শনিবার ● ১১ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » হঠাৎ ঝিনাইদহ সীমান্তে অবৈধ পারাপারের রহস্য কি ?
হঠাৎ ঝিনাইদহ সীমান্তে অবৈধ পারাপারের রহস্য কি ?
মো. জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: করোনাকালে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে হঠাৎ অবৈধ পারাপার বেড়ে গেছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে ও ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢুকছে মানুষ। কেন এই অবৈধ যাতায়াত তা নিয়ে কোন তথ্য দিতে পারছে না বিজিবি সুত্রগুলো। মঙ্গলবার রাতে ১৪ সদস্য আটকের পর বৃহস্পতিবার রাতে আরো ৯জনকে আটক করেছে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি সদস্যরা। মহেশপুর বিজিবির সহকারী পরিচালক নজরুল ইসলাম খান শুক্রবার এক ই-মেইল বার্তায় জানান, মহেশপুর উপজেলার একাশিপাড়া থেকে ৯ জনকে আটক করেছে। এরা সবাই ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এরা হলেন, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার কান্ডাপাড়া গ্রামের রঞ্জিত হাওলাদারের ছেলে সুমন হাওলাদার (২৪), বরিশালের হিজলা উপজেলার বহিরচর গ্রামের রাধিশ্বাস দেওয়ানের ছেলে শুভংকর দেওয়ান (২৮), শুভাংকর দেওয়ানের ছেলে দেব দেওয়ান (০৮), বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সলদিয়া গ্রামের বড়খোকা ঘটকের স্ত্রী স্বরদিনি ঘটক (৭০), মাগুরার শালিকা উপজেলার টেকেরহাট গ্রামের অনিল দাসের স্ত্রী বুলু রানী দাস (৩৫), ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চান্দা বাজার গ্রামের অখিল মালুর স্ত্রী সাধনা মালু (৩৫), নড়াইলের মাউনি গ্রামের সেলিম সরদারের স্ত্রী মোসাঃ পান্না বেগম (৪০) ও খুলনার দৌলতুপরের কুয়েট এলাকার বিপ্লব শেখের স্ত্রী মোসাঃ ফাতেমা শেখ (৩৫)। এর মধ্যে দুইজন পুরুষ, ৬ জন নারী ও একজন শিশু রয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার দায়ে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধ্যাদেশ ১৯৭৩ এর ১১(১)(গ) ধারায় মহেশপুর থানায় মামলা হয়েছে।
ঝিনাইদহে করোনা নতুন করে ১২ জন আক্রান্ত
ঝিনাইদহ :: রাস্তাঘাটে গমগম করছে মানুষ। যানবাহনও ফাঁকা নেই। ইজিবাইক, ভটভটি ও নছিমন করিমনে ঠাসাঠাসি মানুষ। হাট-বাজারও ফিরেছে সেই পুরনো চেহারায়। গ্রামগঞ্জের বাজারঘাটে চায়ের দোকানে জটলা। শহরের অলিগলিতে রাতের পর উদ্দেশ্যহীন যুবকদের ঘোরাঘুরি। সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে ঝিনাইদহবাসির কাছে করোনাভাইরাস এখন ডেম কেয়ার। তাই চলাফেরায়ও ডোন্ট কেয়ার ভাব। করোনা আতংক ও সরকারী কোন বিধি নিষেধ মানুষের মনে দাগ কাটছে না। ফলে জেলায় থাবা বিস্তার করে চলেছে করোনা ভাইরাস। এদিকে ঝিনাইদহের বিশিষ্ট গাইনি চিকিৎসক ও যশোর আদ্বদীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক হাসান ক্লিনিকের মালিক ডাঃ হাসানুজ্জামানসহ ঝিনাইদহে নতুন করে আরও ১২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৩৭৮ জন। সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম জানান, শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়া ল্যাব থেকে ঝিনাইদহে ৪৯ টি রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে ১২ টি পজেটিভ। এলাকাভিত্তিক আক্রান্তদের মধ্যে শহরের নেভি অফিস, দুঃখি মাহমুদ সড়ক, র্যাব অফিস, আদর্শপাড়া ও পাগলাকানাই। কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার, চাপরাইল, বলিদাপাড়া ও নিয়ামতপুর। শৈলকুপা উপজেলার দুধসর, গোসাইডাঙ্গা ও কাতলাগাড়ি। মহেশপুরের পুরন্দরপুর ও ফতেপুর এলাকায় আক্রান্ত হয়েছে।এ পর্যন্ত আক্রান্ত ৩৭৮ জনের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ১২৮ জন। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২০ জন। জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৭ জন।
পাগলাকানাই ইউপির গয়েশপুর গ্রামের চমক বাহুবলি ও টাইগার
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের আলতাফ হোসেন ঝন্টুর ছেলে ইমরান হোসেন। তিনি ঝিনাইদহ সিটি কলেজ থেকে বাংলা বিভাগে অনার্স লেখাপড়ার পর বেকারত্ব জীবন যাপন করতে থাকেন। এরই মাঝে স্বপ্ন দেখেন চাকুরি না করে নিজের একটি কর্মসংস্থান গড়ে তোলার। সেখান থেকেই তার কর্ম জীবনের পথ চলা। প্রথমে ব্রয়লার মুরগির একটি ফার্ম দিয়ে শুরু করেন কর্ম জীবন। পরবর্তীতে ভাই ভাই ডেইরি ফার্ম নামে একটি গো খামার গড়ে তোলেন। সেখান থেকেই তিনি গত ৫ বছরে বেকারত্বকে কাটিয়ে নিজে স্বনির্ভরশীল হন। এভাবেই তার বেড়ে ওঠা। এরই মাঝে এবারের ঈদুল আযহায় চমক সৃষ্টি করেছে বাহুবলি ও টাইগার নামের দুই ষাঁড়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাই ভাই ডেইরি ফার্ম এর স্বত্তাধিকারী ইমরান হোসেন ২০১৫ সালে একটি গো খামার তৈরী করেন। এবারের ঈদুল আযহায় বাহুবলি ও টাইগার নামের দুই ষাঁড় দিয়ে আলোচিত হয়েছেন। ইমরান হোসেন বলেন, পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই। বিভিন্ন ফার্মে গিয়ে ও পশু চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে ফার্ম করে আজ আমি সফল খামারী। ৫ বছর হলো এই খামারে তিনি গরু লালন-পালন করেন। বর্তমানে তার খামারে ১৩ টি ছোট বড় গরু রয়েছে। তার মধ্যে বাহুবলি ও টাইগার অন্যতম। তিনি আরও বলেন, প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে তিনি এ খামার শুরু করেন। ৫ বছরের মধ্যে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার গরু তোলা হয়েছে তার খামারে। এছাড়াও খামার তৈরীর মাধ্যমে তিনি কয়েকজন বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছেন। তার দাবি এ বছর করোনার মধ্যে ন্যায্য মূল্য পেয়ে লাভের মুখ দেখবেন তিনি। খামারে কর্মরত শ্রমিক জানান, খামারের মালিক ইমরান গরুর সঙ্গে কথা বলে। সে নাম ধরে ডাক দিলেই গরু বুঝতে পারে। তিনি বলেন, এই ষাঁড় দুটি তাদের গ্রামটিকে অনেক এলাকার মানুষের কাছে পরিচিতি বাড়িয়ে দিচ্ছে। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন ষাঁড় দুটিকে দেখতে। দর্শনার্থী আব্দুস সালাম জানান, এমন গরু আমার জীবনে আগে কখনও দেখিনি এই প্রথম দেখলাম। তার সঙ্গে সেলফি উঠানোর হিড়িকও চলছে। অনেকে আবার এই ষাঁড়ের সঙ্গে তোলা ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এসব কারণে ষাড় দুটি এখন আলোচিত হয়ে উঠেছে। ইমরান হোসেনের ভাই রাজিবুল ইসলাম বলেন, আমরা দুই ভাই মিলে অনেক কষ্ট করে এই গরু দুটিকে লালন পালন করেছি। আসছে ঈদুল আযহায় গরু দুটিকে নিয়ে তাদের দু’ভাইয়ের স্বপ্ন আছে গরু দুটি বিক্রয় করে ভবিষ্যতে এর চেয়ে আরো বড় গরু ঝিনাইদহ বাসীর জন্য উপহার দেব। ইনশাল্লাহ। এ বিষয়ে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আনন্দ কুমার অধিকারী জানান, তারা গরু দুটির ওজন আনুমানিক ৪০ মণ বলে ধারণা করছেন। ঈদ আসতে এখনও কিছুদিন বাকি আছে। এরই মধ্যে আরো কিছু ওজন বাড়তে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।
গরু মোটা তাঁজা করনে ব্যস্ত ঝিনাইদহের খামারীরা
ঝিনাইদহ :: কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটা তাঁজা করনে ব্যস্ত ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলার খামারীরা পবিত্র ঈদউল আযহাকে সামনে রেখে হাজার হাজার গরু মোটা তাঁজা করনে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। করোনা মহামারির কারনে ঝিনাইদহে কোরবানীর পশুর হাটগুলো এখনও জমতে শুরু করেনি। কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে জেলার বৈডাঙ্গা, হরিনাকুন্ডু,শৈলকুপা বারবাজার, গান্না বাজারে কোরবানীর পশু এখন প্রস্তুত করা হয়নি। সেই সাথে সাধারন ক্রেতাদের ও ভীড় করতে দেখা যাচ্ছে না। কোরবানীর ঈদের গরু ও ছাগল কেনা বেঁচা শুরু তেমন ভাবে হয়নি। আবার খামার গুলোতে চলছে পশু হৃষ্টপুষ্ট করনের কাজ। দেশি ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাঁজা করছেন তারা। বিগত বছর গুলো এ সময়ে অনেকেই গরু ও ছাগল কেনার জন্য হাটগুলোতে ভিড় করে থাকে। কিন্তু এবছর ক্রেতা নেই ও হাট গুলোতে গুরু মালিকরা এখন হাটে তুলছে না তাদের গরু। কোরবানির আর মাত্র অল্প কয়েকদিন পরে হবে। সে তুলনায় এবার গরু ও ছাগল বিক্রি তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। করোনার কারণে এবার কোরবানি কম হতে পারে ও হাটগুলোতে গরু ও ছাগলে আমদানি কম হতে পারে। অনেক খামারি কোরবানি ঈদে গরু বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা লাভ করার আশা করছেন। মোটা তাঁজা করনের বিষয়ে খামারি বাদে ও গ্রাম এলাকায় অনেকে বাড়তি লাভের আশায় একের অধিক গরু ও ছাগল পালন করে থাকে। তারা বিভিন্ন মেডিসিন খাওয়ায়ে মোটা তাঁজা করছেন ক্রেতাদের কাছ থেকে ভাল দাম পাবার জন্য। একেকটি বড় খামারে ৫০ থেকে ১০০টি গরু এবং ছোট খামারে ৫ থেকে ২০টি গরু মোটা তাজা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এসব খামার থেকে গরু বিক্রি শুরু হয়নি। ঝিনাইদহের খামার গুলোতে স্থানীয় জাতের পাশাপাশি মোটাতাঁজা করা হচ্ছে নেপালি, হরিয়ানা, সিন্ধি, শাহীওয়াল জাতের গরু। সদরের বিষয়খালী এলাকার খামারি সাগর আলী জানায়, গত বছর ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকায় এক একটি গরু কিনে চার থেকে ছয় মাস লালন পালন করে দুটি দেড় লাখ বিক্রি করেছিলেন। মোটাতাঁজা অরে অনেক ভাল দামে বিক্রি করতে পরেছিল। এসব গরু মোটাতাঁজা করতে কোন ওষুধ বা ইঞ্জেকশন দেয়া হয় না। এদিকে কালীগঞ্জের প্রানী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খামার গুলোতে নজরদারী রাখা হচ্ছে যাতে করে ক্যামিক্যালের মাধ্যমে কোরবানির পশু মোটা তাঁজা করা না হয়। খামারীদের দাবি দেশে পর্যাপ্ত পরিমানে কোরবানির পশু রয়েছে। কোরবানি উপলক্ষে ভারত বা অন্য কোন দেশ থেকে যদি পশু আমদানি করা হয় তাহলে হুমকির মুখে পড়বে দেশীয় খামারীরা। এবছরও সমপরিমান কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। চাহিদার অনুপাতে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু মজুদ রয়েছে খামারিদের কাছে। কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করা গবাদী পশু গুলোকে ঘাষ, খড়, খৈল, ভুষিসহ দেশীয় খাবারের মাধ্যমে হৃষ্টপুষ্ট করা হচ্ছে। অনেকে খামারি না হয়ে ও নিজ বাড়িতে ২/৪ টা গরু লালন পালন করে থাকে এবং বিভিন্ন মোটাতাঁজা করনের ট্যাবলেট খাওয়ায়ে থাকে। এসব ট্যাবলেট খাওয়ালে গরু ফুলে থাকে দেখলে মনে হয় অনেক মাংশ হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্রয়ের সময় যে টার্গেট নিয়ে কোরবানি দেওয়া হয় সে পরিমান মাংশ হয় না। অবশ্য এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা দরকার। অনেকে বেশি দাম পাওয়ার আশায় স্থানীয় ভাবে দলগত ভাবে ট্রাকে করে গরু নিয়ে ঢাকার গাবতলি বা চট্রগ্রাম নিয়ে বিক্রি করে থাকে। আবার বাইরে থেকে অনেক ব্যাপারি কালীগঞ্জ,বারবাজার ও গান্না বাজার থেকে তাদের পছন্দমত গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এরা গরু কিনে নিয়ে ঢাকা বা চট্রগ্রাম এলাকায় মজুত করে রেখে বেশি দামে বিক্রি করবে এমন তার্গেট তাদের রয়েছে। বিগত বছরের মত এবা ব্যাপারিরা গরু কিনতে এখন ও হাটে আসেনি। খামারীরা জানান, কোরবানীর ঈদ যতই ঘনিয়ে আসবে ততই কালীগঞ্জ এলাকার পশুর হাট গুলোতে গরু কেনাবেচা জমে উঠতে শুরু করবে। তাই গরু মোটাতাঁজা করতে খামারীদের ব্যস্ত সময় পাড় করতে হচ্ছে। খামারীরা তাদের গরু বিক্রি করতে শুরু করেছে। আবার কেউ কোরবানি ঈদ সামনে করে বিক্রি করবে বেশি দামের আশায়। কালীগঞ্জের মল্লিকপুর গ্রামের তানভির হাছান ও শ্রীরামপুর গ্রামের ফরিদ উদ্দিন গরু মোটা তাঁজা করনের ফার্ম করে অনেক টা স্বাবলম্বি হয়েছে। এরা দেশিয় ছোট গরু কিনে বিভিন্ন পদ্ধতিতে মোটাতাঁজা করে থাকে। ক্রেতারা বলছে এ বছর গরুর দাম এখনই অনেক বেশি। সামনে আর ও বেশি হবে এমন আশঙ্কা করছে। অন্যদিকে গরু মোটা তাজাকরণের নিষিদ্ধ ওষুধ প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ওষুধের ফার্মেসি থেকে শুরু করে হাট-বাজারে। সহজলভ্য হওয়ার সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন অসাধুরা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওষুধ খাওয়ানোর গরুর মাংস খেলে মানুষের শরীরে নানা ধরনের রোগ ঢুকে। এতে কিডনির সমস্যাসহ নানান জটিল রোগে আক্রান্তের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ধরনের ওষুধ খেয়ে গরু গুলো রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে মোটাতাঁজার বিপরীতে অনেক গরুর মৃত্যু হচ্ছে। এতে লাভের তুলনায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন অনেক খামারি। অনেকে বাংলাদেশি ভিটামিন খাওয়ায়ে মোটাতাঁজা করছে। আবার কেউ ভারতীয় ওষুধ দিয়ে মোটাতাঁজা করছে। এবিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার এলাকায় মাঝদিয়া গ্রামের ঘোষপাড়ায় অনেকেই ৮ থেকে ১০ টি গরু মোটাতাঁজা করন করে থাকে দীর্ঘদিন থেকে। তারা এবার কোরবানি ঈদে বিক্রি করবে এমন আশা রয়েছে। কিছু খামারির ধারণা পশু মোটাতাঁজা করতে সহায়ক হয়। তবে তারা এটির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া জানেন না। আবার অনেক খামারি জেনেই এ পন্থা অবলম্বন করছেন। যাতে পশু মোটাতাঁজা হলে কিছু বাড়তি টাকা পান।
এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ফলসী ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের আলাউদ্দীনের পুত্র নাজিরুল ইসলাম (৩২) কে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিবেশী দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা যায়। আহত নাজির উদ্দীন বলেন, রাতে বাড়ির পাশের মুদির দোকান থেকে বাচ্চার জন্য মিষ্টি নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে একই গ্রামের মৃত: মনিরদ্দীনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৫), টুলু (৩০), দুখু (২২), ও আলামিন (২০) ওত পেতে থেকে নাজিরুলের উপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় নাজিরুলের চিৎকার চেচামেচিতে স্থানীয় প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে আহত অবস্থায় তাকে ফেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানা যায়। গ্রামের অন্যান্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে জমি জায়গা নিয়ে পূর্ব থেকে ওদের মাঝে দ্বন্দ চলে আসছিল যার পরিপেক্ষতেই এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে অনেকেই ধারনা করছেন। এব্যাপারে হরিণাকুন্ডু থানার দায়িত্বরত ডিউটি অফিসার এস আই নজরুল ইসলাম জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি সঠিক তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার দারিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামছুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন, প্রাইমারি শিক্ষা উন্নয়ন প্রোগ্রাম (পিইডিপি) মেরামত কাজ, স্কুলের বেঞ্চ বিক্রিসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতি করে চলেছেন তিনি। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে তিনি এই অনিয়ম শুরু করেন। এছাড়াও নতুন কমিটি গঠন নিয়ে বিভিন্নভাবে টালবাহানা করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। অতি দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন, বিভিন্ন ধরণের অনিয়মের তদন্ত করে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ড্যানি আহমেদ জানান, কাজের যে বরাদ্ধ এসেছিল তা প্রধান শিক্ষক শামছুর রহমান নিজে ব্যাপক অনিয়ম করে আমার স্বাক্ষর জাল করে টাকা আত্মসাৎ করেছে। এছাড়াও তিনি স্কুলের ৪৫ টি বেঞ্চের লোহা বিক্রি করে কমিটির কাউকে না জানিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। হরিনাকুন্ডু উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস এম আব্দুর রহমানকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে কাপাসাটিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য সোলাইমান হক উথান অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক শামছুর রহমান স্কুল মেরামতের কাজ শিডিউল অনুযায়ী করেনি। এছাড়াও নিজের অপকর্ম ঢাকতে তার পছন্দের কমিটি গঠনের জন্য একের পর এক এমপি মহোদয়ের ডিও লেটার নিয়েও বিভিন্নভাবে টালবাহানা করে চলেছেন। তিনি আরও জানান, প্রধান শিক্ষকের এই অনিয়ম দুর্নীতিতে এলাকার মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শামছুর রহমান বলেন, স্কুলের কাজ ঠিকমত হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। সুবিধা বঞ্চিতরা আমার বিরুদ্ধে নানা জায়গায় মিথ্যাচার করছে। হরিনাকুন্ডু উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস এম আব্দুর রহমান জানান, বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।