রবিবার ● ৫ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ » সাংবাদিকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ডিবির দারোগা মফিজুল নিজেই ফেসে গেলেন
সাংবাদিকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ডিবির দারোগা মফিজুল নিজেই ফেসে গেলেন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠি ডিবি পুলিশের সাজানো ফিটিং মামলায় সাংবাদিক আসিফ মানিককে ফাসাতে গিয়ে ডিবির দারোগা মফিজুল নিজেই ফেসে গেলেন। পুলিশের আইজিপির নির্দেশে তদন্তে অবশেষে সাংবাদিক আসিফ মানিক নির্দোষ প্রমানিত হলেন। এ ঘটনায় ঝালকাঠির ডিবি পুলিশের দারোগা মফিজের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছ। পুলিশ সুপার বিভাগীয় মামলা রুজু করেছে মামলা নং ৩ তাং ১৫/৫/২০২০।
সাংবাদিক আসিফ মানিকের ফেসবুক আইডিতে দেয়া পোষ্টে জানাগেছে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের তদন্তে নির্দোষ প্রমানিত হয়েছেন তিনি। এছাড়া মিথ্যা ফিটিং কেস করায় মামলার বাদীকে আসামী করেছে পুলিশ। আসিফ মানিক তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এ বিজয় দেশের সকল সাংবাদিক সমাজের ও জনগনের।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর এক বিবৃতিতে বলেন, সাংবাদিকরা পুলিশের শক্র নয়। এই ধরনের হীন কর্মকান্ডে পরিহার করে দেশের স্বার্থে সাংবাদিক-পুলিশ এক হয়ে কাজ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার আহবান জানানো হয়। আজকাল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সাংবাদিকদের মান হানী করতে যে নাটকীয় ফিটিং মিথ্যা মমামলা করে তা নি:সন্দেহে এগুলো জাতির জন্য লজ্জাকর। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত চাই। এই সকল দুষ্টু পুলিশের কারনে গোটা পুলিশের বদনাম কারো কাম্য নয়।
উল্লেখ্য, গতবছরের ১৭ জুলাই ঝালকাঠি শহরের ব্র্যাকমোড় এলাকা থেকে মাগরিবের নামাজ পড়ে বের হলে সাংবাদিক আসিফ মানিককে মোটরসাইকেলসহ দারোগা মফিজ তাকে আটক করে। এ সময় পাশ্ববর্তী দোকানের সামনে থেকে পরিত্যক্ত ২পিস ইয়াবা উদ্বার নাটক সাজায়। এ ঘটনায় সাংবাদিক আসিফ মানিক ও মনির নামে আরেকজনকে আসামি করে থানায় মামলা করে। পরবর্তীতে বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তে পুলিশের আইজিপি বরাবরে আবেদন পাঠান সাংবাদিক অসিফ মানিক। ঐ আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশের উধ্বতন একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাজানো ঘটনার প্রমান মেলে।
আসিফ মানিক দাবি করেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের একমাত্র পুত্র তিনি। সরকারের পক্ষ থেকে শহরের আমতলা রোডে দেয়া একটি সম্পত্তি দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ পুলিশের সাথে আতাত করে তাকে হয়রাণী ও হেনস্থা করে। পুলিশ জনগণের বন্ধু। ঝালকাঠি পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন যোগদানের পর থেকে ঝালকাঠিকে মাদক,ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ ও সন্ত্রাস জিরো ট্রলারেঞ্জ হওয়ায় পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।