোচ তৈরি না করেই কাজ শেষ করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

ফলে এ ব্রীজটি নির্মান করা হলেও জনভোগান্তি রয়েই গেছে। এ বিষয়ে একাধিকবার পত্র- পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে তাৎক্ষণিক ভাবে ব্রীজের দুপাশে একটু লোক দেখানো মাটি-খোয়া ভরাট করলেও এতদিনে স্থায়ী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

স্থানীয় দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক ও উন্নয়নকর্মী কপিল ঘোষ জানান, এলাকার উন্নয়নে সরকারী প্রচুর অর্থ ব্যয় করে ব্রীজটি নির্মান করা হলেও এ্যাপোচ না থাকায় স্থানীয় জনসাধারণ ও পথচারীরা কাঙ্খিত সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন।তিনি দ্রুত এই জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রীজটির এ্যাপোচ নির্মানের দাবী জানান।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ ঘোষ জানান, ব্রীজটি ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে নির্মান করা হয়েছে। শ্রীঘ্রই এ ব্রীজটির এ্যাপোচ নির্মানের জন্য প্রয়োজনীয় বদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বাগেরহাটে ভাই-ভাই -বাহীনি আতংঙ্ক নির্ঘুমরাত কাটে কুমারী সহ মধ্য বয়সী নারীদের

বাগেরহাট :: বাগেরহাটের শরণখোলার পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের ফাতিমা বেগম (২৮) ,স্বামী মোঃ সাখাওয়াত হাওলাদার কুয়েত প্রবাসী। দুই ছেলে মুছা (৮) ও আব্দুল্লাহ (৩) কে সাথে নিয়ে বসবাস করতেন সুন্দরবন সংলগ্ন পশ্চিম রাজাপুর গ্রামে তার শশুর মৃত. আঃ-গনি হাওলাদারের বাড়িতে । কিন্তু স্বামী বিদেশ যেতে না যেতেই ফাতিমার উপর কু-নজর দেন একই গ্রামের বাসিন্দা প্রভাবশালী মোঃ সামাদ হাওলাদারের ছোট ছেলে মিলন হাওলাদার । মিলনের কু-প্রস্থাবে রাজি না হওয়ায় নানা অযুহাতে ঝগড়া-বিবাদের পাশাপাশি রাতের আধাঁরে ফাতিমাকে ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করেন মিলন সহ তার সহযোগীরা । এছাড়া ছেলে মুছাকে লেখা পড়ার জন্য স্থানীয় একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করলে তাকে ও পথে ঘাটে ভয়ভীতি দেখাতে আরম্ভ করেন মিলন। ফাতিমা বলেন , গত তিন বছর পুর্বে আমার স্বামী বিদেশ চলে যান । এর পর থেকে মিলন নানা ভাবে আমাকে উত্যক্ত করতে থাকেন। চলতি বছরের ১২মে, আমাকে মারধর করে পরনের কাপড় খুলে রাস্থায় টানা হেচড়া করেন এবং আমার কাছে থাকা লক্ষাধিক টাকা, একটি দামী মোবাইল ফোন সহ স্বর্নলংকার ছিনিয়ে নেয় মিলন সহ তার চার ভাই বলেন, তোকে রাস্থায় ফেলে ধর্ষন করলেও কেউ ঠেকাতে পরবে না । মা হয়েও ছেলেটিকে কাছে রাখতে পারি নাই । আমাকে সহ ছোট ছেলেটিকে ওই শয়তানেরা মেরে ফেললেও বিদেশ থেকে ওর বাবা এসে অন্তত বড় ছেলেকে তো পাবেন । তাই বাধ্য হয়ে ছেলের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে সন্তান দুটিকে নিয়ে দশ কিলোমিটার দুরে উপজেলার বাংলা বাজার এলাকায় আমার বোনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। মাঝে মধ্যে ছোট ছেলেটিকে নিয়ে বাড়িতে আসি কিন্তু রাত হলে মিলন ও তার ভাইয়েরা ঘরের চারদিকে ধারালো অ¯্র নিয়ে ঘোরাঘুরি করে, ঘরের বেড়া-জালানা- দরজা ধাক্কাধাক্কি করে । শীষ বাজায়, তাই ভয়ে প্রায় রাতেই জেগে থাকি ।
এছাড়া ঘর থেকে বের হলে ওরা আমার পিছু নেয়, কোথায় যাই কি, করি সব সময় আমার উপর নজর রাখেন মিলন ও তার সহযোগীরা। শুধু ফাতিমা বেগম নয়, বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের ০৬নং ওয়ার্ড়ের পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা (সাবেক) গ্রাম পুলিশ মোঃ সামাদ হাওলাদারের ছেলে মিলন সহ তার কয়েক ভাইয়ের বিরুদ্ধে এমন অত্যাচারের অভিযোগ স্থানীয় একাধিক নারীর ।
ভুমিদস্যু, দখলবাজ এবং ওই প্রভাবশালী পরিবারের নির্যাতনের ফলে ইতোমধ্যে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে পাঁচটি পরিবার। জমি দখল, নিরিহ মানুষকে মারধর, ছিনতাই, হত্যা ও ধর্ষণের মতো নানা অভিযোগ থাকার পরেও এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচেছন মিলন ও তার ভাইয়েরা। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থরা ওই চক্রের বিরুদ্ধে বাগেহাট-৪ আসনের সাংসদ সহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মোড়েলগঞ্জ সার্কেল) ও শরনখোলা থানা পুলিশের নিকট একাধিক অভিযোগ করেও এপর্যন্ত কোন প্রতিকার পাননি । পুলিশ বলছে , এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।

স্থানীয়রা বলেন, মিলন, নেহারুল , মনির ও ছগির এলাকায় রাম রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা কতিপয় রাজনৈতিক ব্যাক্তির ছত্র ছায়ায় থেকে দীর্ঘদিন ধরে নিরীহ মানুষের উপর নির্যাতন চালাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে এলাকা ছাড়া হতে হয়। এদের অত্যাচারে স্থানীয় বাসিন্দা হাফেজ হাওলাদার, ছেতারা বেগম, ইউনুস হাওলাদার সহ পাঁচটি পরিবার ইতোমধ্যে এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। তাছাড়া বন সংলগ্ন এই এলাকায় পুলিশের কোন নজর দারী না থাকায় ওরা কয়েক ভাই মিলে যা খুশি তাই করে যাচ্ছে ।
স্থানীয় বাসিন্দা কৃষক মোঃ আইয়ুব আলী আকন (৭০) বলেন, কয়েক দিন আগে তার একটি গরু মিলনের বাড়ীতে ঢুকে পড়ার অপরাধে তার গলায় গামছা লাগিয়ে মারধর করেন। পরে টেনে হেচড়ে রাস্তায় নিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন। ওই সময় তিনি মিলনের পায়ে ধরে প্রাণে রক্ষা পান।
একই এলাকার বাসিন্দা সেতারা বেগম (৫৮) বলেন, মিলন, নেহরুল, মনির, ছগির ও নজরুল তার বাড়ীতে গিয়ে তাকে মারধর করে ৪টি দাঁত ভেঙ্গে দেয় এবং হাঁস মুরগী সহ দুটি গরু নিয়া যায়। এখন ভয়ে রাতে বাড়ীতে থাকেন না। তিনি আরও বলেন, তার (১.৬৫ একর) জমি মিলনরা চাষাবাদে বাঁধা দেয়ায় গত বছর ওই জমি (অনাবাদি) থাকে। এছাড়া তার ভাইপো শহিদুলের স্ত্রী সুখীর উপর মিলন কু-নজর ফেলায় ভাই হাফেজ হাওলাদার পরিবার নিয়ে গ্রাম ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

দিনমজুর ইউনুচের স্ত্রী হাসিনা বেগম (৪৫) জানায়, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে তিনি গত ১৬ মে ,রাত ৩টার দিকে ঘরের বাহিরে গেলে মিলন তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় শরণখোলা থানায় মামলা দিলে তার স্বামী ইউনুচকে মারপিট করে মামলা প্রত্যহারের জন্য আটকে রাখে। পরে মিলনেরা ৪/৫ ভাই মিলে তাদের হাঁস, মুরগী, কবুতর, গরু সহ বসত ঘরের মুল্যবান মালামাল লুটে নিয়ে যায়। উপজেলার কদমতলা এলাকার বাসিন্দা হাফসা বেগম বলেন, এই গ্রামে আমার বাবার বাড়ী কিন্তু বেড়াতে আসতে পারিনা। আমি বছরে ২/১ বার আসলেও এলাকার নারী লোভীদের ভয়ে আমার স্কুল পড়–য়া কুমারী মেয়েকে কখনো এখানে নিয়ে আসি না। এই গ্রামে মেয়েদের ১০/১২ বছরের মধ্যে বিয়ে দিতে হয়। বর্তমানে মিলন ও তার ভাইদের ভয়ে কুমারী সহ মধ্য বয়সের মহিলারা অনেকটা রাত জেগে থাকেন ।
স্থানীয় বাসিন্দা বেল্লাল, জাহিদ, জাহাঙ্গীর সহ কয়েকজন বলেন, সামাদ হাওলাদারের ৮ ছেলের মধ্যে মিলন, নেহরুল, মনির, ছগির ও নজরুল নানা রকম খারাপ কাজের সাথে জড়িত এদের চরিত্র তেমন ভাল না। গ্রামের মেয়ে ও গৃহবধুরা এদের ভয়ে রাতে প্রসাব-পায়খানার জন্য ঘরের বাইরে যেতে পারে না।
মিলনের প্রতিবেশী বৃদ্ধ মালেক হাওলাদার ও তার স্ত্রী আলেয়া বেগম বলেন, ছেলেরা চট্টগ্রামে চাকুরী করেন। মেঝ ছেলে বিয়ে করে বউকে তাদের সেবা যতেœর জন্য বাড়িতে রেখে যান্। মিলনের কু-নজরের কারণে ছেলের কাছে বউকে পাঠাতে বাধ্য হয়েছেন। এবং তাদের মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ১ লক্ষ ৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় মিলন।
সাবেক ইউপি সদস্য ছিদ্দিকুর রহমান (৫৫) জানান, নেহারুল , মনির , মিলন ও ছগির হাওলাদার এলাকায় এক ধরণের রাম রাজত্ব কায়েম করেছে। মাদক ব্যবসার টাকার গরমে মেম্বার চেয়ারম্যান এমনকি থানায় অভিযোগ দিয়েও মিলনের হাত থেকে বাঁচা যায়না এবং কেউ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য তালুকদার হুমায়ুন কবির সুমন বলেন, নেহারুল , মনির , মিলন ও ছগির হাওলাদারের বিরুদ্ধে মারধর, ধর্ষণ, নির্যাতন ও জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। মিলন ও তাদের ভাইদের অত্যাচারে এলাকার ৪-৫টি পরিবার ছাড়া হয়েছে। এ অবস্থায় এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে মিলন ও তার ভাইদের আইনের আওতায় আনা জরুরী।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ,রাজাপুর বাজারের কয়েক জন ব্যবসায়ী বলেন, কিছুদিন আগে মিলন ও তার ভাইয়েরা বাজারের ৬টি দোকান চুরি করে। থানায় অভিযোগ ও স্বাক্ষী দেওয়ার পরেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা হয়নি। এছাড়া দোকান পাট থেকে মালামাল নিয়ে টাকা দেয় না। চাইলে উল্টো মারতে আসে ।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মইনুল হোসেন টিপু বলেন, স্থানীয়দের বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে মিলন ও তার ভাইদেরকে পরিষদে ডাকা হয়েছে। কিন্তু তারা পরিষদে আসেনি । ওরা আট ভাই, এর মধ্যে নেহারুল, মিলন ও মনির ডাকাতি থেকে শুরু করে নানা অপরাধের সাথে জড়িত । কোন পরিবারের সাথে ঝগড়া- বিবাদ হলে মিলন রাতে ওই বাড়িতে গিয়ে নারীদের উপর নির্যাতন করেন। এসব অভিযোগ পুলিশকে জানানো হয়েছে কিন্তু কিছুই হয়নি ।
তবে, এ সকল অভিযোগের বিষয়ে জানতে ,মিলনের বাড়ীতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের সামনে আসেননি, তার পক্ষে ভাই নেহারুল দাবী করেন, অমাদের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা জমিজমা নিয়ে প্রতিবেশীদের সাথে বিরোধ থাকায় আমাদের ফাঁসাতে নানা মূখী ষড়যন্ত শুরু করেছেন প্রতিপক্ষরা ।

শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ বলেন, উভয় গ্রুপের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ আছে। পাল্টাপাল্টি একাধিক মামলাও হয়েছে। বিষয় গুলোর তদন্ত চলছে। এসব ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে ।





খুলনা বিভাগ এর আরও খবর

মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন
কুষ্টিয়ায় বালুঘাট দখল নিতে তাণ্ডব চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা কুষ্টিয়ায় বালুঘাট দখল নিতে তাণ্ডব চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা
কুষ্টিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী শুভ অস্ত্রসহ গ্রেফতার কুষ্টিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী শুভ অস্ত্রসহ গ্রেফতার
কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার আসামী ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কারাগারে কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার আসামী ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কারাগারে
কুষ্টিয়া ট্রাফিক পুলিশকে মারধর ঘটনায় দুই মহিলা আটক কুষ্টিয়া ট্রাফিক পুলিশকে মারধর ঘটনায় দুই মহিলা আটক
কুষ্টিয়ায় বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক কুষ্টিয়ায় বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক
বর্ণিল আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম দিবস পালিত বর্ণিল আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম দিবস পালিত
খেঁজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত কুষ্টিয়ার গাছিরা খেঁজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত কুষ্টিয়ার গাছিরা
কুষ্টিয়ায় ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকায় ধরা খেল শিক্ষক হেলাল ১১ লাখে দফারফা কুষ্টিয়ায় ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকায় ধরা খেল শিক্ষক হেলাল ১১ লাখে দফারফা
চাল সিন্ডিকেটের মূলহোতা আব্দুর রশিদ কুষ্টিয়া পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার চাল সিন্ডিকেটের মূলহোতা আব্দুর রশিদ কুষ্টিয়া পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)