সোমবার ● ৬ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » মৌলভীবাজার » নিরীহ ব্যক্তির ভূমি দখল করে কলাগাছ রোপন : থানায় অভিযোগ
নিরীহ ব্যক্তির ভূমি দখল করে কলাগাছ রোপন : থানায় অভিযোগ
এম এ কাদির চৌধুরী ফারহান, কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কটারকোনা এলাকায় রাতের অন্ধকারে প্রভাবশালী মহল কর্তৃক এক নিরীহ লোকের খরিদা ভূমি দখল করে বেড়া দিয়ে কলাগাছ লাগিয়ে দিয়েছেন। গত ২৯ জুন সোমবার দিবাগত রাতে কুলাউড়া উপজেলার কটারকোনায় ছমর উদ্দীনের মনু নদী সংলগ্ন খরিদা ভূমিতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অসহায় ভূমি মালিক কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কটারকোনা এলাকার মনু নদীর তীরঘেষা ছমর উদ্দীনের খরিদকৃত ৬০ শতক ভূমি দখল করে বাঁশের বেড়া দিয়ে কলাগাছ রোপন করেছেন একই এলাকার সমুজ আলী, আবু মিয়া, চান্দ আলী প্রমুখ ব্যক্তিরা। রাতের আঁধারে প্রতিপক্ষের প্রভাবশালীরা ওই ভূমি দখলে নেন। তবে ছমর উদ্দীন নিজের ক্রয়কৃত ভূমি রক্ষায় তাদের আপত্তি জানিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদ উদ্দীন বিষয়টি নিয়ে দখলকার ব্যক্তিদের কাগজপত্র নিয়ে আসার অনুরোধ করলেও তারা আসেনি। এরপর ছমর উদ্দীন তার খরিদা ভূমি দখল বিষয়ে গত ৩০ জুন কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ করে ছমর উদ্দীন বলেন, দীর্ঘসময়কাল ধরে আমার খরিদকৃত ভূমিতে ভোগ দখলকার হিসাবে আছি। এলাকার প্রভাবশালী সমুজ মিয়া গং ব্যক্তিরা আকস্মিকভাবে রাতের আঁধারে আমার ভূমি জোরপূর্বক দখল করে কলাগাছ রোপন করেছে। বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়ভাবে বিচার প্রার্থী হই। পরে থানায়ও লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
এব্যাপারে হাজীপুর ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদ উদ্দীন বলেন, আমি অভিযোগ পেয়ে দখলকারীদের আপত্তি জানাই এবং কাগজপত্র নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করি। তারা প্রথমে কাজ বন্ধ করলেও পরে ভূমি দখল করে নেয়। আমার কাছে আর আসেনি। ছোট বেলা থেকেই এই ভূমি ছমর উদ্দীনের ভোগদখল ছিল বলে তিনি জানান।
অভিযোগ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য সমুজ আলী বলেন, আমি বিগত দুই বছর ধরে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতে শয্যাশায়ী অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছি। এ ঘটনার সাথে আমি মোটেও সম্পৃক্ত নয়। ভূমি দখলের বিষয়েও কিছুই জানিনা। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ একটি প্রভাবশালী মহল আমাকে মামলার আসামী করা হয়েছে।
হাজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু বলেন, দখলের অভিযোগ পেয়ে আমি ইউপি সদস্যকে সরেজমিনে পাঠিয়েছি।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার এসআই কানাই লাল চক্রবর্তী অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এটি সরকারী জমি এবং বালু মহাল। তবে দখল বিষয়ে সামাজিকভাবে সমাধানের প্রক্রিয়া চলছে।
কমলগঞ্জের দলই চা বাগানে অভিযুক্ত ব্যবস্থাপককে সাময়িক প্রত্যাহার
কমলগঞ্জ :: গাছ কাটার অভিযোগে গত ২৩ জুন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দলই চা বাগান ব্যবস্থাপকের হামলায় শ্রমিক সন্তান হীরা ভর (২২) হামলায় আহত হন। ওইদিন বিকালে ব্যবস্থাপক ইচ্ছে মাফিক নির্যাতিত হীরা ভরের বাবা চা শ্রমিক রাধে শ্যামের কাছ থেকে মুচলেখা নিয়ে ২৯ জুনের মধ্যে স্বপরিবারে চা বাগান ত্যাগ করার নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিলে ২৯ জুন চা শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে কারখানার সামনে ধর্মঘট শুরু করলে অভিযুক্ত ব্যবস্থাপক নিরাপত্তাহীনতায় বাগান ত্যাগ করেন।
রোববার ( ৫ জুলাই ) দলই চা বাগান কোম্পানীর ডিজিএম খালেদ খান, মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু, দলই চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির নেতৃবৃন্দ ও চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চা শ্রমিকদের প্রতিবাদের মুখে অভিযুক্ত ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলামকে সাময়িক দলই চা বাগান কোম্পানীর প্রধান কার্যালয়ে কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। একই সাথে চা বাগানে স্বাভাবিক কাজকর্ম পরিচালনার জন্য সহকারি ব্যবস্থাপক জাকারিয়া হাবিবকে ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন মনু ধলাই ভ্যালির সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাশ পাইকা বলেন, বৈঠকে দলই চা বাগান কোম্পানীর ডিজিএম খালেদ খান বলেন, প্রধান কার্যালয়ের মতামত ছাড়া তিনি আপাতত কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন না। তাই সাময়িকভাবে ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলামকে প্রধান কার্যালয়ে কাজ করতে হবে। আর চা বাগানের স্বাভাবিক কাজকর্মের জন্য সহকারি ব্যবস্থাপক জাকারিযা হাবিবকে দলই চা বাগানের সহকারি ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দলই চা বাগানের সহকারি ব্যবস্থাপক জাকারিয়া হাবিব বলেন, মূলত ডিজিএম তদারকিতে থাকবেন। আর তিনি দলই চা বাগানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
দলই চা বাগান কোম্পানীর ডিজিএম খালেদ খান বলেন, প্রধান কার্যালযের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের মতামতের জন্য কয়েক দিন সময় নেওয়া হয়েছে। এ সময়টুকুতে ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম প্রধান কার্যালয়ে থাকবেন। আর তিনি রাউন্ডে থেকে বাগান তদারকি করবেন। আর সহকারি ব্যবস্থাপক দলই চা বাগানের সমায়কি ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
১৫০ জনকে মোবাইল সিম কিনার টাকা দিলেন কমলগঞ্জ পৌর মেয়র জুয়েল
কমলগঞ্জ :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌর এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের ২৫০০টাকা প্রাপ্ত ১০০ জনকে মোবাইল সিম কিনার টাকা দিলেন কমলগঞ্জ পৌর মেয়র মো: জুয়েল আহমেদ। সোমবার দুপুরে কমলগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয়ে ২৫০০টাকা প্রাপ্তির জন্য বিকাশ একাউন্ট খুলতে মোবাইল সিম কিনার জন্য ১৫০জনকে জনপ্রতি নগদ ১০০টাকা করে বিতরণ করেন। পৌর মেয়র মো: জুয়েল আহমেদ নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে এসব অর্থ বিতরণ করেন।