রবিবার ● ৫ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » থামছে না খাদ্য বিভাগের সিন্ডিকেট বানিজ্য : ২ কোটি ৮০ লক্ষাধিক টাকা লুটের অভিযোগ
থামছে না খাদ্য বিভাগের সিন্ডিকেট বানিজ্য : ২ কোটি ৮০ লক্ষাধিক টাকা লুটের অভিযোগ
গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: কোন কিছুতেই থামছেনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক(ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ও ঝালকাঠি গ্রেড-১ এলএসডি সংরক্ষন ও চলাচল কর্মকর্তা গাজী মাজাহারুল আনোয়ার আর ঝালকাঠি ফুডসহ খাদ্যগোডাউনের অঘোষিত নিয়ন্ত্রকের নেতৃত্বাধীন দূর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটটি। ঝালকাঠি সদরের ৭টি ভূয়া-রাইচ মিল দেখিয়ে ১৫শ ৯২মে.টন আমন ধান খুলনা-বাগেরহাটে পাচার করে এখোন নিন্মমানের পচা লাল চাউলকে ছাটাইকৃত আমন চাউল দেখিয়ে খাদ্য গোডাউনে সরবরাহ করা হচ্ছে। গত ৩ জুলাই শুক্রবার এ সিন্ডিকেট চক্র ট্রাক বোঝাই পচা লাল চাউল খাদ্য গোডাউনে সরবারহ করার সংবাদে ঘটনাস্থলে গেলে তারা সটকে পরে ও শনিবার ভোর ৬টা থেকে কোন প্রকার ঝাচাই-বাছাই, পরিমাপ ও প্রত্যয়নপত্র ছাড়াই ঝালকাঠি গ্রেড-১ এলএসডি সংরক্ষন ও চলাচল কর্মকর্তা গাজী মাজাহারুল আনোয়ারের মাধ্যমে ৩নং গোডাউনে উত্তোলন করে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ উঠেছে, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক(ভারপ্রাপ্ত)কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ও খাদ্য গুদাম সংরক্ষক(এলএসডি) ও এক পরিবহ ঠিকাদারের মিলিত শক্তিশালি সিন্ডিকেট সরকারের আমন ধান সংগ্রহ, ছাটাই ও সংরক্ষনসহ প্রতিটি স্তরে দূর্নীতির মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি ৮০ লক্ষাধিক টাকা লুটে নিচ্ছে। প্রভাবশালী এ সিন্ডিকেটের লুটপাটের বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা বেশ কিছু সংবাদ প্রকাশ করলে, জেলা প্রশাসন এসকল দূর্নীতির ব্যাপারে ইতিমধ্যে হস্তক্ষেপ শুরু করেছেন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানাগেছে, জেলা খাদ্য বিভাগ চলতি বছর সরকারের সংগৃহীত ১৫শ ৯২ মে.টন আমন ধান তাদের দপ্তরের সাথে চুক্তিবদ্ধ সদর উপজেলার ৭টি মিলের মালিক পক্ষকে সমহারে ছাঁটাইয়ের জন্য প্রদান করেছে বলে দেখায়। সরকার ছাটাইয়ের জন্য মিল মালিকদের টনপ্রতি পরিবহন খরচ ১৫০০ টাকা ও ছাঁটাই খরচ ১২০০ টাকা বরাদ্দ দেয়। এ হিসাবে সংগৃহিত আমন ধান ছাঁটাই ও পালিশ করে পুনরায় গোডাউনে জমা দেয়ার জন্য মোট বরাদ্দ ৪৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা উক্ত ৭টি মিলের মালিকদের বরাদ্ধ দিয়েছে বলে উল্লেখ করে। আর খাদ্য গোডাউন রক্ষক সংগৃহীত ধান বস্তাজাত করার জন্য মিল মালিকদের প্রতিপিচ ৮০ টাকা মূল্য দরে খাদ্য বিভাগের সিল সম্বলিত ৬লাখ ৪০হাজার টাকা মূল্যের অনুকুলে ৮হাজার পিচ বস্তা সরবারহ করে বলে সূত্রে জানায়।
সংশ্লিষ্ট একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, খাদ্য বিভাগের সংগৃহীত ১৫শ ৯২ মে.টন আমন ধান ছাঁটাইয়ের জন্য কাগজ-কলমে ৭টি তালিকাভূক্ত মিল মালিককে সমহারে বরাদ্ধ দেখিয়ে উক্ত সিন্ডিকেট বাইরের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে বেশি দামে বিক্রি করেছে। সদর উপজেলা, নলছিটি, কাঠালিয়া ও আশেপাশের এলাকা থেকে ওএমএস, টিআর, কাবিখাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের নিম্নমানের চাল কালোবাজারে কম মূল্যে ক্রয় করে সেই শূন্যস্থান পূরণ করছে। পুরনো ধানের চাল টনপ্রতি ১৯/২০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হলেও নতুন আমন ধানের চাল টনপ্রতি ৩৫/৩৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর এভাবেও উক্ত সিন্ডিকেট মধ্যস্বত্তভূগী হিসাবে টনপ্রতি ১৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ায় ১৫শ ৯২মে.টন নতুন আমন ধান থেকে প্রায় ২কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
সূত্রটি আরো জানায়, সংগৃহিত ধান ছাঁটাই ও পালিশ করে পুনরায় গোডাউনে জমা দেয়ার জন্য সরকার টনপ্রতি ২৭শ টাকা বরাদ্ধ করায় মোট ১৫শ ৯২ মে.টন আমন ধান ছাটাই ও পরিবহনে বরাদ্ধ দিয়েছে ৪৩ লক্ষাধিক টাকা। সিন্ডিকেটের দুষ্টচক্র ওএমএস, টিআর, কাবিখাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের ডিও লেটার কিনেগোডাউনের মালইগোডাউনে সাপ্লাই দেখিয়ে বরাদ্দের প্রায় পুরো টাকাই নিজেদের পকেটস্থ করছে। তাছাড়া খাদ্য গোডাউন রক্ষক উক্ত আমন ধানের চাউল সঠিক ভাবে রাখতে প্রতিপিচ ৮০ টাকা দরের ৬লাখ ৪০হাজার টাকা মূল্যের ৮হাজার পিচ খাদ্য বিভাগের সিলযুক্ত মজবুত ও টেকসই বস্তা সরবারহ করলে কিন্তু অর্থলোভী সিন্ডিকেট সেই বস্তা চরা মূল্যে বিক্রি করে কম দামে নিন্মমানের খাদ্য বিভাগ ও রাইচ মিলের সিল-সাপ্পরহীন বস্তায় পচা লাল চাউল সরবরাহ করছে বলে জানাগেছে।
এ ব্যাপারে খাদ্য গোডাউন রক্ষক গাজী মাজাহারুল আনোয়ার জানায়, ৪জুন শনিবার মেসার্স লিটন এন্টারপ্রাউজ রাইচ মিলের প্রতিনিধি মোঃ আক্কাস আলী ১৩মে.টন ২শ ৯কেজি চাউল সরবারহ করেছে। আমি ওজন করে ও ছাটাইকারী মিল মেসার্স লিটন রাইস মিলের সিলযুক্ত বস্তায় ভরা চাউল বুজে রেখেছি। এই ধান তো ছাটাইয়ের জন্য বাগেরহাট-খুলনা পাঠানো হয়েছিল বলে গত ২৫ জুন জেলা খাদ্য কর্মকর্তা আঃ সালাম জানিয়েছে তাহলে স্থানীয় মিলের সিল কেনো প্রশ্নে বলেন, এটা তিনি ভালো জানেন বলে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, এপর্যন্ত ১৫শ ৯২মে.টন আমন ধানের মধ্যে মিল মালিকরা প্রায় সাড়ে ৯শ মে.টন চাউল সরবারহ করেছে, তবে সরবরাহকৃত চাউলের সাথে খাদ্য বিভাগের ইন্সেপেক্টরের প্রত্যয়নপত্র ছিলনা। মিল মালিকরা সরবরাহকৃত চাউল পচা, নিন্মমানের সরবারহ করে থাকলে তার দায়িত্ব কে নেবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইন্সেপেক্টর পদ শূন্য তাই নিজ দায়িত্বে চাউল বুঝে রেখেছেন।
ঝালকাঠিতে এ পর্যন্ত ২৪২ জন করোনায় আক্রান্ত মৃত্যু ১০
ঝালকাঠি :: ঝালকাঠি জেলায় রবিবার পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ গত শুক্রবার আব্দুর রব (৭০) নামে একজন মুক্তিযোদ্ধা করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। মৃত্যুর পর তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হলে রবিবার পরীক্ষার রিপোর্টে তাঁর করোনা পজেটিভ আসে। জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪২ জন। আর করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ৩০জন। জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুয়াল হাসান জানান, আক্রান্তদের মধ্যে হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় ১১৭ জন সুস্থ্য হয়েছেন । ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় ৭৬ জন, নলছিটি উপজেলায় ৭২ জন, রাজাপুর উপজেলায় ৬১ জন ও কাঠালিয়া উপজেলায় ৩৩জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত ১৭৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় এবং এর মধ্যে ১৫৮১ জনের রিপোর্ট এসেছে, এদের মধ্যে ২৪২ জনের রিপোর্ট পজেটিভ ও ১৩৩৯ জনের নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। জেলায় এ পর্যন্ত ১৩৬৬ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিল। তাদের মধ্যে ১৩২৮জন ছাড়পত্র পেয়েছে। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৩৮ জন।
জীবাণুমুক্ত রাখতে সাবান দিচ্ছে ‘হৃদয়ে ঝালকাঠি’
ঝালকাঠি :: ঝালকাঠিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় হাত ধুয়ে জীবাণুমুক্ত থাকতে সাবান বিতরণ শুরু করেছে হৃদয়ে ঝালকাঠি নামে ফেসবুক গ্রুপ ভিত্তিক একটি সংগঠন। জনপ্রিয় এ সংগঠনের এডমিন আসিফ ইকবাল চঞ্চল রবিবার থেকে এ কার্যক্রম শুরু করেন। প্রথম দিনে ঝালকাঠি পৌরসভার কয়েকটি মসজিদ ও প্রেস ক্লাবে গিয়ে সাবান বিতরণ করেন তিনি। পর্যায়ক্রমে পৌরসভার সবগুলো মসজিদে সাবান পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও জানান আসিফ।
উল্লেখ্য, করোনাকালে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে খাদ্যসামগ্রী বিতরণে সুনাম অর্জন করেন আসিফ ইকবালের এ সংগঠন।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে জেলা প্রশাসকের চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান
ঝালকাঠি :: ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পালস অক্সিমিটার ও থার্মোমিটার দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী। রবিবার দুপুরে সদর হাসপাতালে গিয়ে তিনি ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আবুয়াল হাসানের হাতে এসব চিকিৎসা সামগ্রী তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস. এম ফরিদ উদ্দিন ও এনডিসি আহমেদ হাছান। ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আবুয়াল হাসান জানান, করোনা পরিস্থিতিতে পালস অক্সিমিটার ও থার্মোমিটার জরুরী প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সদর হাসপাতালে এগুলো ছিল না। জেলা প্রশাসক মহোদয় এসব সামগ্রী দেওয়ায় করোনা আক্রান্ত কিংবা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের চিকিৎসার কাজে লাগবে। জেলা প্রশাসকের কাছে আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
চার কোটি টাকার চাল নিয়ে বিপাকে চালকল মালিক
ঝালকাঠি :: ঝালকাঠির নলছিটিতে সরকারের বোরো সংগ্রহ কার্যক্রমের চাল মিল মালিক ভর্তুকি দিয়ে চাল সরবারহ করতে চাইলেও চাল না নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার (ওসিএলএসডি) বিরুদ্ধে। মোটা অঙ্কের ঘুষ না দেওয়ার কারণে মানসম্মত চালও গুদামে ঢুকতে দিচ্ছেন না ওই কর্মকর্তা। এতে চার কোটি টাকার চাল উৎপাদন করে বিপাকে পড়েছেন সুগন্ধা অটো রাইস অ্যান্ড এ্যাগ্রো ফুড প্রসেসিং কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় অটোরাইস মিলের পক্ষ থেকে খাদ্য বিভাগের বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে খাদ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জিল্লুর রহমান খান।
অভিযোগে জানা যায়, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা খাদ্য বিভাগ ৩৬ টাকা কেজি দরে ১১৯১ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহের জন্য উন্নতমানের চাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘সুগন্ধা অটো রাইস অ্যান্ড এ্যাগ্রো ফুড প্রসেসিং’ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ৩০ এপ্রিল চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী বোরো ধান কিনে চাল উৎপাদন শুরু করে মিল কর্তৃপক্ষ। প্রথম দফায় চাল সরবারহ করতে গেলে নলছিটি খাদ্য পরিদর্শক (ওসিএলএসডি) এইচ. এম আনোয়ার হোসেন গুদামে চাল প্রবেশে বাধা দেন। তিনি মিল কর্তৃপক্ষের কাছে মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি করেন। পরে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত ২৪ জুন ৫১ মেট্রিকটন চাল গুদামে নেওয়া হয়। বাকি চালগুলো প্রস্তুত করে পাঠানো হলে আবারো ঘুষ দাবি করে চাল গুদামে প্রবেশ করতে দেয়নি ওই কর্মকর্তা। গুদাম থেকেই চাল মিলে ফেরত নিয়ে আসতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় সরকারের সঙ্গে কেজিপ্রতি চার টাকা ভর্তুকি দিয়েও চুক্তি করে বিপাকে পড়েছেন মিল কর্তৃপক্ষ। আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে নলছিটি খাদ্য বিভাগ চাল গ্রহণ না করলে চার কোটি ১০ লাখ টাকা ক্ষতির সম্মুখিন হতে যাচ্ছে জেলার একমাত্র অটোরাইস মিলটি। এ ঘটনায় গত ২৮ জুন বরিশাল আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি। ওই কার্যালয়ের এক কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরের দিন নলছিটি খাদ্যগুদামে তদন্তে আসেন আঞ্চলিক কার্যালয়ের কেমিস্ট মো. বোরহান উদ্দিন। তাঁর সামনে বসেই নলছিটির খাদ্য পরিদর্শক (ওসিএলএসডি) আনোয়ার হোসেন সুগন্ধা অটোরাইস মিলের ব্যবস্থাপক রেজাউল করিমের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। ব্যবস্থাপককে গুদাম এলাকা থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে আরো একটি অভিযোগ গত ৩০ জুন বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ে দেওয়া হয়। মিলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিল্লুর রহমান খান অভিযোগ করেন, সরকার আমাদের সঙ্গে যে চুক্তি করেছে, তা বাস্তাবায়ন না করতে পারলে সিকিউরিটি মানি আটকে যাচ্ছে। এমনকি আমাদের প্রতিষ্ঠান কালো তালিকাভুক্তও হতে পারে। আর এসব কিছুর জন্য দায়ি নলছিটি উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক এইচ এম আনোয়ার হোসেন। আমরা ৩০০ মেট্রিকটন চাল প্রস্তুত করে মিলে রেখেছি, বাকিগুলোও প্রস্তুতের কাজ চলছে। সব মিলিয়ে এখনো ১১৪০ মেট্রিকটন চাল খাদ্যগুদামে দিতে হবে। অভিযোগ অস্বীকার করে খাদ্য পরিদর্শক বলেন, চালের মান ভাল না থাকায়, গুদামে ওঠানো হয়নি। মানসম্মত চাল হলে অবশ্যই তা গ্রহণ করা হবে।
ঝালকাঠি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুস ছালাম বলেন, আমরা মানসম্মত চাল নিতে প্রস্তুত আছি। তবে নলছিটি গুদামে কেন চাল গ্রহণ করা হচ্ছে না, এটা আমার জানা নেই। বিস্তারিত জেনে এবং মিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধান করা হবে।