রবিবার ● ১২ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » কলেজ শিক্ষক মাছ চুরি করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা খেলেন
কলেজ শিক্ষক মাছ চুরি করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা খেলেন
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বাগেরহাটে গভীর রাতে মাছ চুরি করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পরেছেন চিরুলিয়া বিষ্ণপুর স্কুল এ্যান্ড কলেজের সহকারি শিক্ষক স্বরজ কুমার পাল (৪৮)। গতকাল শুক্রবার রাত ৩ টার দিকে সদর উপজেলার রাধাভল্লব গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ঘেরে মাছ চুরির সময় জাহাঙ্গীরের ছেলে জাল ও মাছসহ স্বরজ কুমারকে ধরে ফেলে।স্বরজের সাথে থাকা তার ভাই উৎপল পাল মাছ নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।পরে রেজওয়ানের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা চলে আসেন। স্বরজের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন শালিস বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসার কথা বলেন। এসময় স্বরজ পালও অচমকা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
কিন্তু বিধিবাম শিক্ষক স্বরজ পালের। হাতে নাতে ধরা খাওয়া এই ঘটনার ভিডিও করে স্থানীয় এক ব্যক্তি। পরবর্তীতে ভিডিওটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে কয়েকজন। ভিডিওটি রিতিমত ভাইরাল হয়।
এ ঘটনায় রবিবার বিকেলে বাগেরহাট সদর থানায় অভিযোগ দিয়েছে ঘের মালিক জাহাঙ্গির হোসেন।
ঘের মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বেশকিছুদিন ধরে খেয়াল করতে ছিলাম ঘের থেকে কেউ মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ধরতে পারিনা। শুক্রবার রাতে ছেলে গাছে উঠে পাহারা দেয়। রাত তিনটার দিকে দেখে দুইজন লোক ঘেরে মাছ ধরছে। এসময় আমার ছেলে রেজওয়ান ও তার বন্ধুরা মিলে হাতে নাতে ধরে ফেলে স্বরজ পালকে। আর অন্যজন মাছ নিয়ে পালিয়ে যান। এরপর আশপাশের লোকজন ছুটে এসে পুলিশে না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে স্থানীয় পর্যায়ে মিটিয়ে ফেলার অনুরোধ করে। এর আগে স্বরজ পাল ও তার ভাই আমার ঘের থেকে মাছ ধরে নিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহফুজুর রহমান বলেণ, চুরির বিষয়টি আমরা জেনেছি। স্বরজ পাল সম্মানিত মানুষ। আমরা চেষ্টা করছি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার।রোববার পর্যন্ত কোন মীমাংসা।
কাড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ বশিরুল ইসলাম বলেণ, শিক্ষক স্বরজ পালের মাছ চুরি নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে আমরা খতিয়ে দেখছি।
বাগেরহাট সদর থানার ওসি মো. মাহতাব উদ্দিন বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এনজিও ফাউন্ডেশনের অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে পানির ট্যাংক বিতরণ
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সুপেয় পানীয় জলের সংকট নিরসনে র জন্য আজ রবিবার সকালে পানির ট্যাংক বিতরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে উপজেলা চত্বরে অনুষ্ঠিত বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আয়নাল হোসেন খান, বারইখালী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুখরঞ্জন হালদার, মোরেলগঞ্জ প্রেস ক্লাব সবাপতি মেহেদী হাসান লিপন ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মাসুম।
বেসরকারি সংস্থা রাজটিক এর বাস্তবায়নে অনুষ্ঠিত বিতরণীতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্তিত ছিলেন, ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আমির হোসেন,তরুন সংঘ ক্লাবের সভাপতি খলিলুর রহমান, বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টি উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আঃ ছালাম হাওলাদার ও ধানসাগর ইউনিয়ন গ্রাম আদালত সহাকারী কারিমা আকতার প্রমুখ।
অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সুপেয় পানীয় জলের সংকট নিরসন প্রকল্পের বাস্তবায়নে বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেসরকারি সংস্থা রাজটিক সমন্বয়কারী আবুল কালাম খান।
বারইখালী ইউনিয়নের মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আমীর আলীর স্ত্রী সাফিয়া বেগম ও একই ইউনিয়নের মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ খালেক মোল্লার পুত্র টুকু মোল্লা পানির ট্যাংক গ্রহন করেন। এ ইউনিয়নের আরো ৯ জনকে এ পানির ট্যাংক বিতরণ করা হবে।
কোভিড-১৯ মোল্লাহাটে নতুন করে হাসপাতালের দুই স্টাফ সহ ৩ শনাক্ত
বাগেরহাট :: বাগেরহাটেমোল্লাহাটে কোভিড-১৯ নতুন করে হাসপাতালের দুই স্টাফসহ ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই নিয়ে মোল্লাহাটে মোট ২১ জনের করোনা শনাক্ত হলো। এর মধ্যে পুরুষ ১৯ জন এবং নারী ২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৫ জন। করোনা শনাক্ত ৩ জনের বাড়ি রবিবার দুপুরে লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, নতুন করে যাদের করোনা শনাক্ত হয়েছেন তারা হলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই স্টাফ, এরা হলেন.উপ-সহকারী কমিনিটি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আশিষ শিকদার (৩৫) তার বাড়ি উপজেলার কোদালিয়া ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামে, ও পরিসংখ্যানবিদ এম এ তাহের (৩৪) তার বাড়ি উপজেলার গাওলা ইউনিয়নের গাওলা গ্রামে। এছাড়া হাসপাতাল মোড়ে ঔষধের দোকানদার রবিউল ইসলাম (৪০) তার বাড়ি উদয়পুর ইউনিয়নের দেড়বোয়ালিয়া গ্রামে।
করোনার উপসর্গ দেখা দিলে গত ৯ তারিখে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তাদের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা পিসিআর ল্যাবে পাঠালে ১২ তারিখ সকালে তাদের করোনা (কোভিড-১৯) পজিটিভ আসে। করোনা শনাক্ত ৩ জনের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। তারা বর্তমানে নিজ নিজ বাড়িতে আলাদা কক্ষে আইসোলেশনে আছেন।