শিরোনাম:
●   রাঙামাটিতে দায়রা জজ আদালতের আওয়ামীলীগ পন্থি পিপি’র নিয়োগ বাতিল চায় বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজ ●   পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকাগুলোতে পানির সংকট নিরসন ও সুরক্ষা বিষয়ে সরকার কাজ করছে : সুপ্রদীপ চাকমা ●   ঘোড়াঘাটে নদীর পানিতে ডুবে ইন্দোনেশিয়ান এক নাগরিকের মৃত্যু ●   সাবেক মন্ত্রী আমুকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ ●   এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের চেয়ারম্যানকে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সংবর্ধনা ●   মিরসরাইয়ে ৬ কেজি গাঁজাসহ ব্যবসায়ী গ্রেফতার ●   চুয়েটের আয়কর ও ই-রিটার্ন বিষয়ক কর্মশালায় অনুষ্ঠিত ●   গণহত্যার আসামীদের ক্ষমা করার কোন সুযোগ নেই ●   নিখোঁজের ৪ ঘন্টা পর পুকুরের পানিতে মিললো শিশুর মরদেহ ●   হাতের নাগালেই মিলছে বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ ●   নবীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার-২ ●   সংবিধান বাতিল বা পরিবর্তন করা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয় ●   রাঙামাটিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মানববন্ধনে পাহাড় থেকে সকল বৈষম্য নিরসন করার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বৈষম্য নিরসন কমিশন গঠনের দাবি ●   রাউজানে প্রবাসী যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ●   নবীগঞ্জে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু ●   আগামী কাল সোমবার সকালে রাঙামাটি বিসিক এর সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মানববন্ধন ●   কাউখালীতে যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্টাতা বার্ষিকী পালন ●   পানছড়িতে ৫৩ তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপিত ●   ঘোড়াঘাটে উপজেলা ও পৌর বিএনপির কর্মী সম্মেলন ●   বিজিবির অভিযানে অস্ত্র মাদকসহ চার জন আটক ●   তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বিএনপির বিক্ষোভ ●   সামাজিক সংগঠন ‘ইগনাইট মিরসরাই’র আত্মপ্রকাশ ●   আত্রাইয়ে জাতীয় যুব দিবস পালন ●   অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির সকল উসকানির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে ●   রাউজানে আগুনে ৫ দোকান ভস্মিভূত ●   ঘোড়াঘাটে দৈনিক সকালের বাণীর ১ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   রাঙামাটিতে জাতীয় যুব দিবস পালিত ●   ছেলেকে ফিরে পেতে এক মায়ের আকুতি ●   কাউখালীতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য অপহরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জাতীয় যুব দিবস পালিত
রাঙামাটি, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
মঙ্গলবার ● ১৪ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিশ্বনাথে তরুণীকে গণধর্ষণ
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিশ্বনাথে তরুণীকে গণধর্ষণ
মঙ্গলবার ● ১৪ জুলাই ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বিশ্বনাথে তরুণীকে গণধর্ষণ

ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামীবিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথের লামাকাজী ইউনিয়নের ইসবপুর গ্রামের ১৮ বছরের এক পিতৃহারা তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১ জুলাই রাতে ওই গ্রামের আমির আলীর দোকানে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার বারোদিন পর গতকাল সোমবার বিশ্বনাথ থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং দু’জনকে অজ্ঞাত আসামী রেখে মামলা (নং-১১) দায়ের করে ভিকটিম তরুণী।
আসামীরা হলো ইসবপুর গ্রামের মন্নান মিয়ার পুত্র আনোয়ার মিয়া (৪০), রিয়াছদ আলীর পুত্র সুজন মিয়া (৩০) ও মৃত ফজর আলীর পুত্র শায়েস্তাবুর মিয়া (৩০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চাচা শাসন করায় তার উপর রাগ করে ঘটনার দিন দুপুরে পাশ্ববর্তী ছাতক থানায় ফুফুর বাড়িতে যাওয়ার জন্যে ঘর থেকে বের হয় ভিকটিম তরুণী। এসময় সঙ্গ নেয় তার ছোট জামিল। যাওয়ার পথে গ্রামের আমির আলীর দোকানে ভাড়ায় থাকা মুদি দোকানদার আনোয়ার মিয়া তাদের গন্তব্য কোথায় জানতে চাইলে তরুণী ছাতকে ফুফুর বাড়িতে যাচ্ছে বলে জানায়। আনোয়ার মিয়াও ওই পথে গোবিন্দগঞ্জ যাবে বলে তরুণীকে দোকানে বসিয়ে রেখে মুঠোফোনে ডেকে আনে সুজন মিয়া ও অটোরিকশা চালক শায়েস্তাবুর মিয়াকে। তারা তিনজন মিলে তরুণী ও তার ভাইকে নিয়ে জাউয়া বাজার দক্ষিণপাড়া তরুণীর নানাবাড়িতে গিয়ে তার ছোটভাই জামিলকে নামিয়ে দিয়ে তাকে নিয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে রাত ৮টার দিকে ইসবপুরে আনোয়ারের দোকানে ফিরে আসে। পরে দোকানের ভেতর আনোয়ার, সুজন ও শায়েস্তাবুর সারারাত তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তাদের পাশবিকতায় সে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরদিন বিকেলে তাকে গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে ফেলে আসে অভিযুক্তরা। আসার সময় তারা ঘটনাটি কাউকে জানালে বা মামলা করলে তাকে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। খবর পেয়ে তরুণীর চাচাতো ভাই রাহেল তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। রাহেলের বাড়িতে একরাত থাকার পর ভয়ে-লজ্জায় ছাতকের বেতকোনা গ্রামে ফুফুর বাড়িতে আত্মগোপনে চলে যায় তরুণী।
এদিকে, নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই গ্রাম ও এলাকার অনেকে জানান, গণধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে শুরু থেকেই তৎপর হয়ে উঠে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। তরুণী ও তার পরিবারের লোকজন রহস্যজনক আত্মগোপনে চলে যায়। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার খবর পেয়ে বিশ্বনাথের কয়েকজন সংবাদকর্মী অনুসন্ধানে নামলে প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ব্যর্থ হয়। ফলে, ঘটনার বারোদিন পর তরুণী নিজেই থানায় উপস্থিত হয়ে মামলা দায়ের করে।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, গতকালই ভিকটিম তরুণীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তার করতে অধিক তৎপর রয়েছে পুলিশ।

জগন্নাথপুরের তরুণীকে বিশ্বনাথে দুইমাস বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ’ : ধর্ষক আটক

বিশ্বনাথ :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অসুস্থ বাবার কথা বলে এক তরুণীকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে সিলেটের বিশ্বনাথের একটি বাসায় দুইমাস আটকে রেখে জোরপূর্বক ভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরে পুলিশ ধর্ষণকারী হীরা দাসকে (৩৫) আটক করে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে পেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণী মায়ের সঙ্গে বেশ কিছুদিন আগে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে সেখানে তার পরিচয় হয় জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের গোড়ারগাঁও গ্রামের গুরুপ্রসাদ দাসের ছেলে হীরা দাসের সঙ্গে।
মেয়েটির মা তার অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। ওই সময়ই মেয়ের মায়ের সঙ্গে পরিচয় ঘটে প্রতারক হীরা দাসের। পরিচয়ের সূত্র ধরে হীরা মেয়েটির বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে থাকে। গত ১০ মে হীরা দাস মেয়ের বাড়িতে এসে তাকে বলে, ‘তোমার বাবার শরীর বেশি অসুস্থ। এজন্য তোমার মা আমাকে পাঠিয়েছেন তোমাকে আমার সঙ্গে করে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য।’
ওই সময় মেয়ের মা স্বামীকে নিয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছিলেন। হীরা যখন মেয়েটিকে তার বাবার অসুস্থতার কথা বলে, তখন মেয়েটি সরল মনে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে ছেলেটির সঙ্গে সিলেটের উদ্দেশে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে বিশ্বনাথের পুরানবাজার এলাকায় একটি বাসায় জরুরি কাজ আছে বলে হীরা মেয়েটিকে কৌশলে সেখানে নিয়ে যায়। পরে ওই এলাকার একটি বাসায় মেয়েটিকে আটকে রেখে দুইমাস ধর্ষণ করে। গত ১০ জুলাই হীরা একটি অটোরিকশাযোগে মেয়েটিকে জগন্নাথপুর উপজেলা সদরে নিয়ে এসে সেখানে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনায় মেয়েটি গতকাল রবিবার জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ গতকাল সোমবার অভিযুক্ত হীরা দাসকে তার গ্রাম থেকে আটক করে।
জগন্নাথপুর থানার উপ–পরির্দশক (এসআই) দিপঙ্কর সরকার সাংবাদিকদের জানান, মেয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ধর্ষণকারীকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অফিস সহকারীর আত্নহত্যা রহস্যজনক

বিশ্বনাথ :: হারপিক খেয়ে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ‘আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের’ অফিস সহকারী আসমা শিকদার সিমলা (৪০)’র আত্নহত্যায় ঘটনায় এলাকায় রহস্যজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এনিয়ে আসমার পিতা-স্বামীর বাড়ির লোকজন ও স্কুল কমিটির নেতৃবৃন্দ করছেন পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। আবার আসল ঘটনাকে আড়াল করে তৃতীয় একটি পক্ষ এবিষয়কে কেন্দ্র করে স্কুল ধ্বংস করার পায়তারা করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের ফলে এলাকার বিরাজ করছে গ্রেফতার আতংঙ্ক।
আসমার আত্নহত্যার পর তার স্বামী দৌলতপুর ইউনিয়নের বাহাড় দুভাগ গ্রামের ফজলুর রহমান বাদী হয়ে স্কুলের গভনিং বডির ২ সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের নাম উল্লেখ এবং আরো ৭ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযুক্তরা হলেন স্কুল গভর্নিং বডির সদস্য দৌলতপুর গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা এম এ রউফ (৬৫), আনোয়ার মিয়া (৪৫), ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চরশ্রীরামপুর গ্রামের হাসিম উদ্দিন (৬০)। ইতিমধ্যে আনোয়ার মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আসমার (পিতা-স্বামীর) পরিবারের দাবী, আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের বিগত ৩ বছরের হিসাব দেওয়ার জন্য ১৮ জুন গঠিত প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির কয়েক জন সদস্য অফিস সহকারী আসমা শিকদার সিমলাকে চাপ প্রয়োগ ও অপমান করেন একাধিকবার। এমনকি নিজেদের পছন্দের মানুষকে চাকুরী দেওয়ার জন্য কলেজ শাখার অফিস সহকারীর পদ থেকে আসমাকে বাদ দেওয়া হয়। আর এসব অপমান সহ্য করতে না পেরে ৬ জুলাই ২.১৫ মিনিটের দিকে নিজ বাসার (ভাড়াটিয়া) বাতরুমে আত্নহত্যার উদ্দেশ্যে হারপিক পান করেন তিনি। এরপর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ জুলাই ভোররাতে আসমা মৃত্যুবরণ করেন।
স্কুল কমিটির দাবী, পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রায় ১০ মাস পূর্বে স্বামী-সন্তানসহ আসমাকে নিজ বাড়ি থেকে বের করে দেন তার (আসমা) দেবর ও স্থানীয় ওয়ার্ডের মেম্বার তালুকদার শাহীন আহমদ। বিগত ঈদের দিন আসমা স্বামী-সন্তান নিয়ে বাড়িতে গেলে তাদেরকে অপমান করে বাড়ি থেকে বের করেন দেন শাহীন। যা আসমা নিজ মুখে গভর্নিং বডির অনেককে বলেছেন। আর পারিবারিক কলহ চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকার কারণে মৃত্যুর পরও স্বামীর বাড়ির কবরস্থানে আসমার লাশ দাফন করা হয়নি, হয়েছে পিতার বাড়ির কবরস্থানে। আর বিধিমতে প্রতিষ্ঠানের হিসাব সাবেক কমিটি বর্তমান কমিটির কাছে হস্তান্তর করবে, এখানে অফিস সহকারীর কাছে হিসাব চাওয়া অযৌক্তিক ও অবৈধ। যদি গভর্নিং বডির নেতৃবৃন্দ তার সাথে বার বার ওই অবৈধ ও অযৌক্তিক কাজ করে থাকেন তা হলে তিনি (আসমা) কেন বিষয়টি উনার দেবর (শাহীন) ও স্থানীয় মেম্বার বা চেয়ারম্যান বা এলাকার গন্যমান্য বা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বা ইউএনও’র কাছে অভিযোগ অথবা তাদেরকে অবহিত করলেন না। তারা (ফজলুর-আসমা) স্বামী-স্ত্রী ছাড়া প্রতিষ্ঠানের হিসাবের জন্য চাপ প্রয়োগ করার ব্যাপারে আর কেউ জানেন না।
আসমার স্বামী ফজলুর রহমান বলেন, আমাদের পারিবারিক কোন কলহ নেই। স্কুলে যাতায়াতের সুবিধার জন্য স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাসা ভাড়া নিয়েছি। আমার ভাই কর্তৃক বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগটি মিথ্যা-বানোয়াট। আসমা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের একটি দূর্নীতি ধরে দিলেও গভর্নিং বডি তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে বরং আমার (ফজলুর) সামনেই গভর্নিং বডির সদস্য আনোয়ার আসমাকে চড় মেরে দাঁত ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন এবং হিসাব ঠিক না থাকলে তার পিতার গলায় চাপ দিয়ে টাকা উদ্ধার করার হুমকি দেন সভাপতি। অধ্যক্ষের দূর্নীতি যাতে প্রকাশ না পায় সেজন্য আসমাকে কলেজ শাখার অফিস সহকারীর পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়। আমরা চেয়ে ছিলাম বাইরের কাউকে না জানিয়ে বিষয়টি শেষ করতে, আর তাই নিজেদের সম্মান রক্ষার জন্য কাউকে এব্যাপারে জানানো হয়নি।
স্থানীয় সাংবাদিকদের একটি দল সোমবার সরেজমিনে এলাকায় গেলে উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পেলেও প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসিম উদ্দিনের দেখা পাননি। তবে এঘটনায় যাতে কাউকে অযথা হয়রাণী না করা হয় সেজন্য প্রশাসন ও সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করে সুষ্ঠ তদন্তের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্য কর্তৃক অফিস সহকারী আসমা শিকদার সিমলাকে অবৈধভাবে হিসাব দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করার ব্যাপারে তার (আসমা) মৃত্যুর পূর্বে জানতেন না বা জানানো হয়নি বলে স্বীকার করেছেন আসমার দেবর ও স্থানীয় মেম্বার তালুকদার শাহীন আহমদ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ছোট ভাই স্বপন শিকদার। তবে সুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীর শাস্তি দাবী করেন তারা।
নব-গঠিত কমিটির ৩ সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য জামাল উদ্দিন বলেন, প্রতিবেশি হওয়ার সুবাধে প্রতিদিন ৪/৫ বার তাদের (আসমা-ফজলুর) সাথে আমার দেখা-সাক্ষাৎ হয়। কিন্তু কোন দিনই তাদের মুখে প্রতিষ্ঠানের হিসাবের জন্য নতুন কমিটির সদস্য কর্তৃক তাকে অবৈধ চাপ প্রয়োগের কথা শুনি নি। আসমার আত্নহত্যা করার আসল রহসৎ উদঘাটন হওয়া জরুরী।
আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা এম এ রউফ বলেন, আসমা আমার মেয়ের মতো হওয়াতে সে প্রায়ই নিজের পারিবারিক কলহের কথা আমাকে বলত। নিজেও মানসিক চাপে ভোগতো। তাই আমি তাকে নিজের সাধ্যমতো শান্তনা দিতাম। প্রতিষ্ঠানের হিসাব তার কাছে যাওয়া বা এজন্য তাকে চাপ দেওয়া একটি অবৈধ কাজ। আর আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কোন অবৈধ কাজ করতে পারি না। পূর্বের কমিটি আমাদের কাছে ৪ বছরের হিসাব হস্তান্তর করতে চেয়ে ছিলেন। আমরা সচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য ৬ সদস্য বিশিস্ট একটি অডিট কমিটি গঠন করে তদন্ত করাচ্ছি। তবে তাকে কিভাবে চাপ দিলাম। আসমার আত্নহত্যার জন্য তার স্বামী (ফজলুর) দায়ী। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই আসল রহসৎ বেরিয়ে আসবে। আর সে (ফজলুর) নিজেকে বাঁচানোর জন্য আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা-বানোয়াট মামলা করেছে। এছাড়া একটি পক্ষ তাকে ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা করছে। তাছাড়া শুনেছি পারিবারিক কলহের কারণে ইতিপূর্বে আরো দু’বার আত্নহত্যার চেষ্টা করেছে আসমা।
এব্যাপারে গ্রেফতারকৃত আনোয়ার মিয়ার স্ত্রী সুরমা আক্তার শিবলী বলেন, আমার স্বামী উনার (আসমা) সাথে খারাপ আচরণ করলে কি আর স্বামী-সন্তান নিয়ে তিনি (আসমা) আমাদের বাড়িতে দাওয়াতে (৩ জুলাই) আসতেন। পারিবারিক কলহের জের ধরেই আসমা আত্নহত্যা করেছেন। আর তার স্বামী নিজেকে বাঁচাতেই স্কুল কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। শুনেছি পারিবারিক কলহের কারণে ইতিপূর্বে আরো দু’বার আত্নহত্যার চেষ্টা করেছেন আসমা।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশী তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। আর সুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হবে। এঘটনায় কাউকে হয়রাণী করা হবে না।
এব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজামান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সমীর কান্তি দেব বলেন, প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্য কর্তৃক অফিস সহকারী আসমা শিকদার সিমলাকে অবৈধভাবে হিসাব দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করার ব্যাপারে তার (আসমা) মৃত্যুর পূর্বে কেউ কোন অভিযোগ করেননি, এমনকি অবহিতও করেননি।

যৌতুক না দেয়ায় দুধের শিশু নিয়ে ঘরছাড়া গৃহবধু

বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় যৌতুকের কারণে বিয়ের এক বছরের মাথায় সদ্য ভূমিষ্ট শিশু নিয়ে ঘর ছাড়তে হয়েছে এক গৃহবধুর। তার নাম সাফিয়া বেগম (২৭)। তিনি উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বাইশঘর (বর্তমান অবস্থান লামা লহরী) গ্রামের নেফুর আলীর স্ত্রী। গেল শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় নবজাতক শিশুকে দেখতে মেয়েটির ভাই ও মা তার বাড়িতে গেলে যৌতুকের টাকার জন্যে তাদের উপর হামলা চালায় তার স্বামী যৌতুকলোভী স্বামী নেফুর আলীগং। তাদের জিম্মি করে রাখে তারা। পরে খবর পেয়ে রাত ১০টায় মেয়ের স্বজনেরা আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন তাদের।
সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর উপজেলার বাইশঘর গ্রামের মৃত বুজুর আলী ছেলে নেফুর আলীর সাথে দেওকলস ইউনিয়নের মৃত সুনা উল্লাহর মেয়ে সাফিয়া বেগমের বিয়ে হয় পারিবারিক ভাবে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে যৌতুকের দাবিতে তার ওপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। বিভিন্ন সময়ে টাকা দিলেও আরও এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করতো। না দিলে কারণে-অকারণে উঠতে-বসতে নির্যাতন চালানো হতো তার ওপর। এ নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান-মুরুব্বিসহ একাধিক বার আপোষ-মিমাংসাও করেন। এরই মাঝে গেল ৫ জুলাই সাফিয়ার একটি মেয়ে সন্তান জন্ম দেয়। নবজাতক শিশুকে দেখতে ১২ জুলাই সাফিয়ার বাড়িতে যান তার বড় ভাই গেদু মিয়া ও মা ফাতেমা বেগম। এসময় নেফুর আলী তাদের কাছে সন্তানজন্মকালীন সময়ের ব্যয়ভার হিসেবে ৩০ হাজার টাকা যৌতুক দাবী করে। ‘টাকার বিষয়ে এখন কিছু বলা যাবে না’ এ কথা বলা মাত্রই নেফুর আলী (৪৫), তার ভাই জুনেদ (৩০), লুৎফুর (৩৫) ও তাদের ভাগ্নে ফয়ছল (৩০) তাদের উপর হামলা চালায়। মারপিট করে আটকে রাখা হয় সবাইকে। পরে স্থানীয় যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান সেবুল ও সাফিয়ার গ্রামের তারেক আহমদ দুলনসহ মুরুব্বিরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
নির্যাতিতা গৃহবধু সাফিয়া জানান, অকথ্য নির্যাতন সহ্য করে এক বছর পার করেছি স্বামীর সংসারে। ভেবে ছিলাম সন্তানের মুখ দেখে হয়তো পরিবর্তন হবে তার। উল্টো নবজাতকের উচিলায়ও টাকা দাবী করে সে। যৌতুকের জন্যই সেদিন আমার মা-ভাইসহ আমাকে মারধর করে তারা।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাফিয়ার স্বামী নেফুর আলী কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেন, আমি ব্যস্ত আছি, কথা বলতে পারব না।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ শামীম মুসা সাংবাদিকদের বলেন, এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ এখনই পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেয়া হবে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)