সোমবার ● ১৩ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » কৃষি » এবারের কোরবানির ঈদে আলোচিত নাম যুবরাজ : দাম ৩০ লাখ
এবারের কোরবানির ঈদে আলোচিত নাম যুবরাজ : দাম ৩০ লাখ
মো. জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামে প্রায় ৫০ মণ ওজনের এক ষাঁড়কে দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমাচ্ছে। জেলা ও জেলার বাইরে থেকে প্রতিদিন শত শত মানুষ এই ষাঁড়কে দেখতে আসছে। তার সঙ্গে সেলফি উঠানোর হিড়িকও চলছে। অনেকে আবার এই ষাঁড়ের সঙ্গে তোলা ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এসব কারণে ষাড়টি এখন আলোচিত হয়ে উঠেছে। তাকে দেখার জন্য প্রতিদিন জনতার ভিড় বেড়েই চলেছে। শাহআলম মিয়ার পৈত্রিক বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায়। স্কুল ও কলেজ জীবন শিবচরেই কেটেছে তার। প্রায় ৮ বছর পূর্বে এক বন্ধুর হাত ধরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামে চলে আসে এবং স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করে। এরপর অর্থ উপার্জনের জন্য তিনি সিঙ্গাপুরসহ ৪১ টি দেশে গিয়েছেন। পরে ঝিনাইদহে ফিরে এসে প্রায় ৩৮ লাখ টাকা ব্যয় করে বাড়ি ও বাড়ির সাথে একটি খামার করেন। খামারের নাম দিয়েছেন আব্দুল্লাহ এগ্রো এ- ডেইরি ফার্ম। ৭ বছর হলো এই খামারেই তিনি গরু লালন-পালন করেন। বর্তমানে তিনি এই খামারেই সময় দেন। এগুলো লালন-পালন করে অর্থ উপার্জন করছেন। ফার্ম মালিক শাহআলম মিয়া জানান, আমার এই ফার্মের নাম আব্দুল্লাহ এগ্রো এ- ডেইরি ফার্ম। যুবরাজ নামে ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড়টি স্থানীয় বাজার থেকে ৬ মাস বয়সে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় কিনে আনা হয়। এখন তার বয়স ৪ বছর ৬ মাস। শুধু মাত্র এই ষাঁড়ের পেছনে প্রতিদিন খাবারের জন্য খরচ হয় প্রায় ২ হাজার টাকা। আমি প্রায় ৭ বছর যাবৎ খামার পরিচালনা করতেছি। যুবরাজের ওজন এখন ৫০ মণের উপরে। আমার গরুটির দাম চেয়েছি ৩০লক্ষ টাকা। ইতোমধ্যে আমার গরুটির দাম ১৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়েছে। গত বছর ঈদে এটির দাম ২১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হয়েছিল। এবার করোনা ভাইরাসের মধ্যে কি হয় জানি না ভাগ্যে কি আছে। গরুটির পেছনে ১৭/১৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গেছে। যদি আমি ন্যায্য মূল্য না পাই তাহলে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ’ হয়ে যাব। এভাবে আমি নয়,আমার মত অনেক খামারি ক্ষতি গ্রস্থ হয়ে যাবে। তাই সরকারের কাছে দাবি এবারের কোরবানির হাট যাতে ভালোভাবে বসে এবং খামারিরা যাতে ন্যয্য মূল্য পাই। ওই গ্রামের বাসিন্দা হাফিজুর রহমান জানান, শাহআলম মিয়া গরুর সঙ্গে কথা বলে। সে নাম ধরে ডাক দিলেই গরু বুঝতে পারে। মালিক যে নির্দেশ দেয় সেটাই যুবরাজ পালন করে। তিনি বলেন, এই যুবরাজ তাদের গ্রামটি অনেক এলাকার মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। দূরদুরান্ত থেকে লোকজন আসছেন যুবরাজকে দেখতে। ঝিনাইদহ শহর থেকে আসা দর্শনার্থী সেন্টু জানান, তাদের এলাকার অনেকে যুবরাজকে দেখে গল্প করছিলেন। এই গল্প শুনে তিনিও এসেছেন। তিনি বলেন, গরুটি দেখে গরু মনে হচ্ছে না, মনে হচ্ছে এটি একটি হাতি। তিনি তার জীবনে এমন গরু কখনও দেখেনি। এছাড়াও তিনি প্রবাসী এক আত্মীয়ের জন্য আসছে ঈদুল আযহায় কোরবানি দেওয়ার জন্য গরুটির দাম দিয়েছেন ১৯ লাখ টাকা। এ বিষয়ে জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আনন্দ কুমার অধিকারী জানান, তারা গরুটির ওজন আনুমানিক ৫০ মণ বলে ধারণা করছেন। ঈদ আসতে এখনও কিছুদিন বাকি আছে। এরইমধ্যে আরো কিছু ওজন বাড়তে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন। তিনি আরও বলেন, জেলায় যুব রাজই প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে শ্রেষ্ঠ গরু হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
ঝিনাইদহে নতুন করে আরও ৩৭ জন করোনায় আক্রান্ত
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে নতুন করে আরও ৩৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৪৫২ জন। সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম জানান, সোমবার সকালে কুষ্টিয়া ল্যাব থেকে ঝিনাইদহে ৮৪ টি রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে ৩৭ টি পজেটিভ। আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ২১ জন, কালীগঞ্জ উপজেলায় ৬ জন, শৈলকুপা উপজেলায় ৬ জন, হরিণাকুন্ডুতে ১ জন, কোটচাঁদপুরে ১ জন ও মহেশপুরে ২ জন।
ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপা কবিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার কর্মচারীদের এমপিও ভুক্তির জন্য নীতিমালা বহির্ভুত ত্রুটিপুর্ন কাগজ পাঠানোর গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এই কাজে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও মাধ্যমিক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অবৈধ লেনদেন এবং পরস্পরের যোগসাজস রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে লিখিত এক অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে কবিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শপ এ্যসিসটেন্ট পদে প্রথম নিয়োগ পান আতিকুর রহমান ডাবলু। তাকে বাদ দিয়ে ল্যাব এ্যসিসটেন্ট পদে লুৎফর রহমান ও একই পদে গিয়াস উদ্দীনকে এমপিও ভুক্তির জন্য সুপারিশ করে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে লুৎফর রহমানের বয়স নিয়োগকালীন সময়ে ১৮ বছর ছিল না। অন্যদিকে গিয়াস উদ্দীনের জাল সনদ ও বয়স না হওয়ার পরও তাকে এমপিও ভুক্তির সুপারিশ করায় বৈধ ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত আতিকুর রহমান ডাবলু অবিচার ও ষঢ়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ২০০৪ সালের জনবল কাঠামোতে একটি স্কুলের কারীগরি শাখায় দুইটি শপ, ল্যাব বা কম্পিউটার ল্যাব এ্যসিসট্যন্ট পদে নিয়োগ করা যাবে। সে হিসেবে কবিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আতিকুর রহমান ডাবলু ও লুৎফর রহমানের নিয়োগ পর্যন্ত বৈধ ছিল। পরে অর্থের বিনিময়ে ল্যাব এ্যসিসটেন্ট পদে গিয়াস উদ্দীনকে নিয়োগ দেয় কমিটি, যা জনবল নীতিমালা বর্হিভুত। দুর্নীতি ও অনিয়ম এখানেই থেকে নেই। গিয়াস উদ্দীনের নিয়োগের টেবুলেশন সিটে কাটাকাটি রয়েছে। সেই সিটে শৈলকপা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাক্ষরও নেই। গিয়াস উদ্দীনকে বিধি বহির্ভুত ভাবে এমপিও ভুক্তির সুপারিশ করে পাঠিয়ে স্কুলের সভাপতি তৈয়ব খান ও জেলা শিক্ষা অফিসার সুশান্ত কুমার দেব দুর্নীতির সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছেন। এদিকে ২০২০ সালের ১৩ মে কারিগরী শিক্ষা অধিদপ্তর এক অফিস আদেশে লুৎফর রহমান ও গিয়াস উদ্দীনের কাগজপত্র ত্রুটি পেয়ে ফেরৎ দিয়েছেন। ওই আদেশে জেলা শিক্ষা অফিসারকে যাচায়ের জন্য বলা হলেও তিনি তা না করে আবোরো একই ত্রুটিপুর্ন কাগজ গারিগরী শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরণ করেছেন। এ ব্যাপারে স্কুলের সভাপতি তৈয়ব খান জানান, এমপিও ভুক্তির কাগজ পাঠাতে কোন ভুল নেই। যদি থাকেও তবে সেটা কারিগরী শিক্ষা অধিদপ্তর দেখবেন। তিনি বলেন আতিকুর রহমান ডাবলু অন্য ট্রেডে নিয়োগ। তাই তার এমপিও ভুক্তির আবেদন করা হয়নি। স্কুলটির প্রধান শিক্ষক এনামুল হক বলেন, আমি স্কুল সভাপতির বাইরে যেতে পারি না। তিনি যেটা নির্দেশ করেছেন আমি সেটাই করতে বাধ্য হয়েছি। জেলা শিক্ষা অফিসার সুশান্ত কুমার দেব তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কারো কাছ থেকে টাকা নিয়েছি কেও প্রমান দিতে পারবে না। তিনি বলেন, যে সব শিক্ষক কর্মচারীর এমপিও ভুক্তির কাগজ পাঠানো হয়েছে তা সবই আইন মেনে করা হয়েছে। বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার চালানোর জন্য একটি মহল এহেন মিথ্যা অভিযোগ তুলছে বলে তিনি মনে করেন।
শৈলকুপায় ২০ বছরে ৯ সদস্যের আত্মহনন ঝিনাইদহে আত্মহত্যায় শীর্ষে এক পরিবারের সন্ধান
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আত্মহত্যায় শীর্ষ এক পরিবারের সন্ধান মিলেছে। ওই পরিবারের ৯ সদস্য কয়েক বছরের ব্যবধানে আত্মহত্যা করেছেন। উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে এমন একটি পরিবার রয়েছে। আবার ওই পরিবারের অনেকেই আত্মহত্যার চেষ্টা করে বেঁচে গেছেন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আইন উদ্দীন মন্ডল, কিয়ামুদ্দিন মন্ডল ও খয়বর মন্ডল তিন ভাই। একই বাড়িতে তাদের বসবাস। বিশ বছর আগে কিয়ামুদ্দিন মন্ডলের স্ত্রী আত্মহত্যা করেন। চাচির দেখাদেখি ওই বছরেই আইন উদ্দীণ মন্ডলের মেয়ে ফরিদা গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেয়। ক’বছর আগে কিয়ামুদ্দিনের ছোট ছেলে আয়ুব আলীর স্ত্রী সাহেরা খাতুনও আত্মহত্যা করেন। স্ত্রী বিয়োগের পর আয়ুব আলী ছোট শ্যালিকা সোনিয়াকে বিয়ে করেন। বিয়ের দুই বছরের মধ্যে সোনিয়াও আত্মহত্যার পথে পা বাড়ায়। ২/৩ মাস আগে ওই পরিবারের আইন উদ্দীন মন্ডলের ছোট মেয়ে মোমেনা খাতুন আত্মহত্যা করেন। মোমেনা খাতুনের মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতে আইন উদ্দীনের বড় মেয়ে ভুরভুরি খাতুন আত্মহত্যা করেন। মায়ের মৃত্যুর পর ভুরভুরি খাতুনের ছেলে চঞ্চলও আত্মহত্যা করেন। গ্রামবাসি জানায় কিয়ামুদ্দীন মন্ডল একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে বেঁচে গেলেও ২০১৫ সালের ২৭ আগস্ট গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে আইন উদ্দীন মন্ডলের মেয়ের জামাই সাইফুল ইসলাম পারিবারিক কলহে বিষপান করেন। স্বামীর দেখাদেখি অভিমানে স্ত্রী সাজু ওরফে লাইলী বিষপান করেন। এ যাত্রায় স্ত্রীর জীবন বাঁচলেও বাঁচেনি জামাই সাইফুল। গ্রামবাসির ভাষ্যমতে, বালিয়াডাঙ্গার ওই পরিবারটির সদস্যরা একজনের দেখাদেখি অন্যজন আত্মহত্যা করছেন। একের পর এক আত্মহননে এ পর্যন্ত ৯ সদস্য জীবন আত্মহুতি দিয়েছেন।
নকল প্রসাধনী জব্দ, দুই জনের কারাদন্ড
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর থেকে বিপুল পরিমান নকল প্রসাধনী জব্দ করেছে র্যাব ও ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ২ জনকে ২ মাস করে কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। দন্ডিতরা হলো-ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কুলচারা গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে হারুন মিয়া (৩০) ও একই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে পাভেল (২৮)। সোমবার দুপুরে এ অভিযান চালানো হয়। র্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মাসুদ আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুরে শহরের আরাপপুর এলাকার একটি দোকানে অভিযান চালায় র্যাব-৬ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় নামি দামি কোম্পানীর বিপুল পরিমান নকল প্রসাধনী জব্দ করা হয়। পরে জড়িত থাকার অভিযোগে দোকানের মালিক হারুন ও পাভেলকে আটক করে ২ মাস করে কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেদায়েত উল্যাহ। জব্দকৃত মালামালের আনুমানিক মুল্যে প্রায় ৭ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে র্যাব।
বিয়ের গাড়িতে ডাকাতি : নগদ টাকা স্বর্ণালংকার ও মোবাইল লুট
ঝিনাইদহ :: রবিবার দিবাগত রাতে ঝিনাইদহের মহেশপুর-দত্তনগর রোডে বোয়ালিয়া মাঠে বিয়ের গাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। এতে ৫০ হাজার নগদ টাকা, ৪ভরি স্বর্ণালংকার সহ প্রায় ২০টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে ডাকাত দলেরা। ভুক্তভোগীর পরিবার ও থানা সূত্রে প্রকাশ, ১২জুলাই দিবাগত রাতে মহেশপুর শহরের নারান হালদারের ছেলে তাপস হালদার মেহেরপুর জেলার আমঝুপি থেকে বিয়ে করে বরযাত্রী সহ ৩টি মাইক্রোযোগে বাড়ি ফিরছিল। রাত দেড়টার সময় মহেশপুর পৌরসভাধীন বোয়ালিয়া কুলতলা নতুন বাজার নামক স্থানে পৌছালে ১০/১২ জনের একটি ডাকাত দল রাস্তায় বেরিকেড সৃষ্টি করে বিয়ের গাড়ি থামিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে যাত্রীদের কাছ থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা, কনে ও বরের বোনের কাছ থেকে ৪ ভরি স্বর্ণালংকার ও ২০টি টাচ মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতেরা। এ ঘটনার বরের ভগ্নিপতি লালন হালদার জানায়, ১০/১২ জনের একটি ডাকাত দল তাদের উপর হামলা করে এবং তাদের কাছে যা ছিল সব কিছু ছিনিয়ে নেয়। এসময় একজন পালিয়ে যেয়ে মহেশপুর পৌরসভার কাউন্সিলর রুহুল আমিন মিন্টুর কাছে জানায়, তিনি সাথে সাথে থানায় জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে যাওয়ায় ডাকাত দল পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোর্শেদ হোসেন খাঁন জানান, সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেলে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে মহেশপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
ঝিনাইদহের ডাকবাংলা বাজারে চুরি
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজারের একটি দোকানে চুরি হয়েছে। বাকী ৩টি দোকানের সাটার ভাঙ্গলেও কোন মালামাল নেয়নি বলে পুলিশ দাবী করছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ডাকবাংলা ত্রীমোহনী এলাকার মিজানুর রহমানের “মোল্লা কসমেটিস” নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হানা দেয় চোরেরা। দোকানের সাটার ভেঙ্গে নগদ টাকাসহ দেড় লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এছাড়া নবিছুদ্দিনের মুদির দোকান, বাবলুর কাপড়ের দোকান ও আসাদের টিনের দোকানের সাটার ভেঙ্গে রেখে গেছে। ঈদ সামনে করে চুরি হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের আইসি মোখলেছুর রহমান জানান, রাতে আমি নাইটগার্ডদের সতর্ক করে অন্য গ্রামে যায় টহল দিতে। সকালে শুনি চুরি হয়েছে। তিনি বলেন চুরির সাথে নাইটগার্ডরা জড়িত কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
জুয়া খেলার আসর ভেঙে দিলেন ক্যাম্প ইনচার্জ মোকলেছুর রহমান
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না ইউনিয়নের নাথকুন্ডু গ্রামে জুয়া খেলার আসর ভেঙে দিলেন ডাকবাংলা ক্যাম্প ইনচার্জ মোকলেছুর রহমান। তিনি জানান, রাতের আধারে লুডু ও তাস খেলার মাধ্যমে নিয়মিত জুয়া খেলা হয় এ চায়ের দোকানে। এখানকার কতিপয় মানুষ কষ্টে অর্জিত সম্পদ নষ্ট করছে জুয়া খেলা করে যার ফলে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ও পরিবারে নানান অশান্তি তৈরি করছে। জুয়ার অর্থ জোগাড় করতে অনেকে অনেক অপকর্মেও লিপ্ত হচ্ছে। ১৩ই জুলাই সোমবার সন্ধ্যার দিকে অভিযানে আসলে দোকানে থাকা কয়েকজন তাদের জুয়ার সরঞ্জাম, জুতা স্যান্ডেল, রেখে পালিয়ে যায়। দোকানদারকে কড়া সতর্ক করে জুয়ার সামগ্রীসহ জুতা স্যান্ডেল পাশের পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। আপাতত কিছুদিন ঐ দোকানে চৌকি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।পরবর্তীতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে কড়া ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুশিয়ারি প্রদান করেন ক্যাম্প ইনচার্জ মোঃ মোখলেছুর রহমান।
কোরবানির আগে বেড়েছে গরু চুরি, দিশেহারা খামারীরা
ঝিনাইদহ :: গরু চোরের দল হানা দেয় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বড় গড়িয়ালা গ্রামের কৃষক নাসির উদ্দীনের বাড়িতে। টের পেয়ে যান গৃহকর্তা। দৌড় শুরু করেন চোরের পিছু পিছু। এক পর্যায়ে রাস্তার উপর দাড়িয়ে থাকা ট্রাকে উঠে গরু ফেলেই পালিয়ে যায় চোরের দল। যাওয়ার সময় জনৈক চোর চলন্ত ট্রাকের উপর থেকেই নাসিরের উদ্দেশ্যে বলতে থাকে ‘তোর গরু ছাড়া রয়েছে, বাড়ি ফিরে গোয়ালে তোল’। এ ধরনের তিক্ত অভিজ্ঞতা গোটা মহারাজপুর ইউনিয়নের কৃষকদের অর্জিত হচ্ছে। কারো চুরি হওয়া গরু পাচ্ছে, আবার কেও পাচ্ছেন না। তাই গ্রামে গ্রামে রাত জেগে গোয়াল পাহারা দিচ্ছেন কৃষকরা। মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খুরশিদের দেওয়া তথ্য মতে তার এলাকার বিভিন্ন গ্রামে থেকে ১৫/২০ জন কৃষকের গরু চুরি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন বিষয়খালী গ্রামের ছব্দুল, আব্দুর রাজ্জাক, নৃশিংহপুরের রিপন, খড়িখালীর আশা, কানুহরপুরের জাহাঙ্গীর, ভরপুরের রেজাউল, দোকানঘরের মনিরুল, খামারাইলের আব্দুস সাত্তার, বড় খড়িখালী গ্রামের খোকা আধীকারী ও মহারাজপুরের খোরশেদ আলম। কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, ঝিনাইদহ শহর থেকে ট্রাক ভাড়া করে চোরেরা গ্রামে প্রবেশ করে। কিন্তু তেতুলতলা বাজার ও দোকানঘরের কাছে পুলিশের টহল টিম থাকলেও তারা এ পর্যন্ত কোন ট্রাক আটক করতে পারেনি। কৃষকদের অভিযোগ পুলিশ টহল জোরদার করা প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম জানান, তার এলাকায় দিনকে দিন গরু চুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা উদ্বিগ্ন। অনেক হতদরিদ্র পরিবার গরু পালন করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখলেও গরু চুরির ফলে তারা পথে বসেছে। তিনি বলেন গরু চুরি প্রতিরোধ করতে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি গ্রামে গ্রামে পাহারা দিতে বলেছেন। আমরা সেই পথেই হাঁটছি।
বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেলো ১০ শ্রেনীর ছাত্রী
ঝিনাইদহ :: রান্না সহ বিয়ের পূর্ব প্রস্ততি সবই শেষ। অপেক্ষা শুধু বর পক্ষের আগমন। এরই মাঝে বাধসাধলেন এসিল্যান্ড। অল্প কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সহকারী কমিশনারের (ভূমি) হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেলো ১০ শ্রেনীর এক ছাত্রী। সেই সাথে অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ের আয়োজন করায় কনের বাবাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। ঘটনাটি সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার রয়েড়া গ্রামে। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও এসিল্যান্ড পার্থ প্রতিম শীল জানান, গোপন সংবাদে জানতে পারি রয়েড়া গ্রামের মিন্টু(৪২) হোসেনের ১০ শ্রেনীর পড়-য়া ছাত্রীর বাল্য বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে কনের বাবার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধের মুচলেকা নেওয়া হয়। সেই সাথে কনের বাবাকে বাল্য বিয়ের আয়োজন করার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
শৈলকুপায় আশা এনজিও‘র ৪ কর্মী সহ শনাক্ত ৬
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নতুন করে আরো ৬ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাড়ালো ৬৭ জনে। সোমবার (১৩ জুলাই) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রাশেদ আল মামুন। তিনি জানান, কুষ্টিয়া ল্যাব থেকে সকালে ১৯টি প্রাপ্ত নমুনা রিপোর্টে ৬ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। বাকী ১৩টি নমুনার ফলাফল নেগেটিভ। শনাক্তেদের মধ্যে আশা এনজিও‘র শৈলকুপা গাড়াগঞ্জ শাখার ৪ কর্মী রইচ উদীন (৩২), মুকুল হোসেন (৩২), সুধির কুমার (৩০) ও অসিম কুমার পাল রয়েছে। এছাড়া পৌর এলাকার বারইপাড়া গ্রামের ট্রাক ড্রাইভার মোঃ কামরুজ্জামান ও উপজেলার কাঁচেরকোল গ্রামের অর্নাস পড়ুয়া শিক্ষার্থী তাসলিমা খাতুন (২০)। শনাক্ত রোগীরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সবাই সুস্থ আছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি। এছাড়া পজেটিভ রোগীদের বাড়ি ও আশা এনজিও গাড়াগঞ্জ শাখা লকডাউন ঘোষণা করে লাল পতাকা নিশানা বেধে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।