সোমবার ● ৬ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে বহিষ্কার হওয়া ৬ ছাত্রলীগ নেতা পূর্বের পদ-পদবী ব্যবহার করায় জেলা ছাত্রলীগের বিবৃতি
রাঙামাটিতে বহিষ্কার হওয়া ৬ ছাত্রলীগ নেতা পূর্বের পদ-পদবী ব্যবহার করায় জেলা ছাত্রলীগের বিবৃতি
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: রাঙামাটিতে ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কর্মকান্ডে জড়িত ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার হওয়া ৬ ছাত্রলীগ নেতার পূর্বেও সাংগঠনিক পদ-পদবি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহার করার অভিযোগে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগ। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংবাদিক ভাই ও প্রশাসনকে নানা সময়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির লক্ষে পুনরায় মিডিয়ায় তাদের পূর্বেকার পদ-পদবি ব্যবহার করাচ্ছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ কর্তৃক বহিষ্কার আদেশ থাকা সত্তেও সংগঠনের পূর্বের সাংগঠনিক পদ-পদবি ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি ও ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি। বহিষ্কৃতদের এহেন কর্মকান্ড দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গেরও সামিল বলে উল্লেখ্য করা হয় বিবৃতিতে।
আজ সোমবার ৬ জুলাই দুপুর ৩টায় রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন ও সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমার এক স্বাক্ষরিত প্রেস
বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিৃবতিতে বলা হয়, সম্মানিত প্রিন্ট-ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সকল প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, গত ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্তের আলোকে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কর্মকান্ডে জড়িত ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ১। সাইফুল আলম রাশেদ (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা শাখা), ২। রুপম দাশ (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা শাখা), ৩। সুলতান মাহমুদ চৌধুরী (বাপ্পা) (যগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা শাখা), ৪। মঈন উদ্দিন শাকিল (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা শাখা), ৫। নুর আলম (দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা শাখা) ৬। জহিরুল ইসলাম স্বাধীন (উপ-দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা শাখা)-কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। পরবর্তি নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত উক্ত বহিস্কারাদেশ বলবৎ থাকিবে বলেও জানানো হয়।
কিন্তু জেলা ছাত্রলীগ সম্প্রতি লক্ষ্য করছি যে, বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ প্রিন্ট-ইলেক্ট্রনিক্স,অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও তথ্য বিবরনিতে উপরোক্ত বহিষ্কৃত ব্যাক্তিবর্গের সংগঠনের পূর্বের নাম, পদ-পদবি ব্যবহার করা হচ্ছে, যা বাংলাদেশ ছাত্রলীগসহ জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে।
বহিষ্কৃত ব্যক্তিবর্গরা প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও প্রশাসনকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নানা সময়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির লক্ষে পুনরায় মিডিয়ায় তাদের পূর্বেকার পদ-পদবি ব্যবহার করাচ্ছে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ কর্তৃক বহিষ্কার আদেশ থাকা সত্তেও সংগঠনের পূর্বের সাংগঠনিক পদ-পদবি ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি ও ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি। বহিষ্কৃতদের এহেন কর্মকান্ড দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গেরও সামিল।
এমতাবস্থায়, সম্মানিত সাংবাদিক ভাই-বোনসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সর্বস্তরের জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঐতিহ্যবাহী একটি সংগঠন।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে একটি সমৃদ্ধশীল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই সংগঠনের প্রতিটি নেতা-কর্মী নিরলসভাবে আত্মনিয়োগ
করে যাচ্ছে। সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ কর্তৃক বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত উপরোল্লেখিত বহিস্কৃত নেতা-কর্মীদেরকে নিয়ে ভবিষ্যতে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে তাদের পূর্বের সাংগঠনিক পদ-পদবি ব্যবহার না করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের পরামর্শক্রমে উক্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রেরণ করা হল।