রবিবার ● ১২ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » বাড়ছে পানি, ভয়াবহ বন্যার শঙ্কায় গাইবান্ধা
বাড়ছে পানি, ভয়াবহ বন্যার শঙ্কায় গাইবান্ধা
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা :: বাড়ছে পানি। ভয়াবহ বন্যার শঙ্কায় রয়েছে গাইবান্ধা। দ্বিতীয় দফায় আবারও নদনদীগুলোতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলগুলোতে নতুন করে পানি প্রবেশ করে চার উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বাঁধে ও বিভিন্ন স্কুল ঘরে আশ্রয় নেয়া লোকজন বাড়িতে ফিরতে শুরু করলেও নতুন করে পানি বাড়ায় আবারও নিরাপদ স্থানে ফিরে যেতে শুরু করেছেন তারা।
রোববার (১২ জুলাই) সকালে ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাট এলাকার সাত্তার মিয়া বলেন, বন্যার পানি কমতে শুরু করেছিল। বাঁধ থেকে বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম কিন্তু হঠাৎ করে শনিবার থেকে আবারও পানি বাড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় বাড়িতে যাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছি আপাতত। পরিবার ও গবাদি পশু নিয়ে বাঁধেই থাকছি।
আঙ্গুর নামে আরেকজন জানান, প্রতিবছর বন্যায় আমাদের কষ্ট পোহাতে হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড শুকনো মৌসুমে ঠিকমতো বাঁধের কাজ করলে এত কষ্ট আমাদের সহ্য করতে হত না। শুধু বন্যা আসার পর তাদের তৎপরতা দেখা যায়। সারাবছর তাদের খুঁজে পাওয়া দায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোকলেছুর রহমান জানান, পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী তিন দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। নদনদীগুলোতে পানি বিপদসীমার ১০০ সেন্টিমিটার উপরে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে।
এতে করে গত বছরের বন্যাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে এবারের বন্যা। তিনি আরও জানান, পূর্ব প্রস্ততি হিসেবে সবগুলো বাঁধে নজরদারি রাখা হচ্ছে পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পয়েন্টগুলোতে মেরামতের কাজ চলছে।
৪ দফা দাবিতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধায় করোনা ল্যাব স্থাপন এবং রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকল সমূহ বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলসহ ৪ দফা দাবিতে গাইবান্ধা প্রগতিশীল ছাত্র জোট জেলা শাখার উদ্যোগে রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট গাইবান্ধা জেলা সভাপতি পরমানন্দ দাস, সহ-সভাপতি মাহবুব আলম মিলন, সাধারণ সম্পাদক রাহেলা সিদ্দিকা, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জেলা সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ সরকার, সহ-সাধারণ সম্পাদক মৈত্রীর হাসান জয়ীতা প্রমুখ।
বক্তারা জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ বরাদ্দ ও স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম-দুর্নীতী বন্ধ, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সকল সেবা বিনামূল্যে নিশ্চিত, জেলা উপজেলায় করোনা রোগীদের সহজ পদ্ধতিতে করোনা সংক্রমণ পরীক্ষা এবং সেন্ট্রাল অক্সিজেন সার্ভিস আইসিইউ ভেন্টিলেশনের আয়োজনসহ পর্যাপ্ত চিকিংসা ব্যবস্থা সরকারি আয়োজনে বিনামূল্যে নিশ্চিত করার দাবি জানান। বক্তারা সেইসাথে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, করোনাকালীন সময়ে ছাত্রদের মেসভাড়া মওকুফে রাষ্ট্রীয় প্রজ্ঞাপন জারি, শিক্ষার্থীদের চলতি বছরের বেতন-ফি মওকুফ, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকলসমূহ বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল এবং শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করারও দাবি জানান।