বৃহস্পতিবার ● ৯ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » নদীর পাড় থেকে বিপুল পরিমান সরকারী ঔষধ উদ্ধার
নদীর পাড় থেকে বিপুল পরিমান সরকারী ঔষধ উদ্ধার
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ শহরের নবগঙ্গা নদীর পাড় থেকে বিপুল পরিমান সরকারী ঔষধ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুরে পৌর খাজুরা এলাকার নবগঙ্গা নদীর পাড় থেকে এ ঔষধ উদ্ধার করা হয়। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, শহরের খাজুরা এলকার নবগঙ্গা নদীর পাড়ে সরকারী ঔষধ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী খবর দেয় পুলিশকে । খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় লক্ষাধীক টাকার ঔষধ উদ্ধার করে। স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে উদ্ধারকৃত ঔষধের ব্যপারে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানায় পুলিশ।
শিক্ষা অফিসে দুদকের নজরদারী কোথায় গেল ?
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপা কবিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার কর্মচারীদের এমপিও ভুক্তির জন্য নীতিমালা বহির্ভুত ত্রুটিপুর্ন কাগজ পাঠানোর গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এই কাজে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও মাধ্যমিক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অবৈধ লেনদেন এবং পরস্পরের যোগসাজস রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে লিখিত এক অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে কবিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শপ এ্যসিসটেন্ট পদে প্রথম নিয়োগ পান আতিকুর রহমান ডাবলু। তাকে বাদ দিয়ে ল্যাব এ্যসিসটেন্ট পদে লুৎফর রহমান ও একই পদে গিয়াস উদ্দীনকে এমপিও ভুক্তির জন্য সুপারিশ করে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে লুৎফর রহমানের বয়স নিয়োগকালীন সময়ে ১৮ বছর ছিল। অন্যদিকে গিয়াস উদ্দীনের জাল সনদ ও বয়স না হওয়ার পরও তাকে এমপিও ভুক্তির সুপারিশ করায় বৈধ ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত আতিকুর রহমান ডাবলু অবিচার ও ষঢ়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ২০০৪ সালের জনবল কাঠামোতে একটি স্কুলের কারীগরি শাখায় দুইটি শপ, ল্যাব বা কম্পিউটার ল্যাব এ্যসিসট্যন্ট পদে নিয়োগ করা যাবে। সে হিসেবে কবিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আতিকুর রহমান ডাবলু ও লুৎফর রহমানের নিয়োগ পর্যন্ত বৈধ ছিল। পরে অর্থের বিনিময়ে ল্যাব এ্যসিসটেন্ট পদে গিয়াস উদ্দীনকে নিয়োগ দেয় কমিটি, যা জনবল নীতিমালা বর্হিভুত। দুর্নীতি ও অনিয়ম এখানেই থেকে নেই। গিয়াস উদ্দীনের নিয়োগের টেবুলেশন সিটে কাটাকাটি রয়েছে। সেই সিটে শৈলকপা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাক্ষরও নেই। গিয়াস উদ্দীনকে বিধি বহির্ভুত ভাবে এমপিও ভুক্তির সুপারিশ করে পাঠিয়ে স্কুলের সভাপতি তৈয়ব খান ও জেলা শিক্ষা অফিসার সুশান্ত কুমার দেব দুর্নীতির সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছেন। এদিকে ২০২০ সালের ১৩ মে কারিগরী শিক্ষা অধিদপ্তর এক অফিস আদেশে লুৎফর রহমান ও গিয়াস উদ্দীনের কাগজপত্র ত্রুটি পেয়ে ফেরৎ দিয়েছেন। ওই আদেশে জেলা শিক্ষা অফিসারকে যাচায়ের জন্য বলা হলেও তিনি তা না করে আবোরো একই ত্রুটিপুর্ন কাগজ গারিগরী শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরণ করেছেন। এ ব্যাপারে স্কুলের সভাপতি তৈয়ব খান জানান, এমপিও ভুক্তির কাগজ পাঠানোতে কোন ভুল নেই। যদি থাকেও তবে সেটা কারিগরী শিক্ষা অধিদপ্তর দেকবেন। তিনি বলেন আতিকুর রহমান ডাবলু অন্য ট্রেডে নিয়োগ। তাই তার এমপিও ভুক্তির আবেদন করা হয়নি। স্কুলটির প্রধান শিক্ষক এনামুল হক বলেন, আমি স্কুল সভাপতির বাইরে যেতে পারি না। তিনি যেটা নির্দেশ করেছেন আমি সেটাই করতে বাধ্য হয়েছি। এদিকে শৈলকুপার গাড়াগঞ্জ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইব্রাহীম খলিলসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক কর্মচারীর এমপিও ভুক্তির জন্য কাগজপত্র পর্যায়ে প্রেরণ করলেও জেলা শিক্ষা অফিসার সুশান্ত কুমার দেব কোন অজুহাত ছাড়াই বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগারিক এবং শৈলকুপা ফাযিল মাদরাসার সহকারী গ্রন্থাগারিকের এমপিও ভূক্তির কাগজ খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রদান না করে বাতিল করে দেন। পরবর্তীতে পুনরায় শৈলকুপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইন আবেদন করা হলে তিনি তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন এবং প্রধান শিক্ষক ইব্রাহীম খলিল ও শৈলকুপা ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ এ,এস,এম আক্তারুজ্জামানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। অভিযোগ উঠেছে ধার্য্য তারিখের পরেও (১৮ই জুন ২০২০) জেলা শিক্ষা অফিসার শৈলকুপার সারুটিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দিগনগর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাতিল করা শিক্ষক কর্মচারীর কাগজপত্র এমপিও ভুক্তির জন্য আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রেরণ করেছেন। ঝিনাইদহের শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, জেলা শিক্ষা অফিসার সুশান্ত কুমার দেবের মানসিক নির্যাতন ও খারাপ আচরণে তারা অতিষ্ঠ। জেলা শিক্ষা অফিসার সুশান্ত কুমার দেব তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কারো কাছ থেকে টাকা নিয়েছি কেও প্রমান দিতে পারবে না। তিনি বলেন, যে সব শিক্ষক কর্মচারীর এমপিও ভুক্তির কাগজ পাঠানো হয়েছে তা সবই আইন মেনে করা হয়েছে। বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার চালানোর জন্য একটি মহল এহেন মিথ্যা অভিযোগ তুলছে বলে তিনি মনে করেন।
করোনা উপসর্গে ইজিবাইক চালকের মৃত্যু
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে রতন মুন্সী (৩৫) নামে এক ইজিবাইক চালকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করেছে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। রতন মুন্সী কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ফয়লা দাসপাড়ার ইউসুফ মুন্সীর ছেলে। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ অরুণ কুমার সাহা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় রতন মুন্সী। শ্বাসকষ্ট বেশি হওয়ায় তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। এরপর রাত ৮ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুর পর রতন মুন্সীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনার রিপোর্ট এলে জানা যাবে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা।এর আগে কালীগঞ্জ উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আর ও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গাঁজাসহ পুলিশ সদস্য আটকের পর কারাগারে প্রেরণ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে গাঁজাসহ আটক পুলিশ কনস্টেবল ইয়াসির আরাফাত মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জেলা শহরের মৎস্য অফিস সংলগ্ন গয়েশপুর এলাকা থেকে ৮৫০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করা হয় তাকে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, ঝিনাইদহ সদর থানায় আটক কনস্টেবলসহ দুইজনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার বাদী হয়েছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সেলিম রেজা। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. নজরুল ইসলামকে। ওই কনস্টেবলকে সাময়িব বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। অপরদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঝিনাইদহ আদালতে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল ইয়াসির আরাফাতের বাড়ি খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার অটটলিয়া গ্রামে। বাবার নাম মো. মোফিজুর রহমান। চলতি বছরের ফেব্রুযারি মাসে বদলি হয়ে আসে সে। সূত্র মতে, আদালতে কর্মরত কয়েকজন পুলিশ সদস্য মাদক পাচারসহ ব্যবসায়ি চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। এমন খবর পাওয়ার পরে আইন-শৃংখলা বাহিনীর গোয়েন্দারা মাঠে নামেন। গোপন খবরে সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জেলা শহরের মৎস্য অফিস সংলগ্ন গয়েশপুর এলাকা থেকে আটক করা হয় কনস্টেবল ইয়াসির আরাফাতকে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৮৫০ গ্রাম গাঁজা। তাকে ডিবি পুলিশের দফতরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনার দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের কমপক্ষে ১৩টি মাদক মামলার আসামি শামিমের নাম বেরিয়ে আসে। পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ব্যক্তি অপরাধের দায় পুলিশ বাহিনী নেবে না। অপরাধের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রমান পাওয়া মাত্রই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র হত্যা মামলায় জেলহাজতে ইবি কর্মচারী
ঝিনাইদহ :: রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আরাফাত হত্যা মামলায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মচারী ইলিয়াস জোয়ার্দারকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৬ জুলাই) আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে আজ মঙ্গলবার (৭ জুলাই) হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শৈলকূপা থানার ওসি মহসিন হোসেন জানান, একটি হত্যা মামলায় গতকাল তিনি কোর্টে আত্মসমর্পণ করেছেন। এখন তিনি ঝিনাইদহ জেলহাজতে আছেন। তদন্ত শেষ হলে মামলার বিচার হবে। জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়া কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের কর্মচারী। তিনি রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরাফাত রহমানের হত্যার সাথে জড়িত ছিলেন। হত্যা মামলার তিনি ৫নং আসামি ছিলেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ বলেন,‘আমরা এ বিষয়ে কিছু জানতে পারিনি। তথ্য নিশ্চিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া আরাফাত রহমান খুন হয়েছিলেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
বেগুন গাছ ঔষুধ দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ২০ শতক জমির বেগুন গাছ ঔষুধ দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কাঁচেরকোল ইউনিয়নের উত্তর বোয়ালিয়া গ্রামে। জমির মালিক কৃষক ফরমান মন্ডল জানান, ২০ শতক জমিতে তিনি এবার কালো জাতের বেগুন চাষ করেন। তুলনামুলক এবছর তার ফলন ভালো হয়েছিলো। তার ধারনা পূর্ব শত্রুতার জেরে রাতের আধারে বেগুন গাছে ঘাস নিধন কাজে ব্যবহৃত বিষ প্রয়োগ করে সব গাছগুলো পুড়িয়ে দিয়েছে শোলক শেখ নামের এক ব্যক্তি। এতে তার দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরো জানান এবার বেগুন চাষাবাদের খরচ বহন করতে তিনি এনজিও থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋন তুলেছেন। এই জমির ফসল বিক্রি করে তিনি ঋন পরিশোধ করতে চেয়েছিলেন ও তার সারা বছরের সংসার খরচ চালানোর কথা ছিলো। তিনি বর্তমানে স্বর্বশান্ত হয়ে গেছেন। ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল শেখের বড় ভাই শোলক শেখ এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে তার ধরনা। এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দাবী করেন। তিনি শৈলকুপা থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান। স্থানীয়রা জানান, এই মাঠে প্রায়ই ফসল বিনষ্টের ঘটনা ঘটে। কারনে অকারনে ফসলের সাথে শত্রুতাকারী দূর্বৃত্তদের শাস্তির দাবী জানান তারা।