সোমবার ● ৬ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ভোলায় লঞ্চে তরুণীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় ৩ ষ্টাফ গ্রেফতার
ভোলায় লঞ্চে তরুণীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় ৩ ষ্টাফ গ্রেফতার
খলিল উদ্দিন ফরিদ, ভোলা প্রতিনিধি :: ঢাকা টু বেতুয়া নৌরুটে চলাচলকারী লঞ্চে যৌন হয়রানির শিকার কিশোরীকে হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এঘটনায় কর্ণফুলি ১৩ লঞ্চে অভিযান চালিয়ে কিশোরী যৌন হয়রানির ঘটনায় জড়িত তিন ষ্টাফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত আটককৃত ৩ ষ্টাফ তজুমদ্দিন থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে জানান থানার একটি সুত্র।
তজুমদ্দিন থানার সেকেন্ড অফিসার মো. জসিম উদ্দিন খাঁন জানান, গত শনিবার ঢাকা টু বেতুয়া নৌরুটে চলাচলকারী লঞ্চ ষ্টাফদের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার কিশোরের স্বীকারোক্তি মোতাবেক রবিবার দিবাগত রাত ৫টায় তজুমদ্দিন থানার ওসি (তদন্ত) এনায়েত হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম স্লুইজঘাটে কর্ণফুলি ১৩ লঞ্চে অভিযান চালিয়ে শাকিল, গিয়াস উদ্দিন ও শাকিল নামের ঘটনার সাথে জড়িত ৩ ষ্টাফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। আটককৃরা তজুমদ্দিন থানা হেফাজতে রয়েছে। অপরদিকে যৌন হয়রানির শিকার কিশোরীর কোন অভিভাবক খুজে না পাওয়ায় এখন পর্যন্ত কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পুলিশ। যৌন হয়রানির শিকার কিশোরীও রবিবার দিবাগত রাত থেকে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত সোমবার সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত থানা হেফাজতে রয়েছে বলে জানান থানার একটি সুত্র।
তজুমদ্দিন থানার ওসি (তদন্ত) এনায়েত হোসেন বলেন, কয়েকদিন আগে মেয়েটিকে লঞ্চের ষ্টাফ গিয়াস উদ্দিন ঢাকায় একটি বাসায় কাজ করতে দিলে মেয়েটি সেথান থেকে মোবাইলসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি পালিয়ে যায়। এরপর গত শনিবার ওই কিশোরী ঢাকার যাওয়ার জন্য লঞ্চে উঠলে গিয়াস তাকে দেখতে পেয়ে হাত ধরে লঞ্চের পিছনে নিয়ে যায় এবং চুরির অপরাধে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার ভয়ভীতি দেখায়। কিন্তু এক পর্যায়ে মেয়েটি লঞ্চের পিছন থেকে সামনে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়।
উল্লেখ রবিবার ৫ জুলাই দুপুর ১ টায় তজুমদ্দিন হাসপাতালে সিটে বসে ওই কিশোরী সাংবাদিকদের জানান, গত শনিবার কাজের সন্ধানে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে তজুমদ্দিন স্লুইজঘাট থেকে কর্ণফুলি-১৩ লঞ্চে উঠেন। লঞ্চে উঠার পর লঞ্চের ষ্টার্ফরা ওই কিশোরীকে বিভিন্ন কুপ্রস্তাবের মাধ্যমে যৌন হয়রানি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে কিশোরীকে তাদের সাথে কেবিনে রাত্রি যাপন করলে সকালে ২শত টাকা দেয়ার প্রস্তাব করেন। পরে ইজ্জত রক্ষার্থে কিশোরী নদীতে ঝাপ দেন। কিš‘ লঞ্চ কর্তৃপক্ষ তাকে উদ্ধার করতে একটি বয়া ফেললেও পানির স্রোতে বয়া ধরতে পরেনি কিশোরী। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধারে অন্যকোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করেই ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যান লঞ্চটি। নদীতে ঝাপ দেয়ার প্রায় ৩ ঘন্টা পর জেলেরা তাকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করেন। তজুমদ্দিন হাসাপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কবির সোহেল বলেন, রবিবার দিবাগত রাতে থানার লোকজন এসে নদী থেকে উদ্ধার হওয়ার কিশোরীকে রিলিজ নিয়ে থানায় নিয়ে যান।
ভোলার কৃতি সন্তান মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম ডিএমপির ডিসি হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন
ভোলা :: ভোলার কৃতি সন্তান জনাব মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)র উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়ছেন। তিনি ২০১৮ সালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হতে পুলিশ সুপার হিসাবে পদোন্নতি পান।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও এম আই এস বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে ২৫ তম বিসিএস পরীক্ষায় উর্ত্তীন হয়ে বিসিএস (পুলিশ) এ জয়েন করেন।
তিনি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারে হতে অর্থনীতি বিষয়ে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন।
তার গর্বিত পিতা মাতা হলেন জনাব মাওলানা আবুল হাসান মোঃ আবুল খায়ের, শিক্ষক(অবঃ) ও রাশিদা বেগম। তিনি ভোলা জেলার ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
তিনি ব্যক্তিগত জীবনে আরিশা আলম নামের এক কন্যা সন্তানের জনক। তার স্ত্রী প্রকৌশলী আনিকা ফারিহা রশিদ এনসিওর ডেভলপারস লি.এর পরিচালক ও হেরা ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী সদস্য।
তিনি অফিসার্স ক্লাবের সদস্য,উপদেষ্টা, হেরা ফাউন্ডেশন সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকে পৃষ্ঠপোষকতা করে ভোলা জেলার মানবকল্যানে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করে চলেছেন।