বৃহস্পতিবার ● ১৬ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » অফিস সহকারীর আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিশ্বনাথে মানববন্ধন
অফিস সহকারীর আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিশ্বনাথে মানববন্ধন
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথের দৌলতপুর ইউনিয়নের আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অফিস সহকারী আসমা শিকদারের আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা সদরের বাসিয়া ব্রীজের উপর ‘ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসী’র ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে একই দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
হাজী মো. ধন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দৌলতপুর ইউনিয়নের আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নতুন ম্যানেজিং কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে পূর্বের কমিটির কাছে বিদ্যালয় ও কলেজের আর্থিক হিসাব না চেয়ে প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী ও শিক্ষিক আসমা শিকদারকে হিসাব দেয়ার জন্যে বারবার চাপ সৃষ্টি করে। তারা তাকে মানসিকভাবে অপমান, অপদস্থ ও হেনস্তা করে। এসব সহ্য করতে না পেরে তিনি গত ৮ জুলাই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফজলুর রহমান, আবদুন নুর, আবুল কালাম তোতা মিয়া, জালাল মিয়া, লয়লুছ মিয়া, ইউনুছ মিয়া, দবির মিয়া, মকবুল শিকদার, শাহিন তালুকদার, ফয়েজ মিয়া, মখলিছ মিয়া, ছোরাব আলী, আলতাফুর রহমান, লিমন মিয়া, আহাদ মিয়া, ইকবাল শিকদার, নুরুল মিয়া, জাবেদ হোসেন, ইসলাম উদ্দিন, দিদার, সুলতান মিয়া, তাহিদ শিকদার, রাশেদ শিকদার, জামাল, জুমন, শামিম, সাইদুর, লিমন, নাজিম, সাজন, খায়রুল, জুনেল, রাসেল, সাইফুল শিকদার, আবদুল হান্নান, জাহেদ মিয়া, নিজামুল হক, আফিফুল ইসলাম, মখন শিকদার, আমির আলী, সুহেব মিয়া, লোকমান মিয়া, জয়নাল আহমদ, আবদুস সত্তার, আবদুল ওয়াছে, জাকির শিকদার, আফজাল শরিফ, মাছুম আহমদ, খালেদ আহমদ, অফিস সহকারী আসমা শিকদারের পুত্র রেদুওয়ান আহমদ রোহান সহ বিদ্যালয় ও কলেজের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী।
বিশ্বনাথের আলোচিত গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী সহ গ্রেফতার-৩
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার মাহতাবপুর এলাকায় আলোচিত এক শিশু গনধর্ষনের ঘটনার মূল আসামী মিজান (২০)সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রধান ধর্ষক বিশ্বনাথ উপজেলার বশিরপুর গ্রামের আশিক মিয়ার ছেলে। গতকাল মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও মিডিয়া) মো: লুৎফর রহমান নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি বিশেষ টিম সুনামগঞ্জের দক্ষিন সুনামগঞ্জ থানাধীন পাথারিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
জানা যায়, গত ২৫ মে রাত বার ঘটিকায় আসামী মিজান ও তার সহযোগীরা প্রেমের সম্পর্কের সুবাধে ১৪ বছরের শিশু কে ফুসলিয়ে বাড়ির পার্শ্বে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষন করে। এ ঘটনার পর আসামী পক্ষের লোকজন সহ স্থানীয় কিছু লোক ঘটনাটি আপোসে রফাদফার চেষ্টা। তবে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম এর নিকট ঘটনার সংবাদ আসলে তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো: লুৎফর রহমান এর মাধ্যমে প্রাথমিক অনুসন্ধানে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ভিকটিমের পক্ষ থেকে এজাহার সংগ্রহ করে মামলা রেকর্ডের নির্দেশ দেন। সুষ্ট তদন্তের স্বার্থে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের নিকট ন্যস্ত করেন। পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামী গ্রেফতার করার জন্য মামলা তদন্তে সার্বিক তদারকির জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও মিডিয়া) মো: লুৎফর রহমান কে দায়িত্ব দেন। পুলিশ সুপারের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: লুৎফর রহমান এর নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একাদিক টিম ঘটনার মূল আসামী মিজান কে গ্রেফতার করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে। এরই মধ্যে স্থানীয় কিছু লোকজনদের প্ররোচনায় ঘটনাটি আপোসের রফাদফা চলতে থাকায় কৌশলগত কারনেই আসামীকে গ্রেফতার করতে পুলিশ কে অনেক বেগ পোহাতে হয়।এক পর্যায়ে গত ৮ জুলাই বিশ্বনাথ এলাকায় প্রধান আসামী মিজানের উপস্থিতির সন্ধান পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: লুৎফর রহমান এর নেতৃত্বে অভিযান চালায়। তবে আসামীর নিকট আত্নীয়স্বজন পুলিশের ন্যায় সঙ্গত কাজে বাঁধা দিয়ে আসামীকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে বিধায় ঘৃন্য অপরাধে অভিযুক্ত অপরাধীকে আশ্রয় দিয়ে আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলি প্রদর্শনের দায়ে জেলা পুলিশ আশ্রয়দাতাদের কে ধর্ষনের মত ঘৃন্য অপরাধে প্ররোচনা প্রদানের জন্য তাদের গ্রেফতার করে নিয়মিত মামলা রুজু করে। পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে এক পর্যায়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ গত ১৩ জুলাই এসএমপির জালালাবাদ থানা,সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানা এবং দক্ষিন সুনামগঞ্জ থানা এলাকায় টানা চল্লিশ ঘন্টার টানা অভিযান পরিচালনা করে অবশেষে ঘটনায় জড়িত মূল আসামী মিজানসহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম বলেন,ধর্ষনের মত সমাজের ঘৃন্য অপরাধ সামাজিক বিচার সালিশের কোন সুযোগ নেই। এ ঘটনায় আসামীর আশ্রয় দাতাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।এর মাধ্যমে আমরা সমাজে একটা বার্তা দিতে চাচ্ছি যেন ভবিষ্যতে এরকম ঘৃন্য অপরাধীদের আশ্রয় দিতে সবাই সতর্ক হয়।জেলা পুলিশের একাদিক টিম বিরামহীন প্রচেষ্টার ফলে সুনামগঞ্জের দক্ষিন সুনামগঞ্জ এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে যোগ করেন তিনি।
বিশ্বনাথে কোষাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সমিতির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে ‘রামধানা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড’র ৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সমিতির কোষাধ্যক্ষ হানিফ আলীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে বুধবার সমিতির সভাপতি আবদুস সালাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুনু মিয়ার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের অনুলিপি ভারপ্রাপ্ত ইউএনও এবং উপজেলা সমবায় কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সমবায় সমিতির সভাপতি আবদুস সালাম দায়িত্বে আসার পর থেকে সমিতির সার্বিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেন। এতে সমিতির কোষাধ্যক্ষ হানিফ আলীসহ কয়েকজন অর্থ আত্মসাতকারী একটি চক্র সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। গত ২০১৮-২০১৯ সাল পর্যন্ত সমিতির কিছু সংখ্যক সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা ঋণের অর্থ সভাপতিকে অবহিত না করে গোপনে উত্তোলন করেন সমিতির কোষাধ্যক্ষ হানিফ আলী ও আরও কয়েকজন। সমিতির টাকা ব্যাংক একাউন্টে জমা না দিয়ে ৭% সঞ্চয়সহ প্রায় ৭ লাখ টাকা আত্মসাত করেন তারা। সমিতির সভাপতি আবদুস সালাম এর প্রতিবাদ করলে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেন সমিতির টাকা আত্মসাতকারীরা। সমিতির পূর্বের কমিটির কোষাধ্যক্ষ থাকা অবস্থায় হানিফ আলী ও আরও কয়েকজন সমিতির লভ্যাংশের অনেক টাকা আত্মসাত করেন। বর্তমানে সমিতির অর্থ আত্মসাতের টাকা নিজ পকেটে রাখার জন্য সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
এ ব্যাপারে ‘রামধানা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড’র কোষাধ্যক্ষ হানিফ আলী বলেন, সভাপতির আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা।
উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়া বলেন, দুই পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।