শিরোনাম:
●   ঈশান তালুকদার মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে গুরু আচারিয পূজা ও সংঘদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন ●   নবীগঞ্জে মোবাইল চুরির হিড়িক ●   বাংলাদেশ রেলওয়ে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিক কারখানায় জনবল সংকট ●   সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যু বার্ষিকীতে মানুষের ঢল ●   মিরসরাইয়ে শান্তিনীড় বৃত্তি পেলো ১১৫ জন শিক্ষার্থী ●   বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের সাথে আমাদের সংযোগ বাড়াতে চাই : পার্বত্য উপদেষ্টা ●   বিনা প্রয়োজনে রেললাইন স্টেশন স্থাপনে অর্থ লুটপাট : রেল উপদেষ্টা ●   ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা নির্বাচন কমিশনের পবিত্র দায়িত্ব ●   গাজীপুরে ঝুঁকিপূর্ণ রেলক্রসিংয়ে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন ●   ঘোড়াঘাটে কারাবরণকৃত নেতাকর্মীদের সাথে বিএনপির মতবিনিময় ●   নবীগঞ্জে পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেফতার ●   নতুন নির্বাচন কমিশন নাসির উদ্দীন ●   আত্রাইয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে দন্ত চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় গুরুতর অসুস্থ রোগী ●   যমুনা রেলওয়ে সেতুর দ্বার উন্মোচন হতে যাচ্ছে : নির্মাণে ৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় ●   ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগে পুলিশ পরিদর্শক শামছুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা ●   মিরসরাইয়ে বিশ্ব শিশু দিবস উদযাপন ●   চুয়েটে রিসার্চ বেজড টিচিং-লার্নিং ফর ইঞ্জিনিয়ারিং এডুকেশন ইন বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত ●   আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনের দাবিতে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ ●   ঈশ্বরগঞ্জে মাদক ব্যাবসায়ী সহ গ্রেফতার-৫ ●   বঞ্চিত ৪ উপজেলার প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি ●   রাউজানে যে হাটে বিক্রি হয় মানুষ ●   ছাত্র-জনতার সংগ্রাম পরিষদের ৪৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় সংগ্রাম কমিটি গঠিত ●   নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে ‘দ্য হিন্দু’কে ড. ইউনূস ●   মুক্তিপণ আদায়ের পর মিথ্যা মামলা, দিশেহারা প্রবাসী পরিবার ●   পাইন্দং সংঘারাম বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান সম্পন্ন ●   ঈশ্বরগঞ্জে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার ●   চুয়েটে ‘উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটি’র ৪৬তম সভা অনুষ্ঠিত ●   ঈশ্বরগঞ্জে ব্রি ধান ৮৭ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত ●   কুষ্টিয়ায় ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকায় ধরা খেল শিক্ষক হেলাল ১১ লাখে দফারফা
রাঙামাটি, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
রবিবার ● ৫ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » কৃষি » গ্রীস্মকালীন তরমুজ চাষ করে তাক লাগিয়ে দিল কৃষক হাবিবুর
প্রথম পাতা » কৃষি » গ্রীস্মকালীন তরমুজ চাষ করে তাক লাগিয়ে দিল কৃষক হাবিবুর
রবিবার ● ৫ জুলাই ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

গ্রীস্মকালীন তরমুজ চাষ করে তাক লাগিয়ে দিল কৃষক হাবিবুর

---মো. জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: চাষি হাবিবুর রহমান। ১০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে গড়ে তুলেছে কৃষি খামার। বিভিন্ন মৌসুমি ফল ও ফসলের চাষ করেন তিনি। তার এ খামারেই রোদ বৃষ্টি ঝড়ে ২০ শতক জমিতে অসময়ে তিনি চাষ করেছেন গ্রীস্মকালীন তরমুজ। মাচার নীচেই ঝুলছে লাল নেটে বাধা কয়েক শত এ ফল। রোপনের দু-মাসের মধ্যেই হবে বেচাকেনা শেষ বলে জানান কৃষক। স্বাদও অতুলনীয়। আম্পান ঝড়ে প্রথম আসা ফূল ও কুড়ি নষ্ট হলেও তিনি এ তরমুজ চাষে লাভোবান বলে জানান। অসময়ের এ তরমুজ চাষ করেছেন ঝিনাইদহের শৈলকুপার নবগ্রাম গ্রামে। চাষি হাবিবুর রহমান নবগ্রাম গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে। অসময়ে তরমুজ চাষ নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন অসময়ে মাচাকরে তরমুজ চাষ তার চাকুরী জীবনে প্রথম। আম্পান ঝড়ে যদি তার ফুল ও কুড়ি নষ্ট না হতো তাহলে বাম্পার ফলন পেতো এ চাষি। তাতে তার লাভের পরিমানটা বেড়ে যেতো। অসময়ের তরমুজ চাষি হাবিবুর রহমান বলেন তিনি অন্যের জমি লিজ নিয়ে ১০ বিঘা জমির উপর দুই বছর আগে একটি সমন্বিত কৃষি খামার গড়ে তোলেন। আধুনিক পদ্ধতির চাষাবাদের জন্য তিনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে থাকেন। তরমুজ সাধারনত শীতকালে বীজ রোপন করে বৃষ্টি মৌসুমের আগেই তা শেষ হয়। কিন্ত কৃষি অফিস গত এপ্রিল মাসে আমাকে গ্রীস্মকালীন তরমুজ চাষের জন্য উৎসাহিত করেন। তার পরামর্শ অনুযায়ী ২০ শতক জমি তিনি প্রস্তÍতকরেন। সেখানে ৫টি বেড তৈরী করে মালচিং পেপার দিয়ে ঢেকে রাখি মাটির সঠিক আদ্রতা ধরে রাখতে। এরপর এপ্রিলের ২২ তারিখে তিনি হাইব্রীড সোহেলী জাতের তরমুজ বীজ রোপন করেন। রোপনের ৩০/৩৫ দিনের মধ্যে মাচায় উঠে যাওয়া গাছে ব্যাপাক ভাবে ফুল ও কুড়ি চলে আসে। কিন্ত আম্পানে অনেকটাই তা নষ্ট হয়ে যায়। তারপরও মাচার ডোগায় ডোগায় ঝুলে আছে ছোট বড় কয়েকশত তরমুজ। স্বাদও অতুলনীয় বলে তিনি জানান। অসময়ের এ তরমুজের ব্যাপক চাহিদা। তিনি প্রতিটা তরমুজ ৫০/৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন বলে জানান। আম্পানের ক্ষতিরপরও তিনি ১৫ শতক জমি থেকে ২০/২৫ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন। তার দেখাদেখি ঐ এলাকার অনেকেই এ চাষে আগহ্র দেখাচ্ছেন বলে তিনি জানান। রোপনের পর ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যে তরমুজ বেঁচাকেনা শেষ হয়ে যায় বলে তিনি জানান। ব্যাতিক্রমী এ তরমুজ চাষ নিয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোসলেম উদ্দিন তুহিন জানান আগামি বছর এ এলাকায় কৃষকেরা এই তরমুজ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে। মাঠপর্যায়ে তারা সকল প্রকার পরামর্শ প্রদান করবেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, শৈলকুপায় হাবিবুর রহমান নামের এক কৃষক মাচায় অসময়ে তরমুজ চাষ করেছে। তার চাকুরী জীবনে অসময়ে এ তরমুজ চাষ প্রথম। তরমুজ সাধারনত শীতকালে বীজ রোপন করে বৃষ্টি মৌসুমের আগেই তা শেষ হয়। কিন্ত কৃষক হাবিব বৃষ্টি মৌসুমের মধ্যে মাচা করে তরমুজ চাষ করেছেন। তিনি কয়েকবার অসময়ের তরমুজের এ খামার পরিদর্শন করেছেন। আম্পানে ক্ষতি না হলে বাম্পার ফলন হতো তার। অসময়ে কোন ফল হলে তার প্রতি ক্রেতাদের বেশী আগ্রহ থাকে। গ্রীস্মকালীন তরমুজ চাষ করে একজন চাষি ২ মাসে সমস্ত খরচ বাদে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় করতে পারে বলে তিনি জানান।

প্রেম মানেনা করোনা মহামারি : প্রেমিক প্রেমিকা ঘর বাড়ি ছেড়ে উধাও
ঝিনাইদহ :: করোনা মহামারি উপেক্ষা করে ঝিনাইদহ প্রেমের টানে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে তরুন তরুণী। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের আছিব (১৬) ও একই ইউনিয়নের বৈডাঙ্গা কুরিপারার রিয়া খাতুন (১৫) বাড়ি থেকে প্রেমের টানে উধাও হয়েছে। জানা গেছে, গত বুধবার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের প্রবাসী আবু বক্কর মিয়ার ছেলে আছিব মিয়া (১৬) ও বৈডাঙ্গা কুরিপারার বাসিন্দা প্রবাসি রউফ মিয়ার মেয়ে রিয়া খাতুন (১৫) বাড়ি থেকে পালিয়েছে। দুই পরিবারের সদস্যরা কেউ বাড়িতে না থাকায় উধাও হওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।

আসামীদের হুমকীতে মামলার বাদী গ্রাম ছাড়া
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে আপন বড় ভাই এর ছেলে ও সন্ত্রাসী বাহিনির হামলায় ছোট ভাই আহত হয়। হামলার শিকার ছোট ভায়ের বউ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে। সেই অপরাধে আসামীরা জামিন নিয়ে বাড়ী ফিরেই ছোট ভায়ের পরিবারকে ভয়ভীতি প্রদর্শণ ও প্রাণনাসের হুমকী দিয়ে বাড়ী ছাড়া করেছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। প্রাণভয়ে বাদির পরিবার ১০দিন যাবৎ বাড়ি ছাড়া রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মধুহাটী ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মৃত জয়নুদ্দীন মন্ডলের তিন ছেলের মধ্যে মজিদ ছোট ছেলে। বিদেশ থেকে কিছু টাকা আয় করে গ্রামে আলাদা ভাবে বাড়ীঘর তৈরী করে বসবাস করতে চায়, কিন্তু অন্যদুই ভাই সেটা মানতে নারাজ। সেকারনে তারা বার বার ছোট ভায়ের নিকট চাদা দাবি করে জোর করে টাকা আদায় করার চেষ্টা করে। এনিয়ে চার দফা মজিদকে মারধর করেছে বলে জানাগেছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং গন্যমান্য ব্যক্তিদের বিচার শালিসের মাধ্যমে বারবার সমাধান হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৩ মে এ পারিবারিক কলহের জের ধরেই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মজিদের আপন বড় ভাই অজগর ও আজিজের ছেলে রুবেল ও তার মামা রাহেন দলবল বাড়িতে নিয়ে মজিদের উপর হামলা করে। এই হামলায় আহত হয়ে গুরতর অবস্থায় পুলিশের হস্তক্ষেপে মজিদকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে এবং তার বউ বুলু বেগম বাদি হয়ে সদর থানায় বড় ভাই আজগর, আজিজ, ভাস্তে রুবেল ও রাহেনসহ ৬জনের বিরদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা এবং লুটপাটের মামলা করে। এই ঘটনায় দুই জন আসামী পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও কয়েকদিন পরে ভার্সুয়াল কোর্টের মাধ্যমে তারা জামিন হয়ে আসে। মামলার আসামীরা জামিন পেয়ে বাড়ী ফিরে এসেই বাদিকে নানা ভাবে প্রাণনাসের হুমকী দেয় এবং মাঠের মেহগনী গাছ কাঠাল গাছ পুকুরের মাছধরা একটি সেলাই মেশিন, টেবিলের ড্রয়ার থেকে কিছু টাকা লুটপাটসহ নানামুখী অত্যাচার বাড়িয়ে দেয়। এই অত্যাচারের কারনে মজিদ ও তার পরিবার ১০দিন যাবৎ বাড়ি ছাড়া রয়েছে। মজিদ সদর থানায় ওইসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আবার একটি অভিযোগ করেন। কিন্ত তার দাবি এই অভিযোগের তদন্ত ভার বাজার গোপালপুর স্থানীয় ক্যাম্প ইনচার্জকে দেওয়ায় তিনি উভয় পক্ষের নিকট থেকে উৎকচ গ্রহন করে কোন কার্যকর পদেক্ষেপ গ্রহন করছেন না। মজিদের তিন বোন তারাও তার ভাইকে বড় দুই ভাই অত্যাচার করে গ্রাম ছাড়া করার চেষ্টা করছে বলে জানান। মামলার আসামী মেজ ভাই আজিজ বলেন একটু ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে সামান্য ঘটনা ঘটছিল এনিয়ে থানায় মামলা পর্যন্ত গড়াবে তা আমাদের জানা ছিলনা, আর কোন সমস্যা হবে না তাকে বাড়ি আনার ব্যবস্থা করছি। এবিষয়ে বাজার গোপালপুর ক্যাম্প ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন আমি বিষয়টি তদন্ত করেছি ভাই-ভায়ের ব্যাপার আমি মজিদকে ফাঁড়িতে আসতে বলেছি সে আমার সাথে দেখা করলেই বিষয়টি মিমাংসার হয়ে যেত এবং আমি তার বাড়ীতে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করতাম। মধুহাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহম্মেদ জুয়েল বলেন বিষয়টি আমি শুনেছি আগেও একবার এদের নিয়ে শালিস বৈঠক হয়েছে আমি দ্রুতই পরিষদে দুই পক্ষকে ডেকে সমাধানের ব্যবস্থা করব।

বিপুল পরিমান সরকারি ও আমদানী নিষিদ্ধ ঔষধ জব্দ, আটক-১
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়ার একটি বাড়ী থেকে বিপুল পরিমান সরকারি ও আমদানী নিষিদ্ধ ঔষধ জব্দ করেছে র‌্যাব। রোববার দুপুরে এ অভিযান চালায় র‌্যাব-৬ ও সিপিসি-২ ঝিনাইদহ ক্যাম্প। এসময় জড়িত থাকার অভিযোগে দীপক বিশ্বাস নামের একজনকে আটক করা হয়। আটককৃত দীপক বিশ্বাস ওই এলাকার দীলিপ বিশ্বাসের ছেলে। র‌্যাব-৬, সিপিসি-২ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, শহরের চাকলাপাড়ার একটি বাসায় সরকারি বিক্রয় নিষিদ্ধ ও আমদানী নিষিদ্ধ ঔষধ মজুদ করা রয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এসময় বাড়ি তল্লাসী করে ১৪ কার্টুন ঔষধ উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় বাড়ির মালিক দিপক বিশ্বাসকে। র‌্যাব আরও জানায়, ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে এই সরকারি ঔষধ ঝিনাইদহে আনা হয়েছে। এগুলো ঝিনাইদহ ও আশপাশের জেলার গ্রামাঞ্চলের চিকিৎসকদের মাধ্যমে বিক্রি করা হয় বলে আটককৃত ব্যক্তি প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সুদে কারবারীর অত্যাচারে পান ব্যবসায়ী রবিউল দিশেহারা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডুর পান ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম দাদন বা সুদ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন ভাল ভাবে ব্যবসা করার জন্য। ৬ মাসে তিনি পরিশোধও করেছেন ৩৬ হাজার টাকা। এখন কারেন্ট সুদের জালে জড়িয়ে তার দেনা দাড়িয়েছে চার লাখে। ৪০ হাজার টাকায় ৬ মাসে তার সুদ দাড়িয়েছে চার লাখে। গল্পটি গুজব মনে হলেও বাস্তবে সুদে কারবারীর অত্যাচারে রবিউল এখন দিশেহারা। এ রকম শত শত মানুষ হরিণাকুন্ডুর বিভিন্ন গ্রামে দাদন ব্যবসায়ীর ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে। হারাচ্ছেন ভিটে, বাড়ি আর সাজানো সংসার। প্রশাসিনক কোন পদক্ষেপ না থাকায় দিনকে দিন হরিণাকুন্ডুসহ সারা জেলায় সুদ কারবারীদের দাপন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে শিক্ষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দিনমজুরসহ সাধারণ মানুষ। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, হরিণাকু-ুর পৌরসভা এলাকার শুড়া ও হাসপাতালমোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় দাদন ব্যবসা এখন জমজমাট। শিক্ষক, হোটেল, ক্ষুদ্র ব্যবসা, দিনমজুর, ভ্যান ও রিকশা চালকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ সংসার চালাতে গিয়ে দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন। পার্বতিপুর গ্রামের বদর উদ্দীনের ছেলে রবিউল ইসলাম এ রকম অসহায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন। তিনি শুড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে দাদন ব্যবসায়ি মিঠুর কাছ থেকে ৬ মাস আগে ৪০ হাজার টাকা নেন। এপর্যন্ত তিনি ৩৬ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন। কিন্তু দাদন ব্যবসায়ী মিটুর খাতায় বকেয়া রয়েছে ৪ লাখ টাকা। এই টাকার জন্য সুদখোর মিঠু প্রতিনিয়ত চাপ দিচ্ছে। না হলে মামলা করবেন। নারায়নকান্দি গ্রামের স্কুল শিক্ষক আলমগীর হোসেন জানান, তিনি ্করোনাকালে অভাবের তাড়নায় মিঠুর কাছ থেকে ৩ মাস আগে ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। ১৫ হাজার টাকা পরিশোধও করেছেন। এখনও মিঠু ৫০ হাজার টাকা দাবী করছে। পোলতাডাংগা গ্রামের স্কুল শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকও এমন অভিযোগ করেন মিঠুর বিরুদ্ধে। আব্দুর রাজ্জাক ২৫ হাজার টাকা নিয়ে ৭৫ হাজার টাকা পরিােধ করলেও মিটুর খাতায় বয়েকা আছে এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা। টাকার জন্য সুদখোর মিঠু মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকী দিচ্ছে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে দাদন ব্যবসায়ি মিঠু নিজের ভুল স্বীকার করে বলেন, ভাই এসব নিয়ে লেখালেখি দরকার নেই। আমাকে একটু সময় দেন মানুষের কাছে যা টাকা পড়ে আছে সেগুলো তুলে নিয়ে আর সুদের ব্যবসা করবো না। হরিণাকু-ু থানার পরিদর্শক (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, ভুক্তভোগীরা এব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলে আমি ব্যবস্থা নেব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা বলেন, অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঠিকাদার আলাউদ্দীন ও কবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ
ঝিনাইদহ :: জোরপুর্বক লাইন বন্ধ করে কাজ করা অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ ওজোপাডিকোর ঠিকাদার আলাউদ্দীন ও কবিরের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে ডিসি কোর্ট ফিডারের ১২ হাজার ৮’শ নাখোশ। ঠিকাদারদের প্রতারণার শিকার হয়ে ডিসিকোর্ট ফিডারের বিদ্যুৎ গ্রাহকরা প্রায় হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। গ্রাহকদের অভিযোগ শুক্রবার শহরে মাইকিং করে শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ডিসি কোর্ট ফিডারে বিদ্যুৎ থাকবে না। বিদ্যুৎ না থাকার কারণ হলো ঠিকাদার শনিবার লাইন মেরামতের কাজ করবেন। সে মোতাবেক গতকাল শনিবার ৯টার স্থলে ৮.৪৫ মিনিটে বিদ্যুৎ চলে যায়। সারাদিন কাজ করার পরও পুর্ব ঘোষিত ৫টায় বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ধীরগতির কাজের কারণে বিপাকে পড়ে ঝিনাইদহ ওজোপাডিকো। ৫টার পরিবর্তে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় ৬.০৯টায়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই এক ঘন্টা জোর পুর্বক লাইন বন্ধ করে কাজ করা হয় বলে ওজোপাডিকোর কর্মকর্তারা জানান। এদিকে বিদ্যুৎ না পেয়ে ডিসি কোর্ট ফিডারের গ্রাহকরা ভ্যাপসা গরমে একদিকে যেমন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে, তেমনি পানি না পেয়ে পড়েন চরম দুর্ভোগে। অনেকের বাড়িতে শিশু, বৃদ্ধ ও মুমুর্ষ রোগী হাফিয়ে ওঠে। এ বিষয়ে ডিসি কোর্ট ফিডারে দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী আব্দুল হালিম জানান, লোকবলের কারণে তারা লাইনের কাজ সঠিক সময়ে করতে পারেনি। ফলে আমাদেরও পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। তবে শহরের মসিউর রহমান সড়কে কাজ করা ঠিকাদারদের সাথে সন্ধ্যা ৬টার দিকে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)