মঙ্গলবার ● ৭ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » পলাশবাড়িতে যাত্রীবাহি বাস উল্টে ২০ জন আহত
পলাশবাড়িতে যাত্রীবাহি বাস উল্টে ২০ জন আহত
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের সাকোয়া গ্রামের বড় পুকুর নামক এলাকায় মঙ্গলবার সকালে কাজী এন্টারপ্রাইজ নামে একটি যাত্রীবাহি বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পুকুরে উল্টে যায়। এসময় বাসে ২০ জন যাত্রী আহত হয়।
স্থানীয়রা জানায়, রংপুর থেকে বগুড়া যাওয়ার সময় ওই এলাকা পৌছলে যাত্রীবাহি বাসটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে উল্টে পুকুরে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে। আহতদের পলাশবাড়িসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গাইবান্ধায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের পারসুন্দাইল গ্রামে করতোয়া নদী থেকে আজ মঙ্গলবার সকালে অজ্ঞাত পরিচয়ে এক যুবকের (৩০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ নিশ্চিত করে জানায়, সকালে করতোয়া নদীর পাশ দিয়ে লোকজন চলাচল করার সময় নদীতে এক যুবকের ভাসমান লাশ দেখতে পায়। স্থানীয়রা গোবিন্দগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ওই ভাসমান লাশটি উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে অন্য কোথাও হত্যা করে লাশটি নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে।
গাইবান্ধায় নদীগর্ভে বিলীন সাড়ে ৩শ’ ঘরবাড়ি
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও তিস্তার নদীর পানি কমতে শুরু করলেও জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার চরাঞ্চলগুলোতে এখনও পানিবন্দী মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এদিকে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গেই ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদীর ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার কিছুটা নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। সুন্দরগঞ্জের কাপাসিয়া, শ্রীপুর, হরিপুর, গাইবান্ধার সদরের কামারজানি, ফুলছড়ির কাতলামারি, সিংড়িয়া, কামারপাড়া এবং সাঘাটার গোবিন্দি ও হলদিয়ার বিভিন্ন গ্রামে ব্যাপক ভাঙনের ফলে গত তিনদিনে সাড়ে ৩শ’ ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, এবারের বন্যায় সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলার ২৬টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়। এ বন্যায় ২৩ হাজার ৮৬৫টি ও প্রায় ৩৬ কি.মি. রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, বন্যায় জেলায় ৩ হাজার ৫৫২ হেক্টর জমির পাটসহ শাকসবজি ও বিভিন্ন ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। এসব ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করা হয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তর জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ২০০ মে. টন চাল, ১ হাজার ৮শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ত্রাণ হিসেবে বন্যার্তদের মধ্যে নগদ টাকা ১৩ লাখ এবং গো-খাদ্য হিসেবে ২ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। অপরদিকে সিভিল সার্জন সুত্রে জানা গেছে, বন্যা দুর্গত এলাকায় তাদের ৬১টি মেডিকেল টিম স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছে।