শুক্রবার ● ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » কৃষি » রাঙামাটিতে রহিঙ্গা গননা শুমারি শুরু
রাঙামাটিতে রহিঙ্গা গননা শুমারি শুরু
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ : বাংলাদেশ : সময় : রাত ১০.১০মিঃ) রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় মিয়ানমারের নাগরিক (রহিঙ্গা) গণনা শুরু হয়েছে ৷ শুক্রবার সকালে জেলা পরিসংখ্যানের উদ্যোগে রাঙামাটি ১০টি উপজেলা, ৫০টি ইউনিয়নে এ রহিঙ্গা শুমারি কার্যক্রম শুরু হয় ৷ রাঙামাটি জেলাকে ২৩টি জোনে ভাগ করে ৩৫৫জন গননাকারী ও ৩৬ সুপারভাইজার এ শুমারি গননার কাজ করবেন ৷ প্রতিটি জোনে একজন করে জোন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে ৷ আর এ শুমারি কার্যক্রম চলবে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৷ বাংলাদেশের মোট ৬টি জেলায় এ রহিঙ্গা গননা শুমারি কার্যক্রম চলছে ৷ যেসব জেলায় রহিঙ্গা গননা শুরু হয়েছে সেগুলো হলো-তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ও পটুয়াখালী৷
এব্যাপারে রাঙামাটি পরিসংখ্যানের ২নং জোনের শুমারি সম্মনয়কারী মো. সাইদুল হক জানান, রাঙামাটিতে অবস্থানরত অনিবন্ধিত মিয়ারমার নাগরিক (রহিঙ্গা) শুমারি কার্যক্রম শুরু করা কথা স্বাকীর করেন ৷ জেলার ১০টি উপজেলায় ৬দিনের মধ্যে গণনা কার্যক্রম শেষ করা হবে ৷ এগননার মাধ্যমে যারা বাংলাদেশের নাগরিক নয়৷ অবৈধভাবে বসবাস করছে ৷ তাদের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) দেওয়া হবে৷ এ মাধ্যমে রহিঙ্গদের নিবন্ধনের আওয়তায় আনা হবে৷ যেসব রহিঙ্গদের নিবন্ধিত পরিচয়পত্র থাকবে, তাদের আইওএমের পক্ষ থেকে চিকিত্সা সেবা, নিজেদের মাতৃভাষায় পড়ালেখার জন্য আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থা ও আইনী সহায়তাসহ মৌলিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে ৷ আর বাংলাদেশে অবস্থানরত অনিবন্ধিত মিয়ানমার নাগরিকরা এসব সুযোগ সুবিধা পাবেনা ৷ তারা অবৈধ বলে গণ্য হবে ৷
রাঙামাটি রহিঙ্গা গননাকারী ফারহানা ইয়াছমিন জানান, তিনি শহরের ওয়াবদা কলোনী ও মাস্টার কলোনী রহিঙ্গা গননার কাজ করছেন ৷ তবে অনেকে শিকার করতে নারাজ তারা মিয়ানমারের নাগরিক ৷ আবার অনেক রহিঙ্গ পরিবার খুশি হয়েছেন ৷ অবশেষে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে পরিচয়পত্রের মাধ্যমে তাদের মৌলিক সহযোগীতা দিবে জেনে৷
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, পার্বত্যাঞ্চল সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়া অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে অনেক মিয়ানমার নাগরিক (রহিঙ্গা) দীর্ঘ বছর ধরে বসবাস করছে ৷ কিন্তু ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীদের সঙ্গে তাদের চেহারা বেশ মিল থাকায় অনেকে বুঝতে পরতোনা তারা মিয়ানমারের নাগরিক৷ তবে কিউ কিউ সরকারি সুযোগ-সুবিধ ভোগ করলেও অনেকে নিজেদের আড়ালে রাখতেন ৷ আবার অনেকে গোপনে লিপ্ত থাকতো বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে৷ এ রহিঙ্গ নিবন্ধনের ফলে পার্বত্যাঞ্চলে অপরাধ কমে আসবে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারনা।