রবিবার ● ১৯ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » অবাধে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব
অবাধে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব
মো. জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহে কোটচাঁদপুর উপজেলায় ড্রেজিং করে পুকুর খননের নামে কৃষি জমির শ্রেনী পরিবর্তন করে অবাধে চলছে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। জানা গেছে কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়নের দোড় গ্রামে জাকির মিয়ার পুকুর থেকে গভীর গর্ত করে বালি তুলছে ভগবান নগরের প্রভাবশালী ব্যাক্তি শাহাজান। গ্রামে কেউ বাধা দিতে গেলে তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে বলেন মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশে দেব। তার ভয়ে গ্রামের কেউ মুখ খোলেনা। পুকুর খননের নামে কৃষি জমির শ্রেনী পরিবর্তন ও ধানী জমির ক্ষতির বিষয়ে এলাকাবাসি সাংবাদিকদের বলেন আর দুয়েক মাস এভাবে বালি উত্তোলন চলতে থাকলে গ্রামের অনেক কৃষি জমি, রাস্তা ঘাট বসতবাড়ি পুকুরে বিলীন হয়ে যাবে। পুকুর মালিক জাকির মিয়ার বক্তব্য চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যবহার করে তাদের দেখে নেয়ার হুমকি দেই। এব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজনীন সুলতানা জানান তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী এই বালু উত্তোলন বন্ধ করতে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ঝিনাইদহে মিল মালিকের বিরুদ্ধে টাকা চুরির অভিযোগ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে মিল মালিকের বিরুদ্ধে টাকা চুরির অভিযোগে এরাকাজুড়ে চলছে তোলপাড়। ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ জুলাই রামচন্দ্রপুর গ্রামে রাব্বির রাইচ মিলে। সে ইউনিয়নের কোলা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে। যানা যায় ইউনিয়নের গাড়ামারা গ্রামের অসহায় ইজাল উদ্দিন এর ছেলে সিরাজুল তার শ্বশুর বাড়ি ও নিজের জমি বিক্রির ৯০,০০০ (নব্বই হাজার) টাকা ধানের বস্তার ভিতর রাখেন। প্রতিদিনের মত সকালে উঠে অন্যের জমিতে কাজে যায় সিরাজুল।এদিকে বাড়িতে চাউল ফুরিয়ে গেলে ভ্যান চালক আরিফ এর মাধ্যমে রাইচ মিলে ধান ভাঙানোর জন্য পাঠায় তার পরিবার। ধান ভাঙানোর এক পর্যায়ে শেষের বস্তার ভিতর টাকাসহ ধান হলারে দিলে ধান আটকে যায়,এর পর মিস্ত্রি রাব্বি পর পর দু বার মিল বন্ধ করে দেয়,পরে উপরে উঠে ধানের খড়ে হলার আটকে গেছে বলে সে আরিফকে জানায়। কিছু সময় পর সে তার ভাইকে দিয়ে একটি বাজার করা ব্যাগ হাতে ধরিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীর অভিযোগ ঐ ব্যাগের ভিতর টাকা ছিল। এ ব্যাপারে ভ্যানচালক আরিফ ও সেখানে থাকা ঠান্ডু জানান, মিল চলা অবস্থায় রাব্বি মিল দু বার বন্ধ করে দেয়,এবং হলার থেকে ছোট একটি খড় বের করে বলে এই খড়ের জন্য ধান আটকে গেছে। পরে আমরা চাউল কুড়া গাড়িতে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়লে ঐ ফাঁকে সে তার ছোট ভাইকে একটি ব্যাগ হাতে ধরিয়ে দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়, এর পরে ৬/৭ মিনিট পর সে পুনরায় মিল চালু করে। ধান ভাঙানো শেষে ভ্যানচালক আরিফ কিছু না বুঝেই চাল কুড়া নিয়ে বাসায় ফেরে, কিছুক্ষণ পর সিরাজুল বাড়িতে ফিরে দেখে ধান ভাঙানো হয়েছে, সে চিৎকার বলে ধানের ভিতর টাকা ছিল,এর পর পুরা পরিবার কান্নাকাটি শুরু করে দেয় এবং সাথে সাথেই মিলে এসে মিল মালিকের কাছে টাকার ব্যাপারে জানতে গেলে সে রেগে গিয়ে মার মুখি আচরণ করে। ভুক্তভোগী সিরাজুল জানায়, আমি পরের জমিতে কামলা দিয়ে কোন রকম সংসার চালাই, অভাবী সংসার,সামনে বোনের বিয়ে কিছু দেনা শোধ করব তাই জমি বিক্রি ও শ্বশুর বাড়ি থেকে লিজ হিসাবে মোট ৯০,০০০ (নব্বই হাজার) টাকা এনে ধানের বস্তার ভিতর রাখি। ধানের ভিতর টাকা রেখছি এটা আমার পরিবারের কেউ জানত না। ধান ভাঙানোর সময় মিল মালিক রাব্বি আমার টাকা গুলি নিয়ে ওর ছোট ভাইকে দিয়ে সাথেই সাথেই বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই এবং আমার টাকা গুলি ফেরত চাই।এই বলে সে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। তবে রাব্বি টাকা চুরির কথা স্বীকার করেনি। এ ব্যাপারে কাতলা মারি পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ আনিছুর রহমান জানান, তিনি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন এ ব্যাপারে একবার বসাবসিও হয়েছে,কোন সুরাহা না হওয়ায়,আগামী রবিরার বসার কথা রয়েছে বলে তিনি জানান।